নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইফতার নিয়ে আলোচনা

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২২



আমি বুঝি না ইফতার সামগ্রীর এত দাম কেন? বংশালে আল রাজ্জাক হোটেলে গেলাম ইফতারী কিনতে। ভাবলাম পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো মন্দ খাই। সেখানে ইফতারীর খুব বেশি দাম রাখা হচ্ছে। খুব বেশি। একটা আস্তো মুরগীর দাম নিচ্ছে ৬৫০ টাকা। কিন্তু এই মুরগীর দাম হওয়ার কথা সর্বচ্চো ৩৫০ টাকা। বাজারে পাকিস্তানী একটা মূরগীর দাম- ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। খাসির এক পিছ লেগ পিচ এর দাম নিচ্ছে ১৪০০ টাকা। খাসির এই লেগ পিছ এর দাম সর্বচ্চো হতে পারে ৪০০ টাকা। হালিম এর দাম নিচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। হালিমে কি দেয় যে এত দাম? ৮০০ টাকা দিয়ে হালিম কিনে আনার পর দেখা যায় তাতে সর্বচ্চো ছোট ছোট ৫/৬ টুকরো হাড্ডি। এমন হাড্ডি যে খাওয়ার কিছু নেই। এই হালিমের দাম হতে পারে সর্বচ্চো ৩০০ টাকা। অথচ দাম নিচ্ছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। বোরহানি এক বোতল দাম নিচ্ছে ২০০ টাকা। অথচ এই বোরহানির সর্বচ্চো দাম ১০০ টাকা হওয়ার কথা। দইবড়া ২৫০ টাকা করে নিচ্ছে এক বাটি। অথচ এর দাম হওয়ার কথা ৬০ টাকা। পেস্তা সরবত, লাবাং সব কিছুর দাম প্রচুর বেশি। এত বেশি কেন? একটা জিনিসে ১০০ টাকা খরচ হলে, বিশ টাকা বা ত্রিশ টাকা বেশি নিতে পারে। খরচের ডবল তো নিতে পারে না! জিলাপী কেজি বেশির ভাগ দোকানেই ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সোনার গা হোটেলে এক কেজি জিলাপীর দাম নিচ্ছে ২ হাজার টাকা!

স্টারে গেলাম সেখানেও প্রচুর দাম। আনন্দ বেকারিতে গেলাম সেখানেও একই রকম দাম। তিন গুন, চার গুন দাম বেশি। আমি ইফতারী না কিনে বাসায় চলে এলাম। আমার কথা হলো- দুই শ' টাকার জিনিশ কেন আমি ৬০০ টাকা দিয়ে কিনব? টাকা কি এত সস্তা? অবশ্যই তারা ব্যবসা করছে লাভের জন্য। কিন্তু তার জন্য তিন গুন দাম বেশি নিবে এটা কোন নিয়ম? দেখলাম, প্রতিটা ইফতার সাসগ্রীর এত দাম তবু এক শ্রেণির মানূষজন পাগল-ছাগলের মতো ইফতারী কিনছে। আমি হা করে তাকিয়ে দেখছি। নিজেকে বড্ড অসহায় বলে মনে হলো। পিয়াজুর মধ্যে পেয়াজ বা ডাল কিছুই নেই। বেশন দিয়ে পিয়াজু বানাচ্ছে। কেউ কেউ আটা দিয়ে পিয়াজু বানাচ্ছে। এই রোজার মধ্যে একদিন আমি এক দোকানে গিয়ে বললাম, আমাকে দশ টাকার ছোলা দেন। দোকানদার মুখের উপরে বলে দিল দশ টাকার ছোলা বিক্রি করি না। হালিম কিনতে গেলাম এক দোকানে ছোট্র একটা প্লাস্টিকের বাটিতে সামান্য হালিম দিলো। দাম নিলো ২০০ টাকা। বাসায় এসে দেখি, হালিমে একটুকরো মাংস নেই। আর খেতেও স্বাদ না। কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখেছি মানুষজন লম্বা লাইন ধরে হালিম কিনছে।

এই রোজার কোনো একদিন, আধা ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে একটা গ্রীল চিকেন কিনলাম ৩৬০ টাকা দিয়ে। বাসায় আসার পর কেউ একটূকরো মুখে দিতে পারনি। মূরগীটা ভালো করে পোড়ায় নি। কাচা কাচা, ভিতরের মাংস পুরো সাদা হয়ে আছে। কোনো মশলা নেই। চারপাশ দেখে শুনে বুঝলাম, বেশির ভাগ মানুষজন আর মানুষ নেই। পুরা অমানুষ হয়ে গেছে। এদিকে আবার কেউ কেউ ভ্যাট নিচ্ছে। ৪০০ টাকার হালিম নিলে ৯০ টাকা ভ্যাট নিচ্ছে। আচ্ছা, এই ৯০ টাকা কি সরকার পায়? একটা ডাবের দাম নিচ্ছে ৬০/৭০ টাকা। রেস্টুরেন্ট গুলোতে ইফতারীর সেট মেন্যু করে রেখেছে। ৫/৭ আইটেম দিয়ে দাম নিচ্ছে ৭৯৯ টাকা থেকে ৯৯৯ টাকা। সেট মেন্যু গুলোতে থাকে- একটা পিয়াজু, একটা আলুর চপ, একটা বেগুনী। দুই পিছ খেজুর, একটা ছোট পানির বোতল, একটা জিলাপী, এক টুকরো ফার্মের মূরগী ফ্রাই, চা চামুচের এক চামুচ ছোলা, পানিতে দিয়ে বানানো জুস, এক পিছ টিস্যু (ইফতার খেয়ে হাত মুছার জন্য)। এই সেট মেন্যুর সর্বচ্চো দাম হতে পারে ২০০ টাকা। কিন্তু দাম নিচ্ছে চার গুন বেশি। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো চার গুন বেশি দিয়েই অনেক মানুষ কিনছে। এবং আপনি গেলে দেখবেন বসার জন্য জায়গা পাবেন না। অনেক রেস্টুরেন্টে আগের দিন বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। ওরা কারা যারা পাগলের মতো ইফতার কিনে তিন গুন দাম দিয়ে? আমার পক্ষে তো সম্ভব না।

অবশেষে আমি ইফতারীর বেশ কয়েকটা দোকান ঘুরে এসে খালি হাতে বাসায় ফিরলাম। আমার অসৎ পথের টাকা না যে এক শ' টাকার জিনিস পাচ শ' টাকা দিয়ে কিনব। প্রচুর পরিশ্রম করি। মাস শেষে যা পাই খুব হিসাব করে চলতে হয়। সুরভিকে বললাম, তেহারি রান্না করো বাসার সবার জন্য। দুই চুলায় রান্না বসিয়ে দাও। বাসায় রান্না হলো তারপর সবাই মিলে মজা করে খেলাম। খাওয়া শেষে আইসক্রীম। আহ! আপনারা কি আমাকে কৃপণ ভাবছেন? আমি মোটেও কৃপণ না। প্রচুর খরচ করি। কিন্তু এলোমেলো খরচ করি না। আমি আজ পারতাম দুই হাত ভর্তি করে ইফতার কিনতে। কিন্তু কেন কিনব? ওরা যদি দামটা সঠিক রাখতো তাহলে কিনতাম। পাঁচ- সাত হাজার টাকার ইফতারি কেনার ক্ষমতা আমার আছে। কিন্তু অপচয় করার মানসিকতা আমার নেই।

(আজ লিখতে চেয়েছিলাম, আমার মেয়ের কথা। আজ তার জন্মদিন। কিন্তু লিখলাম এই লেখা। আগামীকাল মেয়েকে নিয়ে লিখব।)

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৭

বিজন রয় বলেছেন: আজকাল ঈদ - ইফতার মানে তো বাণিজ্য, সেটা বোঝেন না?

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: তার জন্য এত বানিজ্য? একটূ কম করলে কি হয়?

২| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মেয়ে পরিবারের সাথে আনন্দে, পড়ালেখা করে, হাসিখুশী থাকুক; ওর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

ঘরের খাবার খান, বাংগালীদের বাহিরের খাবার বিষাক্ত

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটা অনেক আণন্দে আছে।
পড়াশোনায় খুব ভালো।
জন্মদিন নিয়ে আগামীকাল লিখব।

বাহিরের খাবার খাওয়া পুরোপুরিই বাদ দিতে হবে।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: রোজার দিন তো এখন ডাকাতির দিন ভাইয়া, জানেন না ?

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ওদের ডাকাতির সুযোগ দিব না।

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এদেশে রোযার মাস মানেই ডাকাতির অবাধ লাইসেন্স। দেখার কেউ নেই। সংযমের মাসে মানুষগুলোও যেন রাক্ষস হয়ে যায়। খাবারের ওপর হামলে পড়ার দৃশ্য দেখে মনে হয় এরা জীবনে কোনদিন খায়নি। সবাই মিলে সংযমের চেষ্টা করলে এই ডাকাতির কালচারটা পাল্টানো সম্ভব।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সব ডাকাতদের জন্য সরকার কি কিছুই করবে না?

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫০

বিজন রয় বলেছেন: মানুষ কি আর মানুষ আছে রাজীব নুর।

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: না। মানুষ আর মানুষ নেই।
বেশির ভাগই অমানুষ হয়ে গেছে।

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কোন দলে?

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন ভালো মানুষ।
সৎ মানুষ।
সহজ সরল ভালো মানুষ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন ভালো মানুষ।
সৎ মানুষ।
সহজ সরল ভালো মানুষ।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

নাজিম সৌরভ বলেছেন: দেখার কেউ নেই !

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার?

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমরা কিন্তু একবারও কৃপণ কথাটি আনিনি। যে করেই হোক চলে এসেছে। যাক, শেষ বেলায় বাড়ির খাবার তো হল। আজ মেয়ের জন্মদিন , প্রচুর খাবার হবে। ভাল ভাবে কাটুক।

শুভ কামনা সকলকে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: জন্মদিনের কাহিনি আগামীকাল লিখব।

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সঠিক সিদ্ধান্ত। আমিও শপিং মল, বিচ, এয়ারপোর্ট, মেলাতে খাইনা। এরা ডাকাতি করার জন্য বসে...

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: এরা ইচ্ছে মত ডাকাতি করছে। কিন্তু দেখার কেউ নাই? দেশে কোনো আইন নাই? সরকার?

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: লেখাটা পড়ে একটু খারাপ লাগলো। আপনার নাহয় সক্ষমতা আছে কিন্তু অপচয় করবেন না বলে কেনেননি, কিন্তু অনেক মানুষের তো সাধারণ বাজারেরই সক্ষমতা থাকে না রোজার মাসে। আপনার মত যদি সবাই সচেতন হয়ে অকারণ বেশি দাম দিয়ে কেনা বন্ধ করে দিত তাহলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হত দাম কমাতে। কিন্তু এই দেশের অসৎ পথের ধনীরা সেটার পরোয়া করে না। আর সরকারের কথা বলাই বাহুল্য। যাক, নিজের ঘরে ভালোমন্দ রান্না করে খাওয়াটাই বেশি আনন্দের। আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ ও আদর।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:১৬

আল ইফরান বলেছেন: বাহিরে খাওয়া অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছি শুধু এই জন্যই।
হালাল রুজির পয়সা দিয়ে এটলিস্ট এইসব অখাদ্য খাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
আর রোজার মধ্যে বাইরে থেকে খাবার কিনে আনাটা একধরনের ট্যাবুই বলতে পারেন, ফলমুল-শরবত আর দুই একটা বাসায় বানানো খাবার দিয়ে ইফতার সেরে নেই।
আপনার সন্তানের জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা, বড্ড অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে বড় হবে সে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন।
আমাদের অস্থিরতা কমবে না। বরং দিনের পর দিন বেড়েই চলবে।

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, গত ভ্যলেন্টাইন ডে-তে আমার এক কোটিপতি বন্ধু (অল্প দিনে কেমনে কোটিপতি হলো তা এক গবেষণার বিষয়) বললো, সে বউ আর পিচ্ছি দুই বাচ্চাকে নিয়ে একটি ফাইভ স্টার হোটেলে (আসলে আন্তর্জাতিক মানে ২ স্টার) ৮,৪৫০ টাকায় লাঞ্চ করেছে। এটা নাকি ফ্যামেলি ব্যুফে ছিল। আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম!! বল্লাম, লন্ডনে একটি পাঁচতারকা মানের রেস্টুরেন্টেও এমন দাম দেখিনি। জবাবে আমাকে তাচ্ছিল্যের সূরে বললো- তোমার হয়তো টাকার সমস্যা, এদেশে ৮-৯ হাজার টাকার কোন টাকাই না!! জবাবে বলেছিলাম, আমাকে মাগনা দিলেও এত দামি খাবার মুখে তুলবো না, এটা প্রতারণা। :(

আমার বন্ধুটি ৮ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। এজন্য দামী খাবারের সাথে সেলফি, দামী পোষাক আর মানুষকে বড়লোকি ভাব দেখানো, দামী গাড়ির ব্যবহার হলো ফ্যাশন আর স্ট্যাটাস। এ দেশে এই ক্যাটাগরীর মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি পয়সা এখন। এদের কেউ মূর্খ রাজনীতিবিদ, কেউ মূর্খ ব্যবসায়ী আর কেউ মূর্খ দালাল। আরেকটি পক্ষ হলো শিক্ষিত সরকারি ধান্দাবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী। এদের কাছে কত কাঁচা পয়সা আছে তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। X(

এজন্য এরা সব সময় দামী জিনিস কিনতে চায়। যত দামী জিনিস/খাবার কিনবে স্ট্যাটাস তত বাড়বে। গিন্নীরা ফেইসবুকে দাম সহ পণ্যের সচিত্র প্রতিবেদন দেবে। কেউ কেউ আরেক কদম এগিয়ে ফেইসবুক লাইভ করবে। X( X(

এজন্য ইফতারি বলেন আর রেস্টুরেন্ট বলেন- যেখানে রেইট হাই সেখানেই হাই (চোর) কাস্টমার বেশি। এজন্য জিলাপির কেজি ২ হাজার টাকা, মুরগী ৬৫০ টাকা, লেগ পিছ ১৪০০ টাকা আর হালিম ৮০০ টাকা!! :(( এরা রাজীব নূরের জন্য দোকান খুলেনি। এরা জানে কয়েকলাখ আবাল আছে যাদের কাঁচা পয়সা পকেট ভারী হয়ে উপচে পড়ছে তারা ঠিকই কিনবে। এরা দামাদামি পর্যন্ত করবে না। B-)

সবশেষে, ছোট্ট একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। লন্ডন ওয়েস্ট এন্ড শপিংয়ের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ আরব বেড়াতে ও শপিং করতে লন্ডনে আসে। মাঝে মাঝে কিছু অত্যাধুনিক আরব মেয়েকে হাই হিল পায়ে দিয়ে শপিং করতে দেখা যায়!! হাই হিল পরার জন্য অনেক সময় পা পিছলে পড়ে যেতেও দেখেছি। এগুলো দেখে স্থানীয়রা মুখ লুকিয়ে হাসে। এরা অতি আধুনিক হতে গিয়ে বুঝতে পারে না হাই হিল জুতা শপিংয়ের জন্য নয়, পার্টি ও ক্লাবিংয়ের জন্য। :-B

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রিয় কাওসার ভাই বিশাল মন্তব্য করেছেন।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন।

হঠাত কিছু লোক অনেক ধনী হয়ে গেছে। তারা এখন টাকার গরিমায় মাটিতে পা পড়ছে না।

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুরা রমজান মাসটাই হচ্ছে ব্যবসা-বানিজ্যের মাস। এই মাসে ব্যবসায়ীরা যত্তোখুশী লাভ করবে। আপনি বলার কে? বেচারারা ১১টি মাস ভুখা-নাঙ্গা থাকে এই একটি মাসের জন্য!!
তবে ইফতারী না কিনে, ঘরে বানিয়ে কাজটা আপনি ঠিক করেন নাই। ভবিষ্যতে আর এমনটা করবেন না। ;)
ওকে???

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ওকে।

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩১

নতুন বলেছেন: দেশে পন্যের দাম নিয়ে ডাকাতি করে এটা ঠিক।

আবার দামী হোটেলে খাবারের দাম বেশি হবে সেটা সব দেশেই।

ঐ সব হোটেল বানাতে, চালাতে খরচা বেশি .... তাই তারা বেশি দাম রাখে বেশি লাভ করে...

আর ঐ সব হোটেলে যারা আসে তাদের কাছে টাকা সমস্যা না.... ভাব দেখানো বড় কথা...

তাই সাধারন জিনিসের দাম ঐখানে অনেক বেশি হবে।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার কি চুপ করে থাকবে?

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৭

হবা পাগলা বলেছেন: আপনার মেয়ের জন্য শুভ জন্মদিন

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার মাম‌ণি‌কে জন্ম‌দি‌নের শু‌ভেচ্ছা। বাংলা‌দে‌শে বাই‌রের খাবার খাওয়ার দরকার নেই। সেই টাকা দি‌য়ে ঘ‌রেই খাবার তৈর‌ি করুন। আনন্দ পা‌বেন।শুভ কামনা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন।

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ‌দে‌শের কমপ‌ক্ষে ১ কো‌টি মানু‌ষের হা‌তে প্রচুর টাকা আ‌ছে। সেই টাকার গর‌মে তারা দিগ‌বি‌দিক জ্ঞানশূণ্য হ‌য়ে গে‌ছে। দাম তা‌দের কা‌ছে কোন ব্যাপার না। সাধারণ মানু‌ষের সাধ আহ্লাদ থাক‌তে নেই।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই টাকা কি তারা স্ত পথে ইনকাম করেছে?

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

নিশাচড় বলেছেন: ভাই।!ঠিক বলেছেন আমিও বাহির থেকে এই ধরনের গলাকাটা পণ্য কিনি না। নিজের ঘরে বানিয়ে খাই। রান্নার হাত আল্লার রহমতে ভালো। সব রান্না মোটামুটি পারি। আরেক ঢাকাতি শপিং মল পাঞ্জাবিতে যে পাঞ্জাবির তৈরি মুল্য ৮০০ টাকা সেটার দাম ৩৮০০ টকা। কিনি না বানায়া পরি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কোনো রান্না পারি না।
একদিন আপনার হাতের রান্না খাবো।

পাঞ্জাবির কথা একদম ঠিক বলেছেন। এবার ঈদ উপলক্ষ্যে আমি একটা পাঞ্জাবি বানিয়েছি। খরচ অনেক কম হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সুন্দর ফিটিং হয়েছে।

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন: ইফতারির এইসব খাবার দাবার হলো জাঙ্ক ফুড । এইসব জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলবেন না হলে শরীর খারাপ করবে । আপনার মেয়ের জন্য হোম মেড খাবার তৈরির ব্যবস্থা করবেন। বাচ্চা মানুষ, সে হয়তো মানতে চাইবে না কিন্তু তাকে বুঝাবেন যে এই গুলো হলো রোগের বাসা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন।
এই ব্যাপারে তার মা খুব সচেতন।

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্মঘাতি মুসলমান!
বড়দিনে যেকানে সকলের আনন্দের জন্য সব পণ্যের দাম কমে
আমাদের রমজানে গরীবের উপোষীর কষ্ট বুঝবে কি? তাদের আরো উপোসি রাখার পূর্ন আয়োজন থাকে!!!

হয়না তাদের রোজা
হয়না তাদের নামাজ
আমি বলিনা একথা
তা সূরা মাউনের মূল তাজ।

ধন্যবাদ বিসয়টি নিয়ে আলোচনা করায়।

মেয়ের জন্মদিনের শুভকামনা অন্তহীন

+++++

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনার মেয়েকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: বাহিরের খাবার স্বাথ্যসম্মত নয়, পারলে বাসায় বানিয়ে খান সেটা ভাল। ইফতারি আমাকে ততটা টানে না তবুও এবার ইফতারি বাসায় বানিয়ে খেয়েছিলাম প্রথম কয়েকটা রোজায়।

মুরগী পোরা খেতে চাইলে বাসায় পুরিয়ে খান!! সব কিছুতেই ভেজাল!!

বারবিকিউ এর সরঞ্জাম আমার বাসায় আগেই ছিল, কয়লা আর তেল নিয়ে এলাম এবার। ঈদের পর বন জংগলে গিয়ে বারবিকিউ করব বউ বাচ্চা নিয়ে। আমাদের এখানে বিদেশীরা সবাই সামারে বাইরে গিয়ে পরিবার নিয়ে একসাথে মাংস পুরিয়ে খায়। দেশের রেস্টুরেন্টের খাবারের প্রতি আমার ঈমান কম !!

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

পুলক ঢালী বলেছেন: পড়ে মন খারাপ হলো। সংযম সাধনা কি বানিজ্যের জন্যও প্রজোয্য নয় ?? লাভ করার ক্ষেত্রেও কি সংযমী হওয়া উচিৎ নয় ?? আপনি নিঃশ্চিন্ত থাকুন এদের রোজা নামাজ আমল হবেনা। শুনেছি বিদেশে খ্রিসমাস উপলক্ষ্যে প্রচুর ছাড় দেওয়া হয় যাতে সবাই আনন্দে সামিল হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশেও শুনেছি ঈদ রোজায় কোন কিছুর দাম বাড়েনা বরঞ্চ কমে।
ভাল থাকুন ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ গুলো আর মানুষ নাই। সব অমানুষ হয়ে যাচ্ছে।

২৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: গাজি ভাই এর সাথে একমত, বাহিরের লালা ঝরে পরা খাবার গুল দেখে ঝাপিয়ে না পরাই উচিৎ। ভাবি কে বলুন একটু কস্ট করে ইফতার টা বাসায় বানাতে। ভাই রে পেট ভালো তো সব ভালো।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুস্থ থাকা খুব জরুরি।

২৫| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

হাসান রাজু বলেছেন: আমিও আপনার মতন । চিকন চিকন জিলাপি এই জীবনে ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনব না । আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব, ভাই-বোন, পরিচিত জনেরা মুখে বলে না কৃপণ কিন্তু চাহনি তো বুঝি ।

০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা ----

২৬| ০৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:
ফুড বানিজ্য চলছে

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: এ জীবনে একটি জিলাফি কিনলাম নাম নাকি শাহি।
বললাম পিছ? না কেজি।
তাহলে দেন। মাপ দিয়ে বলে ২৫০ টাকা!!!!!!!!

পাশে পরিচিত লোক ছিল কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারি নি। পরে নিয়েই নিলাম। :(

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই হলো অবস্থা।

২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এগুলো আমার মনের কথা, আমিও সহজে বাহির থেকে এসব কিনতে চাই না। ইফতারের সব আইটেমই আমার বাড়িতে তৈরী করে।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বাড়িতে তৈরি করাই ভালো। তবে আজকালরা বউরা রান্না বান্না করতে চায় না।

২৯| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: সারা বিশ্বেই যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের সময় সব কিছুর দাম কমে, মূল্যছাড় দেয়, শুধুমাত্র আমাদের এই দেশেই উৎসবের সময়ে মূল্যবৃদ্ধি হয়। ক'দিন আগে মনিরা সুলতানার একটা পোস্টে দুবাইয়ে রোজার অভিজ্ঞতা পড়লাম, কত সুন্দর সে পরিবেশ!

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: মনিরা আপার লেখাটা পড়েছি।
'খায়রুল আহসান' উনিও একটা পোষ্ট দিয়েছেন- পড়েছেন?

৩০| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ইফতারী বাজার এখন ডাকাতির বাজার। আমি গতকাল হোটেল রয়েলে (খুলনা) ইফতার করলাম প্লেট প্রতি ৫০০ টাকা দিয়ে। কিন্তু আমার মনে হলো প্রতি প্লেটে ১০০ টাকার ইফতারীও নেই।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু ঢাকা বা খুলনা না সারা দেশে একই অবস্থা।

৩১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সমাজের একটা বিশ্রী অসঙ্গতির প্রতি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে খুব চমৎকারভাবে সহজ ভাষায় আলোকপাত করেছেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিবাদন।
রোজা আসলেই অবিবেচক ক্রেতা সাধারণের মাঝে অহেতুক খাদ্যসামগ্রী মজুদের একটা প্রবণতা দেখা দেয়। এটাও মূল্যবৃদ্ধির একটা পরোক্ষ কারণ। আমি কোন কিছু তিন/চারদিনের বেশী কিনি না। কিছু কিছু সামগ্রী বড় জোর হয়তো এক সপ্তাহের জন্য। এজন্য আমাকে বাজারে ঘন ঘন যেতে হয়, আমি সেটা মেনে নিয়েছি।
আপনার এ লেখাটা আমার ভাল লেগেছে। + +
"আপনারা কি আমাকে কৃপণ ভাবছেন?" - কৃপণ ভাববো কেন? আমি আপনাকে মিতব্যয়ী ভেবেছি।
"অপচয় করার মানসিকতা আমার নেই" - এমন মানসিকতা প্রত্যেকের মাঝেই অনুপস্থিত থাকা দরকার।
আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা!!!

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন।

৩২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রোজা ব্যবসাসফল মাস

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের কিছু করা উচিত।

৩৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এখন আর ইফতারির সে আসল টেস্ট নাই। এখন ইফতারি কেনা মানে জলের ভিতর টাকা ঢেলে দেয়া এক সমান।

১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.