নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মানুষ আর মানুষ নেই, সব অমানুষ হয়ে গেছে। সৃষ্টির সেরা জীবকে অমানুষ বলতে আমার বুক কাঁপে না। বিনা দ্বিধায় চোখ বন্ধ করে মানুষকে বলা যায় অমানুষ। অমানুষের বাচ্চা। এবার আসুন আপনাদের বলি, কেন আমি মানুষকে অমানুষের বাচ্চা বলছি। সকাল আট টায় বাসা থেকে বের হই অফিসের উদ্যেশে। গলির মুখে ঈদের আগে থেকে এখন পর্যন্ত এক সবজি বিক্রেতা সাতটা বড় বড় জুড়ি রেখে দিয়েছে। জুড়ির মধ্যে হাবিজাবি অনেক কিছু। এমনিতেই চিপা গলি। তারপর উপর ঢাকা ওয়াসা আজ ছয় মাস ধরে রাস্তা ভেঙ্গে রেখেছে। অনেক মানুষ বাজার সদাই, অসুস্থ মানুষ এবং বয়স্ক মানুষেরা গলির মধ্যে রিকশা নিয়ে ঢুকে। সবজিওয়ালার জুড়ির জন্য এখন রিকশা গলির মধ্যে ঢুকানো যাচ্ছে না। সবজিওয়ালাকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছি জুড়ি সরানোর জন্য। সে আমার কথা শুনে নাই।
পুরো রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য দোকান বসে রোজ। মাছ বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা। কম হলেও দশ জন মাছ নিয়ে বসে, দশ জন সবজি নিয়ে বসে আছে, দশ জন ফল নিয়ে বসে আছে। ব্যস্ত রাস্তা মিনিটে মিনিটে অসংখ্য গাড়ি, রিকশা, সিএনজি আর বাইক চলাচল করছে। আবার বড় রাস্তায় জ্যাম হলে সবাই চিপা গলিতে ঢুকে যায়। ফলাফল ভয়াবহ জ্যাম। সবাই চারদিক থেকে বিকট হর্ন দিতেই থাকে। যেন হর্ন দিলেই জ্যাম ছুটে যাবে। রাস্তার দুই পাশে বসে থাকা ব্যবসায়ীরা এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে। এগুলো প্রতিদিনকার ঘটনা। পুলিশ গাড়ি দিয়ে এসে প্রতিদিন টাকা নিয়ে যাচ্ছে রাস্তার দুই পাশের দোকান গুলো থেকে। অসংখ্য মানুষের প্রতিদিন সীমাহীন কষ্ট। কিন্তু দেখার কেউ নেই। বছরের পর বছর ধরে এমনই চলছে।
প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য আধা ঘন্টার উপরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ধাক্কাধাক্কি করতে হয় বাসে উঠার জন্য। অনেকক্ষন পরপর যা-ও দুই একটা বাস আসে, লোকজন দৌড়ে বাসে উঠে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। ভিতরে অনেক জায়গা আছে। হাজার অনুরোধ করলেও তারা একটু পেছনের দিকে চাপবে না। গেটের সামনে সব গুলো ছাগল জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। যাই হোক, যুদ্ধ করে বাসে উঠার পরও শান্তি নাই। মগবাজার ফ্লাইওভার হওয়ার পর জ্যামটা যেন আরও বেড়েছে। রাজার বাগ মোড়ের সিগনালে বিশ মিনিট আটকে রাখে সার্জেন। দেখা যায়, তারা কোনো সিএনজি, প্রাইভেটকার, বাইক বা কোনো পিক-আপ আটকায়েছে। দেন দরবার চলছে। ট্রাফিক এবং সার্জেন দেনদরবার নিয়ে ব্যস্ত। এদিকে যে রাস্তায় লম্বা জ্যাম লেগে গেছে সেদিকে খেয়াল নেই। বাস থেকে নেমে অনেকখানি পথ হাঁটতে হয়। ফুটপাত দিয়ে আরামে হাঁটাও যায় না। ফুটপাত ভেঙ্গে রেখেছে। আর যেটুকু ঠিক আছে সেখানে নানান রকম দোকানপাট। হোন্ডাওয়ালাদের দাপটে আজকাল রাস্তায় বের হতেই ভয় করে। তারা ফুটপাতে উঠে যায়। হাঁটতেও পারি না শান্তি মতো। তারা বিকট হর্ন দেয়। সকালে অফিসে যাওয়ার আগেই শরীরের সব এনার্জি শেষ হয়ে যায়। কাজ করবো কিভাবে? এগুলো একদিনের ঘটনা নয়। প্রতিদিন এক'ই ঘটনা ঘটছে। দেখার কেউ নাই। বলার কেউ নাই। অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলে গেছে।
অফিসে আসার পর শুরু হয় আরেক রকম যুদ্ধ। চাকরি টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। মনে হয় একদল অমানুষের মাঝে এসে পড়েছি। সহকর্মীদের হওয়া উচিত বন্ধুর মতো, কিন্তু তারা সবাই এক একজন বিষাক্ত সাপ। শুধু ছোবল দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে। কারো মধ্যে কোনো মায়া-দয়া, এমনকি বিবেক পর্যন্ত নেই। সুযোগ পেলেই গীবত করে উপর মহলে। সিনিয়ররা মনে করে এরা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী না, এরা কামলা। তাই যত পারো কামলাদের ইচ্ছা মতো খাটিয়ে নাও। ভুলেও কোনো কামলা প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করলেই চাকরি চলে যাবে। একবার চাকরি গেলে আর উপায় আছে? ঢাকা শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। কিন্তু চাকরির খুব অভাব। এই জন্য যে যা বলে মুখ বুঝে মেনে নিতে হয়। কারন আমি কামলা। সাড়ে আট ঘন্টা অফিস করতে হয় রোজ। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে কোনোদিন বাসের জন্য অপেক্ষা করি না। হেঁটেই বাসায় চলে আসি। বাসায় আসার পথেও শান্তি নেই। ফুটপাত ভাঙ্গা, গাড়ি, বাস আর হোন্ডা ওয়ালারা পাগলের মতো, ক্ষিপ্ত মেজাজে রাস্তায় চলে। যে কোনো সময় গায়ের উপর উঠিয়ে দিতে পারে। চারদিকে এত এত বিকট হর্ন। বাসায় এসে এক ঘন্টা কানে কিছু শুনি না। প্রতিদিন এক'ই রুটিন। শুক্রবার, শনিবার নেই। নিত্যদিনকার ঘটনা। কেন আল্লাহ আমাকে এই দরিদ্র দেশে পাঠালেন? আমি কি দোষ করেছি? প্রতিদিনকার এই কষ্ট আর চারপাশের মানূষের নোংরা মানসিকতা আর সহ্য করতে পারছি না। ইউরোপের একটা ধনী দেশে আমার জন্ম হলে আল্লাহর কি ক্ষতি হতো?
পাঁচটা বেনসন সিগারেট কিনেছি। কিন্তু দোকানদার সিগারেট হাতে দিয়ে দিচ্ছে। প্যাকেট দিবে না। দোকানদারকে বললাম, ভাই পাঁচটা সিগারেট তো একসাথে খাবো না। দোকানদার বলে পলিথিন দিয়ে প্যাচিয়ে নেন। গাধা দোকানদার বুঝে না। পকেটে রাখলেই তো সিগারেট ভেঙ্গে যাবে। পাঁচ টা দোকানে গেলাম। কেউই প্যাকেট দিলো না। বলল, এভাবে নিলে নেন, না নিলে নাই। কিন্তু আমি নিশ্চিত ওদের কাছে অনেক সিগারেটের খালি পেকেট আছে। আমার ভাগ্য এত'ই খারাপ যে, সব দোকানদার বেছে বেছে ভাংতি টাকা ফেরত দেওয়ার সময় একেবারে পচা আর ছেঁড়া টাকা গুলো আমাকে দেয়। পচা-ছেঁড়া টাকা নিয়েই আমি বাসায় চলে আসি। সেই পচা ছেঁড়া টাকা পরে আর চালানো যায় না। প্রতিমাসে আমার কমপক্ষে এক হাজার টাকা নষ্ট হয়। সব দশ টাকা, বিশ টাকা, পঞ্চাশ টাকার নোট। আমি তো পচা টাকা ছেঁড়া টাকা নিই, কিন্তু আমার কাছ থেকে কেউ নেয় না। এভাবে জমতে জমতে অনেক পচা ছেঁড়া টাকা আমার কাছে জমে গেছে। আমার কাছে পচা ছেঁড়া টাকা থাকলেও আমি কাউকে দেই না। সব সময় ভালো টাকা দেই। কাউকে ঠাকাতে ইচ্ছা করে না।
প্রতিটা দোকানদার আপনি যা-ই কিনুন আপনাকে ওজনে কম দিবে। ফল কিনলে পচা ফল দিয়ে দিবে। মাংস কিনলে তেল চর্বি দিয়ে দিবে। চাষের মাছ দিয়ে দিবে দেশি মাছ বলে। এই জন্য'ই বলেছি মানুষ আর মানুষ নেই। সব অমানুষ হয়ে গেছে। এই অমানুষ গুলোর চিন্তা একটাই কিভাবে আপনাকে ঠকাবে। আসলে আমার ছাত্রলীগ করা উচিত ছিল। তাহলে সবাই ভয় পেত। সমীহ করতো। প্রচুর টাকাও কামাতে পারতাম। আমার'ই এক বন্ধু সে প্রতিদিন নামী দামী রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে, ডিনার করে। ফেসবুকে ছবি দেয়। আমি দেখি। সে গাড়িও কিনে ফেলেছে, ফ্লাট কিনেছে। আজ দেখলাম সে নেপাল গিয়েছে পুরো পরিবার নিয়ে। অথচ আমি জানি ও কতটা দরিদ্র ছিল। স্কুলের বেতনও দিতে পারতো না। আজ সে গাড়ি নিয়ে চলাচল করে, দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। একটা কলেজে তার ছবি দিয়ে বড় বড় পোস্টার আর ব্যানার করা হয়েছে। হাজার হাজার পোলাপান তাকে ভাই ভাই করে জীবন দিয়ে দেয়- এমন অবস্থা। সেই কলেজে তার ব্যাক্তিগত রুমে এসি আছে, টিভি আছে। ব্যক্তিগত তিনজন পিয়ন আছে। আরেকজন ছাত্রলীগওয়ালাকে দেখলাম সৌদি গিয়েছে ওমরা করতে। সে-ও নামী দামী রেস্টুরেন্টে লঞ্চ- ডিনার করে। সমানে থাইল্যান্ড, মালোশিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই দুই ছাত্রলীগওয়ালা বিয়েও করেছে, তাদের সন্তানও আছে। অথচ তারা ছাত্রলীগের বিরাট নেতা।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: দেশটাকে আমিও অনেক ভালোবাসি।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,
যা যা বললেন তার প্রতিটিই বাস্তব ।
আসলেই আমরা এক একটা খাঁটি অমানুষ - মগজহীন , অসংবেদনশীল , অসচেতন, একান্তভাবেই স্বার্থপর একটি কুকুর শ্রেনীর প্রানী । নিজেরটা ছাড়া বুঝিনা কিছুই ।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
অনেক কিছুর বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ।
কাজেই আমাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
কামরুননাহার কলি বলেছেন: এই অমানুষদের দূর করার কি কোন উপায় নেই ভাইয়া।?
আর একটি কথা বলেছেন, আপনার কাছে নাকি অনেকগুলো ছেড়া টাকা জমেছে ওগুলো আমার কাছে দিয়ে দিয়েন একদিন সময় করে আমি আপনাকে ওগুলো পাল্টিয়ে নতুন চকচকে নোট দিবো আনে। সত্যি বলছি মিথ্যে না।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বোন অনেক ধন্যবাদ।
আপনি কি ব্যাংকে কাজ করেন?
পচা ছেঁড়া টাকা আমার বুয়া নিয়ে যায়। সে কি করে কে জানে!
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন রাজীব ভাই, সবাই আছে এক জন অন্যজনকে ঠকানোর তালে, ক্ষমতা না থাকলে শহরে কেউ কাউরে দাম দেয় না।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতা আসে টাকার জোরে। টাকা আসে রাজনীতি করলে।
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষ বা দেশকে দোষারোপ না করে নিজেরা আগে ভাল হওয়া দরকার।
আপনি ৫ শলা বিড়ি কিনতে এই কঠিন ভিড়ের মধ্যে ৬ দোকান হাটছেন।
এই টাইম কই পান? বিড়ি টানা ছাড়লে হয় না?
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: খারাপ অভ্যাসের মধ্যে আমার একটাই সিগারেট খাই। তবে আমি খুব কম সিগারেট খাই।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
ফেনা বলেছেন: আসলেই মানুষ অনেক নীচে নেমে গেছে। নামতে নামতে এতটাই নেমেছে তারা এখন প্রায় রক্তের নদী সামনে দাঁড়ানো। এখন শুধু রক্ত খাওয়ার অপেক্ষা।
এত নীচ থেকে তাদেরকে আর ফেরানো যাবে না।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আবার ভালো হবে।
৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩
মোগল সম্রাট বলেছেন: আপনার পোষ্টটা পড়ে নচিকেতার একটা গান মনে পড়লো।
‘‘প্রতিদিন ঘরে ফিরে-
অনেক হিসেব করে-
এজীবন চাইনা-
তা বলাই জীবন,
অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন, শুধু জিবনের কথা বলাই জীবন।’’
গানটা শুনে দেখুন, ভালো লাগবে
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। গানটা শুনব।
৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পার্থিব সামান্য স্বার্থের মোহে নিজের বিবেককে জলাঞ্জলি দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। নিজের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন, দেখবেন অনেক দুঃখ কমে গেছে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: একটা দামী কথা বলেছেন।
৯| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ছিঁড়া টাকার জন্য প্রতিমাসে যার হাজার খানেক টাকা নষ্ট হয় তাঁর আয়রোজগার নেহায়েত কম না নিশ্চয়। পয়লা বৈশাখে খাবার আয়োজনের মেন্যু দেখে তো আমি তাজ্জব! সরকারকে ইনকাম ট্যাক্স কি ঠিকঠাকমতো দেওয়া হয়? নাকি ছাত্রলীগের নেতারাই নেয়?
জন্মান্তর বিশ্বাস করলে বলতাম, পূর্বজন্মে যারা ঘোর পাপী ছিলাম এজন্মে তারাই এখানে জন্মেছি। আর অনাসৃষ্টির এই দেশটাকে ভালবেসে ফেলেছি। না পারি মায়া ছেড়ে চলে যেতে, না পারি ভালমতো থাকতে।
আর সব নৈমিত্তিক ঘটনা। মানিয়ে নিয়েই অমানুষের সাথে মানুষের বসবাস করতে হয়।
সমবেদনা রইল রাজীব নুর ভাই।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
না আমার খুব বেশি টাকা না।
খেয়ে পরে বেঁচে আছি।
১০| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
সিগন্যাস বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট আমাদের সবার মনের কথা তুলে ধরেছেন।তবে শুধুমাত্র ঢাকাতেই এতো নোংরামি।আপনি একবার সিলেট আসুন।ঢাকা থেকে অনেক ভাল।আপনি চাকরি ছেড়ে নিজে ব্যবসা শুরু করুন।আপনি প্রতিভাধর লোক।সাফল্য পাবেন।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।
অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপলব্ধিটা ভালো। তবে এই সমস্যা তো আর নুতন নয়। একদিকে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লাদিয়ে নামছে মানুষের মোরালিটি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকে কোনও না কোনও ভাবে এই অবক্ষয়ের স্বীকার হচ্ছি। তবুও আমাদের সর্বহারা র দেশে এভাবেই চলতে হবে। হয়তো এমনও হচ্ছে যে আমার কাজে অন্য আর একজন প্রতারিত হচ্ছে। কীজানি এমন যেন কখনও না হয়।
শুভ কামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
ভালো থাকুন।
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার কোন দোষ বা অপরাধ নেই। দোষ বা অপরাধ যেটুকু সেটা আমাদের। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সম্পদ দিয়েছেন। আমরা সেগুলোকে সুষ্ঠু বণ্টন বা সঠিক ব্যবহারতো করিই না বরং সুযোগ পেলে অন্যেরটাও মেরে খাই। এই মানসিকতার জন্য আমাদের সমস্যার কোন শেষ নেই।
যা হোক, আপনার লেখায় সমস্যা জর্জরিত দেশের কোটি মাজলুমের কথা উঠে এসেছে। আশা করি এই পোষ্ট যারা পড়েছেন অন্তত তারা আগামীতে জাতীয় কর্ণধার নির্বাচনে যোগ্যতার বিচার করবেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না। কেননা সব সমস্যার মূলে কিন্তু আমরাই রয়েছি “ অমানুষের বাচ্চারা” । ধন্যবাদ জানবেন।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আলম ভাই।
ভালোবাসা নিরন্তর।
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
পবন সরকার বলেছেন: বাস্তব কথাগুলোই বলেছেন। ধন্যবাদ
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব কথার দাম নাই।
১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
কাইকর বলেছেন: মনের কথা.....
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবি ঢাকাবাসীদের দৈনন্দিন দুঃখ-কষ্টের কিছু চিত্র উঠে এসেছে আপনার লেখায়।
কিন্তু কিছুই করার নেই এই শ্রেনীর। তাই সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েই চলতে হবে ভাই।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী এখন থেকে মেনেই চলব।
১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
লিংকন১১৫ বলেছেন: ঘরে গ্যাস থাকে না বিদ্যুৎ থাকে না সাথে পানির সমস্যা তো আছেই
মাগার সব বিল দিতে হয় সঠিক মতো ।
বাজার করতে গেলে মাথা ঘুরে যায় , যেভাবে সব কিছুর দাম বারছে কদিন পর পানি খেয়ে থাকতে হবে ।
বাসে করে গেলেও শান্তি নাই একে তো গরম তার উপর মহা জ্যাম তার উপর বারতি ভারা , তোরা ভারা বেশি নিবি নে কিন্তু লোকাল কেন করিস ? সাথে রাস্তার করুন দশা নাইবা বল্লাম ।
কোন জিনিষ কিনে শান্তি আছে, সাথে তো হেন তেন ট্যাক্স তো আছেই ।
আর কতো রে ভাই , কদিন পর তো বিয়ে করতে গেলেও ট্যাক্স দিয়ে বিয়ে করতে হবে ,কদিন পর তারা হয়তো বলবে যে এতো টাকা খরছ করে বিয়ে করতে পারে সে অবশ্যই ১৫% 'ভেট' দিতে পারবে
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমি তো পড়াশুনা করি। আর ব্যাংকের চাকুরি করে আমার ফুফি। আমার বন্ধু পরিচতি মানুষদের অনেক ছেড়া টাকা আমার ফুফিকে দিয়ে নতুন টাকা এনে দেই। আমার ফুফি বাংলাদেশ বাংকে জব করেন।
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ও আচ্ছা ।
১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
দরজার ওপাশে আমি বলেছেন: আপনি ধৈর্য্য ধরেন ইনশাল্লাহ একদিন ঠিক হয়ে যাবে
আমার জানা মতে , ঢাকা শহরের কিছু রিক্সাওয়ালা আর কিছু খুচরো দোকানদার আছে এরা শয়তানের ক্লোজ লোক , শয়তান এদের প্রতি মাসে মনে হয় ভাতা দেয়। মানুষ বিপদে পরলে এদের যে ভাব টা বেড়ে যায় তা অস্বাভাবিক । কিন্তু উপায়ও থাকে না। জেনে বুঝে ওরা করে। মানুষ মানুষকে জীবিকা করে ইহাই সত্য । যাই হোক , মাথা ঠান্ডা রাখবেন
২৬ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ইনশাল্লাহ মাথা ঠান্ডা রাখব।
১৯| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনা আর বিপদ হচ্ছে, অমানুষ গুলো ও দেখতে অবিকল মানুষের মত ।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক।
২০| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
কল্পদ্রুম বলেছেন: খুব কষ্ট পেয়েছেন মনে হচ্ছে?মানুষগুলো সব অমানুষ হয়ে যায়নি।অমানুষগুলো হম্বিতম্বি বেশি করে বলে এদের চোখে পড়ে বেশি।ভালো থাকবেন।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
২১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
কাছের-মানুষ বলেছেন: দেশে সব সেক্টরেই দূর্নিতি হচ্ছে। মানুষ ভেজাল দিছে ওজনে, ফলে ফরমালিন, একজন আরেকজনকে ঠোকাচ্ছে , ব্যাপারটা সত্যিই হতাশাজনক।
আমার মনে হয় আমাদের খুব শীঘ্রই এর থেকে মুক্তি মিলবে না! কবে এই সমস্যাগুলর সমাধান হবে তারো ঠিক নেই।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তি মিলবে না। তাই এই দেশ থেকে অন্যদেশে চলে যেতে হবে।
২২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০২
নাজিম সৌরভ বলেছেন: সমাজটাকে ঘুনে খেয়ে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এইজন্য অনেকে অন্য দেশে সেটেল্ড হয়ে গিয়ে আর বাংলাদেশ আসে না।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজেই একবার এই দেশ থেকে বের হতে পারলে আর আসবো না।
২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চাঁদগাজী আর আমি ছাড়া এই দেশরে আর লাইনে আনা যাবে না...
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: না, আপনারাও পারবেন না।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৩
আলআমিন১২৩ বলেছেন: রাজীব নূর-আপনার এ লেখাটা খুব ভাল হয়েছে।জীবনঘনিষ্ঠ। লেখাটা পড়ে দেখলাম আপনি লিখেছেন। অনেকে অনেক কমেন্টস করেছেন। কিন্তু যে প্রব্লেম তুলে ধরেছেন লেখা বা কমেন্টস এ সমাধান বা আমজনতার করনীয় বিষয়ে ইসাড়া খুজে পেলাম না। কি লাভ হলো আপনার বা পাঠকের?
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: পাঠক সমস্যাটা জানলো। তারাওও হয়তো এরকম সমস্যার মুখোমুখি হয়। কাজেই কোনো না কোনো ভাবে সমাধান বের হয়ে যাবে- আশা করি।
২৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এখানে গাছের সাথে মানুষের মিল আছে - গাছের আছে আগাছা আর মানুষের আছে অমানুষ !!!
সৃষ্টির শুরু থেকে অন্ত পর্যন্ত থাকবে ।।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনার এই লেখাটি ভুলে ফস্কে যাওয়ায় ধরতে পারিনি। যাক আলোচিত ব্লগে থাকায় ধরতে পেরেছি।
আমি শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস সাহেবের কমেন্ট রিপিট করবো, "যা যা বললেন তার প্রতিটিই বাস্তব । আসলেই আমরা এক একটা খাঁটি অমানুষ - মগজহীন , অসংবেদনশীল , অসচেতন, একান্তভাবেই স্বার্থপর একটি কুকুর শ্রেনীর প্রানী । নিজেরটা ছাড়া বুঝিনা কিছুই ।"
শুভ সকাল।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ইদানিং শুধু গল্প লিখছেন।
অনেকদিন ধরে ফিচার লিখছেন না !!!
২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আপনি যদি কখনো বিদেশে না যান কখনোই অনুভব করতে পারবেন না দেশ প্রেম কি জিনিস। বিদেশে যারা থাকে তারা দেশের প্রতি প্রচন্ড টান অনুভব করে । এই টানে কোন কৃত্রিমতা নেই। নিখাঁদ অনুভূতি। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ বিদেশে যায়। সেখানে কাজ করে । দেশে টাকা পাঠায়। তাদের মন পড়ে থাকে প্রিয় জন্ম ভূমির মাটি। আমি আমার কোন লেখায় তাদের প্রতি কটুবাক্য কিংবা কটাক্ষ করতে রাজি নই। তাদের প্রতি আমার শুভ কামনা সব সময়।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নাই। সমস্যা হলো মানুষ (অমানূষ) নিয়ে।
২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এতকিছুর পরও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাই যা একটু স্বস্তি।
২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খারাপ মানুষরা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশটাকে নষ্ট করে ফেলছে। দেশের জন্য আমার সীমাহীন ভালোবাসা। খারাপ মানুষদের জন্য ঘৃণা।