নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছুটির দিন

২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১



আজ ছুটির দিন।
তাই আজ সারাদিন শুয়ে বসে পত্রিকা পড়ে কাটাচ্ছি। পত্রিকায় কি কি পড়লাম তা আপনাদের কিছুটা জানাই। এক পত্রিকা লিখেছে- ''সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ''মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবে এবং হামলাকারীরা ছাড়া পাবে না''। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন- মন্দ বলি কি করে? এদিকে সংসদে রওশন এরশাদ বলেছেন, ''দেশ ঠিকভাবে বলছে না।'' রওশন ম্যাডাম আমার সংসার'ই ঠিকভাবে চলছে না আর একটা দেশ ঠিকভাবে পরিচালনা করা চারটিখানি কথা না। পত্রিকায় দ্বিতীয় পাতায় লিখেছে, ''চাঁদ দেখা কমিটি আগামীকাল বৈঠক করবেন।'' মানে কি? ঈদ তো এখনও অনেক দেরী আছে। তাহলে তারা কিসের বৈঠক করবেন? শেষের পাতায় ছোট করে নিউজ হয়েছে- ''বোনকে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু।'' এই নিউজ গুলো আমাকে খুব কষ্ট দেয়। তৃতীয় পাতায় লেখা- ''আগামীকাল উদবোধন হবে যমুনা ফিউচার পার্কে ভা্রতীয় ভিসা সেন্টার।'' এই নিউজটা পড়ে বুঝতে পারলাম পত্রিকাটা এক সপ্তাহ আগের। আহ আমি কি নির্বোধ! এক সপ্তাহ আগের পত্রিকা মন দিয়ে পড়ছিলাম। পুরান পত্রিকা পড়েই বুঝতে পারলাম আমি অনেক পিছিয়ে আছি।

পুরান পত্রিকা পড়ে মেজাজ খুব খারাপ হয়েছে। এদিকে মনে হচ্ছে- চায়ে চিনি কম। বিনা কারনে সুরভির সাথে চিল্লাচিল্লি করলাম। আসলে চায়ে চিনি ঠিকই ছিল। সুরভি চুপ করে সব সহ্য করলো। আহা বেচারার মনটা খারাপ করে দিলাম। বিকেলবেলা বাইরে গেলে সুরভির জন্য এক বাটি আইসক্রীম আনবো। সে আইসক্রীম খুব পছন্দ করে। আমি নিশ্চিত আইসক্রীমের বাটি দেখে সে খুব খূশি হবে। এবং আমার বিনা কারনে চিল্লাচিল্লি করার অপরাধটা ক্ষমা করে দিবে। আগেও এমন হয়েছে।

নতুন পত্রিকা হাতে নিলাম। সরাসরি চলে গেলাম সাহিত্য পাতায়। অন্য কোনো নিউজ পড়লে হয়তো মেজাজ খারাপ হতে পারে। শুক্রবারের সাহিত্য পাতাটা আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। সাহিত্য সাময়িকীতে আজ একটা সুন্দর গল্প পড়লাম। গল্পের নাম 'তিন ছাগল'। মনে হয় ভারতীয় লেখক। চমৎকার গল্প। তিন ছাগলের বাড়ি তিন জেলায়। ঘটনা চক্রে তিন ছাগলের দেখা হয়ে যায়। তিনটাই নিজেকে মহা পন্ডিত মনে করে। কেউ কারো চেয়ে কম না। আসলে খালি কলস।

প্রথম ছাগলের আছে গলার জোর। তার সাথে মিথ্যায় কেউ পারে না। শহরে আমার আট তালা বাড়ি আছে। বাড়িতে লিফট আছে। নিচতালা পুরোটাই খালি। ত্রিশ টা গাড়ি একসাথে পারকিং করে রাখা যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ছাগল গলার জোরেই টিকে আছে। গলার জোর থাকাটাও একটা বড় গুন। সবার এই গুন থাকে না। এই ছাগল আবার নিয়মিত নামাজ রোজা করে। আমার ধারনা ছিল যারা নামাজ রোজা করেন তারা মিথ্যা বলেন না। বললেও কম বলেন। এখন দেখছি- আবহাওয়ার মতো মানুষও পুরো বদলে গেছে।

দ্বিতীয় ছাগল ভয়াবহ কৃপণ। আগে একটা মোবাইল ব্যবহার করতো নয় শ' টাকা দামের। সে মোবাইল রাবার দিয়ে প্যাচিয়ে রাখতে হতো। ইদানিং সে একটা স্মার্ট ফোন কিনেছে। স্মার্ট ফোন কেনার পর থেকে সে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবতে শুরু করেছে। জ্ঞানী ভাবতে শুরু করেছে। যে জ্ঞানী না, সে যদি নিজেকে জ্ঞানী ভাবতে শুরু করে তাহলে তো সমস্যা। বিরাট সমস্যা। এরা দেশের জন্য, সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

আমি মনে মনে ভেবেছিলাম তৃতীয় ছাগলটা ভালো হবে। বেশ ভালো। কিন্তু এটা আরও বেশি খারাপ। তবে এই ছাগল অনেক ক্ষমতাবান। তার ছোট চাচা সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব। এই ছাগল নিজেকে বেশ জ্ঞানী মনে করে। জ্ঞানী মনে করা ভালো। কিন্তু ভিতরে ভিতরে বিরাট বলদ। প্রতিটা মানুষের মুখে আলগা একটা মূখোশ থাকে। সেই মূখোশ একবার দেখে ফেললে- তার প্রতি আর শ্রদ্ধা আসে না। ভালোবাসা আসে না। ঘৃণা আসে, শুধু ঘৃণা।

গতকাল রাত থেকে দেখছি- পাশের বাসায় বিশাল রান্না বান্নার আয়োজন চলছে। কম হলেও সাত জন মিলে কাজ করছে। কেউ পেয়াজ কাটছে, কেউ মশলা বাটছে, কেউ হামান দিস্তায় কি যেন গুড়া করছে। সকাল থেকে পুরোদমে রান্না শুরু হয়েছে। সুন্দর ঘ্রান ছড়িয়েছে চারপাশে। ঘ্রানই বলে দিচ্ছে- খাবারটা দারুন মজা হবে। কাল রাত থেকেই মনে হচ্ছে- ওরা যদি আমাদের দাওয়াত দিত। সুরভি আর আমি গিয়ে খেয়ে আসতাম। আচ্ছা, দাওয়াত ছাড়াই যদি ওদের কাছে গিয়ে বলি- আমরা আপনাদের প্রতিবেশী। আপনাদের ঠিক উলটো পাশেই থাকি। আপনাদের বাসায় কি অনুষ্ঠান হচ্ছে? কারো বিয়ে নাকি? না জন্মদিন? তখন তারা নিশ্চয়ই বলবেন, প্লীজ ভিতরে আসুন। খেয়ে যান। প্লীজ। প্লীজ মানা করবেন না।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

নাজিম সৌরভ বলেছেন: হাসি পেল, দাওয়াত খেতে যাবার আগে একটা ইট নিয়েন, ইটটাকে গিফট প্যাকের ভেতর প্যাকিং করে নিয়ে যান। তারপরে গিফট দিয়ে দাওয়াত খেয়ে চলে আসুন, দারুণ হবে।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বুদ্ধি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: যাক, ছুটির দিনে অফিস করেও ভাইয়ার লেখা পড়ে দু একটা খবর জানতে পারলাম সাথে তিন ছাগলের গল্প। গল্প টা পড়ে মজা পেলাম।
আহারে, সব মেয়েই যদি সুরভি ভাবীর মত লক্ষ্মী হতো। কিছু মেয়ে খুবই বেয়াদপ। তবে আমি কিন্তু না :P

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



আপনি কত সুন্দর করে লিখেন, পোস্টে কোন দূর্বলতা নাই। আসলে সিনিয়র অলওয়েজ সিনিয়র।
আগামীকাল নাকি প্রধানমন্ত্রীকে সংসর্বণা দিবে উন্নয়ন করার জন্য। আপনি সাংবাদিক মানুষ তাই জানতে চাইলাম।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: শাহিন ভাই কি যে বলেন!!!
আমি লিখতেই জানি না। আমার লেখা মানেই বড্ড অগোছালো।
আগামীকাল সাধারন মানুষের একটু কষ্ট হবে। আসলে সাধারন মানুষ তো প্রতিদিনই কষ্ট করছে।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

জাহিদুল হক শোভন বলেছেন: মজা পেয়েছি B-)

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:



পুরানো দিনের পত্রিকা পড়লে নিজেকে ছোট লাগে। মনে হয় এতকিছু ঘটে গেল আর আমি জানলামই না!

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: একসময় আমি নতুন পত্রিকা পড়তাম না। খুজে খুজে পুরান পত্রিকা পড়তাম।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রধানমন্ত্রী অকারণে জাতীয় সমস্যাগুলো "জমা" করছেন; এগুলো কমানো দরকার।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের সারমর্ম বুঝিনি ওস্তাদ।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: পোষ্টে দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতার চিত্র ফুটে উঠেছে।
মানুষের জীবনটা সমস্যা ভরপুর। বিশেষ করে আমাদের মত
নিম্ন আয়ের দেশে সমস্যার শেষ নেই!

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এখন তো দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দারুণভাবে মধ্যবিত্তের মনোভাব ফুটিয়ে তুলেছেন...

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের ছুটি থাকে রবিবারে। সেদিন সকাল থেকে এত কাজ থাকে যে পড়াশোনার সুযোগ থাকে না। তারপরেতো পুরানো পেপার ভাবাই যায় না।

উপরওয়ালার দেওয়া প্রানীটি নিয়ে কিছু বলার নেই।

বিনা নেমন্তন্নে খেতে মন্দ লাগেনা । আমরা একবার কানপুরে চারবন্ধু মিলে বাড়ি ওয়ালাকে থোরা থোরা হিন্দিতে বলেছিলাম, আমরা ওখানকার বিয়ে দেখতে চাই। তবে বিয়ে দেখে চলে যাবো। কোনও কিছু খাওয়া আমাদেরপক্ষে সম্ভব নয়। বাড়িওলি কলকাতার নাম শুনে খুব খুশি হলেন। সন্ধ্যে আটটা নাগাদ লগ্ন ছিল। ভদ্রলোক আমাদের হাত ধরে বিবাহ অনুষ্ঠানের সামনে বসালেন। আমার এক বন্ধু খুব ভালো হিন্দি জানতো। অনুষ্ঠানের পর আমরা নমষ্কার করে চলে আসতে চাইলে, আবার মেয়ের দাদা ও সম্ভবত মামাগোছের একজন আমাদের ধরে খাওয়ার জায়গায় নিয়ে গেল। হিন্দিতে য়েটা বলেছিলেন, আপনারা মেহমান। উপরওয়ালার নির্দেশে এখানে এসেছেন। এমন পবিত্র দিনে না খেয়ে যাওয়া ভাবাই যায় না। ওনারা দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের খাওয়ালেন। অথচ অস্বীকার করবোনা বিয়েটিয়ে দেখা সব নাটক, আমরা বিনা নেমন্তন্নে খাওয়ার জন্য এমন অভিসন্ধি করেছিলাম।

শুভকামনা রইল।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: খাবার কেমন ছিল? মজা ছিল?
কি কি আইটেম ছিল?

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫২

কাইকর বলেছেন: মিল খুজে পাই ভাই মিল।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ঘুরে ফিরে সব কাহিনি'ই এক।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রচুর স্ন্যকস ছিল। টক চাটনি ছিল মূলত নারকেলের দুধের চাচনি ও হলুদ একপ্রকার চাটনি ( গন্ধটা আমার প্রচন্ড বাজে লেগেছিল) । আর মসুর ডাল ভীষন ঘন করে সঙ্গে আলু চিপস, ইউপিতে গঙ্গার ধারে পটলের মত একপ্রকার সব্জি, খাসির মাংস, আমের চাটনি, পাপর, ঘনদই ( মহিষের) বড় বড় রসগোল্লা, আর লাড্ডু। উল্লেখ্য লাড্ডু ওদের ভীষণ প্রিয় খাবার। ওরা য়েমন খায় তেমনি কাউকে লাড্ডু খাওয়াতেও প্রচন্ড পছন্দ করে। তবে একটা জিনিস দেখেছি ওরা ভাত ও মোটা রুটি উভয়ের ব্যবস্থা রেখেছিল ।

কী জিহৃবে জল এসে গেলেতো। হা হা হা।

২০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওরে বাবা এতো রাজ খাবার।
জিবে জল তো আসবেই।

১২| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৮

এখওয়ানআখী বলেছেন: অনেকগুলো ফালতু বিষয় নিয়েও এতো সুন্দর পোস্ট !!! ধন্যবাদ

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা ----

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

সোহানী বলেছেন: প্রথম কমেন্টের বুদ্ধি খারাপ না তবে প্রতিবেশী হলে সমস্যা। ইটটা ছুড়ে দিতে পারে আপনার বাসার দিকে................হাহাহাহাহা

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২২

সিগন্যাস বলেছেন: হে হে রাজিব ভাই আপনার লেখা পড়ে অকারণেই মজা পাই । আহসান হাবীবের লেখা পড়েও এতো মজা পাই না :)

২১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: কি যে বলেন !!!

১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই লেখাটি পড়ে খুবই মজা পেলাম। চিন্তা নেই। খুব শিগগিরই প্রিন্ট পত্রিকার অপমৃত্যু ঘটবে। তখন আর গাটের টাকা খরচ করে পত্রিকা কিনতে হবে না।

২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.