নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বান্দরবানের গল্প- ১

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫



ঢাকা থেকে বাসে করে সোজা বান্দরবান চলে গেলাম। রাতের গাড়ি। রাতে কুমিল্লার কাছে এক রেস্টুরেন্টে কুড়ি মিনিটের জন্য ব্রেক। চা নাস্তা সামান্য খেলাম। খুব ভোরে হোটেলে উঠলাম। বাস থেকে নেমেই হটেল। তখনও আকাশ ফরসা হয়নি। ঢাকা থেকেই হোটেল বুক করে রেখেছিলাম। ঈদের সিজনে হোটেল পাওয়া খুব কষ্ট। তাই বান্দরবান থানার ওসি সাহেবের সহযোগিতায় হোটেল পেলাম। হোটেলের সবাই বারবার বলছিল ওসি সাহেবের গেস্ট।

বান্দরবানে কক্সবাজারের মতো বেশি হোটেল নেই। এবং খাওয়া দাওয়া করার জন্য খুব বেশি রেস্টুরেন্টও নেই। পুরো বান্দরবানে যে পরিমান হোটেল আর রিসোর্ট আছে তাতে তিন হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ঈদ বা অন্যান্য ছুটি ছাটায় অনেক লোক বান্দরবান যায়। তাদের বিপাকে পড়তে হয়। এই সুযোগে হোটেল আর রিসোর্টওয়ালারা ভাড়া খুব বেশি বাড়িয়ে দেয়। সরকারের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।



আমি উঠেছি বান্দরবানের সবচেয়ে বড় হোটেলে ''হোটেল হিল ভিউ'' তে। পচিশ শ' টাকা করে পার নাইট। খুব ভোরে নীলগিরিতে রওনা দিলাম। বান্দরবান থেকে নীলগিরি অনেক দূর। ৪৫ মাইল তো হবেই। রাস্তা খুব ভয়াবহ। একদম আঁকাবাঁকা রাস্তা। একটু ইনিশ বিশ হলে কমপক্ষে তিন শ' ফিট নিচে। মানে নিশ্চিত মৃত্যু। এই আঁকাবাঁকা রাস্তা গুলো খুব ছোট। পাশাপাশি দুইটা গাড়ি চলাচল করতে খুব ঝামেলা। রাস্তা গুলো আরেকটু বড় করা খুব জরুরী।

নীলগিরিতে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে হয়। কোনো গাড়ি চার হাজার টাকা নেয়, আবার কেউ সাত হাজার বা আট হাজার টাকা নেয়। নিদিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। যার কাছ থেকে যা নিতে পারে। তবে বেশ কয়েকজনের কাছে যাচাই বাছাই করলে কম টাকায় পাওয়া সম্ভব। আমি বলব, নীলগিরির সৌন্দর্য অনেকখানি নষ্ট হয়ে গেছে। সেনাবাহিনির হাতে নীলগিরির দায়িত্ব। তারা ভালো করতে গিয়ে খারাপ করে ফেলছে। ইট সিমেন্টে কাজ করেছে।



সেনাবাহিনির বুদ্ধির কারনে, নীলগিরিতে প্রাকৃতিক ব্যাপারটা অনেক কমে গেছে। ইট, পাথর, টাইলস আর স্টীল দিয়ে তারা চেষ্টা করেছে পুরো নীলগিরি ডেকে দিতে। এইসবের কারনে প্রাকৃতিক পরিবেশটা ভালোভাবে উপভোগ করা যায় না। পাহাড়ের উপর এক একটা রেস্টুরেন্ট করেছে। মানুষজন ইচ্ছা মতো চিপসের খালি প্যাকেট, কফি'র ওয়ান টাইম গ্লাস ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যা দেখতে ভালো লাগে না। মনে হচ্ছে এই পর্যটন কেন্দ্রটা এখন ব্যবসার কেন্দ্র।

আমি বারো বছর আগে যখন প্রথম নীলগিরিতে যাই তখন পরিবেশটা বড় চমৎকার ছিল। তখন টিকিটও কাটতে হতো না পঞ্চাশ টাকা করে। সেনাবাহিনীর নীলগিরি পাহাড়ের উপর করা রেস্টুরেন্টের খাবারের মান খুব খারাপ। দুই বক্স খাবার কিনলাম কিন্তু এক চামচ মুখে দেওয়ার পর দ্বিতীয় চামচ মুখে দিতে ইচ্ছা করে নাই। কফি'র মানও খুব খারাপ। এখানে ব্যবসা খুব ভালো। সার্ভিস উন্নত না।



সুরভি খুব উপভোগ করেছে। সে আগে আসেনি বান্দরবান। যে মানূষ হাঁটতে চায় না, সে সারা বান্দরবান হেঁটে বেড়িয়েছে অনেক আনন্দ নিয়ে। আমাকে মোটেও বিরক্ত করেনি। বান্দরবান পাহাড় গুলোতে কলার চাষ খুব ভালো হয়। কিছু কিছু কলা গাছ আপনাতেই হয়। সেগুলো জংলী কলা বলে। দামও খুব সস্তা। ডাব পাওয়া যায়, পঞ্চাশ টাকা করে। এক ধরনের পাহাড়ি ফল পাওয়া যায়, ছোট ছোট। দেখতে গোল, মার্বেলের মতো সাইজ। 'টিপাফল' টাইপ নাম। এক কেজি কিনলাম।

প্রচন্ড আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই পাশে বিশাল বিশাল পাহাড় আর পাহাড়। মেঘ এসে পাহাড় ডেকে দিচ্ছে। আবার মুহূর্তের মধ্যে মেঘ কেটে যাচ্ছে। প্রতিটা পাহাড় সবুজ। পাহাড়ের গায়ে নানার রকম গাছ পালা। যা দেখতে চমৎকার লাগে। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। পাহাড়ের পাশ দিয়ে আঁকা বাঁকা নদী। তবে পানি খুব কম। এই সমস্ত সব পাহাড়ের মালিক শুধু সরকার না। স্থানীয় আদীবাসীদেরও মাইলের পর মাইল পাহাড় আছে। তারা সেখানে চাষবাস করে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

সুরভি ভাবিকে বগালেকে নিয়ে গেলে আরো ভালো হতো।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: বগালেক গিয়েছি তো।
ছবি আসবে ধীরে।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: অামি প্রথমবার বান্দরবন যাই ২০০১এ।তখন সেখানে একটা ভালো হোটেলও ছিলো না।চলে অাসতে যাবো,এমেন সময় পাহাড়ের উপরে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন পরিষদের রেষ্ট হাইস এ থাকার অনুমতি পাই।৩ দিন ছিলাম।চিম্বুক সামনে দিয়েএ মেঘ যেতে দেখলাম।ঢাকায় এসে নাম দিয়েছিলাম দার্জিলিং এর ছোট ভাই।
এখন সেখানে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা ভাড়ার হোটেলও অাছে।
সেনাবাহিনী না থাকলে যে ওই এলাকা শুধু বিচ্ছিন্নই হয়ে যেতো তা না,ওখানকার উপজাতিরাও এত সুবিধা পেতো না।
ভাংলাদেশে কোন অঅদিবাসী নাই।ওরা বার্মা,ত্রিপুরা,মণিপুর থেকে অাসা উপজাতি।সাঙ্গু নদীর উপর তাদের নিজেদের লেখা পরিচয় পত্রেই তারা একথা লিখে রেখেছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নীলগিরি যাওয়ার পথে পড়বে শৈলপ্রপাত আশা করছি উটাও দেখে গেছেন। আর নীলগিরির চতুর্দিকে যে চমৎকার ভি্উ তার কিছু ছবি দিলে মনে হয় পোষ্টটা পরিপূর্ণ হতো।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: শৈলপ্রপাত গিয়েছি।
ছবি আছে।
পরবর্তী ছবি ব্লগে সে সমস্ত ছবি গুলো দিব।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমদের প্রাকৃতিক যে পর্যটন খাতগুলো আছে, সরকারি উদ্যোগে সেগুলো থাকা,যাতায়াত সহ সবদিকে আরো নিরাপদ করার ব্যবস্থা করা সময়ের দাবী। সব ঠিক থাকলে বিদেশী পর্যটকও বাড়বে আশাকরি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশী পর্যটক একজনও দেখলাম না।
সব রকম সুবিধা থাকলে বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসবে।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বর্তমানে বিদেশী পর্যটক আসার কথা নয়। কেউ কোন দেশ ভ্রমণে যেতে চাইলে প্রথমত, সে দেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি, রাস্তাঘাট, থাকাখাওয়া ইত্যাদি সম্পর্কে ঘেটে বা ধারনা নিয়ে, তারপর পা বাড়ায়। বাংলাদেশের সমসাময়িক রেকর্ড খারাপ। কেউ যেচে বিপদে পড়তে চাইবে না।

সরকার সহ আমাদের সকলের এসব টুকটাক বিষয়গুলা মাথায় রাখা দরকার, দরকার ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য খুব লজ্জার।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

চাঙ্কু বলেছেন: এখনো বান্দরবন গেলাম না। আফসুস
মনে হচ্ছে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন!

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: দুই দিনের জন্য চলে যান।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!
আমি লামায় গিয়েছি। অসাধারণ!! প্রেমে পড়ে আছি।

কিন্তু রাজিব ভাই, কিছু মনে করবেন না।
আপনার আজকের পোষ্টটা কেন যেন অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে।
হয়ত খুব অল্প সময়ে পোষ্ট করেছেন। আর ছোটখাট বানান গুলোর দিকে আরেকটু মনযোগ দিলে ভাল হত।
ধন্যবাদ ভাই, শুভকামনা।।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ এর পর থেকে সর্তক থাকবো।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মেয়ে কই?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সে ছবি তুলবে না।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: বান্দরবন যাইনি রানগামাটি গেছিলাম

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সময় সুযোগ মতো চলে যান। ভালো লাগবে।

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: নীলগিরি গিয়েছিলাম । চান্দের গাড়ি অনেক জোস :D
আপনার লেখা পড়ে বর্তমান নীলগিরি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেল ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.