নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্য

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯



আমার চোখের সামনে, আমার স্ত্রী এবং বাচ্চা মারা গেল। আমি কিছুই করতে পারলাম না। স্ত্রীর হাত ধরে বসে থাকলাম, তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছে।
ডাক্তার বলল- যে কোনো একজনকে বাঁচানো সম্ভব হবে। এক মিনিটের মধ্যে ভেবে বলুন- আপনি কাকে চান?
আমি বললাম- আমি দু'জনকেই চাই।
একটুপর ডাক্তার বললেন- দুঃখিত আমরা কাউকেই বাঁচাতে পারব না। ঈশ্বরকে ডাকুন। প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে। পেটের মধ্যে বাচ্চা দু'টি মরে গেল। তার দুই মিনিট পর মরে গেল আমার স্ত্রী।
এমন কষ্ট যেন আল্লাহ কাউকে না দেন। আমি কাঁদছি কিন্তু আমার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। বুকের মধ্যে আর গলার মধ্যে কি যেন দলা পাকিয়ে উঠছে বারবার। সতের মিনিটের মধ্যে সব শেষ।

আমার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর আমি নিয়মিত ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বলেছেন- আপনার স্ত্রী খুব ভালো আছেন। কোনো প্রকার সমস্যা নেই। ডাক্তার জেরিন খান, আমার স্ত্রীকে সব সময় বলতেন- আপনার স্বামী আপনার অনেক টেক কেয়ার করেন। আপনি অনেক ভাগ্যবতী। আমি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী- দশ মাস আমার স্ত্রীকে ডাবের পানি খাইয়েছি। চুলে তেল দিয়ে আঁচড়ে দিয়েছি। রাতে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতাম। সময় মত ওষুধ খাওয়াতাম। আমার স্ত্রী বারবার একটা কথা বলত- আমার খুব ভয় করে, আমি যদি মরে যাই। তুমি একা কিভাবে বাচ্চাকে পালবে? আমি বলতাম- দূর বোকা মেয়ে, কিচ্ছু হবে না। কোনো ভয় নেই। আমি আছি না!

আমার স্ত্রী ছিল একদম সহজ সরল একটি মেয়ে। তার চোখে মুখে সারাক্ষণ খেলা করত- এক আকাশ মায়া। মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখলে কেঁদে ফেলত। আমি আমার স্ত্রীকে আদর করে- বাবু বলে ডাকতাম। আর আমাকে বাবুই বলে ডাকতো। তিন বছর প্রেম করেছি আমরা। তারপর বিয়ে। লঞ্চে করে বরিশাল যাওয়ার পথে প্রথম পরিচয়। তখন রাত আড়াইটা। শীতকাল। তিনতলা লঞ্চের ছাদে আমি অন্ধকারে বসে ছিলাম, হঠাৎ দেখলাম একটি মেয়ে একা একা হাঁটছে। বাতাসে তার চুল-ওড়না পতাকার মতন উড়ছে। মেয়েটি পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সময়- আমি বাংলা সিনেমার নায়কের মতন করে মেয়েটিকে ধরে ফেলি। সময় মত না ধরতে পারলে- মেয়েটি কীর্তন খোলা নদীতে পড়ে যেত।

আমরা দু'জন মিলে আমাদের বাচ্চার জন্য অনেক কেনাকাটা করেছি- গুলশানের একটা মার্কেট থেকে। এই মার্কেটে শুধু বাচ্চাদের নানান জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সাত মাসের সময় জানতে পারি যমজ বাচ্চা হবে। আমরা দু'জন অনেক চিন্তা ভাবনা করে- দু'টি নাম ঠিক করি। টাপুর-টুপুর। টাপুর-টুপুরকে নিয়ে আমরা দু'জন অনেক স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। আমার স্ত্রীর অনুরোধেই আমি অপরেশন থিয়েটারে যাই। 'ও' শুধু বলতো- তুমি আমার হাত শক্ত করে ধরে থাকবে, তাহলে আমার কোনো ভয় লাগবে না, কষ্ট হবে না। হাসপাতালে ভরতি হওয়ার দু'দিন আগেও আমি আমার স্ত্রীর পেটে কান রেখে শুনেছি- টাপুর-টপুরের নড়াচড়ার শব্দ। আমাদের পরিবার আমাদের প্রেমের বিয়ে মেনে নেয়নি। আমরা আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকতাম। দুই রুমের ছোট্র একটা ফ্লাট।

আমার স্ত্রী এবং বাচ্চারা মারা গেল আজ প্রায় দুই বছর হলো। আমি ভাবি- আমি কেন মরলাম না? এই কষ্টটাই আমাকে কুড়ে কুড়ে খায় প্রতিনিয়ত। গত দুই বছরে আমার সমস্ত আত্মীয় স্বজন আর বন্ধু বান্ধব অনেক শান্তনার কথা বলেছে। কাছের দুই বন্ধু মিলে- আমার মনের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য আমাকে নিয়ে গেল ঈন্দিরা রোডের এক বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখি- বেশ কয়েকটা আধুনিকা সুন্দরী মেয়ে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। আমার এক মুহূর্তের জন্যও ইচ্ছা করে নি- কোনো মেয়েকে জড়িয়ে ধরি অথবা একটি চুমু দেই। আমি কিছুতেই আমার স্ত্রী আর বাচ্চা দু'টার কথা ভুলতে পারছি না। প্রায়-ই স্বপ্নে দেখি- বাচ্চা এবং বাচ্চার মাকে। স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারপর সারারাত ব্যালকনিতে কাটিয়ে দেই। চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ে।

এরপর থেকে আমি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করি না। বরং ঈশ্বরকে ঘৃনা করি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি ঈশ্বরকে ঘৃনা করেই যাবো। মূর্খ ঈশ্বর মানুষের সুখ কেড়ে নিয়ে কি শান্তি পায়? কি সুন্দর সুখের সংসার ছিল আমার। বেঁচে থাকলে এই দুই বছরে আমার বাচ্চা দু'টা অনেক বড় হয়ে যেত। তারা সারা ঘর ছোট ছোট পায়ে হেঁটে বেড়াত। আমাকে বাবা-বাবা বলে ডাকতো। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতাম। পড়াতে বসাতাম। বোকা ভূতের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতাম। গোছল করিয়ে দিতাম। ছুটির দিন গুলোতে আমরা সবাই মিলে বেড়াতে যেতাম। বাচ্চার মা বাচ্চাদের বকা দিলে- আমি বাচ্চার মাকে আচ্ছা করে বকে দিতাম। সুখে- আনন্দে দিন চলে যেত। আসলে কিছু কিছু মানুষের জীবনে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

প্যালাগোলাছ বলেছেন: কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে এমন হয়!!

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! বেশ ভালো গল্প হয়েছে।
পাঁচবছর আগে লঞ্চে বরিশাল যাওয়ার পথে রাত তিনটার সময় যাকে কীর্তন খোলা নদী থেকে উদ্বার করতে পারলো, দুবছর পূর্বে,আরেক বিপদ থেকে উদ্ধার করতে না পারার যন্ত্রণা, সঙ্গে ভালোবাসার দুটি হৃদয়ের বিচ্ছেদ, সবমিলিয়ে বর্তমানে এতবড় বিশ্বে নিঃস্ব বা রিক্ত হয়ে দিনযাপন।

গল্প সুন্দর হয়েছে। তবে ভাঙা গড়ার সংসারে ঈশ্বর কাকে ভাঙবেন আর কাকে গড়বেন সেটা উনিই জানেন।


নিরন্তর শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয়ভাইকে।


২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

দাদা লক্ষ্য করেছেন আপনি বলার পর কিন্তু আমি দিনে একটার বেশি পোষ্ট দিচ্ছি না।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমার স্ত্রী বলে সে মারা গেলে কত দিন লাগবে আমার আরেকটা বিয়ে করতে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: এটা সকল স্ত্রীরাই বলে থাকেন।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


ভাগ্য খোদার লীলাখেলা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভাগ্য মানুষ তার সম্মোহন শক্তি দিয়ে বদলে দিতে পারে।

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: খুব ঝড়ের ভিতর যেতে হয়। আসলেই এই কষ্টা তীব্রতর আর ছুঁচালো হয়! সন্তানসহ স্ত্রী হারানো মেনে নিতেই সময় লেগে যায় অনেক।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: সীমাহীন কষ্ট।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

hayet777 বলেছেন: মিস্টার খান,কোনটাতে মনসংযোগ করি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ট্রাজেডী নাকি আপনারটা ! আমার জীবনে ও ঘটে গেছে ভয়াবহতম এক ট্রাজেডী ।jo aag lagā.ī thī tum ne us ko to bujhāyā ashkoñ ne ,jo ashkoñ ne bhaḌkā.ī hai us aag ko ThanDā kun kare a(যে আগুন তুমি আমার জীবনে লাগিয়েছ,আমার অশ্রুজল তাকে নিভিয়েছে।কিন্তু এখন এই কান্নার জল যে আগুন লাগিয়েছে আমাার হৃদয়ে,তাকে ঠান্ডা করবে কে? )।আপনাকে কি বলে সান্তনা দেব ভেবে পেলাম না।শুধু এ টুকু বলবো,আপনি যেই হোন না কেন,নিজেকে অসহায়,ছোট ভাববেন না।প্রত্যেকেই এই ব্রক্ষান্ডে একটি মহৎ ঊদ্দেশ্যে আবির্ভুত হয়েছেন,সেই ঊদ্দেশ্য কে মহিমান্বিত করুন।নিরন্তর শুভকামনা ...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

সনেট কবি বলেছেন: ঈশ্বরের কাজে অসন্তুষ্ট হওয়া ঠিক নয়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী চাচা ঠিক বলেছেন।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এটা আল্লাহর একটা পরীক্ষা বৈ কিছু নয়।ধৈর্য ধরা উচিৎ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

আরোগ্য বলেছেন: আমার এক কাজিনের ডেলিভারীর সময়ও জটিলতা ছিল। ডাক্তার বলেছিল মা ও সন্তানের একজন বাঁচবে।আল্লাহর রহমতে দুজনই আজ সুস্থ এবং ওর আরও একটি মেয়ে হয়েছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!!!

যদি এমনটা হতো !!

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি।

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

বলেছেন: যা ঘটে তা নাকি মঙ্গলের জন্য হয়ে থাকে।
আমার এক বন্ধু সহধর্মিণী হারানোর পর বেচারা আরেকটা বিয়ে করতে পারবো তাই ভেবে খুব খুশি ছিল!!!
এটা কে আপনি কি ভাবে দেখবেন?
মনে হলো অসম্পূর্ণ স্ববিরোধীতায় পরিপূর্ণ গল্প?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আবার সৃষ্টিকর্তা নিয়ে পল্টি মারলেন...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি না।
গল্পের চরিত্র।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো কাজ করুন স্যার। একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করুন। ইনশাআল্লাহ্‌ আপনার স্ত্রী ও সন্তানদের পরকালে কাছে পেয়ে যাবেন নো টেনশন প্লিজ স্যার।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই জীবনে না পেলে পরকালে কি করবো?
স্বামী বিবেকান্দ বলেছেন- যে ঈশ্বর পৃথিবীতে দু'মুঠো অন্ন দিতে পারে না, সে মৃত্যুর পর দিবে সেটা আমি মানি না।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: খুব কমন থিম, তবে প্রকাশটা সুন্দর হয়েছে ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

বনসাই বলেছেন: রাত আড়াইটার সময় বরিশালের পথে লঞ্চ কীর্তনখোলা নদীতে যেতে পারে না।

একেবারে হালকা গল্প হয়েছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: যায়।
রাত ৯ টায় সদর ঘাট থেকে এম ভি মাছরাঙ্গা ছাড়লে তা কয়টায় কীর্তন খোলা গিয়ে পৌছায়?

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৮

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো দুখী গল্প...............

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

শামচুল হক বলেছেন: ঈশ্বরকে ঘৃণা করে লাভ নেই, ঈশ্বর তার সিডিউল মতই কাজ করে থাকেন। এতে কে কষ্ট পেল আর পেল না এটা নিয়ে তার মাথা ব্যথা নেই। সুখ দুঃখ দু'টি শব্দকে জিইয়ে রাখার জন্যই এসব করে থাকেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সত্য মন্তব্য করেছেন।

১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:
বেশ আবেগী গল্প। মন খারাপ করা ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখ কষ্ট দিয়েই তো সমাজটা ভরা।

১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

নজসু বলেছেন: মন খারাপের কাহিনি।
কিন্তু ভাই আপনার সাথে আমার দ্বিমত হচ্ছে কেন?
আমি নতুন। আমার উচিত নয় পুরাতনদের সাথে দ্বিমত পোষণ করা।
ঈশ্বর হয়তো আপনার পরীক্ষা নিয়েছেন। জানি স্ত্রী পুত্রকে হারানোর ব্যথা খুব বেদনাদায়ক। তাই বলে ঈশ্বরকে ঘৃণা করা ঠিক হবে না। ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকলে দিনশেষে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। তাহলে তাকে নিষ্ঠুর ভাবাও ঠিক নয়। তার প্রতি অভিমান করতে পারেন। আর যদি বিশ্বাস নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে অন্য কথা। ঈশ্বরে যদি বিশ্বাস না থাকে তাহলে কল্পিত ঈশ্বরকে দোষ দিয়ে বা ঘৃণা করে কি লাভ? যে নেই তাকে মূর্খ বলে কি মনের ভার লাঘব হবে?
সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় ঈশ্বর নয়; এটা ভাগ্যের দোষ।

ভাই, গল্পটা খুব কষ্টের। সত্যি বলতে কি শেষের অভিমানভরা প্যারাটি যে কত বেদনা নিয়ে লিখেছেন তা আমি অনুমান করতে পারি।

ভালো থাকুন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুজন আমি আপনি ঠিকই বলেছেন।
আপনার কথা মেনে নিলাম।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি! দেরীতে প্রতিমন্তব্য দেখে আবার আসা। প্রিয়ভাইটি, এমন করে বললে বুঝবো আমার ভায়ের কষ্ট হয়েছে য়ে কারনে ধীর লয়ে চলছে। আর তেমনটি হলে আমিও ব্যথা পাবো। আমি শুধু বলেছিলাম, ভায়ের পোস্ট গুলি যতটা সুন্দর হয়, আমরা পড়াশোনা করে একটি সন্তোষজনক মন্তব্য রাখার চেষ্টা করি। পাশাপাশি আমার ভায়ের প্রতিমন্তব্যটা কেমন যেন নিয়মরক্ষার মত লাগতো। কিন্তু আমার ভেবে ভীষণ খারাপ বা অনুশোচনা লাগছে যে ভায়ের স্বাভাবিকত্ব আর নেই দেখে।

আমি বাস্তবে দুঃখিত। যেমন চলছিল তেমনই চলুক। আমি কথা দিলাম শ্রদ্ধেয় সনেটকবিভায়ের য়েমন একটিও পোস্ট মিস করতে চাই না,, ভায়ের পোস্টও মিস করবোনা।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।


২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: না না দাদা।
আমি সব সময় চাই আমার ভুল গুলো কেউ আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিক।
কারন আমি ভুল গুলো শুধরাতে চাই।

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনি একদিন বড় লেখক হবেন। লেখা গুলো পড়লেই বুঝা যায়।।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব লজ্জা দিলেন।


ভালো থাকুন।

২২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

সূচনা খান বলেছেন:

কবে মারা গেলেন তারা?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: হৃদয়টা শরিয়তপুরের নড়িয়া হয়ে গেছে। শুধু ভাঙছে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.