নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমরা পাঁচ জন বন্ধু মিলে পিকনিক করতে গেলাম গাজীপুর থেকে একটু দূরে ময়মনসিংহ রোডে। পূঁজার ছুটি পেয়েছি। আমরা সবাই এক কলেজেই পড়ি। আমাদের সাথে দু'টা মেয়ে ছিল। মীরা আর তানিয়া। ছেলেদের মধ্যে আমি, মারুফ আর সজল। আমরা পাঁচ জনই পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়াতে থাকতাম। একদিন আমাদের বাসার ছাদে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম শুক্রবার সকালে পিনকিন করতে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ। সকাল সাত টায় আমাদের রওনা দেওয়ার কথা। অথচ মীরা আর তানিয়ে দেরী করে ফেলল। মেয়েরা সব সময়ই সব কিছুতেই দেরী করে। যাই হোক, তিন ঘন্টা বিলম্ব করে আমরা রওনা দিলাম। মারুফের বাবা সরকারী চাকরি করেন। তিনি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়িতে সবাই খুব চিৎকার চ্যাচাম্যাচি করছে। কে যে কার কথা শুনছে আল্লাহ'ই মালুম। দুপুর দেড়টায় আমরা গাজীপুর পার হয়ে গেলাম। তারপর গাড়ি থামিয়ে হোটেল থেকে কেনা নাস্তা খেয়ে নিলাম। দুপুরে খাবারের জন্য আমরা আগেই বাজার সদাই করে রেখেছিলাম। শালবনে গিয়ে রান্না করবো। হাড়ি পাতিল সব আমাদের সাথে আছে।
ভাগ্য খারাপ ময়মনসিংহ রোডে হঠাত আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল। বন জঙ্গলের মতো একটা জায়গায় আমরা আটকে গেলাম। আশে পাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই। কোনো মানুষ জনও দেখা যাচ্ছে না। ড্রাইভার বলল, আমি সামনে গিয়ে দেখি কোনো গ্যারেজ পাই কিনা? দুই ঘন্টা হয়ে গেল ড্রাইভার আর ফিরে এলো না। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, এখানেই পিকনিক করবো। জায়গাটা বেশ সুন্দর। চারিদিকে অসংখ্য গাছপালা। ঝলমলে রোদ অথচ রোদের তাপ নেই। কেমন মিষ্টি একটা ওয়েদার। রান্না করবে তানিয়া আর মীরা। আর আমরা তাদের সাহায্য করবো। আমরা প্রত্যেকে খুব আগ্রহ নিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করতে লাগলাম। আমি চুলা ধরিয়ে ফেললাম। মারুফ লাকড়ির ব্যবস্থা করে ফেলল। সজল পেঁয়াজ কাটছে আর চোখ মুছছে। রান্না শুরু করতে না করতেই আকাশ কালো করে ঝুম বৃষ্টি নেমে গেল। প্রচন্ড বৃষ্টি। মনে হচ্ছে আজ সারা শহর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। আশে পাশে আশ্রয় নেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। আমরা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনেক দূর পর্যন্ত দৌড়ে গেলাম। কিন্তু একটা পুরান ভাঙ্গা বাড়িও পেলাম না আশ্রয় নেওয়ার জন্য। বাতাসে গাছের ঢাল ভেঙ্গে পড়ছে।
কত সময় পার হয়েছে জানি না। সমানে বৃষ্টি পড়েই যাচ্ছে। হাত ঘড়ি ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। আকাশ আরও বেশি কালো হয়েছে। মনে হচ্ছে গভীর রাত। এদিকে আমরা এলোমেলো ভাবে আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে পথও হারিয়ে ফেলেছি। দুনিয়ার সবচেয়ে অসহায় মানুষের মতো আমরা পাঁচজন মানুষ জঙ্গলের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজছি। ঠিক এমন সময় আমরা দেখতে পেলাম- গাছের আড়ালে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। মীরা আর তানিয়া ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো। মারুফ আর আমি সামনে গিয়ে দেখি, এক বুড়ো লোক কালো রঙের কাপড় দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে রেখেছে বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য। আমি জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কে? এখানে কি করছেন? লোকটি অবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকালো, হাসলো। বলল, তোমরা কে? এই জঙ্গল আমার। আমার জঙ্গলে এসে আমাকেই জিজ্ঞেস করছো- আমি কে? তারপর মীরা আর তানিয়া যেন লোকটির দেখা পেয়ে ভরসা পেল। আমরা সবাই মিলে বললাম, চাচা আমরা বিপদে পড়েছি। এখানে এসেছিলাম পিকনিক করতে। গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। পথ হারিয়ে ফেলেছি। লোকটি আমাদের কথা মন দিয়ে সব শুনে বলল, আসো আমার সাথে।
অচেনা লোকটি আমাদের প্রায় এক ঘন্টা হাঁটিয়ে একটা ভাঙ্গা দোতলা বাড়িতে নিয়ে এলো। আমাদের একটা ঘর দেখিয়ে বলল, এখানে বিশ্রাম করো। বুড়ো লোকটি একটা হারিকেনও দিল। হারিকেনে মনে হয় তেল শেষের দিকে। মিটমিট করে জ্বলছে তো জ্বলছে না। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম- বাড়িতে একটা জানালা নেই, দরজা নেই। অনেক পুরোনো বাড়ি। দেয়াল ভাঙ্গা। তারপরও আমরা অনেক খুশি, এই ঝড়ের রাতে একটা আশ্রয় পেয়েছি বলে। আমাদের প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। ঠিক এই সময় বুড়ো লোকটি একবাড়ি মুড়ি আর এক জগ পানি দিয়ে খেল। মিইয়ে যাওয়া মুড়ি। কিন্তু এই মুড়ি আমরা প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে খেলাম। বুড়ো লোকটি চলে যাবার আগে বলে গেল, ঘর থেকে বের হবার দরকার নেই। এখন মধ্যরাত। জায়গাটা ভালো না। রাতটা কোনো রকমে পার হলে, সকালে আপনাদের শহরের পথ দেখিয়ে দিব। বুড়োর কথা শুনে আমরা সবাই খুব ভয় পেলাম। মনে মনে ভাবছি বুড়ো লোকটি দুষ্টলোক নাতো! সে আমাদের কোনো ক্ষতি করবে নাতো! তানিয়া বলল, না বুড়ো খারাপ লোক নয়।
একটু পর আমরা সবাই স্পষ্ট শুনতে পেলাম কে যেন নূপুর পায়ে দিয়ে নাচছে, দৌড়াচ্ছে। আবার শুনতে পেলাম কে যেন হাসছে। বিকট হাসি। হাসি থামতেই মনে হলো, আমাদের পাশের ঘরে কারা যেন ফিসফিস করে কথা বলছে। ওদের মেরে ফেলো। মেরে ফেলো। আমরা ভয়ে সবাই আধমরা অবস্থা। ঠিক এমন সময় মনে হলো জানালার পাশে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। আমরা সবাই ভয়ে যে যেই সূরা পারি পড়তে থাকলাম। কিন্তু আশে পাশে অশুভ ছায়াদের উৎপাত কিছুতেই কমছে না। বরং বেড়েই চলেছে। শুনতে পাচ্ছি কারা যেন দৌড়াচ্ছে। কারা যেন খুব করুন গলায় চিৎকার করছে। পরপর বেশ কিছু ঘটনা গুলো দেখে- শুনে মীরা গেল অজ্ঞান হয়ে। তার চোখে মুখে যে পানির ছিটা দিব, একফোটা পানি ঘরে নেই। আমি মনে মনে আল্লাহকে বলছি, আল্লাহ আমাদের কোন বিপদে ফেললা? কি অপরাধ করেছি। অশুভ ছায়াদের নানান রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়ে আমরা সবাই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। খুব ভোরে বুড়ো চাচা আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুললেন। তিনি আমাদের শহরের পথে নিয়ে যেতে যেতে কিছু কথা বললেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: না না। খুব ভয় পাবেন না।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩০
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি অনেক কথা বানিয়ে লিখেন....২০১৮ সালে এসে এই সমস্ত বস্তাপচা ভুতের গল্প বলবেন যেখানে শিক্ষিত লোকজন কম আছে...গ্রামের বাজারের চায়ের দোকানের আড্ডায়... সেখানে সবাই বিশ্বাস করবে
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আরে ভাই এটা এক যুগেরও বেশি সময় আগের ঘটনা।
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩২
আরোগ্য বলেছেন: ভুল হয়ে গেল, বেশি রাতে পড়া উচিত ছিল।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: বেশি রাতে না পড়ে ভালোই করেছেন।
তাহলে ভয়ে আর ঘুমাতে পারতেন না।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
আজকাল পোরোনো বাড়িতে ধর্ষণ হয় সাথে খুন হয়। আপনি কি গল্পে এটাই বুঝাতে চাইছেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: না, এটা বুঝাতে চাই নি।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৩৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব ভূতেরা পিকনিক পার্টিকেই ধরে কেন?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা-------------
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩০
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! আমার তো আগ্রহ জমে গেল----------- তারপর কি হলো রাজীব ভাই ?
পথে যেতে যেতে সে পরেরদিন কি কি বলল ?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: বিস্তারিত পরে।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পাঁচ ছাত্রকে ক্লাসে ডেকে ‘ন্যাড়া’ করলেন বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান | সারাদেশ | The Daily Ittefaq
http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2018/10/03/173288.html
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: হুইম।
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাভাবিক ভুতের গল্প
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভূতের গল্পে অস্বাভাবিকতা আমার ভালো লাগে না।
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
এ.এস বাশার বলেছেন: ভালো লাগলো...
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৩
সনজিত বলেছেন: শিহরিত
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এটাই চেউএ ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ যেমন ছবি তেমন ভয়ের গল্প!
রাতটা যে কীভাবে কাটবে ভাবতেছি।
শুভেচ্ছা।