নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
এক সরকারী অফিসে বসে আছি।
বড় স্যার তার পিয়নকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দিয়ে বলছেন, যেখান থেকে পারো ওষুধ গুলো নিয়ে আসো। আমার মেয়ে অসুস্থ। আমি শ্যামলীতে খুঁজেছি, পাইনি। তুমি শাহবাগ যাও। শাহবাগ না পেলে মিডফোর্ড যাবে। পুরো ঢাকা শহর খুঁজে যেখান থেকে পাও ওষুধ নিয়ে আসো। আসতে হবে দুপুর দু’টার আগে। আমি আবার আজ তাড়াতাড়ি বের হবো। পিওন সাথে সাথে তুফানের মতোন বের হয়ে গেলো জ্বী স্যার বলে।
রাতে ভয়ানক স্বপ্ন দেখেছি।
যেদিন রাতেই আমি খারাপ স্বপ্ন দেখি, পরের দিনটা খারাপ যায়। স্বপ্ন দেখে রাতে ঘুমের মধ্যেই ভয় পাই। শরীর কেঁপে উঠে। চোখ মেলে যে তাকাবো সেই সাহসও থাকে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, এত ভয় পাওয়ার তো কিছু ছিল না। নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। দিনের বেলা হুটহাট করে খাপছাড়াভাবে রাতের স্বপ্ন গুলো মনে পরে। রক্ত, খুন, ভূত, রামদা। স্বপ্নের ব্যাখ্যা আমি নিজেই নিজেকে দেই- মুভি দেখি। মুভিতে মারামারি, কাটাকাটি থাকে। এগুলোই রাতে স্বপ্নে দেখি। সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি গুলোতে মারামারি, খুনখারাবি বেশি থাকে। নিজেকে বারবার বলি, মুভি দেখব না, বই পড়বো। অথচ বই পড়া কম হচ্ছে।
ইফতারের আগে আগে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ফিরে দেখি মা আর সুরভি ছাড়া কেউ নাই। সবাই ইফতার পার্টিতে গিয়েছে। আমি মার ঘরে বসলাম। মা নীচ তালায় থাকে। আমি থাকি ছয় তলায়। মার শরীরটা আজ কিছু দিন ধরে ভালো নেই। ইফতারীর ঠিক আগ মুহুর্তে মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লো। বাইরে তখন বাতাস ছেড়েছে বাতাস, সাথে বৃষ্টি। বিদ্যুত গেলো চলে। মার জ্বর ১০৩ এর বেশি। সে আবোল তাবোল বকছে। অবশ্য আমি ১০৩ জ্বর নিয়ে স্বাভাবিক থাকতে পারি। সুরভি মার মাথায় পানি দিচ্ছে। অবস্থা বেশি সুবিধার না। তাই আমি দৌড়ে গেলাম বাড়ির কাছের হাসপাতালে। তখনও মানূষজন ইফতারী করছে। হাসপাতালের লোক বলল, আজ শুক্রবার। ইমার্জেন্সীতে একজন ডাক্তার’ই আছেন। কাজেই ডাক্তার সাহেব বাসায় যেতে পারবো না।
আমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বাসায় ফিরলাম।
মা প্রায় বেহুশ অবস্থা। মেয়েকে (পরীকে) নিয়ে আমি বাসায় থাকলাম। সুরভি মাকে নিয়ে হাসপাতাল গেল। বাড়ির কাছেই হাসপাতাল। হেঁটে গেলেও চার মিনিট লাগে। হাসপাতাল যেতে যেতেই মা সুরভি ভিজে একাকার। আমি আর পরী অন্ধকারে মন খারাপ করে বসে আছি। মায়ের এই অবস্থাতে আজ ইফতার করা হয়নি। সুরভি হাসপাতাল থেকে ফোন করলো। ইমার্জেন্সীতে আরও চারজন রোগী আছে। তারপর মাকে দেখবে ডাক্তার। মেয়েকে বললাম, তুমি থাকো বাসায়, আমি তোমার দিদাকে দেখে আসি। মেয়ে বলল- না, আমি একা থাকতে পারবো না। কারেন্টও নেই। আমি তোমার সাথেই যাবো।
মেয়েকে নিয়েই ভিজতে ভিজতে হাসপাতালে গেলাম।
অথচ আমাদের বাসায় কম করে হলেও দশটা ছাতা আছে। গিয়ে দেখি মা সুরভির কাঁধে মাথা রেখে শুয়ে আছে। ইমার্জেন্সীতে যে ক’জন রোগী আছে সবার’ই ভয়াবহ অবস্থা। কাউকে যে অনুরোধ করবো, আগে ডাক্তার আমার মাকে দেখুক। তা বলা যায় না, সব গুলো রোগীর’ই ভয়াবহ অবস্থা। এর মধ্যে একজন আসছেন শরীয়তপুর থেকে। রোগীকে যিনি শরীয়তপুর থেকে নিয়ে আসছেন তার সাথে অনেকক্ষন কথা হলো। তার এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়েকে সাথে করে নিয়ে আসছেন। এই মেয়ে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। ছেলে মাদরাসায় পড়ে। ছেলের হাতের লেখা আবার অনেক সুন্দর। একটা কাগজে আমাকে হাতের লেখাও দেখালেন ভদ্র মহিলা।
যাই হোক, মাকে নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
এবং হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার আগে ভদ্রমহিলাকে কথা দিতে হয়েছে- তাদের শরীয়তপুরের বাড়িতে অবশ্যই বেড়াতে যাবো। উনাদের বাড়ির পেছনে বিশাল এক দীঘি আছে। সেই দীঘির পানি কঠিন টলটলা আর খেতে ভীষন মিষ্টি। যাই হোক, তবে এবার আমার ভাগ্য ভালো, মা সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়েছেন। এর আগে যতবার মা অসুস্থ হয়েছেন তখন রাত তিনটা। এই রাত তিনটায় একা মাকে নিয়ে হাসপালাতে যেতে হয়েছে আমাকেই। ঘটনা চক্রে তখন আমার কোনো ভাইরা সেদিন বাসায় থাকে না। অসংখ্যবার রাত তিনটায় আমি একা মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছি। রিকশা নাই, সিএনজি নাই। ভয়াবহ অবস্থা।
২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: গরম কমে নি।
আজও সারাদিন প্রচন্ড গরম গেছে।
বৃষ্টি হলে সাময়িক গরম কম হয়।
২| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আশা করছি আপনার মা এখন সুস্থ্য আছেন।
২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: না ভালো হয়নি।
আজ আবার অন্য ডাক্তার দেখাতে হয়েছে।
৩| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৪৬
অজানা তীর্থ বলেছেন: আল্লাহ্ আন্টিকে ভালো করুক তাড়াতাড়ি, ইনশাল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দোয়া করি, আপনার মা অতি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন।
২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।
৫| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৪
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আল্লাহ আপনার আম্মর দীর্ঘায়ু করুুক,ওনার পূরিপূর্ন সুস্হতা কামনা করি ওপর ওয়ালার কাছে, আমিন
২৮ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
দ্যা প্রেসিডেন্ট বলেছেন:
মায়েরা অসুস্থ থাকলে সন্তানরা অস্থির সময় কাটায়! যাই হোক, দু'আ থাকলো, আপনার মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, আর সবার মা সুস্থ থাকুক।
এবং সুস্থ থাকুক আমার দেশমা
২৮ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৭| ২৮ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পৃথিবীর সব মায়ের ভালো থাকুন।
২৮ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
৮| ২৮ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পৃথিবীর সব মায়েরা ভালো থাকুন।
সবাই সুখে থাকুন।
২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৯| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য প্রার্থনা রইলো। আশা করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন শীঘ্রই।
ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
১০| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৭
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আপনার মা অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। আমিন।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।
১১| ২৮ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আন্টির জন্য শুভকামনা । আশা করি শীঘ্রই উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
১২| ২৮ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনার মাকে আল্লাহ পূর্ণ আরোগ্য দান করুন!
২৯ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যাক, সবকিছু ভালোয় ভালোয় সারলো! ঢাকায় এখন গরম কেমন?