নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। বই পড়াটা আপনার উন্নতির জন্য সবচেয়ে শর্টকাট রাস্তা।
একটা টাই, একটা স্যুট, একটা ব্র্যান্ডেড শার্টের চেয়ে একটা ভাল বই আপনাকে বেশি স্মার্ট করবে। বইপড়া স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে স্মার্ট করে, বয়স কমিয়ে দেয়। বই পড়া আপনার দুঃশ্চিন্তাকেও কমিয়ে দেয়। দিনদিন পাঠকের সংখ্যা কমছে। ১৮ কোটি মানুষের দেশে একটা বই তিন শ' কপিও বিক্রি হয় না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড় কিংবা হেমিংওয়ের ওল্ড ম্যান এ- দ্য সী পড়তে বসুন। দেখুন, আপনার দুশ্চিন্তা-দূর্ভাবনা কখন কোথা দিয়ে পালিয়ে গেছে আপনি টেরও পাবেন না। বিশ্বের মাদক ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারীর হাতে বই তুলে দিতে পারলে হয়তো পুরো চিত্রটাই পাল্টে যেতো। অনেকে বলেন, পড়ব কিভাবে, সময় পাই না! আরে ভাই, টিভি দেখার সময় থাকলে বই পড়ার সময় থাকবে না! মোবাইলে গেমস খেলার সময় আছে, ফেসবুকে পড়ে থাকার সময় আছে আর আসল বুক খুলে দেখার সময় নাই!
পড়তে পড়তে পাঠক হোন, পাঠক থেকে লেখক হোন। পড়তে পড়তে যদি এমন মনে হয় যে, পৃথিবীতে এমন বিষয়ও আছে যা নিয়ে কোন বই লেখা হয়নি, তাহলে নিজেই সেটা লিখে ফেলুন। একজন প্রকৃত জ্ঞানী মানুষের সবচেয়ে বড় অস্ত্রই হচ্ছে বই। বই আপনার অজান্তেই আপনাকে মানবিক বানিয়ে দিবে। সৎ বানিয়ে দিবে। ভালো মানুষ বানিয়ে দিবে।
২। পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গল্পটির লেখক মার্কিন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক Ernest Hemingway (আর্নেস্ট হেমিংওয়ে)। গল্পটি মাত্র ৬টি শব্দে লেখা। এই ধরনের গল্পগুলো ‘ফ্লাশ ফিকশন’ হিসেবে পরিচিত, এগুলো এক একটি সম্পূর্ণ গল্প যা শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু তার একটি রেশ পাঠকের ভেতর থেকে যায়। কথিত আছে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে একদিন তার অফিসের কলিগদের সাথে ১০ ডলারের বাজি ধরেন যে তিনি মাত্র ৬টি শব্দ দিয়ে একটি সম্পূর্ণ গল্প লিখতে পারবেন এবং তিনি বাজি জিতে ছিলেন।
গল্পটি ছিল এমন : For sale. Baby shoes. Never worn.
গল্পটির বাংলা অনুবাদ :
বিক্রির জন্য। শিশুর জুতা। ব্যবহৃত নয়।
গল্পটির অর্থ বুঝতে পারলেন কি কিছু?
গল্পটির ভেতর একটা রহস্য লুকিয়ে আছে। বুঝলে বুঝতে হবে নিজের মতো করেই। এবার বলছি গল্পটির ভাবার্থ -- ''বাচ্চার জন্য জুতো কেনা হয়েছিল, কিন্তু সেই বাচ্চাটা পৃথিবীর আলোই দেখেনি।'' মায়ের গর্ভে মারা যাওয়া শিশুর জন্য মায়ের অনুভূতি। কী ভীষণ বেদনাদায়ক, তাই না! কষ্টদায়ক।
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে।
আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
ঘুমাতে গেলাম।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ এত ছোট গল্প
তবে বেদনাদায়ক
সুন্দর পোষ্ট
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর। জানা ছিল না পড়াও ছিল না।
আপনি চাদের পাথাড় কবে পড়েছেন ? আমি ১৯৮৩ সালে মনে হয়। আমাদের বাড়ি ছিল বই বাড়ি । চারিদিকে শুধু বই আর বই। আমার মা আমি পাল্লা দিয়ে বই পড়তাম। একবার একটা বই ধরলে শেষ না করে উঠতাম না । বিছানায় শুয়ে , টেবিলে বসে , আবার খেতে খেতে এক নিঃশ্বাসে বই গোগ্রাসে গিলতাম সন্ধ্যা হয়ে গেলে মা আলো জ্বেলে দিয়ে মৃদু বকা দিতো চোখটা যাবে। চোখটা অবশ্য গেছে । মা ও নেই ।আর সেই সাথে বই পড়ার ধৈর্য্যও যেন ইদানিং কমে গেছে।
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার জন্ম ৮৫ তে।
ভালো লাগলো যেন আপনাদের অনেক বই ছিল এবং সে গুলো খুব মন দিয়ে পড়তেন বলে।
সামুতে আমার ধারাবাহিক পোষ্ট আছে বই নিয়ে। বাংলা সাহিত্যে যে ১০০ টি বই পড়তেই হবে এবং বিশ্ব সাহিত্যে যে ১০০ টি বই পড়তেই হবে।
সে পোষ্ট গুলোতে গিয়ে দেখতে পারেন সব গুলো বই আপনার পড়া কিনা!
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩
মাধুকরী মৃণ্ময় বলেছেন: একটা বিশাল জনগোষ্টি আছে যারা বই এর ধারে কাছে নাই। বিষেশ করে ইয়াং পুলাপান। তারা কি নিয়া আছে তারাই জানে না। এইট খুব ই দুঃখ জনক। অথচ আমরা বই পড়ার জন্য বাড়িতে যুদ্ধ করেছি, টিউশনির টাকা চুরি করেছি, শুধুমাত্র কলা আর পাউরুটি খেয়ে পাবলিক লাইব্রেরিতে বই এর মধ্যে মুখ গুজে সারাদিন বসে থেকেছি। বই পড়ার যে আনন্দ সেই আনন্দ থেকে এরা বঞ্চিত। এদের জন্য আফসোস।
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যদি প্রতিটা মসজিদে একটা লাইব্রেরী থাকতেই হবে, বাধ্যতামূলক করে তাহলে খুব ভালো হয়।
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালী লেখকের ১০টা বই পড়লে, তার মাঝে ৯টাই গার্বেজ; সে কারণেই বই'এর পাঠক কমে গেছে। ব্লগে কিছু প্রবন্ধ ইত্যাদি মন্তব্যহীন অবস্হায় থাকে কেন?
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে বাংলা বই না পড়ুক বিশ্ব সাহিত্য পড়ুক।
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিজ্ঞান ইতিহাস দর্শন অর্থনীতি ভূগোল রাজনীতি সব ধরনের বই পড়তে হবে এবং উপন্যাস করলেই হবে না।
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২১
রাজীব নুর বলেছেন: যে বইয়ের মজা পেয়ে যায়, সে সব ধরনের বইই পড়ে।
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের সঙ্গে সহমত যে বই হল নিজেকে তৈরি করার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার। আমিও একটা সময়ে টুকটাক বই পড়তাম। বইমেলা থেকে পরিচিত কেউ বই কিনলে, চেয়ে চিনতে নিয়েও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতাম। কিন্তু ব্লগে ঢোকার পরে বইপড়ার সময় একদম কমে গেছে। এমন হয়েছে কিছু বই ব্যাগে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও পড়ার সময় আর হয়ে ওঠে না। হবে কেমন করে সেই সময়ে যে ব্লগিং করি।
ফ্ল্যাশ ফিকশন বিষয়টি জানা ছিল না। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা, মুল কথা হচ্ছে পড়া।
ব্লগে তো আপনি নানান স্বাদের লেখা পাচ্ছেন। পড়ছেন। নিজেও লিখছেন। কাজেই আপনি ঠিক আছেন।
৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৩
রাকু হাসান বলেছেন:
বই পড়ার সময় নেই -এই যুক্তি বিশ্বাস করি না । শুধুমাত্র অজুহাত ছাড়া কিছু নয় । হেমিংওয়ে স্যারের বই খুব ভালো লাগে । ভাগ্যক্রমে আমি 'দি অল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি' বইটি ছিল উনার লেখা প্রথম বই। প্রথমে খুব একটা ভালো লাগেনি একদম শুরুর দিকে । তারপর মনে আছে এক দিনেই শেষ করতে বাধ্য হয়েছিলাম । ব্যাপক অস্তিরতা কাজ করছিল। এরপর কি ,এরপর কি ? এমনটা ভাবনা । আমার জীবনের অন্যতম সেরা বই। একমত রাজীব ভাইয়া আপনার সকল পয়েন্ট 'র সাথে । প্রিয়তে থাক । বই নিয়ে পোস্ট।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: মনে আছে আমার এক টিচার দি অল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি' বইটি হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৫৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভালো বই মানুষের ভাবনা চিন্তা বদলে দিতে পারে। যাদের পড়তে ভালো লাগেনা, তারা ভালো লেখকদের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমা, নাটক দেখতে পারেন।
শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশে বই পড়তে খুব খুব ভালো লাগে। আমি এখনো সময় পেলে, বিভূতিভূষণ.... মানিক.... হুমায়ুন আহমেদ'কে পড়ি।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৩৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বই পড়া মানুষের সবচেয়ে ভালো অভ্যাসগুলোর একটি। এতে শুধু লাভ আর লাভ, কোন ক্ষতি নেই।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:১৫
চাঙ্কু বলেছেন: আপনার ১ নাম্বার কথাটা সেইরাম হাচা কথা!! বই বিক্রয়ের সংখ্যা কমতেছে মনে হয় ইবুকের কারনে আর পোলাইন এখন বই পড়ায় চেয়ে গেম পড়তে থুক্কু খেলতে বেশী ভালবাসে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই সব পোলাপান দিয়ে দেশ কি উন্নতির দিকে যাবে?
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২০
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: প্রজন্ম হতে প্রজন্মে জড়িয়ে আছে বই।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: শেয়ারকৃত ফ্ল্যাশ ফিকশনটি ভালো লাগছে।
বই পড়ার সময় হয়ে উঠে না, থুক্ক এ কথাতো বলা যাবে নাহ
ওই সময়াটাতে ব্লগ পড়ি।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগ পড়লেও চলবে। নানান রকম লেখার স্বাদ পাওয়া যায়।
১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৬
তাসনুভা রায়া বলেছেন: বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড় কিংবা হেমিংওয়ের ওল্ড ম্যান এ- দ্য সী পড়তে বসুন। দেখুন, আপনার দুশ্চিন্তা-দূর্ভাবনা কখন কোথা দিয়ে পালিয়ে গেছে আপনি টেরও পাবেন না। বিশ্বের মাদক ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারীর হাতে বই তুলে দিতে পারলে হয়তো পুরো চিত্রটাই পাল্টে যেতো। অনেকে বলেন, পড়ব কিভাবে, সময় পাই না! আরে ভাই, টিভি দেখার সময় থাকলে বই পড়ার সময় থাকবে না! মোবাইলে গেমস খেলার সময় আছে, ফেসবুকে পড়ে থাকার সময় আছে আর আসল বুক খুলে দেখার সময় নাই
ঠিক বলেছেন ভাইয়া
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কবি রফিক আজাদের ছোট্ট কবিতা
জীবন
ভাঙ্গা কাঁচের উপর চলতে হয়।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: কবি দারুন উপলব্দি করেছেন।
১৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: যখন টেলিভিশন ছিল না তখন পাঠকের অভাব ছিল না , এখন এক হাতে রিমোট অন্য হাতে থাকে মোবাইল । মানুষ আর কষ্ট করে বইয়ের পাতা ওলটায় না । রাস্তায় পাওয়া ডাইরী পড়ে ভাল লাগল ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
নূর আলম হিরণ বলেছেন:
২৬ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: এখনো পড়া শাষ হয়নি । এক মিনিট।