নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমাদের দেশের আসল সমস্যা দূর্নীতি।
দূর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কখনও ভালো হবে না। আমি বুঝি না একজন লোক আট হাজার থেকে দশ হাজার কোটি টাকা কেন দূর্নীতি করে? এত টাকা দিয়ে সে করবে কি? একজন মানুষের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে এত টাকা তো লাগে না। দূর্নীতি কারা করে? সাধারণ মানুষের দূর্নীতি করার উপায় নাই। দূর্নীতি করে রাজনীতিবিদ এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজনেরা। খোঁজ নিলে জানা যাবে প্রতিটা রাজনীতিবিদের লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা এবং মালোশিয়াতে গাড়ি বাড়ি আছে। ভদ্র ভাষায় বললে- সেকেন্ড হোম। তাদের ছেলে মেয়েরা সব থাকে উন্নত দেশে। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা বোকা। তারা সামান্য চিকিৎসা বা চেকআপ এর জন্য যায় লন্ডন-সিঙ্গাপুর। অথচ তারা বুদ্ধিমান হলে নিজের দেশের চিকিৎসার ব্যবস্থা উন্নত করতো। তাহলে তাদের মৃত্যু বিদেশের মাটিতে হতো না। রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত একদল লোক নিয়ে চেকআপ করাতে লন্ডন যান। উনি কেন বলেন না, আমি আর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবো না। দেশেই উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দেশের সাধারণ মানুষও উন্নত চিকিৎসা পাবে। কোনো মন্ত্রী, এমপি বা রাষ্ট্রপতির মুখে এমন কথা শুনলাম না।
দুদক কি করছে?
দুদকের কাজ কি? চারিদিকে এত এত দূর্নীতিবাজ। অথচ দুদক চুপ করে আছে কেন? সমস্ত দূর্নীতিবাজদের ধরুক। তাদের টাকা, জমি, নামে বেনামে সমস্ত কোম্পানী বাজেয়াপ্ত করছে না কেন দুদক? দুদক হয়তো দূর্নীতিবাজদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা পাচ্ছে। রমজান মাসে তাদের বাসায় চলে চলছে উপহার। কোরবানীর ইদে চলে যাচ্ছে গরু। আরো নানান সুযোগ সুবিধা তারা পাচ্ছেন হয়তো দূর্নীতিবাজদের কাছ থেকে। ভালো করে খোঁজ নিলে এসব তথ্য পাওয়া যাবে। যেহেতু দুদককে না বললে তারা কিছু করে না। তাই শেখ হাসিনা দুদককে কেন বলছেন না সমস্ত দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করতে? দূর্নীতিবাজদের ধরলে কি দেশের ক্ষতি হবে? প্রতিটা দূর্নীতিবাজের নামে বেনামে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। আদতে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্বস্তিত্ব নেই। কিন্তু সরকারী লোকেরা পরামর্শেই তারা ট্রেড লাইসেন্স করে রেখেছেন। এবং বছর বছর সেই ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করে যাচ্ছেন।
একজন চোর বা ছিনতাইকারী ধরা কঠিন।
সবচেয়ে সহজ কাজ হলো দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা। দূর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা সবচেয়ে সহজ। মানুষ তার বয়স এবং প্রেম লুকিয়ে রাখতে পারে না। তেমনি মানুষ তার টাকা লুকিয়ে রাখতে পারে না। প্রতিটা দূর্নীতিবাজ সবার আগে তারা দামী গাড়ি কিনেন। তারপর একটা দৈনিক পত্রিকা বা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বের করেন। এমনকি টিভি চ্যানেল। তারপর নিজ গ্রামে স্কুল মাদ্রাসা করেন। গ্রামে বিঘায় বিঘায় জমি কিনেন। দখল করেন। টাকা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথি হোক। তারপর রাজনীতিতে নামেন। যাকে ইচ্ছা বা যার প্রতি রাগ আছে তাকে জেলে পাঠান মিথ্যা মামলা দিয়ে। গত একযুগ ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। টাকা দিয়ে দলের বড় বড় পদ কিনে নেন। টাকা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেন। সমাজের বড় বড় মানুষদের মাথায় তেল দেন। তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। সামান্য চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ড যান। নিজের গ্রামেও তারা গাড়িতে যান না। হেলিকাপ্টারে করে যান। তাদের সময়ের অনেক দাম আছে। হেলিকাপাটার দেখতে সারা গ্রামের মানুষ ভিড় করে স্কুল মাঠে। চারিদিকে এত এত দূর্নীতিবাজ অথচ দুদক চুপ করে আছে। তাহলে তারা সারা বছর করছে কি? তাদের কি কোনো জবাবদিহিতা নেই?
দেশের সমস্ত দূর্নীতিবাজরা মুজিব কোট পড়েন।
মুজিব কোট পড়লে কি সমস্ত অপরাধ মাফ? হজ্ব করলে যেমন হাজীরা মনে করেন সমস্ত পাপ মাফ হয়ে যায় তেমন? দূর্নীতিবাজদের বিশেষ বিশেষ দিনে মুজিব কোট পড়তে দেখা যায়। আমার প্রচন্ড রাগ লাগে। আ.লীগ কি আপাদমস্তক একটি বাটপারির দলে পরিণত হয়েছে? শেখ হাসিনা এদের কান ধরে দল থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন? এই দেশে কোনোভাবে, ভাঁজভুজ দিয়ে জায়গা মতো বসতে পারলে রাস্তার কুকুরকেও বাঘের মতো দেখায়। অতি ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক দিয়ে বিশ্বের ৭৫টি দেশের মধ্যে এক নম্বরেই আছে বাংলাদেশ। সমস্ত দূর্নীতিবাজদের সাথে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সকল মন্ত্রী, এমপিদের সাথে ছবি থাকে। ছবি থাকে মিডিয়ার নানান লোকদের সাথে। দুষ্ট লোকে ভরে গেছে দেশ। আশা করি প্রধানমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন। দেশের কোটি কোটি মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি নিজে তার উপর সম্পূর্ন আস্থা রাখি। ভরসা রাখি।
মানবাধিকার কমিশন কি করে?
তাদের তো আবার পত্রিকাও আছে। মহাত্মাগান্ধী, মাদার তেরেসা ইত্যাদি বিখ্যাত লোকদের নামে এওয়ার্ডও দেয় প্রতি বছর। এসব এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরাও প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি হিসেবে যান। মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ যে কোনো অফিসে গেলেও দেখা যাবে দেশের প্রায় সকল প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাদের সাহেদ মার্কা ছবি। এমনকি যে লোক হাত দেখে, পাথরসহ আঙটি দেয় তার শো রুমে গেলেও দেখতে পাবেন সমস্ত মন্ত্রী, সিনেমার নায়ক নায়িকার সাথে ছবি তুলে, সেই ছবি বড় করে বাধাই করে রেখেছে। দিন শেষে আজও আমি লক্ষ কোটি মানুষের মতো আস্থা রাখি, ভরসা রাখি প্রধানমন্ত্রীর উপর। তিনি দুষ্টলোকদের ছাড়বেন না। তাদের অবশ্যই বিচার করবেন। জয় বাংলা।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: শুনবে। তাদের বিবেক জাগ্রত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সর্বজনসম্মত কথা বললে আসলে মন্তব্যে লেখার কিছু থাকে না। পুরুষদের তিরস্কার করে যে পোস্টটা দিয়েছিলেন ঐ রকম পোস্ট দিলে অনেক কিছু লেখা যায়। তাই কিছু লিখতে না পারার জন্য আমি দুঃখিত।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধব্যবাদ।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আকিব ইজাজ বলেছেন: বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাধা জরুরী, ঘন্টা বাধার জন্যে একজনকে রাখাও হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো ঘন্টাটা যে বাধবে সে আবার আরেকটা বিড়াল। তাই কোন বিড়ালকে রেখে কোন বিড়ালকে ঘন্টাটা বাঁধতে হবে সেটা নিয়েই বিড়ালদ্বয়ের মাঝে সমঝোতা মূলক আলাপ আলোচনা চলে মাঝে মধ্যে। বাকি সময় তারা একে অপরকে না দেখে থাকবার চেষ্টা করে।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: দূর্নীতি দূর করা খুব অসম্ভব কিছু না।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২০
সাইন বোর্ড বলেছেন: দুদকের হিসাব আলাদা, মানবাধিকার কমিশন কাদের নিয়া কাজ করবে ?
সরকার প্রকৃতভাবে আন্তরিক না হলে এগুলো চলতেই থাকবে...
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার প্রকৃতভাবে আন্তরিক না হলে এগুলো চলতেই থাকবে...
সুন্দর কথা বলেছেন।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।ভালো লাগলো।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দেশ নিয়ে বেশী টেনশন নেয়া ঠিক না।
তার চেয়ে বরং একটা ঘুম দেয়াই ভালো ।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ নিয়ে আমাকে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। মাটির একটা ঋণ আছে। সেই ঋণ শোধ করতে হয়।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১২
কল্পদ্রুম বলেছেন: আমিও ভাবতাম এত টাকা দিয়ে মানুষ কি করবে!পরে দেখলাম আসলে টাকা খরচ করার জায়গার অভাব নেই।পৃথিবীতে কিছু জায়গা তৈরি করা হয়েছে যাতে মানুষ ঐখানে টাকার খনিও খরচ করে আসতে পারে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: দূর্নীতি করে এমন বিলাসিতা করা ঠিক না। তাও আবার দরিদ্র দেশের মানুষের।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেই তত্বে চলে, সেটাই দুর্নীতির তত্ব
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এর থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: “এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি”
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আচ্ছা, আমার কেন ইচ্ছা করে না গাড়ি বাড়ি টাকাপয়সা করতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: দূর্নিতিবাজদের ধরে ধরে ক্রসফায়ারে দিতে হবে। তবেই যদি সমস্যার সমাধান হয়। তাছাড়া এরা শুধরাবে না মনে হয়।