নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আজ সকাল থেকে মনটা খারাপ হয়ে আছে।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম- আমি একটা অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। আর চারজন লোক এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। তারা সবাই কালো পোশাক পরা। চোখ মুখ ঢাকা। তাঁদের আমি চিনি না। চারজন আমার সামনে এসে বললেন, হে হে- সময় হয়ে গেছে, তুমি কলিংবেল বাজিয়ে দিয়েছো। তাই আমরা এসে গেছি তোমাকে নিতে। চলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম- আপনারা কে? তারা জবাব দিল না। তাঁরা আমাকে জোর করে হাত পা বাধতে লাগলেন, কালো কাপড় দিয়ে চোখ মুখ ডেকে দিলেন। তারপর একটা খাটে করে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে।
মন ভালো করার জন্য পুরান ঢাকা গেলাম।
শুক্রবার বলে রাস্তা পুরা খালি। যাবো নাজিরাবাজার, রিকশাচালক ভুলে নিয়ে গেলো নাজিম উদ্দিন রোড। এখানে তেমন ভালো কোনো বিরানীর দোকান নেই। আছে শুধু মামুন বিরানী। কিন্তু আজ আমার মামুন বিরানী খেতে ইচ্ছা করছে না। আজ খেতে ইচ্ছা করছে হানিফ বিরানী। কি করবো বুঝতে পারছি না। নাজিরা বাজার কি চলে যাবো? দশ পনের মিনিট হয়তো সময় লাগবে। মসজিদ থেকে জুম্মার নামাজ পড়ে লোকজন বের হতে শুরু করেছে। আমি একটা সিগারেট ধরালাম।
আমার সামনে একজন এসে দাড়ালো।
পাঞ্জাবী পরা, মূখ ভর্তি দাড়ি। মাথায় নামজের টুপি। বুঝা যাচ্ছে, মাত্রই মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হয়েছে। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, বন্ধু কেমন আছো? আমি একটুও চিনতে পারলাম না। মনে মনে ভাবছি ছিনতাইকারী কিনা! তখন সে পরিচয় দিলো। আমি চিনতে পারলাম। আমরা একসাথে কলেজে পড়েছি। বহু বছর পর দেখা হয়নি আমাদের। তখন অবশ্য বন্ধুর মুখে এরকম চাপদাড়ি ছিলো না। দাড়ির কারনেই আমি চিনতে পারি নি। বন্ধু জোর করে মধ্যদুপুরে তার বাসায় নিয়ে গেল। নাজিমউদ্দিন রোডেই তার বাসা। খুব সুন্দর বাসা। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
বন্ধুর বাসায় দুপুরে খেতে বসলাম।
খেতে বসে দেখি বিরাট আয়োজন। একদম বিয়ে বাড়ির খানা। ঝরঝরে সুন্দর পোলাউ। রোষ্ট আর গরুর মাংস। সাথে ডিমের একটা আইটেম এবং ইলিশ মাছ ভাজা। রান্না করেছে বন্ধুর মা। বন্ধুর শ্বশুর বাড়ির তিন চারজন লোক এসেছে। তাই এত আয়োজন এবং আমি ভালো দিনেই এসেছি বন্ধুর বাসায়। আমি বললাম, আমাকে খাবার বেড়ে দিতে হবে না, আমাকে আমার মতো করে খেতে দিন। প্লীজ। কোনো দিকে না তাকিয়ে টানা বিশ মিনিট পাগলের মতো খেলাম। অনেক ক্ষুধা পেয়েছিলো। রান্নাটা খুব ভালো হয়েছে। রোষ্ট দুই পিস খেয়ে নিলাম। আরেকটা নিতাম কিন্তু লজ্জা লাগছিলো। তবে গরুর মাংস এক বাটি উড়িয়ে দিয়েছি। ইলিশ মাছ খাইনি তবে ইলিশ মাছের ডিম খেয়েছি।
খাওয়া শেষ করলাম।
আমার হাতে কোক। চুক চুক করে খাচ্ছি। কোক খাওয়া শেষ করার আগেই দেখলাম, আরো খাবার অপেক্ষা করছে আমার জন্য। দই, ছানা, সন্দেশ এবং চার পদের মিষ্টি। একটা মানুষ কত খেতে পারে! আমার বেশ রাগ'ই লাগলো। যাই হোক, সোফায় না বসে বিছানায় বসলাম, বালিশে মাথা রাখলাম এবং সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙ্গল আছরের আযান শুনে। হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। তখন বন্ধুর বৌ চা নাস্তা নিয়ে এলো। লক্ষ্মী ছেলের মতো চা নাস্তা খেয়ে বের হলাম। খুব আলসেমি লাগছে। বাসার জন্য দুই কেজি বাকরখানি কিনলাম। একটা নুনতা, একটা চিনির। তারপর বাসায় ফিরলাম।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: এখন ৭৫ কেজি আছি।
তবে দশ কেজি কমিয়ে ফেলব।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানি। বুঝি। কিন্তু --
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খাওয়ার কথা পড়ে আমার আবার খুদা লেগে গেলো, এখন কি খাই!!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি একটা সমবায় করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪
জাহিদ হাসান বলেছেন:
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোনটা যে সপ্ন কোনটা যে বাস্তব বুঝা মুসকিল।
কিছু হবেনা বলছেন,কিন্তু ভাড়ার টাকা তো কড়ায় গন্ডায় ঠিকই আদায় করছেন।না কি ভাবি করে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে যে ভালোবাসবে সেই আমাকে বুঝবে।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: খাও দাও ফুর্তি করো
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: এটাই হওয়া উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি তো খেয়ে খেয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে দিয়েছেন মনে হচ্ছে! ওজন কতো?