নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৌতম বুদ্ধ

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৭



"প্রতিদিন সকালে আমাদের নতুন করে জন্ম হয়। তাই আজ আমরা কী করছি, সেটাই সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।"
— গৌতম বুদ্ধ

সাড়ে চুয়াত্তর প্রশ্ন করেছেনঃ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা কি কোনও সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস করে?
উত্তরঃ না, বৌদ্ধেরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। গৌতম বুদ্ধ বিশ্বাস করতেন, ঈশ্বরে বিশ্বাসের বিষয়টি মানুষের মনের ভয়ভীতি থেকে সৃষ্ট। বুদ্ধ বলেছেন, ভয়ার্থ মানুষ তথাকথিত পবিত্র পাহাড়-পর্বতে, গুহায়, পবিত্র বৃক্ষের তলায় কিংবা দেব-দেবীর স্মৃতি মন্দিরে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। কেউ ঈশ্বরকে পুরুষ, কেউ ঈশ্বরকে নারী, আবার কেউ ক্লিব হিসেবে বিশ্বাস করেন। প্রত্যেকের নিজ নিজ বিশ্বাস সত্য, অন্যদের বিশ্বাস মিথ্যা বলে দাবি ও উপহাস করেন। শুদ্ধ সার্থক জীবন যাপনে ঈশ্বরে বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র বৌদ্ধরা নন, পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আছেন, যাঁরা ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাসী নন। প্রকৃতপক্ষে অলৌকিক কল্পনাশ্রিত শক্তি অপেক্ষা আত্মশক্তি অনেক বেশী শক্তিশালী।
সাড়ে চুয়াত্তর আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্নঃ বুদ্ধ ধর্মে জীব হত্যা মহা পাপ– ভাল কথা। কিন্তু কেউ এই মহা পাপ করে ফেললে বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী তার কোনো বিচার বা শাস্তির ব্যবস্থা আছে কি-না?

ঠাকুরমাহমুদ প্রশ্ন করেছেনঃ ভদ্রলোকের নাম তো গৌতম বুদ্ধ না! তাঁর নাম গৌতম বুদ্ধ কিভাবে হলো?
উত্তরঃ গৌতম বুদ্ধের নাম ছিলো- সিদ্ধার্থ। এই নাম রাখেন তার বাবা। বুদ্ধ নামের অর্থ- পরম জ্ঞানী। গৌতম এসেছে গৌতমী থেকে। গৌতমী তার পালক মাতার নাম ছিলো। বুদ্ধের পুরো নাম সিদ্ধার্থ গৌতম। শান্তির কথা, ত্যাগের কথা, আত্মঅনুসন্ধানের কথা উঠলে অন্য ধর্মের মানুষও গৌতম বুদ্ধের কথা স্মরণ করেন। বুদ্ধের একটা কথা আমার খুব ভালো লাগে। সেটা হলো- কেউ আমাদের বাঁচায় না। আমরা নিজেরাই নিজেদের বাঁচিয়ে রাখি। এটা অন্য কেউ পারে না এবং কেউ পারবেও না। নিজেদের পথ নিজেদেরই চলতে হবে।
ঠাকুরমাহমুদ আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্নঃ স্বর্গ, নরক, অসুর, প্রেতলোক, ইত্যাদির অবস্থান কোথায় এবং এগুলোকে কে সৃষ্টি করেছে?

বুদ্ধ ছিলেন বাস্তবধর্মী সংস্কারক।
বুদ্ধ দর্শনে সকলের অধিকার সমান হওয়ার কারনে সাধারন জনেরাও তাঁর দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হয়। পরবর্তীতে রাজা অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটে। গৌতম বুদ্ধ'ই একমাত্র, যিনি ঈশ্বর বা আল্লাহর ঘাড়ে সবকিছু চাপিয়ে দিয়ে জগতের ব্যাখা দেননি। যীশু খ্রীষ্ট এবং গৌতম বুদ্ধকে একই সারিতে রাখা প্রয়োজন। শ্রীকৃষ্ণ এবং হযরত মুহাম্মদকে অপর সারিতে রাখা প্রয়োজন। যীশু খ্রীষ্ট এবং গৌতম বুদ্ধ কোন দিন প্রাণী হত্যা করেন নি। হযরত মুহাম্মদ এবং শ্রীকৃষ্ণ কিন্তু যুদ্ধ এবং হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এর মূল কারণ এরা দুজনেই দুষ্টের দমন এবং সৃষ্টির পালন নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে অস্ত্র তুলতে হয়েছে এবং তার অনুগামীদের অস্ত্র ধরার জন্য আদেশ প্রদান করতে হয়েছে।

বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ- দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়।
কেন সিদ্ধার্থ (গৌতম বুদ্ধ) সুন্দরী স্ত্রীকে ফেলে তপস্যা করতে চলে গেলেন? গৌতম বুদ্ধের স্ত্রীর নাম ছিল গোপা বা যশোধরা, ছেলের নাম রাহুল। বুদ্ধ মনে করেছিলেন তার পরিবার তাকে মায়ায় আকড়ে ধরছে। কথিত আছে, জন্মের পরেই গৌতম উঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং উত্তর দিকে সাত পা অগ্রসর হয়ে বলে উঠেছিলেনঃ "আমি জগতের অধিনায়ক, আমি জগতে প্রবীণতম। এই শেষ জন্ম। ভবিষ্যতে আমি আর দেহধারণ করব না।" তাছাড়া বাল্যকালে গৌতম যেখানেই পা রাখতেন, সেখানেই একটি পদ্ম ফুটে উঠত। (এগুলো অবশ্যই কুসংস্কার) বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ভগবান গৌতম বুদ্ধ। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। বাংলাদেশের উপজাতীদের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত।

গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত বাণীর মূল অর্থ হল অহিংসা।
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্ধ কোনো ঈশ্বর ছিলেন না বা ঈশ্বরের অবতারও ছিলেন না। বুদ্ধের মৃত্যুর পর তাঁর অনুগামীরা তাঁর জীবনকথা ও শিক্ষা লিপিবদ্ধ করেন। তাঁর শিক্ষাগুলি প্রথম দিকে মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। বুদ্ধের মৃত্যুর প্রায় চারশো বছর পর এগুলি লিপিবদ্ধ করা হয়। ত্রিপিটক হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মীয় পালি গ্রন্থের নাম। পালি তি-পিটক হতে বাংলায় ত্রিপিটক শব্দের প্রচলন। তিন পিটকের সমন্বিত সমাহারকে ত্রিপিটক বোঝানো হয়। পিটক শব্দের অর্থ ঝুড়ি যেখানে কোনো কিছু সংরক্ষণ করা হয়।

সিদ্ধার্থ বা গৌতম বুদ্ধ ছোট থেকেই উদাসীন, পিতার অগাধ সম্পত্তি ও রাজকীয় অবস্থা তাঁর জীবনকে রেখাপাত করেনি। তিনি যখন ষোল বছর বয়সে পদার্পণ করেন, তাঁকে গাপো নামে এক রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হলো। রাজকুমার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ এবং নিজের চেষ্টায় তিনি জীবনের চরম সত্যকে জেনেছিলেন। বুদ্ধ মানব জাতির কোনো ত্রাণকর্তা ছিলেন না। তিনি বরং তাঁর অনুগামীদের স্বনির্ভর হতে এবং নিজেদের মুক্তির জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁর বক্তব্যই ছিল নিজেকে চেষ্টা করতে হবে।

রবি ঠাকুরের সাথে সুর মিলিয়ে বলি---- জগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিটির নাম বুদ্ধদেব।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক আছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া বড় ভাই।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


গৌতম নিজের মতবাদ প্রচারে মিথ্যার আশ্রয় নেয়নি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: মিথ্যার আশ্রয় নেয় নি কাউকে হত্যাও করে নি।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৫০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন:

ভাল বিতর্ক শুরু করলেন। দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।
লিখেছেন ভাল,একাডেমিক বক্তৃতার মতো মনে হয়।
বার বার তিনি নির্বাণ লাভ করার কথা বলেছেন।
নির্বাণ কি বিষয়টা বুঝি নাই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাণ আপনি ভালো করেই বুঝেন। জানেন।

নবুয়াত বুঝেন?

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ভাবে বাঁচতে হলে অনেক কিছু জানতে হবে।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বৌদ্ধ ধর্মানুসারীদের সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস নিয়ে সঠিক লিখেছেন। আপনি জানতে চেয়েছেন যে তাদের ধর্মে জীব হত্যা মহা পাপ বলা আছে তো যদি কেউ এই পাপ করে ফেলে তাহলে তার বিচার বা শাস্তির ব্যবস্থা আছে কি না। আমার কাছে ইসলাম ধর্ম ছাড়া বাকি সব ধর্ম বাতিল। তবে যেহেতু আপনি জানতে চেয়েছেন তাই লিখছি। আমি এই ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানি না। তাই ভুল হলে ঠিক করে দেব। বৌদ্ধ ধর্মে যেহেতু সৃষ্টি কর্তা নাই তাই বিচার বা শাস্তি দেয়ার জন্য মৃত্যুর পরে কোনও বিচারকও নাই। ওনারা প্রাকৃতিক ঘটনাকে গুরুত্ব দেন। প্রাকৃতিকভাবেই অপরাধী শাস্তি পেয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন। তবে তাদের ধর্মেও প্রায়শ্ছিত্ত আছে। তাই প্রায়শ্চিত্ত করলে শাস্তি থেকে মাফ পাবে।

যীশুখ্রিষ্ট ইসলামের নবী তাই উনি প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থেকেছেন এরকম কোনও কথা শোনা যায় না। ইসলামে প্রাণী হত্যা করে উদরপূর্তির অনুমতি আছে। মানুষ হত্যাও মহান হতে পারে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদগাজী, ডা এম এ আলী, আহমেদ জি এস ভাইদের ( কেউ বাদ পড়লে যোগ করে দেব) মতো বাংলার অকুতোভয় দামাল ছেলেরা সহস্র পাকি সেনার যান কবচ করেছেন। পালি একটা ভাষার নাম। রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধদেবের প্রশংসা করলেও তিনি ব্রাহ্ম সমাজেই ছিলেন সব সময়। কিছু হিন্দু ধর্মীয় আচারও সম্ভবত করতেন ও তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি সব ধর্মকেই সমান গুরুত্ব দেই। কোনো ধর্মকে অবহেলা করতে ইচ্ছা করে না। সবচেয়ে বড় কথা- মানুষের বিশ্বাসকে অবহেলা করা ঠিক না। পাপ করলে 'প্রায়শ্চিত্ত' করতে হবেই। এটা থেকে বাঁচার কোনো উপায় নাই।
রবীন্দ্রনাথা কেন আমাদের নবিজির প্রশংসা করলেন না? উনি এত বড় কবি।

ধন্যবাদ আপনাকে আমার প্রস্নের উত্তর দেওয়ার জন্য।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৯

এ.এস বাশার বলেছেন: ওহ বিতর্ক নয়! মনিষীদের সম্পর্কে জেনে থাকা ভালো। কিন্তু রবি ঠাকুরের উদ্ধৃতির সাথে একমত নই।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: কবিরা খুব একটা ভুল বলেন না।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

রাশিয়া বলেছেন: বৌদ্ধরা যদি ঈশ্বরে বিশ্বাসী না হয়, তাহলে আমার একটা কথা আছে। আগে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধের দেশ ছিল চীন। সেই চীনের ৯৫% মানুষ এখন নাস্তিক। বাকি ৫% মানুষের মধ্যে কনভার্টেড খ্রিস্টান এবং মুসলিমও আছে। বৌদ্ধ ধর্ম নিজেই যদি আনএফিলিয়েটেড হয়ে থাকে, তবে ৯৫% মানুষের নাস্তিক হবার প্রয়োজন কি ছিল? তার বৌদ্ধ ধর্মে থেকেও তো নাস্তিকতা প্র্যাকটিস করতে পারত।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: প্যাচানো কথা। আমি উত্তর দিতে পারবো না।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ঠাকুরমাহমুদ আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্নঃ স্বর্গ, নরক, অসুর, প্রেতলোক, ইত্যাদির অবস্থান কোথায় এবং এগুলোকে কে সৃষ্টি করেছে? -

কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরষ্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।

- কবি শেখ ফজলল করিম

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
আমি ইচ্ছা করেই আপনাকে সহজ প্রশ্ন করেছি। বাচ্চাদের মতোন প্রশ্ন করেছি। তবু আপনি আপনার মতোন উত্তর দিয়েছেন। আমি খুশি।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: গৌতম বুদ্ধ বা বৌদ্ধধর্ম ঈশ্বর সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেনা। একবার গৌতম বুদ্ধের একজন ডিসাইপল বুদ্ধের কাছে আসলেন এ ব্যাপারে একটা হেস্ত নেস্ত করার জন্য; আজ গৌতম বুদ্ধকে পরিষ্কার করে বলতেই হবে- ঈশ্বর আছেন কি নেই...।

ভক্ত গৌতম বুদ্ধের কাছে গিয়ে বললেন, আজ আপনাকে আমার একটা প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর দিতে হবে, যদি উত্তর না দেন, তাহলে আমি আর আপনার অনুসারী থাকবো না।
গৌতম বুদ্ধ বললেন-
: বল বৎস তোমার প্রশ্ন কি?
: ঈশ্বর কি আছেন?
: আমি কি বলেছি যে ঈশ্বর আছেন?
: তাহলে কি ঈশ্বর নেই?
: আমি কি বলেছি যে ঈশ্বর নেই? শোন বৎস, তোমার শরীরে একটা বিষমিশ্রিত তীর এসে লেগেছে, এখন তোমার প্রথম কাজ হলো দ্রুত চিকিৎসালয়ে যাওয়া, তীর মুক্ত হওয়া। এখন তুমি যদি সেটা না করে কে তীর মারলো, কোথা থেকে মারলো, কেনো মারলো, এগুলো খোঁজ করতে থাকো, তাহলে তুমি সুস্থ হওয়ার বদলে মৃত্যুমুখে পতিত হবে।

তুমি এই পৃথিবীতে এসেছো দুঃখ নিয়ে, সে দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া দরকার। কিভাবে সেটা পাওয়া যাবে, সেটাই তোমার প্রধান মোক্ষ হওয়া প্রয়োজন, ঈশ্বর আছে কি নেই, তা নয়...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর নিয়ে যদি না ভাবি তাহলে নামাজ রোজা হজ্ব নিয়েও ভাবার দরকার নাই।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

ching বলেছেন: াহাড় থেকে কলা সাপ্লাই দিব কাওরান বাজরে বেচতে পারবেন। মনে কিছু নিবেন না। আগ্রহী হলে বলবেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: চিন্তা করে দেখি।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: রাজীব নুর ইদানীং সিরিয়াস লেখা লিখছেন। নাহ্?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বয়স বাড়ছে। তাই।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: ফিলোসফির একজন ছাত্র হিসেবে বুদ্ধের দর্শন বিস্তারিত পড়ার সুযোগ হয়েছে। এটা এতই বিস্তারিত যে স্বপ্ল ভাষায় আপনার এক পোস্টে বুঝানো অসম্ভব। আপনি নির্বান কি জিনিস সেটাও বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। লোকে প্রশ্ন করেই চলেছে। আপনিও উত্তর দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এই ছোট্ট পরিসরে এত বড় কিছু বুঝাতে না যাওয়াই ভালো।

পোস্টে লাইক। ভালো থাকবেন।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তবে আমি খুব ভালো করেই জানি এবং বুঝি নির্বান কি।

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর ॥
মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে,
বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে ॥
গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে ॥
ধরণী’পরে ঝরে নির্ঝর, মোহন মধু শোভা
ফুলপল্লব-গীতবন্ধ-সুন্দর-বরনে ॥
বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা,
করুণা তব অবিশ্রাম জনমে মরণে ॥
স্নেহ প্রেম দয়া ভক্তি কোমল করে প্রাণ,
কত সান্ত্বন করো বর্ষণ সন্তাপহরণে ॥
জগতে তব কী মহোৎসব, বন্দন করে বিশ্ব
শ্রীসম্পদ ভূমাস্পদ নির্ভয়শরণে ॥
রাগ: ঝিঁঝিট
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1299
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন



১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ধর্মপ্রচারকদের মধ্যে আমার মতে গৌতম বুদ্ধ ও যীশুখ্রীষ্ট ছিলেন প্রধান ব্যক্তি যারা নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য কখনোই রক্তপাত করেননি । যুদ্ধবিগ্রহের
জড়াননি।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.