নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
'আদর্শ হিন্দু হোটেল' লেখক-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কতগুলো সাধারণ মানুষের অসাধারণ জীবনযাপন তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে। ইংরেজ সময়ের পটভূমিতে এ উপন্যাসে লেখক তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের একজন 'রাঁধুনী বামুণ', হাজারী দেবশর্মার জীবনকথা। 'দাম্পত্য কলহ' সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এর বই। দাম্পত্য জীবনের মান অভিমান, খুনসুটির উপর লেখা। অসম্ভব মজার ও চিত্তাকর্ষক। আজিজুল হকের লেখা 'কারাগারে ১৮ বছর'। লেখক এই বইতে নকশাল যুগে কারাগার জীবনের কঠিন, কষ্টকর ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন। বাংলা ভাষাকে বুঝতে হলে বুঝতে হবে বাঙালিকে। সাথে বাঙালির মন ও মননশীলতাকেও। আর সেজন্য আপনি পড়তে পারেন হুমায়ুন আজাদের লেখা 'সীমাবদ্ধতার সূত্র'। আমার মতে, বাঙালির চরিত্রের চিত্রণ এর আগে এত স্পষ্টভাবে আর কোন বাঙালি লেখক লেখেন নি।
'গল্পে বেদান্ত' স্বামী বিশ্বাশ্রয়ানন্দ এর লেখা।
খুব ছোট বই। তবে চমৎকার লেখনী। ছোটোদের জন্য লেখা হলেও বড়দেরও ভালো লাগবে বইটি। 'আমার আমি' উত্তম কুমার এর লেখা। আত্মজীবনী মূলক বই। উত্তম কুমার কোটি বাঙ্গালীর প্রিয় অভিনেতা। 'সমুদ্রের ডাক' কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের অসাধারন উপন্যাস। ওবায়েদ হকের 'তেইল্লা চোরা'। মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে লিখা একটি বই। যেটি একজন চোরের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখা। গ্রামের কাইল্লা চোরা নামক চোর প্রথমবারের মতো চুরিতে হাতেনাতে ধরা পড়লে গ্রামের মানুষ তাকে মারধর করতে কোনো কার্পণ্য করেনি। এই মারধরে কাইল্লা চোরার মৃত্যু হলে তার ছেলের করুন নিয়তি তাকেও বাধ্য করে সেই একই পথে যেতে। সে হয়ে যায় তেইল্লা চোরা। এই গল্পটা তাকে ঘিরেই। তার জীবন সংগ্রাম, তার দেশের জন্য চিন্তা চেতনা সব প্রকাশ পায় এই বইয়ে। সেই সাথে গ্রামীণ বাংলার মানুষের কিছু মনোভাব খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বইয়ের নাম- 'কেরী সাহেবের মুন্সী' লেখক- প্রমথনাথ বিশী।
বইটা খুব সুন্দর। পড়ে ভালো লেগেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বই 'আমি কি বাঙালি?' জহির রায়হানের উপন্যাস 'শেষ বিকেলের মেয়ে' দারুন একটা উপন্যাস। উপন্যাসের নায়ক কাসেদ যখন সব কিছু হারিয়ে (মা, ভালবাসার মানুষ জাহানারা, শিউলী, বোন) বিষন্নতায় ভুগছিলো ঠিক তখনেই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন এক রোমাঞ্চকর কাহিনীর। দেবেশ রায়ের 'আত্মীয় বৃতান্ত'। একজন মহিলা একজন পুরুষকে বিয়ে করে। মহিলার ঘরে ছিলো এক মেয়ে আর পুরুষটার ঘরে এক ছেলে। তারা সবাই একসাথে মহিলাটার ঘরে থাকতে শুরু করে। চমৎকার কাহিনী। 'শ্রীকান্ত' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর। আমার জীবনে পড়া সেরা বইয়ের একটি। উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র শ্রীকান্তের কিছু আসাধারণ ভাবনা এই গল্পে উঠে আসে যেগুলো আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।
দেবতা বাংলায়, আরবিতে ফেরেশতা যাদের বিশ্বাসের সূচনা করেছিল গ্রীকরা।
সর্বশেষ এই বিশ্বাসের উপর রচিত গ্রন্থ কুরআন যা আরব অধ্যুষিত। প্রিয় ব্লগারগন আমি কিন্তু আস্তিক। সৃষ্টিকর্তা আছে এইটা আমি বিশ্বাস করি। পরকাল আছে এটাও আমি বিশ্বাস করি। যদিও কঠিনভাবে ধর্মকর্ম করি না। তবে চেষ্টা করি। কুরআন মাজিদে সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন'। আমি ভীষণভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তবে নামাজ-রোজা করা হয় না। ওই বিপদে পরলে একটু নাম জপতে থাকি এই ধরনের। কিন্তু 'গৌরিপুর জংশন' পড়ার পর নিজেকে এতটাই আশীর্বাদপুষ্ট লাগলো;মনে হলো সৃষ্টিকর্তা রোজ আমার কাছে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ পাওনা। ধর্মীয় বইসমূহ ইতিবাচক দিকসমূহের নির্দেশনা দেয়। আত্নউন্নয়নমূলক, দর্শন, মনোবিজ্ঞান ও বর্হিবিশ্বের বইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় বইও পড়া জরুরি বন্ধুগন। এই ধর্মীয় বইগুলো ইহকাল ও পরকাল উভয়ের জন্য পরিপূর্ণ গাইডলাইন।
প্রশ্নঃ কে পৃথিবীর নাম 'পৃথিবী' দিয়েছে?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ সব সময় বুঝতে চেয়েছে, এই বিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হলো? কেহ ইহাকে সৃষ্টি করেছে কিনা, কেহ আমাকে সৃষ্টি করেছে কিনা?
-একমাত্র আসল শিক্ষিতরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কিছুটা অনুমান করতে পেরেছে, বাকীরা ভুল ভাবনার উপর বসে আছে; বহু দেবতা, নবী, পুরোহিতও ভুল ভাবনার উপর বসে আছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফেরেশতার বাংলা দেবতা না। বরং দেবদূত বললে কিছুটা অর্থবোধক হয়। আরবের পৌত্তলিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করতো। কোরআন লেখা ছিল লাওহে মাহফুজে (রক্ষিত ফলক) অনাদিকাল থেকে। ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর কথা কোরআনকে রসূল ( সাঃ) এর মুখে দিয়ে দেয়া হতে থাকে। ২৩ বছরে এটা নাজিল হয়। গ্রীক কাহিনীর সাথে কোরআনের কোনও সম্পর্ক নেই। কোরআনের বর্ণনা মৌলিক। কোরআন কোনও জায়গা থেকে কিছু ধার করে নি। যদিও বিধর্মীরা এরকম বলে। বরং কোরআন বেশীরভাগ ব্যাপারে বাইবেলের নতুন ও পুরাতন টেস্টামেন্টের বিপরীত বলেছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী দেবদূত।
আপনার কাছে কি ২৩ বছর খুব বেশি মনে হচ্ছে না। যেহেতু এটা মহান গ্রন্থ আর মহান প্রচুর বানী।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোরানের বাংলা অর্থসহ পড়লে অনেক কিছু বুঝার আছে
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলা অর্থসহ পড়েছি।
এবং বহু লোক বাংলা অর্থসহ পড়ে নাস্তিক হয়ে গেছে।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক আছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এতোগুলি নাম বললেন তার মধ্যে মাত্র দেড়টি পড়েছি।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: পড়া আরো বাড়াতে হবে। ছবি তোলার চেয়ে বেশি দরকার বই পড়া।
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: পড়তে হবে। পড়তে হবে। পড়তে হবে। পড়ার বিকল্প নাই।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আজিজুল হক আমার একজন প্রিয় লেখক।আনীকে তার কিছু লেখা পড়েছি।তার গুরুর অনেক তত্ত্ব মূলক লেখা পড়েছি ৬৯/৭০ এর দিকে।রাশিয়া কেন ব্যর্থ হল এই বিষয়ে তার একটা তথ্যবহুল বই আছে।
@নেওয়াজ আলি,আরবিতে পড়েই মানুষ ভাল আছে,বুঝে পড়তে গেলে অনেকেই মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদের মত হয়ে যাবে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মহাকালের কাছে ২৩ বছর বেশী না। হাশরের দিনের দৈর্ঘ্য হবে ৫০,০০০ বছরের সমান।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: হাশর নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত না।
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২
কল্পদ্রুম বলেছেন: মূল্যবান সব বইয়ের নাম এক জায়গায়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: চেষ্টা করেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লাগল। শুভ কামনা।