নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
আমি ভূত বিশ্বাস করি?
তাদের অস্তিত্ব আমি খুব টের পাই। গভীর রাতে, একা, নির্জন রাতে জঙ্গল দিয়ে হাটলে আপনি ভূতের সাক্ষাৎ পেতে পারেন। কারন, তখন আপনার মাথায় শুধু একটি বিষয়'ই থাকবে- তা হলো ভূত। আপনার গা সমসম করবে, একটু আতঙ্কে থাকবেন, মাথায় মধ্যে ভূতের চিন্তা থাকবে তখন, বাতাসে গাছের নরাচারা করা, কলা পাতার দোল খাওয়া, বাদুড় উড়ে যাওয়া এসব ঘটনা আপনার মস্তিষ্ক একত্রিত করে ভূত দেখাতেই পারে। বেশির ভাগ ভূত'ই নারী এবং তাদের কেউ কেউ বেশ রোমান্টিকও বটে। তবে একটি জিনিস ঠাহর হয় না আমার, সব ভূতরা সাদা জামা কেন পরে এবং পায়ে কোনো পাজামা কেন থাকে না? তার মানে কি ভূত পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুসরণ করে? ভূতের চোখ লাল কেন হয়? চেহারা বিশ্রী হয় কেন?
নির্জন জায়গায় কোনো শব্দ শুনতে পেলেই সেখানে ভূত আছে!
কোনো বস্তুকে কারণ ছাড়া নড়তে দেখলেই সেটা ভূতে করছে! কেউ অসুস্থ হলে সহজে সেরে না উঠলে তার উপর ভূত ভর করেছে! প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের মধ্যে এ ধরণের অশুভ শক্তির বিশ্বাস বিরাজ করেছে। এ ধরণের বিশ্বাস জন্মানোর কারণ হলো- মানুষের অসহায়ত্ব! অজ্ঞতা। মানুষ যখন কোনো ঘটনার যথাযোগ্য কারণ এবং প্রতিকার খুঁজে না পায়, তখনি দোষটা ওই অতি প্রাকৃতিক শক্তির উপর চাপিয়ে দেয়। আমিও ভূতের সাক্ষাৎ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। ভূতের সাথে একটা সেলফি তুললে জীবনটা বোধহয় ধন্য হতো! 'সর্ষের ভেতরে ভূত' একটি প্রবাদবাক্য হিসেবে চলে আসছে। আগেকার দিনে (এখনো কোথাও, কোথাও দেখা যায়) কারোর অপ্রকৃতিস্থ আচরণে যদি সন্দেহ সৃষ্টি হতো তাহলে বিজ্ঞের মতো বলা হতো- 'ভুতে ধরেছে'। তখন ওই ভূত ছাড়ানোর জন্য নানারকম তুকতাক, ঝাড়ফুঁক এসব করার নিদান চালু ছিলো। এখনও গ্রাম অঞ্চলে এরকম চলে।
অনেক গল্প শুনেছি-
নদীতে, খালে, বিলে মাছ ধরতে গিয়ে অনেকেই ভূতের পাল্লায় পড়েছে। আমি নিজেও সেরকম একবার মাছ ধরতে গিয়ে ভূতের পাল্লায় পড়ে যাই। সে গল্প আরেকদিন করবো। 'সিজোফ্রেনিয়া' নামক মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষদের মস্তিষ্ক নিজে থেকে নানা রকম বিভ্রম তৈরী করে। যেমন কিছু ক্ষেত্রে এদের মস্তিষ্কে অন্য মানুষ কথা বলে অথচ বাস্তবে তেমন কথা বলা হচ্ছে না বা কোন বক্তা সেখানে উপস্থিত নেই। অনেক সিজোফ্রেনিয়া রোগীর মস্তিস্ক তার শরীরের ভেতর সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে বা কোন পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অনুভূতি লাভ করে। কিছু রোগী অবিকল অন্যের স্বর নকল করে কথা বলে। মস্তিষ্কে নানা কেমিক্যলের ভারসাম্যহীনতার জন্য সিজোফ্রেনিয়া রোগ হয়। এর চিকিৎসাও বের হয়েছে যাতে মস্তিষ্কের বিভ্রান্তি দূর হয়। তবে বংশ পরম্পরায় ভুতের এই ধারনার কথা প্রচলিত থাকায়, রূপকথার বিষয় বস্তু হওয়ায় বা জ্বীন-ভূত এর কথা ধর্মের অন্তর্গত হওয়ায় আমাদের মনে ভুতের অস্তিত্বের ধারনা মাথা গেড়ে বসেছে। যা দুঃখজনক।
আদিম যুগে ভুতেরা মোটামুটি কাপড় ছাড়াই থাকতো।
বাংলা সাহিত্যে অবশ্য প্রেতাত্মা ভাবনায় কিছুটা নতুনত্ব আছে। বাংলাদেশি নারী যখন সৌদি আরবে যায় জীবিকার তাগিদে তখন সে মনে করে 'ইসলামের পবিত্র ভূমিতে' পবিত্র মানুষদের মাঝে যাচ্ছে। আমার নবিজির দেশে যাচ্ছি। সবার এই ভাগ্য হয় না। নবীর দেশে যাওয়ার ভাগ্য সবার হয় না। হজ্জ, ওমরাহ ছাড়া ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়ার ভাগ্য সবার হয় না। সেখানে টাকাই টাকা, মনে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশি অসহায় নারীটি ভিন্ন সংস্কৃতির সৌদি আরবে গিয়ে প্রথম দিকে বুঝতে বুঝতে তার কেটে যায় অনেকটা সময়। আরবী ভাষা তো কিছু বুঝেই না। বাংলাও সেখানে বলতে পারে না। আরবেরা বিড় বিড় করে আরবীতে কি জানি বলে, বাংলাদেশি মহিলা অসহায়ের মতো চেয়ে থাকে। সে ভাবে, নবীর দেশের মানুষ। অবশ্যই ভালো মানুষ হবে।
সরল বিশ্বাসে বাংলাদেশি নারী সেই আরব লোকটির কাছে যায়। আরব লোক তার গায়ে হাত দেয়। তার সাথে সহবাস করতে চায়। বাংলাদেশি নারী তো বুঝে না যে বিড় বিড় করে আরব লোকটি সেক্স করার কথা বলছে। বাংলাদেশি নারীটি যখন বুঝতে পারে তখন দেরী হয়ে যায়। সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এ কোন গজব। নিজের ইজ্জত হারিয়ে বাংলাদেশি নারী মানসিকভাবে অত্যন্ত বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তার উপরে প্রহার তো আছেই। শরীরে দাগ ফেলে দেয়। কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নেই। লজ্জায় এই ঘটনা কাউকে বলাও যায় না। নিজের স্বামী সন্তানকেও না।
এবার আসুন আসল কথায়-
জ্বীন-ভূত কিংবা কোন অলৌকিক কিছুর অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। আত্মা বলে যে কোন অলীক বস্তু বা কোন কিছু আছে সেটাও প্রমাণিত সত্য নয়। যার অস্তিত্ব নেই তা মানব সভ্যতার কোন কাজেই আসে না। ভাল কাজেও না, খারাপ কাজেও না, তবে এদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস মানুষকে বিভিন্ন নিকৃষ্ট কাজের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কাজেই ভূত প্রেত নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। মানুষের চেয়ে দুষ্ট ভূত দুনিয়াতে আর কিছু নেই। এইসব দুষ্ট ভূত থেকে সাবধান থাকা উচিত। তবে 'মানুষ ভূত' ছাড়া সমস্ত রকম ভূতে ভয় পাওয়া বাদ দেন। ভয়কে জয় করতে পারলে সামনের দিকে এগোতে সুবিধা হবে। তাহলেই জীবন হবে আনন্দময়।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: তারা অযোগ্য এবং অদক্ষ।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১২
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বীন-ভূত কিংবা কোন অলৌকিক কিছুর অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। আত্মা বলে যে কোন অলীক বস্তু বা কোন কিছু আছে সেটাও প্রমাণিত সত্য নয়।‘
- যতক্ষন পর্যন্ত না শতভাগ নিশ্চিত প্রমানিত হচ্ছে নেই ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভবত নেই বলা উচিৎ। ঠিক বললাম কি?‘
শুধু সৌদি পুরুষরা কি দায়ি? সবকিছু জেনেও অনেক নারীরা এখনো যাচ্ছেন। সবাই অবলা নয়। আমি আন্দাজে বলছিনা- কিছু নারীরা ধরা খেয়ে অবলা সাজে, কিন্তু তাদের ইনটেনশন থাকে এইসব করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের।
এই কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে- আমি দুঃখিত।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: কোনও নারী শখ করে সৌদি যায় না। দারিদ্র তাদের ভুল পথে নিয়ে যায়।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বীন-ভূত কিংবা কোন অলৌকিক কিছুর অস্তিত্ব পৃথিবীতে নেই। আত্মা বলে যে কোন অলীক বস্তু বা কোন কিছু আছে সেটাও প্রমাণিত সত্য নয়।‘
- যতক্ষন পর্যন্ত না শতভাগ নিশ্চিত প্রমানিত হচ্ছে নেই ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভবত নেই বলা উচিৎ। ঠিক বললাম কি?‘
শুধু সৌদি পুরুষরা কি দায়ি? সবকিছু জেনেও অনেক নারীরা এখনো যাচ্ছেন। সবাই অবলা নয়। আমি আন্দাজে বলছিনা- কিছু নারীরা ধরা খেয়ে অবলা সাজে, কিন্তু তাদের ইনটেনশন থাকে এইসব করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের।
এই কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে- আমি দুঃখিত।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যদি মেয়েদের জন্য কর্মসংস্থান করতে পারতো তাহলে মেয়েরা সৌদির মতো বর্বর দেশে যেত না।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
শোভন শামস বলেছেন: জিন এবং মানুষ উভয়ই আছে, আত্মা বিষয়টা নিয়ে তেমন কিছু জানি না।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বীন কোথায় দেখলেন?
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সেলফি যে তুলবেন ভুতের তো ছবি তোলাযায় না।ছবি তোলতে পারলে তখন সেটা হয়ে যাবে ল্যাং মারা ভুত।পড়ে গেলে আদর করে তোলবে তারপর কোক বার্গার খাওয়াবে কায়দা করে ঘাড়ে চড়ে বসবে।এসব ভুত থেকে সাবধান থাকবেন।
যুক্তি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ খুবই ভাল লাগল।
সৌদিরা ১৪শবছর আগেও যেই অসভ্য ছিল এখনো তাই আছে। মাঝখান থেক অন্যান্য দেশের হাজার হাজার মানুষকে অসভ্য করেছে।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
রাজীব নুর বলেছেন: সৌদিরা ১৪শবছর আগেও যেই অসভ্য ছিল এখনো তাই আছে। মাঝখান থেক অন্যান্য দেশের হাজার হাজার মানুষকে অসভ্য করেছে। একদম সঠিক কথা বলেছেন।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুতের পায়ের পাতা নাকি উলটা দিকে ঘুরানো থাকে। আপনি তো অনেক ঘোরাঘুরি করেন। এরকম দেখেছেন না কি?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: উলটা দিকে ঘোরানো থাকে না। এগুলো ভূতদের নিয়ে মানুষের কুসংসার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা, রওশন, মতিয়া চৌধুরী, স্পীকার শিরীন আক্তার, সাহারা খাতুন, ইত্যাদির চোখের সামনে দিয়ে সৌদীতে বাংলাদেশী নারীদের পাঠানো হয়েছে; এসব ইডিয়টরা কোন ব্যবস্হা নেয়নি