নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ৬৮

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩০



একলোক সরকারী চাকরি করেন।
বড় পদে আছেন। আমি মাঝে মাঝে তার কাছে যাই। তিনি নিজের হাতে কফি বানিয়ে খাওয়ান। এবং তিনি বলেন, আমি যাদের পছন্দ করি তাদের নিজের হাতে কফি বানিয়ে খাওয়াই। তিনি চিৎকার করে বলেন, আমি সৎ। আমি ঘুষ খাই না। আমার ডিপার্টমেন্টের অন্যরা ঘুষ খায়। কিন্তু আমি ভালো মানুষ। এই লোক ইউরোপের অনেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন পরিবার নিয়ে। ভদ্রলোক লেখালেখি করেন। নিজের লেখা নিয়ে নিজেই গর্ব করেন। সারাদিন অফিসে বসে ফেসবুকে নিজের আর নিজের বইয়ের ছবি পোষ্ট করেন। ইদানিং তিনি নিজের বই নিয়ে নিজেই আলোচনা করেন। সেই আলোচনার ভিডিও নিজেই ফেসবুকে পোষ্ট করেন। অফিসে বসে পড়বেন, লিখবেন। উনি প্রায় ৪০ টার মতোন বই লিখে ফেলেছেন। আমার কথা হলো, উনি কেন অফিস টাইমে লেখালেখি করবেন? কেন ফেসবুকে ছবি দিবেন? কেন ভিডিও দেবেন। অফিস রুমটাকে নিজের ব্যাক্তিগর রুম বানিয়ে নিবেন। তার কি কোনো কাজ নেই অফিসে? প্রতিদিন একই ঘটনা। এবং উনার বিশ্বাস সরকারী আমলারা বাংলা সাহিত্যকে দখল করে নেবে।

আমি বিশ্বাস করি-
যার যা দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করলেই দেশ উন্নত হবে। অফিস হচ্ছে কাজ করার জন্য। লেখালেখি বা পড়ার জন্য না। এই সাহিত্যিককে কে বুঝাবে? যাই হোক, 'আজকের ডায়েরী'তে আমি এসব নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। ভদ্রলোকের কথা বললাম, কারন সামুতে ঢুকার আগে ফেসবুকে ঢু মেরেছিলাম। সেখানে দেখলাম ভদ্রলোক একটা নতুন ভিডিও দিয়েছেন। ভিডিওতে নিজের লেখার গুনগান করছেন। এবং তার বই যারা পড়েছে তাদের তিনি নিজের হাতে কফি বানিয়ে খাওয়াতে চাছেন। কফি খাওয়াবেন নিজের বাসায় না। অফিসে। আমি বলতে চাই, অফিসটা কি তোর বাপ দাদার সম্পত্তি? তোর বাসা নাই? সরকারী অফিস কি তোর বই নিয়ে আলোচনার জায়গা? ভিডিও করার জায়গা? কফি খাওয়ার জায়গা? কফিও তো তোর নিজের পয়সা কেনা না। তুই কেমন সাহিত্যিক? তোর মানসিকতা তো উন্নত না। তুই সাহত্যিক হলি কেমন করে রে ছাগল? এই জন্যই দেশের আজ এই অবস্থা। তোর মতোন লোক নিশ্চিই আরো অনেক আছে সরকারী অফিস গুলোতে।

আজ আমাদের বুয়া আসে নি।
আসবে না, তা আগেই বলে গেছে। আজ এক তারিখ বুয়া তার বাসা পাল্টাবে। এটা আমাদের নতুন বুয়া। আগের বুয়া নিজে ইচ্ছা করেই চলে গেছে বলা যায়। আগের বুয়া মাসে পনের দিন আসতো না। নানান রকম উছিলা সে দেখাতো। টানা পাঁচ বছর সে এরকম করেছে। তবুও তাকে মানবিক কারনে মানা করি নাই। একদিন সে টানা বিশ দিন এলো না। সুরভি ফোন দেয় কিন্তু ফোন ধরে না। তারপর সুরভি নতুন বুয়া রেখে দেয়। নতুন বুয়া চমৎকার কাজ করে। কোনো তাড়াহুড়া নেই। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটা কাজ সুন্দর করে করে। যাই হোক, নতুন বুয়া আসে নাই। সুরভিকে সকালে বললাম, আজ দুপুরে বাসায় রান্না করার দরকার নাই। আমরা বাইরে খাবো। অনেকদিন দুজনে একসাথে বাইরে খাই না। দুপুর দেড় টায় আমরা সত্যি সত্যি বাইরে খেতে গেলাম। ততক্ষনে আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে। ভাবী বললেন, বাইরে যাওয়ার দরকার নাই- আমি খিচুড়ি রান্না করেছি, সাথে বেগুন ভাজি আর ইলিশ মাছ ভাজা আছে, এখানেই খাও। আমরা বললাম, ভাবী রাতে খাবো।

সুরভি নিলো কাচ্চি, আমি নিলাম তেহারী।
সাথে কোক আর ফানটা। খাবার মোটামোটি ভালোই হয়েছে। রেস্টুরেন্টে বেশ আরাম করেই খেলাম। অবশ্য এই রেস্টুরেটে আরো অনেকবার এসেছি। বয় বেয়ারা আমাদের চিনে। সুরভি বলল, অনেকদিন পর বের হয়েছি- চলো রিকশায় করে কিছুক্ষন ঘুরি। আমরা রিকশায় দোয়েল চত্ত্বর পর্যন্ত গেলাম। সেখান কিছুক্ষন আগে বাসায় ফিরলাম। ঘরে ঢুকার পরই শুরু হলো ঝুম ঝুম বৃষ্টি। ভাবী বেশ রাগ করেছেন মনে মনে। তার ঘরে না খেয়ে কেন বাইরে খেলাম! সব সময় সবার মন রক্ষা করা যায় না। খুব আলসেমি পেয়ে বসেছে। আজ আর বাইরে যেতে ইচ্ছা করছে না। অথচ মনে হয় বাইরে যেতে হবে। আজ এক বন্ধুর জন্মদিন। সে আজ রাতে খাওয়াবে আমাদের কয়েকজনকে। না গেলে রাগ করবে। আসলে মানুষ হয়ে জন্মালে কত জনের মন যে রক্ষা করে চলতে হয়! মন রক্ষা করতে না পারলেই গাল ফুলিয়ে থাকবে। অসহ্য।

গতকাল সন্ধ্যায় ভাবীর ঘরে চা নাস্তার দাওয়াত ছিলো।
আমি আর সুরভি গেলাম। গিয়ে দেখি ভাবী চিকেন ফ্রাই করেছে। আর থাই স্যুপ। চিকেন ফ্রাই আর থাই স্যুপ দুটাই আমার পছন্দ। ইচ্ছা মতোন চিকেন ফ্রাই খেলাম। প্লেটে যত গুলো ছিলো সব গুলোই খেয়ে নিয়েছি সস দিয়ে। একটাও অবশিষ্ট রাখি নাই। হে হে। থাই স্যুপটা কিভাবে করেছে, কে জানে! খেতে ভালো হয়েছে। স্যুপে চিকেন আর চিংড়ি মাছ দিয়ে ভরা। সব শেষে খেলাম চা। চা টা অসাধারন হয়েছে। ভাবী পানির মধ্যে চাপাতি দেয় না। দুধের মধ্যে চাপাতি ঢেলে চা বানায়। চায়ে সাথে সাথে চুমুক না দিলে সর পড়ে যায়। আমি ভাবীকে বললাম, আমি ভেবেছিলাম আপনি মোগলাই পরোটা বানাবেন। ভাবী বললেন, আগামীকাল (আজকে) খাওয়াবো মোগলাই। এখন তো বিকেল প্রায় হয়েই গেছে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই লোক কয় টাকা বেতন পায় যে পুরো ইউরোপ ঘুরে বেড়ায় পরিবার নিয়ে?
এই লোক সত্যবাদী নয়।
ঘুষ খায় না এমন লোক বাংলাদেশের কোন অফিসেই নেই।
এই লোক সত্যের অপলাপ করেছে। ৎ
এর বিচার হওয়া জরুরী।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: হবে না। উনি অনেক বড় পদে আছেন। উনি বলেছেন উনার স্ত্রী টাকার ব্যবস্থা করেছেন।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

আমি সাজিদ বলেছেন: সাজ্জাদ ভাইয়ের কমেন্টের সাথে আমিও একমত।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই সত্য বলেন। উনি সস্তা আবেগের ধার ধারেন না। যুক্তিবাদী মানুষ।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: হবে না। উনি অনেক বড় পদে আছেন। উনি বলেছেন উনার স্ত্রী টাকার ব্যবস্থা করেছেন।

দুজনকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: উনার স্ত্রীও সম্ভবর সরকারী চাকরী করেন। অথবা বিরাট ধনী লোক। এমন হতে পারে না? সবাই তো দূর্নিতিবাজ না।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকারি বেশিরভাগ আমলা নিজের অফিসকে বাসার রুম হিসেবে ব্যবহার করে। এরা ঠিকভাবে আট ঘণ্টা ডিউটি করে না।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
রাজার হালতে মহা সুখে আছেন !!
আজ না আপনার দাওয়াত বন্ধুর
জন্মদিন ! তা হলে ভাবীর মোগলাইর
কি হবে? ওদিকে বন্ধু মুখ গোমরা করবে।
একন শ্যাম রাখবেন না কূল ?

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: রাজার হালে নাই। দরিদ্র অবস্থার মধ্যে আছি।
মোগলাই তো রাতের খাবার না। এটা সন্ধ্যার নাস্তা। আর বন্ধুর ওখানে রাতের খাওয়া।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ লাগে আপনার দিনরাত্রি !

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাবীকে এভাবে বিব্রত করা ঠিক হয় নাই। মান না মান ম্যায় তেরা মেহমান।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভাবী মোটেও বিরক্ত হয় না। ভাবী বিরক্ত হলে তার কাছ থেকে একশ' হাত দূরে থাকতাম। উনার আন্তরিকতা আমি এবং সুরভি বুঝি। উনি রান্না করতে পছন্দ করেন। খাওয়াতে পছন্দ করেন।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: রাজার হালে নাই। দরিদ্র অবস্থার মধ্যে আছি।
মোগলাই তো রাতের খাবার না। এটা সন্ধ্যার নাস্তা।

খানসাব দিনে রাতে কয়বার খান !!!

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: এক হিসেবে সারা দিনই খাই।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খাওয়ার কথা পড়লে কষ্ট লাগে ভাই ।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৬

কলাবাগান১ বলেছেন: কে জানি নিজে স্বীকার করেছিল যে অফিসে কাজের সময়ে, সামুতে অফিস সময় কাটাতেন বলে তার চাকরী নট হয়েছিল???

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে। ভালো থাকুন।

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা দশ কথার এক কথা যে প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করলেই দেশ উন্নত হবে।সচেতন হতে হবে প্রতিটা নাগরিক কে।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হ্যা।

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪৫

এম ডি মুসা বলেছেন: হরেক রকম মানুষ আছে তো এরকমই

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: ইউরোপের অনেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন এমন লোকের চাইতে আফ্রিকার অনেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন এমন লোককে আমি বেশি সন্মান করি।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: একেক জনের ভালো লাগা একেক রকম। কারো ভালো লাগে সমুদ্র, কারো ভালো লাগে পাহার অথবা বন জঙ্গল। সবার ভালো লাগাকেই সম্মান জানানো উচিত।

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: বয়স হয়েছে এখন খাওয় কমান =p~ =p~ =p~

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী না আমার ততটা বয়স হয় নাই।

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

জাহিদ হাসান বলেছেন: ব্যাপারটা ভালো লাগার না।

আমি বুঝাতে চেয়েছি আফ্রিকার দারিদ্র মানুষকে যারা সাহায্য করে.....

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: উনার স্ত্রীও সম্ভবর সরকারী চাকরী করেন। অথবা বিরাট ধনী লোক। এমন হতে পারে না? সবাই তো দূর্নিতিবাজ না।


ধনী লোকেরা চাকরি করে না। চাকরি গরিব মানুষদের কাজ।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ভুল কথা বড় ভাই। বহু মানুষ আছেন- তাদের টাকার সমস্যা নাই। কিন্তু চাকরি করছেন।

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন: ভুল কথা বড় ভাই। বহু মানুষ আছেন- তাদের টাকার সমস্যা নাই। কিন্তু চাকরি করছেন।

আমি ধনী লোক হলে চাকরি করতাম না। গরিব মানুষদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদেরকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দিতাম। অসহায় মানুষদেরকে মাছ মাংস রান্না করে খাওয়াতাম।
কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য নেই।
আফসোস!

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মানসিকতা আপনার মতো উন্নত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.