নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
'পুতুলনাচের ইতিকথা' এই বইটা সমস্ত বই পড়ুয়ারা অবশ্যই পড়েছেন। এক সাধারণ গ্রাম গাওদিয়া আর তার সাধারণ মানুষদের নিয়ে এ উপন্যাসের গল্প। বজ্রাঘাতে হারু ঘোষের মৃতদেহ আবিষ্কার- দৃশ্য দিয়ে উপন্যাসের শুরু আর মাটির টিলার ওপর উঠে শশী ডাক্তারের সূর্যাস্ত-দর্শনের শখের অতৃপ্ততা দিয়ে উপন্যাসের সমাপ্তি। শশী এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। পেশায় সে ডাক্তার। এক হিসেবে এই কাহিনি শশী ডাক্তারেরই কাহিনি। লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মীমাংসিতভাবেই বিজ্ঞানমনস্ক জীবনে বিশ্বাসী। তাঁর জীবনপাঠ থেকে অন্তত তা-ই অনুমেয়। তিনি নিজেই বলেছেন- 'সত্যই তো আর পুতুল নয় মানুষ। অদৃশ্য শক্তি মানুষের আঙ্গুলে বাঁধা সুতোর টানে সত্যই তো মানুষ পুতুলের মত নাচে না'। মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা বিশ্বাস ও সেই বিশ্বাসের কাছে ও সংস্কারের কাছে উপায়হীন আত্মসমর্পণই মানুষকে পুতুল করে দেয়।
'রাসূল (স) এর পারিবারিক জীবন' বইটি লিখেছেন ধর্মীয় লেখক মাওলানা আব্দুর রহীম। বইটিতে মানব জীবনের সমস্ত সমস্যা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পড়েছি, তবে ভালো লাগে নাই। বইয়ের নাম- 'mp3'। যারা অঙ্ক ভালোবাসেন বা অংককে ভয় পান তাদের জন্য এই বই। লেখক খাইরুল স্যার। বিসিএস এর জন্য বইটি ভালো। তাছাড়া এই বইতে ম্যাথ গুলো খুব সুন্দর করে দেওয়া। বইয়ের নাম- 'রিচ ড্যাড ও পুওর ড্যাড' লেখক- রর্বাট কিয়োসাকি। দুই বাবা, একজন ধনী আর একজন গরিব। এই দুই পিতার জীবন আদর্শ, চিন্তা চেতনার গুলো পার্থক্যের সন্নিবেশ ঘটিয়ে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন ধনী কিভাবে ধন অর্জন করে আর নির্ধনরা অর্থ সংকটের ট্রাপে কিভাবে আটকে গিয়ে পুরো জীবন গরীব থাকে। 'নীল ঘুর্ণি' সুচিত্রা ভট্টাচার্য এর বই। এই বইয়ের বিশেষত্ব হলো এতে অসম প্রেমের পরিণতি দেখানো হয়েছে। এক পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী তার এক অধ্যাপকের প্রেমে পড়ে যায়। বার্ধক্যের সীমায় দাঁড়ানো সেই অধ্যাপকের পক্ষে ছাত্রীর উত্তপ্ত যৌবন অগ্রাহ্য করা সম্ভব হয় না। ফলে ঝড়ের মতো প্রেম আসে। কিন্তু প্রেম যেমন ঝড়ের মতো আসে, তেমনি রংধনুর মতো চলে যায়।
'যখন নামিবে আঁধার' হুমায়ুন আহমেদ। বইটা গতকাল আরেকবার পড়লাম। মিসিরআলি সিরিজের একটা বই। এই বইটা আগেও তিনবার পড়া। সাসপেন্সটা অসাধারণ। একদম সোজা হয়ে বসতে বাধ্য করে। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইয়ের মতোনই হাতে নিলে না শেষ করে উঠার ক্ষমতা নেই। হালকা অমীমাংসিত থাকে অবশ্য। তারপরও অস্থির। হুমায়ূন আহমেদের আরো কিছু বই- 'নবনী', 'রোদনভরা এ বসন্তে', 'মেঘ বলেছে যাব যাব', 'বৃষ্টি বিলাস', 'আজ আমি কোথাও যাবো না' এই সমস্ত বই গুলো আমাকে কেমন একটা অনুভূতি দিয়েছে। আসলে বসের সব বই'ই মন কেমন যেন করিয়ে দেয়।
আমার প্রিয় তিনটা হবি হচ্ছে- স্কিল অর্জন, ভ্রমন করা ও বই পড়া। 'প্রথম আলো' সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়'। এই উপন্যাসের শুরুতেই দেখা যায়- রবি ঠাকুর উঠতি কবি হিসেবে নাম করতে শুরু করেন, তার লেখার প্রেরণা ছিলেন তাঁর নতুন বউঠান শ্রীমতী কাদম্বরী দেবী। এই বইতে অনেক-অনেক মহৎ মানুষের কথা রয়েছে। ঐতিহাসিক বিষয়কে গল্পের মত করে কী সুন্দর লেখা! লেখক অনেক পড়াশোনা করে এই বই লিখেছেন বোঝা যায়। সুনীলের 'সোনালী দুঃখ', 'স্বপ্ন সম্ভব', 'কোথায় আলো', 'নদীর পারে খেলা', 'আকাশ পাতাল', 'অচেনা মানুষ', 'উন্মোচনের মুহূর্তে' পড়তে পড়তে হাতে এসে গিয়েছিলো 'পূর্ব-পশ্চিম'। পূর্ব পশ্চিম সমস্ত বই পড়ুয়ারাই পেড়েছেন। আমি তিনবার পড়েছি।
উপন্যাসটির নাম 'গোরা' লেখক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যখন বয়স খুব কম ছিল তখন গোরা উপন্যাস পড়ে ভীষণ বিরক্ত হয়েছিলাম। এক পর্যায়ে মাঝের বেশ কিছু পৃষ্ঠা না পড়েই শেষের কয়েকপাতা পড়ে উপন্যাসটি রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তী জীবনে এই গোরা উপন্যাসই হয়ে ওঠে আমার অন্যতম প্রিয় একটি উপন্যাস। গোরা উপন্যাসে যে গভীর জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম ফুটে উঠেছে তা প্রকৃতপক্ষে বাংলা সাহিত্যে বিরল।
আমি প্রচুর পড়ি- কথা সত্য। কিন্তু কিছুই মনে রাখতে পারি না। আজ পড়লে কাল ভুলে যাই। অনেক প্রিয় বই ছিল, সে গুলোর নামও আজ মনে করতে পারি না। সময় আর পরিস্থিতির কারণে সবই ম্রিয়মাণ অবস্থায় আছে। অবশ্য জীবন মানেই দ্বন্দ্বের সমন্বয়। এটা শিখতে আমাকে বই পড়তে হয়নি। এটা বুঝি, সাহিত্যে ভালো দখল না থাকলে- জীবনে কোনো কিছুতেই সাফল্য আসে না। এমন কি একজন ভালো মানুষও হওয়া যায় না। 'শেষ বিকেলের মেয়ে' লেখক, জহির রায়হান। কেন্দ্রীয় চরিত্র কাসেদ। যে কোনো অন্তর্মুখী ছেলেরাই কাসেদকে চিনে নিতে পারবে। সে মনের আঙিনায় একের পর এক নায়িকার সাথে প্রেমের রিহার্সাল চালায়। কিন্তু কোনো রিহার্সালই কি শেষ পর্যন্ত মঞ্চস্থ হয়? জানতে হলে ৮৪ পৃষ্ঠার ছোট্ট বইটি পড়ে নিতে হবে। অবশ্যই ভালো লাগবে।
আহমদ ছফার লেখা ‘পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ’ বইটি পড়লে মনে হবে একজন মানুষের জন্য গাছ লাগানোই পৃথিবীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারে। এই বইটি পড়ে গাছ গাছড়ার ব্যাপারে আমার আজন্ম যে আগ্রহ ছিল তা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই বই পড়ে নিজেকে অনেক সুখি এবং আত্মতৃপ্ত মনে হয়। একটি গাছ লাগানো তার বেড়ে ওঠার সাথে মানুষের যে কতো আত্মিক সম্পর্ক আছে তা বইটি পড়লে পরিস্কার বুঝা যায়। রাস্তার বাচ্চাদের নিয়ে ছফার স্কুল বানানো এছাড়া প্রখ্যাত শিল্পী এস এম সুলতানের কিছু ঘটনা আছে বইটিতে। অনেকদিন পর শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি বই পড়লাম। তাও আবার ছোটদের! বইয়ের নাম 'জং বাহাদুর সিংহর নাতি'। শীর্ষেন্দু আমার প্রিয় লেখক। তার বই আগে গোগ্রাসে গিলতাম। তার রসবোধের আমি বড় ভক্ত। সেটাতে যে এখনও বিন্দুমাত্র মরচে পড়ে নি, তা এই বই পড়ে বুঝতে পারলাম। ছোটবেলার মতই আনন্দ নিয়ে পড়েছি।
বই 'অঙ্ক ভাইয়া' লেখক- চমক হাসান। বইটি গনিতের এক অসাধারণ বই। বইটিকে কেবল গনিতের বললে ভুল হবে কেননা এতে অত্যন্ত নাটকীয়তার সাথে একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। আসলে বইটিতে গনিতের নানা মজার মজার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। পিথাগোরাস দিয়ে আইনস্টাইনের সুত্র! পাইয়ের মান অতঘর জেনে লাভ কি? সাইন, কস নামগুলো কোথা থেকে এলো?
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: অন্য জগতের মানুষ বলতে কি বুঝাচ্ছেন? সাধু সন্যাসী টাইপ?
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে যখন বইপড়া নিয়ে পোষ্ট আসে, আমি চুপ হয়ে যাই।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি হয়তো একসময় প্রচুর বই পড়েছেন। এখন চোখের সমস্যার কারনে পড়তে পারেন না। তাছাড়া ব্লগ পড়লে এমনিতেই অনেক পড়া হয়ে যায়।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪১
এম ডি মুসা বলেছেন: শুভ সকাল ভাই
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দীর্ঘদিন ধরেই কোনো কিছুতেই শূভ না। চলছে অশুভ এর সংযোগ।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বই পড়ার মত আনন্দ জীবনে খুব কম কিছুতে আছে!
চমক হাসান পড়ি নাই ।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: পড়ে দেখুন। ভালো লাগবে।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষের জীবনে সময় কম তাই বই বেছে পড়া উচিত।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই। এবং তাই বাংলা সাহিত্যে কোন বই গুলো পড়তেই হবে আমি তার তালিকা করেছি।
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: বাহ! আপনার এই বই পড়া অভ্যাসটার জন্যই আমি আপনাকে পছন্দ করি।
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা বন্ধু।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
শোভন শামস বলেছেন: বই পড়ার মত আনন্দ জীবনে খুব কম কিছুতে আছে
০২ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল বললেন, বই পড়ার চেয়ে আনন্দ বেশি সেক্স করার মধ্যে।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কি ভাবে সমাজ পরিবর্তন করাযায় সেই চিন্তা করতাম এবং কাজ করতাম।সেই ধরনের বই পড়তাম।
সাহিত্যের বই না পড়ে সাহিত্য কি সেটা পড়তে চেষ্টা করতাম।
একটা বইয়ে দশ বারটা বাক্যও থাকে না যা জানা দরকার তার জন্য এত কষ্ট করে এত বড় বইটা কেন পড়া।
বই পড়া এক শ্রেনীর লোকের কাজ,সবার কাজ না।বিশেষ করে গল্পের বই।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত না। তবে আপনার মন্তব্যকে সম্মান করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৪২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অতিব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি এর মধ্যে একটি মাত্র বই ‘ গোরা’পড়েছি সেও প্রায় ৪০/৪৫ বছর আগে।আমি ছিলাম অন্য জগতের মানুষ।এই সমস্ত বই পড়ার মতো বই মনে করতাম না।