নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছেলেটার নাম হানিফ।
হানিফ বিয়ের অনুষ্ঠান ভিডিও করে। ভিডিও এডিটিংও করে। হানিফকে আমি চিনি। আমাদের এলাকাতেই থাকে। সে বাপ মায়ের একমাত্র সন্তান। লেখাপড়া কিছুই করে নাই। হানিফ প্রেম করে বিয়ে করেছে মাসুমাকে। বিয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে তিনটা মেয়ে হলো তাদের। পরপর তিন মেয়ে হয়েছে। হানিফের মেজাজ খুব খারাপ। হানিফের বাপ মায়ের মেজাজও আরো বেশি খুব খারাপ। হানিফ এবং হানিফের বাপ মা তিন মেয়ের মাকে অর্থ্যাত মাসুমাকে সারাক্ষন কটূ কথা বলতেই থাকে।
যেহেতু মাসুমার দুনিয়াতে কেউ নাই।
বাপ মা ছোট বেলাতেই মারা গেছে। অবশ্য এক ভাই আছে সে থাকে নারায়ণগঞ্জ। বোনের সাথে তার ঠিক ভাবে দেখা সাক্ষাৎ ই হয় না। হানিফের বাপ মা এবং হানিফ প্রতিদিন মাসুমাকে মানসিক অত্যাচার করতেই থাকে। সমস্ত ঘরের কাজ সে একাই করে। কাপড় ধোঁয়া, রান্না করা। এবং তিন মেয়েকে সামলানো। মাসুমার কোনো উপায় নাই। সে মুখ বুঝে সব সহ্য করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এরপর মাসুমার স্বামী হানিফ মাসুমার গায়ে হাত তুলতে শুরু করলো। সকাল সন্ধ্যা খুব মারে। মাসুমাকে বাচানোর কেউ নাই।
হানিফ তার স্ত্রীকে বলল, আমি তোমাকে তালাক দিবো।
তুই তোর তিন মেয়ে নিয়ে যেখানে খুশি চলে যা। মাসুমা বলল, ছোট ছোট তিন মেয়ে নিয়ে আমি কই যাবো? ওদের খাওয়াবো কি? ওদের লেখাপড়া করাবো কিভাবে? আমার কাছে কোনো টাকা পয়সা নাই। আমার কোনো সম্পত্তি নাই। হানিফ কোনো কথাই শুনলো। সে একদিন সত্যি সত্যি মাসুমাকে তালাক দিয়ে দিলো। মাসুমাকে ছোট ছোট তিন কন্যাসহ বাসা থেকে বের করে দিলো। মাসুমা তার ভাইকে নারায়নগঞ্জ ফোন দিলো। ভাই ছুটে এলো।
মাসুমার ভাই দরিদ্র মানুষ।
জুতার কারখানাতে কাজ করে। তার নিজের ঘর সংসার আছে। তবু সে তার বোনকে ফেলে দিলো না। একটা ছোট ঘর ভাড়া নিয়ে দিলো। হাতে কিছু নগদ টাকাও দিলো। শুরু হলো মাসুমার নতুন সংগ্রাম। এই সংগ্রামে আমার, সুরভির এবং আমার ভাবীর ভুমিকা আছে। মাসুমার তিন বাচ্চাকে এখন পড়ায় আমার ভাবী। এবং ভাবী তাদের সমস্ত লেখাপড়ার খরচ দিচ্ছে এবং দিয়ে যাবে। প্রতিদিন বিকেলে মাসুমার তিন বাচ্চা ভাবীর কাছে পড়তে আসে। বাচ্চা গুলোকে দেখে মনে হয় তারা ভাবীর কাছে পড়ে আনন্দ পাচ্ছে। মাসুমার ছোট মেয়েটা আমারে সাথে বসে চা খায়। মেয়েটা বড় অদ্ভুত সে কোক ফানটা পেপসি কিছু খায় না। শুধু চা খায়।
মাসুমা বলতে গেলে সারাদিন আমাদের বাসাতেই থাকে।
সুরভিকে আর ভাবীকে ঘরের কাজে সহযোগিতা করে। এজন্য ভাবী আর সুরভি তাকে মাস শেষে কিছু টাকাও দিচ্ছে। সেদিন মাসুমার ছোট মেয়ের জন্মদিন ছিলো। ভাবী নিজের হাতে সুন্দর একটা কেক বানিয়েছে দিয়েছেন। রাতের বেলা মাসুমা একগাদা খাবার নিয়ে এসে হাজির। তার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সে মোরগ পোলাউ রান্না করেছে। মাসুমার হাতের রান্না ভালো। সে মাঝে মাঝে আমার ঘরে রান্না করে। সব মিলিয়ে মাসুমা এবং তার তিন কন্যা এখন ভালো আছে।
সেদিন রাস্তায় মাসুমার স্বামী হানিফের সাথে আমার দেখা।
দেখলাম হানিফের সাথে একটা মেয়ে। আমি বললাম, এই মেয়ে কে? হানিফ বলল- ওর নাম আসমা। আমি আসমাকে বিয়ে করেছি। আমি বললাম, আসমাকে বাসায় দিয়ে আসো তোমার সাথে কথা আছে। হানিফ আসমাকে বাসায় দিয়ে এলো। আমি বললাম, তোমার তিনটা মেয়ে আছে, তাদের কি দেখতে ইচ্ছা করে না? তারা কেমন আছে জানতে ইচ্ছা করে না? মাসুমাকে কেন ছেড়ে দিলে? তাকে তো তুমি ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো! হানিফ বলল, আমি ছেলে চাই। ছেলে হলো বংশের প্রদীপ। ও আমাকে একটাও ছেলে দিতে পারে নাই। তিনটা মেয়ে দিয়া আমি কি করবো। এজন্য ওকে তাকাল দিয়ে আরেকটা বিয়ে করেছি। আমার আচমকা খুব রাগ হলো। যে কাজ আমি কখনও করি নাই সেই কাজ করে বসলাম। আমি ধাম করে হানিফকে একটা থাপ্পড় দিলাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: হানিফ বিরাট বদ। এঁকে চারটা চড় দেওয়া দরকার ছিলো।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই চড়টা দেয়া উচিত সমাজের গালে,যে সমাজ এমন শিক্ষা দেয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সমাজকে সুধু গালমন্দ করা যায়। চড় দেওয়া যায় না। সবচেয়ে বড় এই সমাজ নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিক হবে না।
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই চড়টা দেয়া উচিত সমাজের গালে,যে সমাজ এমন শিক্ষা দেয়।
সমাজ তো আপনাকে এই শিক্ষা দেয়নি। আমাকে দেয়নি।
এটা সমাজের দোষ না। ব্যক্তির দোষ।
পরিবারের দোষ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: পরিবারের দোষ। তারপর ব্যাক্তির দোষ। সরকারের দোষ। সব মিলিয়ে বলা যায় এই সমাজে এরকমই হবে। হতেই থাকবে কিচ্ছু করার নাই।
৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৯
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পরিবার কোথা থেকে পেলো।সমাজে এমন কুসংস্কার প্রচলিত আছে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক ঠিক।
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে তালাকের পর, বাচ্ছারা যদি মায়ের সাথে থাকে, বাবাকে ভরণপোষণ করতে হয় না?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সঠিক জানি না।
কিন্তু হানিফ স্পষ্ট বলে দিয়েছে সে একটি টাকাও দিবে না। আজ এক বছর হয়ে গেছে সেতার মেয়েদের খোঁজ নেয় নি। একবারের জন্য দেখতেও আসে নি। অথবা খাবার, কাপড় বা টাকাও দেয়নি।
৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার যে দুই মেয়ে । মেয়েরা পরিবাবারের বোঝি নয় স্বর্গীয় দেবী ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েরা দেবী প্রতিমার চেয়েও বড়।
আমার মেয়ে আমার কলিজার টূকরা। আমার জীবন। আমার বেঁচে থাকা। আমার আনন্দ। সারা দুনিয়া একদিনে আমার মেয়ে একদিকে।
৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনার অতি প্রিয় ,এ্যামেরিকায় পিএইডি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ন যদি বুড়া বয়সে ছেলের বাপ হতে পারে, ২৮ বছরের বউকে চাহিদা পূরণ করতে না পারায় তালাক দিয়ে মেয়ের বয়সী কাউকে বিয়ে করতে পারে, তাহলে অশিক্ষিত হানিফের কি দোষ?
দেশের শিক্ষিত,জ্ঞানী-গুণী না,নামধারীরা যা করে, অশিক্ষিতরা তো তাদেরই অনুসরণ করে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ তার ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দিয়েছেন। পরম আদর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। সবাইকে নিজ পায়ে দাঁড় করিয়েছেন। একজন পিতার যা দায়িত্ব তা পালন করেছেন।
আপনার কাছে আমি এরকম মন্তব্য আশা করি না।
৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: ছেলে-মেয়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে সবাই নৈতিক এবং আইনগতভাবে বাধ্য।
এজন্য কেউ কোনো প্রশংসা দাবী করতে পারে না।
কিন্ত বড় বড় ৩ মেয়ে থাকার পর বৃদ্ধ বয়সে ছেলের বাপ হওয়া আর ২৮ বছরের বউকে তালাক দিয়ে মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করার পিছনে সমর্থনের যুক্তি কি?
অন্যান্য অপকর্মের কথা কথাতো বাদই দিলাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: এক, মেয়ের বান্ধবী না। এটা নিন্দুকেরা রটিয়েছে।
দুই, উনি জোর করে বিয়ে করেন নি। উনি ভয়াবহ নিঃসঙ্গতার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। তখন শাওন তাকে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে মন্দ কিছু নেই।
হুমায়ূন আহমেদের অপকর্ম নেই। উনি খোলা বইয়ের মতোন।
৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৩
অনল চৌধুরী বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:বাংলাদেশে তালাকের পর, বাচ্ছারা যদি মায়ের সাথে থাকে, বাবাকে ভরণপোষণ করতে হয় না? - বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সন্তানদের ভরণপোষণ দেয়ার দায়িত্ব আইনগতভাবে বাবার। সাবালক হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে এবং বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত মেয়েকে বাবা ভরণপোষণ দিবেন। কোনো অসুস্থ ও অক্ষম সন্তান থাকলে তাদের ভরণপোষণও দিবেন বাবা।
সাবালকত্ব অর্জন করার পরেও যদি সন্তানরা নিজ ভরণপোষণ যোগাতে ব্যর্থ হন তবে আইন অনুসারে ঐ সন্তান বাবার কাছে ভরণপোষণ দাবি করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে বাবা ভরণপোষণ দিতে বাধ্য নন। মা যখন সন্তানের জিম্মাদার তখনও বাবা ভরণপোষণ দিবেন।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:২৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: সমর্থন করেন ভালো, কিন্ত সত্যকে অস্বীকার করা অন্যায়।
বিবিসি;র এই প্রতিবেদনটা কি মিথ্যা?কিন্তু এই জনপ্রিয় লেখক নিজেই যখন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তিরিশ বছরের সংসার ভেঙ্গে মেয়ের বান্ধবী মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে করেন, তখন স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর ভক্তরাও
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন দীর্ঘদিন পত্রিকা অফিসে চাকরী করেছি।
কাকে, কেন নিউজ করে বড় করা হয়, ছোট করা হয়- এর ইতিহাস খুব ভালো করেই জানি।
মিথ্যা আর সত্য নিউজের মধ্যে পার্থক্য আছে।
চিলে কান নিয়ে গেছে, লোকজন পাগলের মতো চিলের পেছনে ছুটছে। দয়া আপনি চিলের পেছনে ছুটবেন না।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪২
মুজিব রহমান বলেছেন: এদের মানসিকতা বদলানো সহজ নয়। ভাবাদর্শ পরিবর্তনে রাষ্ট্র এগিয়ে আসছে না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এজন্য আসল আসামী রাষ্ট্র।
১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব শুধু ট্রাম্প আর তার
বউ মেলানিয়ার খবর রাখেন।
বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে তার
জ্ঞান খুবই সীমিত!!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল কথা। উনি বাংলাদেশ সম্পর্কে যা জানেন আপনি তা জানেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমিও হানিফকে কষিয়ে একটা চড় দিতাম।
বেটা হারামজাদা--