নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষন নিয়ে জাতি চিন্তিত

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮



যৌন তাড়নার কারণে ধর্ষণ হয়।
ইংরেজিতে যাকে বলে সেক্সুয়াল ইম্পালস। যারা সেক্সুয়াল ইম্পালস নিয়ন্ত্রন করতে পারে না তারাই দেখা যায় ধর্ষণ করে বসে। অনেক সময় প্রতিশোধ বা মানসিকভাবে ভিকটিমকে আঘাত করার জন্যও ধর্ষণ করা হয়। তবে অধিকাংশ ধর্ষণ হয় যৌন তাড়নার কারণে। সহজ ভাষায় নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারাটা ধর্ষণ করার অন্যতম কারণ। নিজের সেক্সুয়াল ইম্পালস কন্ট্রোল করতে শেখাটা খুব দরকার। এই শিক্ষা অল্প বয়স হতে রপ্ত করতে হয়। যেসব পরিবারে মানবিকবোধ, আত্ন নিয়ন্ত্রন ও সংযম চর্চা করা হয়, সেসব পরিবারের শিশুরা বড় হতে হতে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখে। জেল জরিমানা করে আসলে ধর্ষণ থামানো যাবে না। কারণ জেল জরিমানা অপরাধীকে সাজা দেয়। অপরাধকে সাজা দেয় না।

আমরা ধীরেধীরে একটা ‘ধর্ষক’ জাতিতে রূপ নিচ্ছি!
জাতি হিসেবে অসুস্থ হয়ে উঠছি দিনকে দিন। সমাজের কিছু অর্ধজ্ঞানী মানুষ মনে করেন মেয়েদের পোশাক ভাল না তাই ধর্ষণ বেড়েছে। আর ভাল পোশাক পরলে কি ধর্ষণ হয় না? তাহলে মাদ্রাসার মেয়ে কিভাবে ধর্ষনের স্বীকার হয়? ক্যান্টনমেন্টে কিভাবে বোরখা পরা একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হলো? ফেনীর নুসরাত জাহান (রাফি) মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন, বোরকা পড়তেন। ওনাকে যারা নির্যাতন করেন তারা মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন, ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন এবং ওনারা সবাই ধর্মীয় লেবাসধারী আলেম ছিলেন। এখন, বলুন নারীদের পোশাক কি তাদের যৌন হয়রানিতে কোনো প্রকার প্রভাব ফেলছে!? না, ফেলছে না। এটা সামগ্রিকভাবে সামাজিক সমস্যা, আমাদের মানসিকতার সমস্যা, পোশাকের না। যৌন নিপীড়করা সুযোগসন্ধানী হয়ে থাকে। এদেরকে দূর্নীতিবাজ আর চোরের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। দূর্নিতিবাজ আর চোরডাকাত যেমন মোক্ষম সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ সুরক্ষিত ঘরকে লুট করতে দ্বিধা করেনা, যৌন নিপীড়কদের অবস্থাও একই।

বিদেশে সমুদ্রের পাড়ে মেয়েরা বিকিনি পড়ে শুয়ে থাকে।
সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরিহিতা মেয়েদের দেখে ছেলেরা তো কোনরকমের হেনস্তা করছে না মেয়েদের। এইসব ছেলেরা কি মহামানব? নাকি অন্য গ্রহের প্রাণী? কুশিক্ষা আর ধর্মের কারনে আমাদের মনের মধ্যে আগে থেকেই কিছু ভুল ধারণা থাকে। এবং ওই ভুল ধারণা গুলোকে আমরা এতটাই শক্ত করে ধরে নিই যে- আমরা আমাদের স্বাভাবিক অবস্থান ভুলে যাই। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। নারীদের ভোগ্যপন্য হিসেবে ভাবতে শুরু করি। পতিতালয় গুলো সমাজের মানুষকে এই বার্তা দেয়, নারীর যৌনতা ও সম্মানকে টাকার বিনিময়ে যখন তখন কেনা যায়। এই সমাজের পতিতালয় গুলোতে এভাবে নারীদের টিস্যু পেপারের মত ব্যবহার করা হয়। সময়ের প্রয়োজন মেটানো ছাড়া এই নারী গুলোর যেন আর কোন মূল্যই নেই। 'তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না' বলা মানুষটিও হতে পারে ভয়ংকর সাইকো। ভয়ংকর খুনি। ভয়ংকর ধর্ষক।

নেট দুনিয়ায় সবচেয়ে সহজলভ্য জিনিস হলো- পর্ণ ভিডিও।
ক্লাশ ফাইভ থেকেই স্কুলের ছেলেরা পর্ন দেখা শুরু করে। এতে আসক্ত লোকেদের নারীদের প্রতি এক বিরূপ, বিকৃত ধারণার সৃষ্টি হয়ে যায়। নিজ স্ত্রী হোক বা রাস্তায় দেখা একজন নারী হোক সবাইকে নিয়ে সে বিকৃত চিন্তা করে ডোপামিন নিঃসরণ করে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে চায়। বর্তমান পরিস্থির কথা ভেবেবেই কি রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, 'নারীকে আপন ভাগ‍্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকার হে বিধাতা'?

নারীদেরকে সম্মান করা আমাদের সমাজ শেখায় না।
সমাজ তো দূরের কথা নিজের পরিবারও শেখায় না। কিন্তু পরিবার থেকেই ভিত মজবুত করতে হয়। মিডিয়া আর সমাজের কুলাঙ্গারেরা ধর্ষিত নারীর ভুল খুজে বেড়ায়। এই সমাজে বেশির ভাগ ধর্ষনেরই যথাযথ বিচার হয় না। আছে মামলার দীর্ঘতা এবং জটিলতা। ধর্ষকরা ভাবে 'আরে ধরা খেলে তো মাত্র ১-৩ বছরের জেল' এটা কোন ব্যাপার! বের হয়ে ওই নারীকে আবার ধর্ষন করবে। এবার মেরেই ফেলবে। ধর্ষণকারীরা হয় নেতার পোলা, ব্যবসায়ীর কুলাঙ্গার পোলা, রাজনৈতিক দলে থাকা কুত্তাসেবক, ফকিন্নির মাস্তান পোলা। তাহলে বিচার কিভাবে হবে? তারা প্রভাব বিস্তার করে মামলা গায়েব করে দেয়।

আমাদের দেশের ছেলেদের মন মানসিকতা উন্নত করতে হবে।
নারীদের সম্মান করা শিখাতে হবে। নারীদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। জাতির পিতা ধর্ষিত মেয়েদের প্রতি ছিলেন উদার। তিনি বলছিলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিত মেয়েদের বাবার জায়গায় আমার নাম লিখে দাও। আর ঠিকানা দাও ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বার। আজ ধর্ষনকারীদের দেখা যায় নিজেদের মুজিব সৈনিক দাবী করে। নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখে রাখে- বঙ্গবন্ধুর সৈনিক।

যারা বিয়ে করছেন।
যারা অনেক শখ করে ছেলে জন্ম দিচ্ছেন- তারা ছেলেদের সঠিক শিক্ষা দিন দয়া করে। আপনার ছেলে যেন বড় হয়ে ধর্ষনকারী আর দূর্নীতিবাজ না হয়। আজ যারা ধর্ষনকারী আর দূর্নীতিবাজ তারাও একসময় শিশু ছিলো। জন্ম দেওয়া সহজ। সত্যিকার ভাবে সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা কঠিন। যদি ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিতে না পারেন তাহলে কোনো সন্তান দুনিয়ায় আনবেন না।
দেখা যাচ্ছে সবাই ধর্ষণ নিয়ে চিন্তিত এই সমাজে। সবাই ধর্ষনের বিরুদ্ধে বলছে, তাহলে ধর্ষণ করছে কারা?

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: রাজীব ভাই ,সর্ব অংগে ব্যাথা-ঔষধ দিবে কোথা?

সব পঁচে গেছে।আমরা সবাই নষ্ট হয়ে গেছি। কি হবে আমাদের পরিণতি? কোথায় যাচছি আমরা এ নিয়ে ভাবা জরুরী আমাদের সকলের।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: অথচ দেখুন যারা দেশটার বারোটা বাজিয়েছে তারা খুব ভালো আছে।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই দেশের মানুষ দিয়ে কিছুই হবে না।
এইগুলো নষ্ট মানুষ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: কথা সত্য।
তবে আমি সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাই।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পোষ্টের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, দেশে একটি কাজই ঠিক মতো চলছে

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে পথে নেমেছে। আন্দোলন, মানববন্ধন চলছে। চলছে প্রতিবাদ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যৌনতাড়না বেড়ে যাবার কারন কি?
সামাজিক অবক্ষয় এর জন্য দায়ী।বিনোদনের বিষয় গুলো ক্রমেই সংকোচিত হয়ে যাওয়াও কম দায়ী না।
জাতীয় ঐক্য না থাকাটাও একটা বিষয়।
বিচার হীনতা বা বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কম দায়ী না।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: দায়ী করলে অনেক কছুকেই দায়ী করতে হয়।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আসলে ধর্ষণ কেমনে বন্ধ হবে সেই নিয়ে সত্যিকারে ভাববার সময় এসেছে!

আপনার লেখা সহ অন্যদের লেখা পড়ে কিছু এলোমেল চিন্তা মাথায় আসে কিন্তু যুতসই কিছু ভাবতে পারছি না।
তবে সবমিলিয়ে ভাল লিখেছেন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি রুপকথা বাদ দিয়ে এখন জরুরী কিছু বিষয় নিয়ে লিখুন।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলব- আমি দুর্বল, ভীরু, কাপুরুষ টাইপ মানুষ!

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি লিখতে পারেন। তাই লিখে লিখেই আপনার প্রতিবাদ জানানো দরকার।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এডাল্ট সাইটগুলো বাংলাদেশের জন্য বন্ধ করাও দরকার।
যারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাদের জন্য এটার কোন দরকার নেই।
দ্রুত বিচার করা দরকার।
এক বিচার করতে ২০ বছর লাগলে হবে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মাথা ব্যথা করলে কি মাথা কেটে ফেলতে হবে?

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নষ্ট জিনিস মেরামত করতে না পারলে ফেলে দিতে হয়।
নষ্ট মানুষ ঠিক না হলে মেরে ফেলা উচিত।
তাতে গাছগুলো অন্তত জৈব সার পাবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ডাইরেক একশন মনোভাব কেন?

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: একজন ধর্ষক হওয়ার পেছনে মায়ের ভুমিকা সব থেকে বেশী। এদেশের মা'দের ছেলের প্রতি যে মনোভাব, তা ছেলেদের খারাপ কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে, কারণ যাই হোক তারা জানে, মা বাবা তাদের আগলে রাখবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মনের কথাটা বলেছেন।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৪

রাশিয়া বলেছেন: আমি একটা ঘটনা জানি, ইভটিজিংয়ের শিকার এক মেয়ের বাবা ইভটিজারের মায়ের কাছে গেছিল নালিশ করতে, যিনি কিনা স্থানীয় এক বড় নেত্রী। সেই মা বলেছে, আপনার মেয়েকে বলেন রাস্তায় া া নাড়িয়ে যাতে না হাঁটে - ছেলেগুলাকে নষ্ট করছে তো ওই।

ছেলের মা যদি হয় এই মানসিকতার, তাহলে ছেলেদের আর দোষ কি?

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম মা সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.