নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শাহেদ জামাল (সতেরো)

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২




নীলাকে অপহরন করা হয়েছে।
শাহেদ জামাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখে মোবাইলে ম্যাসেজ এসেছে। নীলাকে অপহরন করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে ৫০ লাখ টাকা না দিলে নীলার গলা কেটে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। আর পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করবে না। তাহলে নীলাকে কেটে টুকরো টুকরো করা হবে। লাশও খুঁজে পাবেন না'। সকালে শাহেদ ঘুম থেকে উঠেই দেখে তার মোবাইলে এই ম্যাসেজ এসেছে। যে নাম্বার থেকে ম্যাসেজ এসেছে সেই নাম্বারে শাহেদ জামাল ফোন দিলো। কিন্তু নাম্বার অফ। হায় হায়! এখন উপায়! এত টাকার ব্যবস্থা করা তো সম্ভব না। শাহেদ জামাল বাসা থেকে বের হলো। যে করেই হোক সে নীলাকে বাঁচাবেই। নীলাকে খুঁজে বের করা খুব কঠিন কিছু না। তবে পুলিশকে বলে লাভ নাই। তারা পিছলা। তবে প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়ে পুলিশ দ্রুত কাজ করতে পারে।

শাহেদ জামালের বন্ধু আজগর মোবাইল কোম্পানীতে চাকরি করে।
আজগরকে ফোন দিলো শাহেদ জামাল। বলল, এখনই আমাকে জানা আমার মোবাইলে ম্যাসেজটা কোথা থেকে এসেছে। কে করেছে? আজগর দশ মিনিটের মধ্যে জানালো- ম্যাসেজ করেছে আকবর আলী নামের একজন। তার বয়স পঁয়তাল্লিশ। বাড়ি ঠাকুর গাও। ম্যাসেজটা এসেছে মাওয়ার আশে পাশে কোনো এলাকা থেকে। শাহেদ এবার মনে মনে হিসাব করলো। যেহেতু অপহরনকারী বলেছে, নীলার লাশ পদ্মানদীতে ফেলে দেওয়া হবে, তাই ধারনা করা যেতেই পারে নীলা আছে পদ্মা নদীতে কোনো লঞ্চের মধ্যে। অর্থ্যাত আকবর আলী নীলাকে অপহরন করেছে। শাহেদ জামাল আকবর আলী সম্পর্কে খোজ খবর নিতে মতিঝিল থানায় গেলো। থানাওয়ালারা কোনো সহযোগিতা করলো না। বলল, এই মুহুর্তে কিছু করতে পারবো না। ব্যস্ত আছি । আপনি আগামী সপ্তাহে আসেন।

শাহদ জামাল ইন্টারনেটে তালাশ করলো।
আকরবর আলী সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেলো। সে সাতটা খুনের আসামী। তেরোটা অপহরের আসামী। তার নামে বাইশটা মামলা আছে। দীর্ঘদিন ধরে সে পলাতক। শাহেদ জামালের এক বন্ধু আছে ডিবিতে। সে বেশ কিছু তথ্য দিলো আকবর আলী সম্পর্কে। দুপুর দুইটা বাজে। সজকাল থেকে শাহেদ জামাল না খাওয়া। শাহেদ জামাল দুপুরে হোটেলে খেয়ে নিলো। ক্ষুধার্থ পেটে বুদ্ধিলোপ পায়। পেট ভরা থাকলে মাথায় অটোমেটিক বুদ্ধি আসে। খাওয়া শেষ করে সাহেদ জামাল পর পর দুই কাপ চা আর দুটা সিগারেট শেষ করলো। সে এখন যাবে মুন্সিগঞ্জ। তার ধারনা আকবর আলীকে সেখানেই পাওয়া যাবে। সে তার বন্ধু বাবলুর কাছ থেকে বাইকটা ধার নিলো। সত্তর মিনিটে শাহেদ মাওয়া চলে গেলেও। নীলাকে সে প্রচন্ড ভালোবাসে। নীলাকে বাচাতেই হবে। শাহেদ জামাল মাওয়া গিয়ে একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিলো।

সময় তখন বিকেল চারটা।
বিশাল নদী পদ্মা। কোথায় খুঁজবে শাহদ জামাল নীলাকে? নৌকা চলছে তো চলছেই। এমন সময় শাহেদ জামালের মোবাইলে একটা ফোন আসে। শাহেদ জামাল হ্যালো বলতেই- একজন খটখটে গলায় বলল, টাকা রেডি হয়েছে? শাহদ জামাল বলল, হয়ে যাবে। নীলার যেন কোনো ক্ষতি না হয়। এবং আপনি যে সত্য বলছেন তার প্রমান কি? আকবর আলী বলল, এই নিন নীলা ম্যাডামের সাথে কথা বলুন। নীলা বলল, শাহেদ আমি বেঁচে আছি। শাহেদ বলল, অবশ্যই তুমি বেঁচে থাকবে। তোমার কিচ্ছু হবে না। আমি আছি। তুমি ভয় পেও না। কিছুক্ষনের মধ্যেই তোমার সাথে আমার দেখা হবে। আকবর আলী নীলার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফোন অফ করে দিলো। শাহেদ জামাল আকাশের দিকে তাকালো। তার চোখে মুখে হাসির আভাস। মনে মনে ভাবলো একটা পিস্তল থাকলে অপারেশন চালানো সহজ হতো।

শাহেদ বলল, মাঝি ভাই কেমন আছেন?
মাঝি বলল, ভালো আছি। শাহদ বলল, এখানে আশে পাশে জাহাজ মেরামতের কাজ কোথায় হচ্ছে? মাঝি বলল, সেটা তো চরের কাছে। সেখানে যেতে পনের মিনিট লাগবে। যাব সেখানে। শাহেদ বলল দ্রুত চলো। দ্রুত। শাহেদ যখন নীলার সাথে মোবাইলে কথা বলছিলো, তখন সে হাতুরি পিটার শব্দ শুনেছে। তার মানে জাহাজ যেখানে মারামত করা হয় তার আশে পাশেই আকরব আলীর লঞ্চ আছে। শাহেদের লঞ্চ কিছু দূর আগাতেই হাতুরি ঠূকঠাক শব্দ শোনা যেতে লাগলো। একদিকে পদ্মার বিশাল চর পড়েছে। অনেক দূরে জাহাজ মেরামতের কাজ চলছে। তার কাছেই একটা লঞ্চ দেখা গেলো। শাহেদের ধারনা সেই লঞ্চেই আছে আকবর আলী এবং নীলা। যে করেই হোক, শাহেদ নীলাকে বাচাবেই। বাঁচাতে হবেই। এত সহজেই লঞ্চটা খুঁজে পাবে তা শাহেদ ভাবেনি। মনে মনে সে নিজেকেই নিজে বাহবা দিলো। পুলিশকে জানালে পুলিশ এত দ্রুত লঞ্চ খুঁজে বের করতে পারতো না।

সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটা।
চারিদিকে মায়াবি পরিবেশ। জাহাজ নির্মান শ্রমিককদের কোলাহল থেমে গেছে। শাহেদের নৌকা আকবর আলী লঞ্চের কাছাকাছি। শাহেদ লাফ দিয়ে লঞ্চে উঠলো। বেশ বড় লঞ্চ। দোতলা। কিন্তু আশে পাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। শাহেদ দোতলায় উঠতেই দেখতে পেলো- নীলাকে। নীলার মুখ রুমাল দিয়ে বাঁধা। হাত পা চেয়ারের সাথে বাঁধা। শাহেদ দৌড়ে নীলার কাছে গেলো। নীলার হাত পায়ের বাধন খুললো। মুখের রুমাল খুললো। নীলা এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে শাহেদকে জরিয়ে ধরলো। ঠিক তখন চার জন লোক শাহদ আর নীলাকে ঘিরে ফেললো। হাতে পিস্তল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আকবর আলী সেটা বুঝতে সমস্যা হলো না। আকবর আলী বলল, এরকম তো কথা ছিলো না। টাকা ছাড়া এসেছো। এত বড় সাহস তোমার! তবে তোমার সাহসের তারিফ করি। বুদ্ধিও আছে বেশ। অতি অল্প সময়ে খুঁজে বের করতে সমর্থ হয়েছো আমাদের। গ্রেট। তবে এখান থেকে তোমরা দুজন বেঁচে ফিরতে পারবে না। তোমাদের মৃত্যু হবে। এবং লাশ টুকরো টুকরো করে পদ্মায় ফেলে দেওয়া হবে। হা হা হা---

শাহেদ আর নীলার দিকে চারজন লোক এগিয়ে আসছে।
শাহেদ জামাল একদম সিনেমার নায়কদের মতো উড়ে-উড়ে গিয়ে সব গুলোর মুখের উপর ধাম-ধাম করে কয়েক ঘা মারলো। চারজন ছিটকে পড়লো দূরে। যে চারজন ছিটকে পড়লো তারা বেশ আহত হয়েছে বুঝা যাচ্ছে। কারন তারা উঠে দাড়াতে পারছে না। আকবর আলী হা করে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবছে এই ছোকরা চিকন হলেও হাতে পায়ে বেশ শক্তি আছে। মিনিটের মধ্যে চারজনকে শুইয়ে দিয়েছে। আকবর আলী বলল, অনেক হয়েছে এবার থামো। আর এক পা বাড়ালে গুলি করে এই মুহুর্তেই তোমাকে আর নীলাকে শেষ করে দিবো। শাহেদ বলল, আকবর আলী তুমি গুলি করতে পারবে না। এ কথা বলার সাথে সাথেই পুলিশ এসে আকবর আলীকে ঘিরে ধরলো। শাহেদ যখন লঞ্চে উঠে তখন মাঝিকে পাঠিয়েছে মুন্সিগঞ্জ থানায়। থানা থেকে পুলিশ স্প্রীডবোর্ডে করে চলে আসছে। আসলে বুদ্ধি থাকলে যে কোনো বিপদ থেকে বাঁচা যায়।

পুলিশ শাহেদকে অনেক ধন্যবাদ জানালো।
কারন আকবর আলীকে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে খুজছিলো। গোপনে গোপনে সে অপহরন, ডাকাতি করে বেড়াচ্ছিলো। শাহেদ নীলাকে নিয়ে ঢাকায় ফিরলো। নীলা বলল, আজ থেকে তুমি আমার হিরো। রিয়েল হিরো। আমার হিরোকে আমি অনেক ভালোবাসি। পরের দিন সকালে সব ক'টা পত্রিকাতে শাহেদ জামালের বীরত্বের কাহিনী ছাপা হয়েছে। সারা দেশবাসী অবাক! সবাই শাহদকে বাহবা দিচ্ছে। টিভিতে টক শো'তে শাহেদ ডাক পাচ্ছে। পত্রিকাওয়ালারা তার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শাহেদ জামালকে ডেকে পাঠিয়েছেন দেখা করার জন্য। এদিকে শাহেদ জামালকে নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে ফেসবুকে, ব্লগে। রাস্তায় বের হলেই সবাই শাহেদ জামালের সাথে ছবি তোলার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এই যখন অবস্থা তখন শাহেদ জামালের ঘুম ভাঙ্গল। দারুন স্বপ্ন!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আকন বিডি বলেছেন: আমি শাহেদকে কোর্ট এ পুলিশ এর কাস্টডিতে দেখেছি।
কিছু খাওয়ান ভাই। আপনার জন্ম দিন বলে কথা।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: খাওয়াবো। কি খাবেন?
বার্গার কোক?

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পদ্মা থেকে মুন্সিগঞ্জ থানা কতদূর আইডিয়া আছে।
বেঁচে গেছেন যে নীলা খুন হয়নি।খুন হলে এই মামলায় আপনিও ফেসে যেতেন।তখন টের পেতেন পুলিশ কি জিনিস।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আইডিয়া আছে।
মুন্সিগঞ্জ থেকে মাওয়া আসতে সময় লাগবে খুব বেশি হলে ২৫ মিনিট। চমৎকার রাস্তা।
আর মাওয়া থেকে স্প্রীড বোর্ডে ১৫ মিনিটও লাগে না।

নীলা খুন হবে না। আত্মবিশ্বাস ছিলো।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ জন্মদিন

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আর জন্মদিন। আমার জন্ম না হলেই ভালো হতো।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২০

এম ডি মুসা বলেছেন: শুভ জন্মদিন

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ জন্মদিন I একরাশ ভালোবাসা ।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Happy birthday to you.

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া বড় ভাই।

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি যে বললেন শমী কায়সারের বিয়েতে দাওয়াত খান নি!!
না খেলে এমন গাঁজাখুরি গল্প আসলো কি করে!!

যা হোক আপনা বাড়ি বলেছিলেন মুন্সিগঞ্জ ! কিন্তু প্রমাণ করলেন
----------খাই্ল্যা । নুরুল ইসলাম ভাই বলেছেনঃ পদ্মা থেকে মুন্সিগঞ্জ
থানা কতদূর আইডিয়া আছে। !! X(

শুভ জন্মদিন !! খানাপিনার ছবি কই !!

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: এটা খাজাখুরি গল্প না। হতেই পারে না।
আমার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। বিক্রমপুর। শ্রী নগর থানা।

ছবি আছে। দিবোনে।

৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগেনি।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মাই ব্যাড লাক।

৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সদরঘাট থাকে ট্রলারে আপনাদের গ্রামে যাওয়া যায়?

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আগে তো সদরঘাট থেকেই ট্রলারে যেতে হতো। ৬/৭ ঘন্টা লাগতো। এখন লাগে এক ঘন্টা।

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি আসলে বোকাই রয়েগেছি।৭১এর পরে আর যাইনি।ভাবছি আগের মতই আছে।দিঘীরপার থেকে পদ্মার পার দিয়ে হেঁটে হেঁটে কয়েকবার ভাগ্যকুল পর্যন্ত গেছি।মুন্সিগঞ্জ থেকেও হেঁটে লৌহজং গেছি।আমি হরগঙ্গা কলেজের ছাত্র ছিলাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: না এখন রাস্তা বেশ উন্নত হয়েছে।
বাবু বাজার ব্রীজ বা পোস্তখোলা থেকে বিক্রমপুর যেতে সময় লাগে মাত্র এক ঘন্টা। ভাগ্যকূল আমরা শুধু মিষ্টি কিনতে যাই। লৌহজং আমার নানী বাড়ি। পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। দুই বছর আগে নাকি চর হয়েছে। দলিল দেখিয়ে জমি নিতে হবে।

আমার বাড়ি শ্রী নগর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.