নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোর গ্যাং

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬



ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কিশোর গ্যাং রয়েছে।
এই কিশোর গ্যাং ছাত্রলীগের মতোই ভয়ঙ্কর। প্রতিটা ছোট বড় শহরে এমনিতেই সমস্যার শেষ নেই। জলাবদ্ধতা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সমস্যা, চুরী ছিনতাই, রাজনৈতিক সমস্যা, খেলার মাঠ গুলো দখল হয়ে গেছে। সব সমস্যাকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে- কিশোর গ্যাং সমস্যা। বাংলায় একটা কথা আছে, 'পীপিলিকার পাখা গজায়, মরিবার তরে'। এইসব গ্যাং নানান অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট খায়। গাজা খায়, ইয়াবা খায়। ফেনসিডিল খায়, মদ খায়। এবং বিশেষ দিন গুলোতে একটা মেয়ে ভাড়া করে নিয়ে আসে সারারাত ফুর্তি করে। এদের মূখের ভাষা অতি কুৎসিত। এদের জামা কাপড় আর মাথার চুলের স্টাইল বিশ্রী। এরা কেউ কেউ বিকট শব্দে বাইক চালায়। মেয়েদের বিরক্ত করে। মেয়েদের স্কুল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। শপিং মল গুলোতে সুযোগ পেলেই মেয়েদের গায়ে হাত দেয়। এই সব গ্যাং এ অনেক কিশোরী মেয়ে সদস্যও আছে। মেয়ে গুলোও নেশা করে। এই কিশোর গ্যাং' এর সদস্যদের দেখলেই চেনা যায়।

দুই হাজার সালের পর থেকেই এ সমস্ত গ্যাং সৃষ্টি হতে শুরু করে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় দুটি অ্যাপস টিকটক (TikTok)। প্রতিটা কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের এখানে একাউন্ট আছে। তারা তাদের সমস্ত প্রতিভা এখানে ব্যয় করে। এই অ্যাপস গুলো চাইনিজ কোম্পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই অ্যাপস গুলো ব্যান করা হয়েছে। অ্যাপস গুলো মানুষের মস্তিষ্কে এমন ভাবে প্রভাব ফেলে যা তার অরিজিনাল ক্রিয়েটিভিটিকে নষ্ট করে দেয়। অনেক ডাক্তার, ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, গৃহীনি, দোকানদার, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে টোকাই, রিকশাচাক এবং সবজি বিক্রেতা সবাই টিকটক করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেছে। কিছুদিন পরপর তারা সবাই মিলে একসাথে দেখা করে, আনন্দ করে।
জ্ঞানহীন, বিবেকহীন, নষ্টামি জাতীয় ভিডিও বানিয়ে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে শুধুমাত্র সামান্য একটু ফেমাস হওয়ার আশায়। এই এপ্স গুলোকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে কিশোর গ্যাং। চায়নাতে এই অ্যাপস গুলো তৈরি হলেও সে দেশে ব্যান (নিষিদ্ধ)। কারণ তারা জানে এইগুলা মানুষের মস্তিষ্কে বিকৃতি সৃষ্টি করে। জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য মেয়েরা এখানে ভয়াবহ নোংরামি করছে। বুক বের করে রাখে, পেট বের করে রাখে, হিন্দি সিনেমার আইটেম গার্লদের থেকেও খারাপ আচরন করছে। আমি ভেবে পাই না, এদের বাপ মা এদের খোজ খবর রাখছে না কেন?

বাংলাদেশের সব এলাকাতে যেমন মাদক পাওয়া যায়-
তেমনি সমস্ত বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং আছে। এই কিশো গ্যাং গুলো ছিনতাই করে। তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেখে তারা অনেক কিছু শিখে এবং সে মোতাবেগ জীবনযাপন করতে চেষ্টা করে। এরা লেখাপড়া করে না। করলেও তাদের লেখাপড়ায় মন নেই। এদের বাপ মা এদের খোজ খরব রাখেন না। ধরুন আপনি- স্ত্রী, বান্ধবী বা কোনো মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে গেলেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং। দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজেবাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা ঝামেলায় পাকাতে। এতে ওদের লাভ। সেটা কিরকম? ধরা যাক, আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে। অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। প্রতিদিন ঢাকা শহরে কোথাও না কোথাও এরকম ঘটনা ঘটছেই।

বর্তমানে কিশোর গ্যাং একটা ট্রেন্ড।
সবাই গুন্ডামি করছে, গ্যাং বানাচ্ছে, দেয়ালে দেয়ালে স্প্রে দিয়ে গ্যাংয়ের নাম লিখছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে অনেক কিশোর গ্যাংয়ের নাম লেখা গ্রাফিতি চোখে পড়বে। ধানমন্ডি আর পুরান ঢাকায় আমি বেশ কয়েকটি সড়কে অন্ততঃ ২০টি কিশোর গ্যাংয়ের নাম দেখতে পেয়েছি। স্কুলে পড়তে গিয়ে কিংবা এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব গ্যাং তৈরি হলেও পরে একসময় মাদক, অস্ত্র এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়ছে। সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। সামাজিক অবক্ষয়, সমাজ পরিবর্তন এবং সমাজের নানাবিধ অসঙ্গতি এবং অস্বাভাবিকতায় খেই হারিয়ে ফেলছে সমাজের কিশোর এবং তরুণেরা। বিগ বস, নাইন এমএম, নাইন স্টার, ধর, ডিসকো বয়েজ, লাগা, লাভার, দেশী বয় ইত্যাদি নামে গড়ে তুলছে অদ্ভূত এবং মারাত্মক ‘কিশোর গ্যাং’। একটি বাচ্চা অসৎ পথে যাওয়ার পেছনে সম্পূর্ন দায়ভার অভিভাবকের। জন্ম দিয়ে বাপ মা ছেড়ে দিয়েছে। এদের সবার আগে বাপ মায়ের শাস্তি হওয়া উচিত। জন্ম দিয়েছে কিন্তু মানুষ করেনি বলে। আরে জন্ম তো কুত্তাও দেয়। তুমি সন্তানকে মানুষ করতে পারবে না তাহলে জন্ম দিলে কেন? এখন তোমকে শাস্তি পেতে হবে।

সেদিন পত্রিকাতে পড়লাম- 'নারায়ণগঞ্জে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং'।
নারায়ণগঞ্জের ইস্পাহানি ঘাট এলাকায় দুটি কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষের সময় পানিতে ডুবে মারা যায় দুই কিশোর ছাত্র, একজন দ্বাদশ শ্রেণির, অন্যজন নবম শ্রেণির। এই বয়সেই কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের বাইক আছে। এবং এই বাইক তারা সুন্দরভাবে চালায় না। এক বাইকে তিনজন উঠে এবং চিৎকার চেচামেচি করতেই থাকে। সমাজে ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না, ইভটিজিং- এর শাস্তি হয় না, মাদক সম্রাট দেশ দরদি আখ্যা পায় সেই সমাজে অপরাধ বাড়বেই এইটা স্বাভাবিক। একজন শিশু, শিশু বয়স থেকে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, খেলাধূলা, থিয়েটার, সংগীত, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত থাকে, যদি তার মনস্তাত্ত্বিক জায়গা বুঝে তাকে গড়ে তোলা হয়, তবে তার কৈশোর ভালো কাটবে, আর কৈশোর ভালো কাটলে তার তারুণ্য হবে সবচেয়ে ফলপ্রসূ। দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই গ্যাং কালচার। এরা ভবিষ্যতে ছাত্রলীগকে ছাড়িয়ে যাবে। আগে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরগুলোতে এই কালচার থাকলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে ছিমছাম-নিরব জেলা উপজেলা গুলোতেও।

এই ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২০০ কিশোর গ্যাং রয়েছে।
ফেসবুকে তারা উদ্ভট উদ্ভট সব নাম দিয়ে খুলেছে নানান রকম গ্রুপ। এই সমস্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ১০০% বখাটে। কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে এখন বড় ভয়ঙ্কর অবস্থা। আগে তারা বখাটেপনা বা মেয়েদের উত্যক্ত করত। এখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আগে অপরাধ করলে অপরাধীরা ভয়ে থাকত। আর এখন অপরাধীদের ভয়ে সাধারণ মানুষ ভয়ে থাকে। আমিও তো একসময় কিশোর ছিলাম। ভয়ঙ্কর তো ছিলাম না। সকালে স্কুলে যেতাম। দুপুরে ভাত খেয়ে ঘুমাতাম। বিকেলে মাঠে ফুটবল খেলতে যেতাম। আমি ফুটবল খুব ভালো খেলতাম। একবার আমার পায়ে বল আসলে, আর রক্ষা নাই। নিশ্চিত গোল। আবার আমি গোলকিপার থাকলেও জীবন দিয়ে দিতাম কিন্তু গোল হতে দিতাম না। যতই খেলাধূলা করি না কেন মাগরীবের আযানের সাথে সাথে বাসায় চলে আসতাম। হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসতাম। পড়ার কথা বাপ মাকে বলতে হতো না।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই খারাপ কাজ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: মানে কি?
বুঝতে পারি নি।
আমি আবার কি খারাপ কাজ করলাম!

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো ইয়াবা গ্যাং, এবং মগজহীন

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: মগজহীণ দিয়ে তো দেশ ভরে গেছে।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

শাহ আজিজ বলেছেন: এখনকার সময়ে মা বাবাই উস্কে দিচ্ছে ছেলেকে এলাকায় টিকে থাকতে । তাদের জমি দখলের , ওটা ঠিক রাখতেই ছাত্রদল ছাত্রলীগের পেছনে লাইন লাগাতে হয় । মাশাল্লাহ এম পি সাহেবরা জি এফ মানে গদফাদার হয়েই আছে । ১৫-১৬ বছরের তরুন নিষ্ঠাবান হয় । একটা ভাল কাপড়ের লোভে তারা কুপথে যেতে দ্বিধা করেনা । নেশাতো বোনাস । ইদানিং সময়ে তারা নেশার দ্রব্য চালান দেয় এক এলাকা থেকে আরেক এলাকাতে । এরা বিশ্বাসী কারন মাদক কারবারি আগের মানুষদের কাছে ঠকেছে কিন্তু এই কিশোররা তাকে ঠকায় না । ২০০৫ সালে এক জনের সাথে কথা বলছি । আরেকজন যুবক এল । ওরা কথা বলতে বলতে জানলাম অপর দিকের ফুটপাতে দাড়িয়ে একটি কাগজের প্যাকেটে ১০ বছরের শিশুটি একটি ৯ এম এম পিস্তল বহন করছে । যে কোন প্রয়োজনে সে দৌড়ে এসে পিস্তল তুলে দেবে বসের হাতে । আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম যদি আপনি প্রতিপক্ষের হাতে ধরাশায়ী হন , সে সহজ করে বলল তখন শিশুটি গুলি চালাবে ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আসলেই কিছু বাবা মায়েরা চায় সন্তান সন্ত্রাস হোক।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

মোছাব্বিরুল হক বলেছেন: কিশোর গ্যাং দিন দিন ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান কোনভাবেই সম্ভব নয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হ্যা।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।কাল নিউজ দেখলাম ১৬ বছরের এক ছেলে ধর্ষণের পক্ষ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করার কারনে সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে ধরা পড়েছে।এই ছেলেটিও নাকি কোনো এক কিশোর গ্যাং এর সদস্য।ভাইরাল হতেই নাকি সে এসব লিখেছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়----
আমি ভাই ভাইরাল হতে চাই। আপন মনে থাকি।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই বয়সটা একটা পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণ।ভাল কিছু না পেয়ে খারাপের দিকে চলে যায়।পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলার যায়গা নেই,তাদেরকে ঠিকভাবে পরিচালনা করার মতো নেতৃত্ব নেই,তাঁরাই তাদের নেতা।
পাড়ার বড় ভাইদের কিছুটা সমর্থন আছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এর সমাধান তো করতে হবে।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আহা রুবন বলেছেন: উন্নত বিশ্বে এন্টাসিডে খাবার সোডা মেশায়, তাতে ট্যাবলেটের কার্যকারিত বেড়ে যায়। অথচ বাংলাদেশে সোডিয়াম বাইকার্বনেট মেশানো নিষিদ্ধ। কারণটা হল উপমহাদেশিয়রা এমনিতেই খাবারে লবন বেশি খায়, ট্যাবলেটের মাধ্যমে যদি আবার শরীরে ঢোকো তাহলে খবর আছে। যা ওদেশে উপযুক্ত তা আমাদের জন্য নাও হতে পারে। ওরা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পূর্বে বাব-মায়ের কঠোর পর্যবেক্ষণে থাকে, কিন্তু আমাদের এখানে সে সবের বালাই নেই। এখন দেখুন উন্নত বিশ্বের আইন বাংলাদেশে চালানো হচ্ছে। যেহেতু ওরা আঠারোর আগে সবাইকে শিশু ধরে বিচার করে। আমাদেরও সেভাবে শিশু হিসেবে গন্য করা হয়। যে ধর্ষণ করে বাচ্চা পয়দা করতে পারে, সারাদিন বখাটেপনা করে বেরায় সেও শিশু! এখন সময় এসেছে কিশোর শব্দটির মূল্যায়ন করার। আইন তৈরি করার সময় শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্কদের ভিন্ন ভিন্ন শাস্তির বিধান করা। এবং অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হবার আগে কেউ অপকর্ম করলে অপরাধের দায় অভিভাবকদের কিছুটা হলেই নিতে হবে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের আশাবাদী হতে হবে।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কোন গ্যাংই কল্যােনের জন্য কিছু করেনা
তাই গ্যাং শব্দটি এখন এক আতঙ্কের নাম।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: এদের নিয়ে কি কোনো হাদীস আছে?

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ের উপর পোস্ট দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক বিষয় তুলে এনেছেন। আশা করি আমরা সবাই এবং সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ব্যাপারে সতর্ক হবে এবং এই ভয়ংকর সংস্কৃতি থেকে আমরা মুক্তি পাবো।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। অবশ্য আপনি সব সময় ভালো মন্তব্য করেন।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: এমন গ্যাং আগেও ছিল। আমি ছোট সময়ে কাপাসিয়ায় বাস করার সময়ে এমন গ্যাং এর আক্রমনের শিকার হয়েছিলাম। বখে যাওয়া কিশোররা একসাথে ঘুরাঘুরি করতে করতে এমন গ্যাং বানাচ্ছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী আমি পোষ্টে উল্লেখ করেছি দুই হাজার সালের পর থেকেই গ্যাং দের উত্থান হয়েছে।

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: সময়োপযোগী একটি স্টেটাস..... সমাজের বাস্তবচিত্র বাংলাদেশের সবখানেই এদের বিচরণ ! এরা মারতেও ভয় করেনা, মরতেও ভয় করেনা.....!! এর থেকে পরিত্রানের উপায় বের করা এখন সময়ের দাবি ...।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: পরিত্রান তো খুব সোজা।
বাপ মা ছেলে জন্ম দিবে না। যেহেতু তারা ছেলের দেখভাল করতে পারে না। বাঁশি থাকবে না। বাঁশি বাজবে না।

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেনীতে এই কিশোর গ্যাং একজনকে হত্যা করেছে এখন ক্ষমতাবান বড় ভাই কিশোরদের বাঁচাতে মরিয়া

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: এদের নিয়ে কি কোনো হাদীস আছে?
খানসাব আপনি না বুঝে অনেক সময় ধর্মকে উপহাসছলে বালখিল্য মন্তব্য করে থাকেন। যা কোন মতেই সমীচিন নয়।

তিক্ত হলেও সত্য যে, ইসলামী জীবনবোধ ও জীবনব্যবস্থার অনুসরণের অভাব আমাদেরকে নানা সমস্যায়
পর্যুদস্ত করে রেখেছে। এইসকল সমস্যা থেকে মুক্তির যথার্থ ও স্থায়ী উপায় হচ্ছে, সমাজের সর্বস্তরে ইসলামী
ৎজীবনবোধের বিস্তার ও ইসলামী জীবন-ব্যবস্থার অনুসরণ।
ইসলামী জীবনবোধ জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়, জীবনের যথার্থ মূল্য সম্পর্কে সচেতন করে, নেতৃত্ব ও
মর্যাদার সঠিক সংজ্ঞা ও যথার্থ উপলব্ধি দান করে, সর্বোপরি জীবনকে জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ
কাজে ব্যবহারের পথনির্দেশ করে। সাধারণভাবে প্রতিটি মানুষের জন্যে, আর বিশেষভাবে কিশোর-তরুণ প্রজন্মের
জন্যে ইসলামী জীবনবোধ তাই অতি প্রয়োজন।

জীবন ও সমাজের যে অঙ্গন থেকেই আল্লাহমুখিতা ও আখিরাতমুখিতার আলো বিদায় নেবে সে অঙ্গনেই বাসা
বাঁধবে নানাবিধ অন্ধকার। ওখান থেকেই ছড়িয়ে পড়বে নানা রোগ-ব্যাধি। অন্ধকারের এই রোগ-ব্যাধি থেকে
মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে ঈমানের দীপ জে¦লে দেওয়া।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী আমি ফান করি নাই। সত্যিই জানতে চেয়েছিলাম।

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: দুই হাজার সালের পর থেকেই এ সমস্ত গ্যাং সৃষ্টি হতে শুরু করে !!! ১৯৮৫ এর ৫ এ পড়ার সময় থেকে এসব পিচ্চি মাস্তান দেখে আসছি।
১৯৮৮ সালে ৮ এ পড়ার সময় এদের অনেকের হাতে দেশী-বিদেশী পিস্তলও দেখেছি, যাদের বিরুদ্ধে এলাকায় আমার সরাসরি লড়াই হতো।
১০ এ পড়া মাস্তানগুলি হেন অপরাধ নাই, যা করতো না
সুতরাং সময়ই মাস্তান ছিলো।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
ঠিক।

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

রাশিয়া বলেছেন: পিচ্চি অপরাধী বড় সাঙ্ঘাতিক জিনিস। বছর পাঁচেক আগে মীরসরাইয়ের খইয়াছড়া জলপ্রপাত ঘুরতে গিয়েছিলাম বন্ধুদের নিয়ে । সেখানে একদল পিচ্চি গ্যাংয়ের একজন আমার এক বন্ধুকে কোন কারণ ছাড়াই থুতু ছিটিয়ে দিল হাসতে হাসতে। বন্ধুটি রেগে গিয়ে তার ঘাড় ধরে উপরে উঠাতে গ্যাংয়ের বাকী সদস্যেরা পালিয়ে গেল। কিন্তু ঐ পিচ্চি চোখে মুখে এমন ভাব ধরল যে আমার বন্ধুটি বিনা কারণে শিশু নির্যাতন করছে। ওর বিকট কান্নাকাটির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে বন্ধুটি ওকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল।

এদের বিচারের জন্য দেশে কোন আইন নেই। রিফাত শরীফের উপর কোপাকুপিতে কিছু কিশোর অপরাধীও জড়িত ছিল। কিছু না করেও আয়শার ফাঁসির রায় হল, কিন্তু হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া সেইসব কিশোরের কিছুই হয়নি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের প্রতি আস্থা ভরসা বাদ দেন।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ফেসবুক টিকটক আর ভাইরালের যুগে টিন এজারদের নিয়ে আমি ভয়ে থাকি৷ করোনা গেলে সব দেশ মিলে চায়নার ডানা কেটে দিলে একটা শান্তি পাবো। চায়না এপ দিয়ে গোলাম বানাচ্ছে, ধার দিয়ে গোলাম বানাচ্ছে, সবই মানলাম। শেষে একটা ভাইরাসই ছড়িয়ে দিলো। তথ্য লুকালো! কি অদ্ভুত শয়তানের দল!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: চায়না থেকে বিশ্বকে সাবধান থাকতে হবে।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সময় উপযোগী একটা পোষ্ট।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

একাল-সেকাল বলেছেন:
অতি সহজে সন্তান উৎপাদন হলে সেটার উপর কর্তৃত্ব ও মমতা থাকেনা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: এটা আবার কেমন কথা!

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৬

একাল-সেকাল বলেছেন:
কিশোর গ্যাং পরিবারগুলো র খুঁজ খবর নেন বুঝবেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: খোজ খবর আমি নিব কেন? আমি কি সরকার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.