নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘরে ঘরে ঝগড়া

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৩



১। স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করছে।
সব স্বামী স্ত্রী'ই ঝগড়া করে। কিন্তু কিছু কিছু ঝগড়া হয় অতি কুৎসিত। শেষমেশ ঝগড়া গালাগালি এবং মারামারিতে শেষ হয়। সেদিন এরকম একটা ঝগড়া আমার চোখের সামনেই হলো। তুমুল ঝগড়া হচ্ছে। ছোট ছোট দুই বাচ্চা বাপ মায়ের ঝগড়া দেখে ভয় পাচ্ছে। তারা কাঁদছে। বাপ মা দুজনেই শিক্ষিত। রুচিশীল। স্বামী অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। স্ত্রীও গালি দিচ্ছে। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙছে। দুই বাচ্চা ভয়ে কাঁপছে আর চিৎকার করে কাঁদছে। সন্তানের সবচেয়ে বড় শাস্তি, বাপ মায়ের ঝগড়া দেখে বড় হওয়া। ওরা কিছু বলে না কিন্তু ওদের জীবনটা ভেতরে ভেতরে বড্ড এলোমেলো হয়ে যায়। ঘটনা চক্রে এই ঝগড়ার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমি কাউকেই থামাতে পারছিলাম না। শেষে বাচ্চা দুটোকে নিয়ে আমি বাইরে চলে আসি। চলে আসার সময় দেখলাম, শ্বাশুড়ী চলে এসেছেন। তিনি তার ছেলের বৌ এর চুল ধরে টেনে হিচড়ে বাসা থেকে বের করে দেবার চেষ্টা করছেন। ঝগড়ার সময় একজন সুন্দর চেহারার মানুষকেও দেখতে কুৎসিত লাগে।

২। এই ঝগড়া আমার চোখের সামনে।
স্বামী তার স্ত্রীকে মাগী ছাগী ইত্যাদি বলে ভয়ঙ্কর সব গালি দিচ্ছে। স্বামী লাঠি খুজছে। সে তার স্ত্রীকে মারবে। স্ত্রী অসহায়ের মতো করে দাঁড়িয়ে আছে। তার দুই বছরের শিশু বাবা মার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে কাঁদছে। স্বামী বলছে, তোর বাপ খারাপ। তোর মা আরো বেশি খারাপ। স্ত্রী বলছে, খবরদার আমার বাপ মাকে কিছু বলবে না। খারাপ হলো তোমার বাপ মা। আমার ইচ্ছা করে তাদের মুখে গু উড়িয়ে মারি। স্বামী গিয়ে স্ত্রীর মুখে কয়েকটা থাপ্পড় দিলো। ঠোঁট আর গাল কেটে গেলো। রক্ত পড়ছে। আমি ভাবছি, এই স্বামী নিশ্চয়ই তার স্ত্রীকে ভালোবেসে গালে চুমু খেয়েছেন। যেই গালে চুমু খেয়েছেন সেই গালে থাপ্পড়! আমি ঝগড়ার মাঝখানে থাকলেও আমি কাউকে থামাতে পারছিলাম না। আশেপাশের বাড়িঘর থেকে অনেক কৌতূহলী চোখ উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। কেউ ঝগড়া থামাবার জন্য এগিয়ে আসছে না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। আমি ঝগড়া খুব অপছদ করি।

৩। 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকলে ঝগড়া হয় না।
সংসারে শান্তির জন্য স্বামী স্ত্রী দুজনকেই 'ছাড়' দিতে হয়। কথায় আছে, 'কিছুটা আমি ছাড়ি, কিছুটা তুমি। এভাবেই মিলেমিশে সুখ ডেকে আনি'। ধনীর ঘর থেকে বস্তির ঘর। চাকরিজীবির ঘর থেকে সবজি বিক্রেতার ঘর। সব ঘরেই ঝগড়া হয়। ঝগড়ার শেষ পরিনতি ছাড়াছাড়ি। মানে তালাক। কষ্ট হয় সন্তানের। সন্তান হতাশা নিয়ে বড় হয়। সেদিন দেখলাম, দুজন বয়স্ক স্বামী স্ত্রী ঝগড়া করছেন। অথচ তাদের বড় বড় ছেলেমেয়ে আছে। এমনকি ছেলে মেয়েদের বিয়েও হয়ে গেছে। তাদের ছেলে মেয়েও আছে। ঝগড়ার সময় বয়স্ক স্ত্রী বলছে, আমি দেখে শুধু তোমার সংসার করে গেলাম। স্বামী বলছে, এখানে তোমার কোনো বাহাদূরী নেই। কারন আমি তোমাকে এতটা বছর সহ্য করে গেছি। স্ত্রী বলছে, তুই যে কত বড় হারামী আমার চেয়ে ভালো আর কে জানে! আমার সমস্ত গহনা তুই বিক্রি করেসিছ। সেই টাকা অন্য মেয়েদের পেছনে খরচ করতে লজ্জা লাগে নাই। এক কথায়, দুই কথায় তুলুম লাগালাগি। এই ঝগড়া আমার নিজের চোখে দেখা। কেউ ঝগড়া করলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। প্রেশার বেড়ে যায়।

৪। এই ঝগড়া আমাদের পাশের বাসায়।
আমি সিগারেট খাওয়ার জন্য ব্যলকনিতে এসে দাড়িয়েছি। ঘরে তো আরাম করে শুয়ে বসে সিগারেট খাওয়ার দিন শেষ। স্ত্রী বলছে, আমার বাপ মা গরীব হলেও খাট আলমারি, টিভি, ফ্রিজ সবই দিয়েছে। সেসব নিতে লজ্জা করে নাই? স্বামী বলছে, আমি তো কিচ্ছু চাই নাই। তারা নিজ থেকেই দিয়েছে। না, তারা ভালোবেসে দেয় নি। তোমাদের কথায় আমার বাপ মা বুঝতে পেরেছে তোমরা লোভী। তাই আমার দরিদ্র বাপ মা ধারধেনা করে এসব দিয়েছে। স্বামী গেলো রেগে। কি আমরা লোভী? খানকি মাগী আজকে তোকে জন্মের শিক্ষা দিবো। বলেই, ঘর থেকে তাদের তিন বছরের বাচ্চাকে বের করে দিলো। দরজা লাগিয়ে স্ত্রীকে মারছে। খুব মারছে। আমি ব্যলকনি থেকেই তাদের বলছি, প্লীজ থামুন। ঝগড়া ভালো না। আমার কথা কেউ শুনছে না। স্ত্রীকে মেরে আধামরা করে ফেলছে স্বামী। স্ত্রী লজ্জায় অপমানে গলায় ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নিতে গেলো। এমন সময় শ্বাশুড়ি এলো। শ্বাশুরি এসে বলল, তুহিনের মা তোর মরতে ইচ্ছা বাপের বাড়ি গিয়া মর। তুই এখানে মরে তো আমাদের বিপদে ফেলবি। শেষে থানা পুলিশ নিয়ে টানাটানি। কোন অলুক্ষনে যে ছেলেরে তোর মতো মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম! আহারে আমার ছেলের জীবন আমিই নষ্ট করে দিলাম!

৫। সব স্বামী স্ত্রী'ই হয়তো ঝগড়া করে।
আমি সুরভির সাথে কখনও ঝগড়া করি নি। সুরভিও আমার সাথে কখনও ঝগড়া করে নি। ঝগড়া বিহীন ৬/৭ বছর পার করে দিলাম। আমার মা একদিন বলল, তোদের কোনোদিন ঝগড়া করতে শুনলাম না। তখন আমি মনে মনে বলি- মা বিয়ের সময় মনে মনে আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। আমি আমার সংসার জীবনে কখনও ঝগড়া করবো না। ছোটবেলা থেকেই তোমাদের ঝগড়া দেখে দেখে বড় হয়েছি। তাই ঝগড়ার প্রতি আমার ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে। তাই ঠিক করেছি আমি কখনও ঝগড়া করবো না।
আমার ঝগড়া না করার পেছনে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা হুমায়ূন আহমেদের। ধানমন্ডি গিয়েছিলাম। তখন হুমায়ূন আহমেদের সাথে দেখা। তিনি একটা নাটকের শূটিং করছিলেন। তিনি আমাকে ইশারা দিলেন। আমি তার পাশে বসলাম। তিনি বললে, বিয়ে করেছো? আমি বললাম, না। শোনো আমি তোমাকে বলে রাখি। সংসার জীবনে শান্তি চাইলে শুধু 'ছাড়' দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। কিছুটা তুমি ছাড় দিবে। কিছুটা তোমারে স্ত্রী ছাড় দিবে। তাহলে দেখবে সংসারে অশান্তি হবে না।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঝগড়া খুবই মজার জিনিস। যদি তা যুক্তি তর্কের ধার ধেরে হয়। কিন্তু গাধা মানুষেরা ঝগড়ার সময় যুক্তি তর্ক ভুলে গালাগালি করে। গালি দূর্বলের অস্ত্র কোনো ক্রেডিট নাই এবং তার কোনো মূল্যও নাই শুধু একজন আরেকজনের কাছে ছোট হয়ে যায়। যাকে দেওয়া হুয় সে হয় না। যে দেয় সেই হয়।

আর যে ছোট হয় তার সাথে বাস করার আর কোনো দরকারই নেই আসলে। মানুষ বলে হাসব্যান্ড ওয়াইফ তো ঝগড়া হবেই কিন্তু না একবারও যদি কেউ কাউকে ছোট করে একটা কথাও বলে তার মাফ নেই। কোনোদিনই নেই।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঝগড়ার দৃশ্য শিল্পপতির ঘরে আর বস্তিতে অনেক সময় একই রকম কুৎসিত হয়। হুমায়ূন আহমেদ আপনাকে ছাড় দেয়ার পরামর্শ দিলেও উনি নিজে মনে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফল হননি তার প্রথম স্ত্রীর সাথে অথবা উনি পর্যাপ্ত ছাড় দেননি। ওনাদের বিচ্ছেদের অবশ্য অন্য কারণও থাকতে পারে। আপনি ভালো বলতে পারবেন। কারণ আপনি ওনার বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। পরিবারে ঝগড়া খারাপ কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হোল পৃথিবীর সকল দেশের পুরুষদের একটা অংশ স্ত্রীকে প্রহার করে জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে। মেয়েদের এই যুগে আয় করার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। কারণ বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে মেয়েরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অসহায় হয়ে পরে। তাই সে চাকরী করুক বা না করুক অন্তত চাকরী পাওয়ার যোগ্যতা বিয়ের আগেই অর্জন করা উচিত। এত নিম্ন পর্যায়ের ঝগড়ার চেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ উত্তম। কারণ তা না হলে ঐ ঘরের বাচ্চারা প্রচণ্ড মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতার শিকার হয় যা তার পরবর্তী জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে। আর এই ধরনের ঝগড়া কয়েকদিন পরপর হতেই থাকে। সুরভি ভাবীকে কারাতে প্রশিক্ষনে ভর্তি করে দেন। আপনি এখন ভালো আছেন কোন দিন আবার বিগড়ে যান বলা যায় না। কারণ আপনি সকালে একরকম বলেন আর বিকালে আরেক রকম।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: সকাল বিকাল দুই রকমের কথা বলি না। এটা আসলে আমাকে বুঝার ভুল। অথবা আমার ব্যর্থতা বুঝাতে পারি না বলে।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতিরিক্ত সবকিছু খারাপ। সংসারের শান্তি দুনিয়া শান্তি

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

জোবায়েদ ইসলাম বলেছেন: বিয়ে করলেই দেখি ঝগড়া মারামারি বেশি হয়। আর ইদানীং যা অবস্থা তাতে তো ঝগড়া মানেই মারামারি তারপর পুলিস কেস। তারচেয়ে ভালো আমি বিয়েই করব না। না থাকবে বাঁশ না বাজবে বাঁশি।।।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো সিদ্ধান্ত।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

আকন বিডি বলেছেন: মাঝে মাঝে উচ্চ স্বরে আওয়াজ আসে। তখন খুব অস্থির লাগে। খারাপ লাগে। কস্ট লাগে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যখন মনের দিক থেকে দূরে সরে যায় তখনই উচ্চ স্বরে কথা বলে।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

এম ডি মুসা বলেছেন: ভাই ঝগরা কত ভালো লাগেনা

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কি ভালো লাগে?

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

৫ নম্বর এর সাথে আছি।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধারনা ভালো মানুষেরা ৫ নম্বর এর সাথেই থাকবে।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের অর্ধেক পুরুষ মানুষ স্বামী হওয়ার জন্য অনুপযুক্ত।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: দামী এবং চরম সত্য বলেছেন।

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সহনশীলতার বেশ অভাব।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি সহনশীল?

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এঁই জন্য অর্নৈতিক অবস্থা দায়ী।অস্থির অর্থনৈতিক অবস্থায় মানুষের মন মানুষিকতা অস্থির থাকে।তারই ফলশ্রুতি ঝগড়া ঝাটি।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: যাদের আর্থিক অবস্থা দায়ী তারাও ঝগড়া করে।

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কি সহনশীল?

না আমি সহনশীল না :-B

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: সহনশীল হতে চেষ্টা করুন। আমি সহনশীল।

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০১

ইসিয়াক বলেছেন: মজা করলাম,আমি যথেষ্ট সহনশীল।
তবে আপনার সাথে ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে।কি দিয়ে শুরু করি বলুন তো.....

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঝগড়া না করে মাথায় একটা বারি দেন। বাঁশি থাকবে। বাঁশি বাজবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.