নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১।
সবুজ রঙের ভাই-বোন, কারা তারা?
ঘটনা আজকের নয়। সেই দ্বাদশ শতাব্দীর।
ইংল্যান্ডের উলপিট এলাকা। সেখানে হঠাতই একজোড়া ভাই বোনে এসে উদয় হল। অবাক হওয়ার বিষয় হল, এরা সবদিক থেকেই আলাদা। সাধারণ মানুষের মতো ছিল দেখতে বটে, তবে তাদের গায়ের রং ছিল অস্বাভাবিক সবুজ রঙের। দুই ভাই-বোনের কথা কেউ বুঝত না। কারণ তাঁরা অজানা এক ভাষায় কথা বলত, পোশাকও ছিল অদ্ভূত। আর খাবার? খেত কেবল কাঁচা শিম। কিছুদিন পরই অবশ্য ভাইটি মারা যায়, বেঁচে থাকে বোন। মেয়েটিকে ধীরে ধীরে ইংরেজি ভাষা শেখানো হয়। খাওয়ানো হয় অন্যান্য খাবারও। ধীরে-ধীরে মেয়েটির গায়ের সবুজ রং পরিবর্তন হতে শুরু করে। সে জানায়, দুই ভাই-বোন সেন্ট মার্টিন্স ল্যান্ড থেকে এসেছে। তার কথায়, সেন্ট মার্টিন্স হল মাটির নিচে থাকা এক রাজ্য, যেখানে সবার গায়ের রং সবুজ। অনেকেই তার কথা বিশ্বাস করেনি, বহু বিশেষজ্ঞও এই ভাই-বোনের পুরনো জীবন সম্বন্ধে খোঁজ চালিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেই আবার তাদের ভিনগ্রহের প্রাণী বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু রহস্যের কোনও সমাধান হয়নি।
২।
হঠাৎ শুরু নাচ, তারপর মহামারী!
এই ঘটনাও বহু পুরনো। ১৫১৮ সাল, জুলাই মাস।
ফ্রান্সের স্ট্রসবার্গে মিসেস ত্রোফফেয়া নামের এক নারী হঠাৎ নাচতে শুরু করেন। তারপর সেখানে উপস্থিত সকলেই নাচতে শুরু করেন তার দেখাদেখি। কিছুতেই তাঁদের নাচ থামছিল না। এক সপ্তাহ পর আরও বহু মানুষ সেই নাচের সঙ্গে যোগ দেয়। এক মাস পর শত-শত মানুষ সেই অবিরাম নাচে যোগ দেয়। অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন কেউ-কেউ নাচতে নাচতে। শহরের তৎকালীন শাসকরা ভাবলেন, এ ভাবে অবিরত নাচতে দিলে নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে নাচ থেমে যাবে সকলের। তাই তাঁরা শহরের টাউন হলে সমস্ত মানুষের নাচার ব্যবস্থা করে দিলেন। যাদের মধ্যে ক্লান্তি, হার্ট অ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপে প্রাণ হারায় প্রায় ৪০০ জন মানুষ। মাসের পর মাস অবিরাম নাচতে থাকা কোনো ব্যক্তির পক্ষেই সম্ভব নয়।
কিন্তু কেন শুরু হয়েছিল সেই নাচ, আর পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। যদিও অনেকে দাবি করেন, বহু দিন ধরে অন্ধকার ও বদ্ধ ঘরে জল আর পাঁউরুটি খাইয়ে রাখার পর বাইরে ছেড়ে দেওয়া হয় কিছু ব্যক্তিকে। তাঁদের মধ্যেই এই নাচের ঝোঁক দেখা যায়।
৩। ১৯৪১ সালের ছবিতে তিনি, কিন্তু কী ভাবে?
দেখে মনে হতে পারে সাধারণ একটি ছবি।
কিন্তু না, ভালো করে দেখলে চোখে পড়তে পারে অদ্ভূত ও অস্বাভাবিক কিছু বিষয়। ১৯৪১ সালে কানাডার গোল্ড ব্রিজ থেকে একটি ছবি তোলা হয়। সেই ছবিতে আরও অনেকের সঙ্গে ছিলেন একজন ব্যক্তি, কিন্তু তিনি সকলের থেকেই আলাদা। বাকিদের পোশাকের সঙ্গে ওই ব্যক্তির পোশাকের কোনও মিলই নেই। মানে ওই ব্যক্তির পোশাক মোটেই ১৯৪১ সালের মতো নয়, বরং তাঁর পোশাক অনেক বেশি এখনকার মতো। ব্যক্তিটির পরনে ছিল একটি চেন লাগানো হুডি, টি-শার্ট। অবাক করার বিষয় এখানেই শেষ নয়, কারণ ১৯৪১ সালের ওই সময়ে মানুষটির হাতে ছিল একটি ডি এসএলআর ক্যামেরা! কী করে সম্ভব? ওই ছবির পর ব্যক্তিটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে রহস্যও।
৪। একটা বোনাস ২৩৯ জন মানুষ, একটা বিমান..কোথায় গেল?
এই ঘটনা কিন্তু একেবারেই সাম্প্রতিক। মানে ২০১৪ সালের।
এখনও প্রায় সকলেরই মনে থাকার কথা। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০। ৮ মার্চ, ২০১৪। মালয়েশিয়া থেকে বেজিং যাচ্ছিল বিমানটি। ছিলেন ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু। বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে চালকের শেষ ভয়েস কানেকশন ঘটে টেক অফের এক ঘণ্টা পর এবং তারপরই রাডার থেকে নিখোঁজ হয় কয়েক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। মালয়েশিয়ার সামরিক রাডারটি প্রায় এক ঘণ্টার পর বিমানটি ট্র্যাক করে যখন আন্দামান সাগর পর্যন্ত রাডারের মধ্যে ছিল বিমানটি। অথচ বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও সংকটের সংকেত, খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবাণী বা প্রযুক্তিগত কোন সমস্যার কথা বলাই হয়নি। অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ভারত মহাসাগরেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এই বিমানটি। সেই অনুযায়ী দীর্ঘ অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু বিমানের সামান্য কোনও ধ্বংসাবশেষও পাওয়া যায়নি। তাহলে কোথায় গেল বিমানটি? আজও তা জানা যায়নি।
(সান ডে ম্যাগাজিন থেকে)
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসবে না? এক দেশের বিপদে আরেক দেশ এগিয়ে আসবে না??/ এটা কেমন কথা!!!!
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ অন্যরকম ভাললাগা রইল।
ধন্যবাদ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আসলেই তো অদ্ভুত কথা জানলাম রাজীব দা
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে----
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কিছু কিছু রহস্যের কোন সমাধান নেই।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: এই কথাটাই সাজ্জাদ ভাই মানেন না।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথম তিনটা বানোয়াট কাহিনী যা এখন অন্তরজালের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আইনে একটা ধারা থাকে উচিত যেখানে বলা থাকবে যে কোনও প্লেন যদি সাগরে পতিত হয়েছে বলে জোরালো প্রমাণ থাকে সেই ক্ষেত্রে ১/২ দিন পর এই প্লেন খোঁজার পেছনে অর্থ ব্যয় করা যাবে না। কারণ ঐ প্লেন খুঁজে পেলেও কাউকেই জীবিত পাওয়া যাবে না অথচ প্রচুর টাকা খরচ হবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মালয়েশিয়ার প্লেইন ভারতে মহাসাগরে পড়েছে, আমেরিকা ও চীনাদের কাছে উহাকে খুঁজে বের করার মতো টেকনোলোজী আছে; তারা খুঁজতেছে না; কারণ, এসব টেকনোলোজী নিয়ে কথা বলতে নারাজ।