নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী পাচার

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯



এশিয়ার এক নম্বর নারী ও শিশু পাচার রুট বাংলাদেশ।
প্রতিদিন দেশ থেকে প্রচুর নারী ও শিশু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে অথবা বিমান যোগে পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাচারকৃত নারী ও শিশুদের নিয়োগ করা হচ্ছে পতিতালয়ে। নারী ও শিশু পাচারকে আধুনিক যুগের দাসপ্রথা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ বাংলাদেশ। যদিও এদেশের সরকার বলে থাকেন, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। পাচার হয়ে যাওয়া অধিকাংশ পরিবারই দুস্থ, নি:স্ব ও অসহায়। আর এ পরিস্থিতির পূর্ন সদ্ব্যবহার করছে বাংলদেশসহ আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ এক শ্রেণীর প্রতারক। তারা প্রলোভন দেখিয়ে অসহায় পিতামাতার মেয়েদের শহরে চাকুরি বা যৌতুকবিহীন বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাচার করে দিচ্ছে অন্ধকার জগতে। পাচারকারীদের প্রলোভনের শিকার হচ্ছে দেশের ছিন্নমূল, ভবঘুরে নারী, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীরা। অসহায় নারীরা সুন্দরভাবে বাঁচার আশায় নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে পাচারকারীদের পাতা জালে জড়িয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষন করলে দেখা যায়-
যে এলাকার নারী-পুরুষরা পাচারের শিকার হয়, সেই এলাকার লোকজন অত্যন্ত দরিদ্র, সেখানে ভূমিহীনদের সংখ্যাধিক্য, খাদ্যাভাব এবং চরম বেকারত্ব বিরাজমান। নদী ভাঙন, বন্যা, ঘূর্নিঝড়, অত্যধিক জনসংখ্যা, ভূমিহীনতা, বেকারত্ব, আয়ের স্বল্পতা, পিতামাতার সন্তান লালন-পালনে অক্ষমতা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক, প্রেমে ব্যর্থতা, উচ্চাকাঙ্খা, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, স্বল্পকালীন চাকরি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দূর্নীতি ইত্যাদি কারণ পাচারের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এইসব পাচার হয়ে যাওয়া নারী বেশির ভাগই পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করা। পর্নগ্রাফী সিনেমায় ব্যবহার করা। মধ্যপ্রাচ্যে উটের জকি হিসেবে ব্যবহার করা। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত করা। শরীরের রক্ত, চামড়া এবং কিডনী বিক্রি করা হয়। অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে ব্যবসা। মাথার খুলি, কঙ্কাল রপ্তানি করা হয়।



বাংলাদেশ হতে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার নারী-শিশু পাচার হয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর হতে এ পর্যন্ত এদেশ থেকে কমপক্ষে ৫০ লক্ষ নারী ও শিশু পাচার হয়েছে। গোটা বিশ্ব জুড়েই রয়েছে পাচারকারীদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ থেকে পাচারের যে উদাহরণ গুলো পাওয়া যায় তাতে দেখা যায়- বিমান যোগে কিছু পাচার হয়, তবে স্থল পথে সীমান্ত অতিক্রমের মাধ্যমেই বেশি সংখ্যক নারী ও শিশু পাচার হয়। বাংলাদেশের পাচারকারীরা ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত ব্যবহার করে পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে নারীদের পাচার করা হয়। দেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত পথ দিয়ে পণ্য সামগ্রী পাচারের পাশাপাশি নারী ও শিশু পাচার হয়ে থাকে। বছরে দুই চারজন পাচারকারী ধরা পড়ে। তারা জামিনে বের হয়ে যায়। এবং পাচার কাজে লিপ্ত হয়।

পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁও শহরটি বেনাপোল থেকে মাত্র ৭/৮ কিলোমিটার দূরে।
যেখানে গোটা বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা নারী ও শিশুদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। আজকাল সুন্দরবনকে পাচারের পথ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ গহীণ অরণ্যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তৎপরতা কম থাকায় তারা খুব সহজেই সীমান্ত পাড়ি দিতে পারছে। আবার একদল পাচারকারী আকাশ পথকেই পাচারের নিরাপদ পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। পাচারকারী কোন বিশেষ ব্যক্তি নয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক ব্যক্তি এই কাজের সাথে জড়িত থাকে। এশিয়ার মধ্যে নারী পাচারের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলো বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে প্রথম স্থানকারী দেশ হলো নেপাল। বিশ্বের সমস্ত পতিতালয় গুলোতে ৭৫% পাচারের শিকার নারী। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শোষণ ও পাচারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ১১ জন শিশু নিখোঁজ হয়ে থাকে। এদের মধ্যে কমপক্ষে চারজনকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায় না।



বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া নারী ও শিশুর সবচেয়ে বড় অংশ যায় ভারত ও পাকিস্তানে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত। এক পরিসংখ্যানে পাওয়া যায়- কলকাতার বিভিন্ন পতিতালয়ে বর্তমানে বাংলাদেশী প্রায় ২৫ হাজার মেয়ে রয়েছে। এদের বেশির ভাগের বয়স ১৪ থেকে ২৫। বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে পাচারকারীরা একেকজন নারীকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়। সুখী ও উন্নত জীবনের প্রলোভনে পড়ে আশ্রয়হীন; অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত শহরমুখী নারী ও শিশুরাও পাচারের কবলে পড়েন। গত ২০ বছরে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে ৩৫,০০০ হাজার নারী ও শিশু পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩০/৪০ হাজার নারী ও শিশু দালালের হাতে পড়ে পাচার হচ্ছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে আট লাখের বেশি নারী শিশু পাচার হয়েছে ভারতে। তবে বেসরকারি বিভিন্ন এনজিওর দাবি, পাচারের সংখ্যা ১৫ লাখের বেশি।

একনজরে
পাচার হয়ে যাওয়া নারীদের কাছ থেকে জানা যায়- নিজের বাপ মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছে। কাউকে জোর করে ধরে এনেছে। কেউ রাস্তায় ফুল বিক্রি করতো- সেখান থেকে তাকে ধরে এনেছে, কাউকে চাকরীর কথা বলে ধরে এনেছে, কাউকে বিয়ের কথা বলে ধরে এনেছে, কাউকে ফুটপাত থেকে তুলে এনেছে, কাউকে বস্তি থেকে ধরা হয়েছে, কাউকে চর অঞ্চল থেকে তুলে আনা হয়েছে। নানান ভাবে মেয়েদের ধরা হয়েছে। দেশে আইন আছে। পুলিশ, র‍্যাব আছে। পুলিশ র‍্যাব প্রতি বছর পুরস্কার পাচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। তবু গত ১২ বছরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে তবু নারী পাচার কমে নি। সরকার এদিকে নজর দেয় নি। বঙ্গবন্ধু খুনী আর রাজাকারদের ধরার জন্য সরকার যতটা মনোযোগ দিয়েছে নারী পাচারকারীদের ধরার জন্য ততটা মনোযোগ দেয় নি।



এই আধুনিক যুগে এসেও নারী পাচার হচ্ছে।
নারী বিক্রি হচ্ছে। নারীদের নিলামে কিনতে পছন্দ করে সৌদির শেখ'রা। অল্প বয়সী বাঙ্গালী নারী সৌদিদের খুব বেশি পছন্দ। এমন কি এসব নারীকে অনেক বুড়ো শেখ সৌদি থেকে ভারতে এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শুধু মাত্র ভারতের নারী পাচার কারীদের ধরতে পারলে পৃথিবীর অর্ধেক নারী পাচার বন্ধ হয়ে যেত। কারন ভারত থেকেই পৃথিবীর সব দেশে নারী পাচার হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাঙ্গালী নারীদের পছন্দ। বাংলাদেশের পাচার হয়ে যাওয়া নারীরা সবচেয়ে বেশি আছে- ভারত, পাকিস্তান, সৌদি, কাতার, দুবাই, মালোশিয়ায়। এবং যারা খুব বেশি সুন্দরী তারা যাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

পাচার হয়ে যাওয়া নারী কমপক্ষে দশ হাত ঘুরে তার আসল ঠিকানায় পৌঁছায়।
নারীর রুপ, শারীরিক গঠন এবং সৌন্দর্য ঠিক করে সে কত টাকায় বিক্রি হবে। অবশ্য পাচারকারীরা এসব মেয়েদের পেছনে অনেক টাকা ইনভেস্ট করে। মেয়েদের বক্ষ বড় করতে ইনজেকশন দেয়, ভালো জামা কাপড় পড়ায়, দামী মেকাপ ব্যবহার করতে দেয়। ভালো খাবার দাবার দেয়। একটা মেয়েকে বিক্রি করার আগ পর্যন্ত একজন পাচারকারী অনেক খরচ করতে হয়। মধ্যপ্রাচ্যের ধনীদের অনলাইনে এসব মেয়েদের দেখানো হয়। এবং বলা হয়- এরা ভার্জিন। তখন অনলাইনেই এসব মেয়েদের কেনাবেচা হয়। ব্যপক চাহিদা। কেউ মেয়েটাকে একেবারে কিনে নেয়। কেউ এক মাসের জন্য ভাড়া নেয় বিপুল টাকা দিয়ে। এভাবে একটা মেয়েকে দুই তিন বছর ব্যবহার করা হয়। তারপর তার স্থায়ী ঠিকানা হয়- পতিতালয়ে।



কোনো মেয়েই ইচ্ছায় পতিতালয়ে যায় না।
তাকে যেতে বাধ্য করা হয়। একবার পাচারকারীদের হাতে কোনো মেয়ে ধরা পড়লে সে আর ফিরে আসতে পারে না। যে পর্যন্ত যৌবন আছে, সে পর্যন্ত মেয়ে গুলো ভালৈ থাকে। শারীরিক অত্যাচারের পরেও খেয়েপড়ে অন্তত বেঁচে থাকে। এ পেশায় একবার প্রবেশ করলে কেউ আর বের হতে পারে না। তাকে বের হতে দেয় না। হারিয়ে যাওয়া নারীরা আসলে হারিয়ে যায় না। তাদের ধরে পাচার করে দেওয়া হয়। দরিদ্র দেশে এই কাজ সবচেয়ে সহজ। পাচার বন্ধে সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। অবশ্য ধনী ঘরের মেয়ে অর্থাৎ মন্ত্রী, এমপি, সচিব আর দূর্নীতিবাজদের ঘরের মেয়েরা কোনো দিন পাচার হয় না। পাচার হয় দরিদ্র ঘরের অসহায় মেয়েরা- এই জন্য সরকারের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর পোস্ট দিয়েছেন। নারী পাচার তো কোনও রাজনৈতিক বিষয় না। দলগুলির ক্ষমতায় আসা বা রাজনৈতিক সফলতা/ ব্যর্থতার সাথে নারী পাচারের কোনও সম্পর্ক থাকার কথা না। তার পরও সরকার মনে হয় ব্যাপারটা নিয়ে উদাসীন। আপনার পোস্টে সমাধানের কিছু দিক নির্দেশনা থাকলে ভালো হত।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: দিক নির্দেশানা। হাতে রেখেছি। এটা নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি সাংঘাতিক।

এই যুগে এসেও নারী পাচার।

অসহার মেয়েগুলোর রক্ষাকর্তা তবে কে?

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: রক্ষা করবেন আল্লাহ। যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছেন।
অথচ ওদের আল্লাহও রক্ষা করছেন না। কেন রক্ষা করছেন না কে জানে!

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দরিদ্রতা আর অশিক্ষা নারী পাচারের প্রধান কারণ । মধ্যপাচ্যে গৃহকর্মী প্রেরণ বন্ধ করা উচিত

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ফালতু মন্তব্য করলেন।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



অশিক্ষা, কুশিক্ষা, দরিদ্র্যতা, সামাজিক বৈষম্য, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মীয় সঠিক শিক্ষার অভাব, রাষ্ট্রীয় উপযুক্ত তদারকির অভাব ইত্যাদি কারণে নারী পাচারের ঘটনাগুলো ঘটে থাকে বলে মনে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। +

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের সাহায্য ছাড়া এর থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব না।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু কেউ ভাবে না

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখ জনক।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কোনভাবেই মুক্তি নেই :(

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর নিশ্চয়ই মুক্তি দিবেন।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: দরিদ্রের ঘরে জন্ম নেয়াটাই যেন পাপ।
কিছু মানুষের এতো টাকার লোভ কেন?

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: জানি না। আমার লোভ টোভ নাই।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকাল আপনার হাতে অনেক সময়, ঢাকায় কিছুদিন গোয়েন্দাগিরি করেন, কয়েকজনকে সনাক্ত করেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই ই গোয়েন্দাগিরি করতে। এটা আমি ভাল পারবো।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

শাহ আজিজ বলেছেন: পাচারকারিদের এই নেটওয়ার্ক এতই শক্তিশালী যে এদের পেছনের গডফাদার সামাজিক, রাজনৈতিক পরিচিত ব্যাক্তিত্ব হিসাবে অধিষ্ঠিত । শুধু কলারোয়া সীমান্তে রাতের বেলা গেলে দেখা যায় ধুড়দের ভিড় । দুদিকের সীমান্ত প্রহরীদের লেনদেনের পরেই তারা পার হয় মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ঠিকানায় । কলকাতা হাওড়া রেল স্টেশন থেকে মুম্বাই ট্রেনে । তারপর যার যার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয় সবাইকে । মুম্বাই থেকে ভারতের বড় শহরে বা সিন্ধু সীমান্ত দিয়ে করাচী । শিশুরা আমিরাতে উটের জকি বা ভারতের কোন ক্লিনিকে কিডনি দিয়ে মরে যায় । বাকিদের অনেকেই দাস হিসাবে শ্রম দেয় । ভারত যখন কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছিল তখন সবচে যারা বেশি হৈ চৈ করছিল তারা ইনকিলাব পত্রিকা । নামে ইসলামী কিন্তু কামে সবচে নিকৃষ্ট সারমেয় । একজন এম পি ধরা পড়ে এখন দুবাইতে বন্দী । মুলত আরব একটি নিরাপদ ভেনু এজন্য যে বহিজাতির বা গোত্রের বাইরের কোন নারী , পুরুষ , শিশু সব কাজের জন্য বৈধ । ভারতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে । অরক্ষিত সীমান্ত ঘিরে দেওয়া উচিত । রক্ত আর ইজ্জতের রেমিটেন্স আমাদের দরকার নেই ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা দেশের মন্ত্রী বা উঁচু পদের ধনীরা জড়িত। আরাল থেকে তারাই এই ব্যবসা পরিচালনা করেন।
আপনি দেখছি অনেক তথ্য জানেন!!!

পাচার হওয়া নারীদের কথা রাষ্ট্র ভাবে না।

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

এম ডি মুসা বলেছেন: মানুষ যখন অমানুষ হয় তখন মানুষের দ্বারা অনেক খারাপ কাজও হয়। নারী পাচার এই শব্দগুলি একসময় অনেক শুনেছি রেডিও-টেলিভিশনে

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষ খুবই খারাপ প্রাণী।
আবার এই মানুষই
খুবই ভালো প্রাণী।

আফসোস!

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আফসোস করে শেষমেশ কি পাওয়া যায়?

১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ১-কিছুদিন পেপারে দেখলাম, বনগাঁতে একটা মেয়ে পাচারকারীদের হাতে গনধর্ষনের শিকার হয়েছে। মেয়েটি পাচারকারীদের মাধ্যমে রাতেরবেলা নিজের দেশে ফিরে যেতে যেতে চাইছিল।নারী হয়ে রাতের বেলা ফিরে যাওয়া বললেই হল। সারারাত ধরে পাচারকারীরা তাকে নিগ্রহ করল। পরেরদিন সকালে গ্রামবাসীদের তৎপরতায় বিএসএফের হাতে মেয়েটি হস্তান্তরিত হয়।
২-আরো বেশ কিছুদিন আগে এ রকমই একজন মহিলাকে ধরে নিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তাকে ক্যাম্পে নিয়ে অত্যাচার করে। অর্ধমৃত অবস্থায় মেয়েটিকে ইছামতির তী্রে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেয়।পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মেয়েটি বেঁচে যায়। একটু সুস্থ হলে জবানবন্দিতে উঠে আসে বিএসএফের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ।

আমরাতো জানি, স্বপ্নের জীবনে পাড়ি দিতে এই সমস্ত সহায়-সম্বলহীন পরিবারের সন্তানরা ভারতে আসে। আর এখানে এলে ওদের জন্য মরণফাঁদ অপেক্ষা করে।
ভাই আজকের পোস্টটি খুবই ভালো লেগেছে।‌



১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কবে হবে?

১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যতদিন অভাব থাকবে ততদিন নারী পাচার বন্ধ হবে না।
একা বা দশ বিশ জন কিছুই করতে পারবেন,সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলতে হবে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে সরকার কি করবে?

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০৪

রামিসা রোজা বলেছেন:
আইন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত পাচারকারী চক্রের
বিরুদ্ধে ।

২০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: কঠোর ব্যবস্থা নেবে কে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.