নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমির গল্প

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯



জ্ঞান সাধনা ছিলো রুমির সবচেয়ে প্রিয়।
জ্ঞানের পথে মাওলানা রুমীর শ্রম-সাধনা ও প্রচেষ্টা ছিল অতুলনীয়। মানুষ তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যেত। লোকজন তাকে বলতো জ্ঞানের জাহাজ। নিজের আরাম আয়েশ নিয়ে রুমি কখনও ভাবেন নি। এমনকি রুমি বিছানা, বালিশ পর্যন্ত ব্যবহার করতেন না। স্বেচ্ছায় কখনও শয়ন করতেন না। নিদ্রার আক্রমণ হলে বসে বসে ঘুমিয়ে নিতেন অল্প কিছু সময়। রুমি নামাজ কখনও মিস করতেন না। নামাজ পড়তে খুব ভালোবাসতেন সব সময়। তিনি বলতেন নামাজ হলো ধ্যান। এই ধ্যানে প্রভুকে পাওয়া যায়। প্রভুকে অনুভব করা যায়। নামাযের সময় হলে তিনি যে অবস্থায় থাকতেন, তৎক্ষণাৎ কেবলার দিকে ঘুরে যেতেন। তখন তার চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে যেত। নামাযে তিনি একেবারে তন্ময় হয়ে যেতেন। অনেক সময় দেখা গেছে, এশার নামায শেষ করতে ভোর হয়ে গেছে।

একবার কনকনে শীতের মৌসুমে খোলা জায়গায় মাওলানা নামাযে দাঁড়ালেন। নামাজ শেষ করে মোনাজাতের সময় দুই হাত তুলে খুব কান্না করলেন। চোখের জলে তার দাড়ি চুইয়ে চুইয়ে পানি গড়িয়ে পড়েছে। এমন কি, অত্যাধিক শীতের প্রকোপে দাড়িতে অশ্রু জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিকে তার বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ ছিল না, যথারীতি নামাজে মশগুল ছিলেন তিনি। তিনি বলতেন নামাজে দাড়ালে শান্তি লাগে। পবিত্র লাগে। আনন্দ হয়। নামাজ আর জ্ঞানের চেয়ে শান্তি দুনিয়াতে আর কিছুতেই নেই। এক জীবনে 'জ্ঞান' থাকলে আর কিছুই লাগে না বেঁচে থাকার জন্য। রুমি প্রচুর পড়তেন, প্রচুর লিখতেন। আর প্রচুর ভাবতেন। তিনি দিনের পর দিন লিখেছন, পড়েছেন আর ভেবেছেন।

রুমি স্বভাবতঃ চরম পর্যায়ের সংসার-বিরাগী
এবং অল্পে খুশি থাকা মানুষ ছিলেন। বিভিন্ন দেশের সুলতান ও বাদশাহগণ নগদ টাকা-পয়সা এবং বিভিন্ন রকমের খাদ্য ও ব্যবহার্য বস্তু তার খেদমতে হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করতেন। কিন্তু তিনি উহার কিছুই নিজের জন্য না রেখে গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করে দিতেন। তিনি বলতেন, এইসব জিনিস আমি সংগ্রহে রাখতে চাই না। আমি শুধু জ্ঞান সংগ্রহ করতে চাই। জ্ঞানের চেয়ে বড় সম্পদ দুনিয়াতে আর কিছুই নাই। অথচ কোনো কোনো সময় মাওলানার গৃহে খাওয়ার জন্য কিছুই থাকত না। এরূপ সময়ে কোন কোনদিন মাওলানা রুমির বড় ছেলে বাহাউদ্দীন পীড়াপীড়ি করলে যৎসামান্য কিছু নিজের জন্য রাখতেন মাঝে মাঝে।

যেদিন ঘরে খাবার কিছুই থাকত না,
সেদিন মাওলানা খুব বেশী খুশী হয়ে বলতেন, আমার ঘর হতে দরবেশীর ঘ্রাণ আসছে। তার দানশীলতা ও পরার্থপরতার অবস্থা এরূপ ছিল যে, কোন ভিক্ষুক এসে কিছু চাইলে আংটি, পাগড়ী, কোর্তা, পরিধানে যা কিছু থাকত, দেহ হতে খুলে ভিক্ষুককে দিয়ে দিতেন। তার সহজ সরল জীবনের জন্যই মানুষ তাকে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। রুমি আকাশ দেখতে খুব ভালোবাসতেন। প্রতিদিন সময় করে তিনি আকাশের দিকে অনেক সময় ধরে তাকিয়ে থাকতেন। তখন তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তো। যদি তাকে প্রশ্ন করা হতো- আপনি কেন কাঁদছেন? তার উত্তরে তিনি কিছু বলতেন না।

একবার তিনি বাজারের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
ছেলেরা তার হাত চুম্বন করার জন্য দৌড়ে আসতে লাগল। তা দেখে তিনি দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন। মাওলানাও ছোট ছোট শিশুদের হাতে চুমো খেতেন। অদূরে একটি ছেলে কোন কাজে মশগুল ছিল। সে বলল, মাওলানা! একটু অপেক্ষা করুন, আমি আমার হাতের কাজ শেষ করে আপনার হাত চুম্বন করব। ছেলেটি তার কাজ হতে অবসর না হওয়া পর্যন্ত মাওলানা ঐ স্থানে দাড়িয়ে ছিলেন। ছেলেটি কাজ শেষ করে এসে মাওলানার হাত চুম্বন করার পর তিনি নিজের গন্তব্য স্থানে চলে গেলেন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

আকন বিডি বলেছেন: এশার সালাত আদায় করতে করতে ভোর হলে ফজর সালাত কি কাযা করতেন?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: না কায্বা হতো না। কায্বা হওয়ার আগেই পড়তেন।
এরকম প্যাচ ধরলে হাজারটা ধরা যাবে জনাব।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সত্যকারের মানবিক ছিলেন রুমি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জ্ঞান আকাশ থেকে আসে না জ্ঞান মস্তিস্কেও সহজাত নয়।তবে জ্ঞান কোথা থেকে আসে।জ্ঞান আসে বস্তু থেকে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে মস্তিস্কে বিশেষ প্রকৃয়ার মাধ্যমে চেতনায়।
যেমন একটা আপেল।প্রথমে আপেল নামক একটা বস্তু থাকতে হবে।এখন আপেল দেখতে কেমন,এটা আপনার চোখ মস্তিস্কে খবর পাঠাবে আপেল দেখতে এমন,রং এমন ইত্যাদি।চোখ বলতে পারবে না শক্ত না নরম।এরজন্য হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হবে শক্ত না নরম।স্বাদের জন্য কেটে জিহ্বায় লাগাতে।এখন আপনি মোটামুটি একটা ধারনা পেলেন আপেল সম্পর্কে।এটা হল জ্ঞানের প্রাথমিক
স্তর।এটা আপনি এক হাজারটা বই পড়েও জানতে পারবেন না,একশ বছর ধ্যান করেও জানা সম্ভব না। আপনাকে একটা আপেল ও এই প্রকৃয়াগুলো করতেই হবে।পুরো বিষয়টা অনেক বড়।আজ এই পর্যন্ত ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী বুঝতে পেরেছি।
বই পড়ে সাঁতার শেখা যায় না। সাঁতার শেখার জন্য পানিতে নামতে হবে।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কতটা বুঝতে পেরেছেন আমি কিন্তু বুঝিনি।এখানে বস্তু কই আর বস্তুর পরিবর্তনই বা কি করলেন।বুঝতে পারলে ভাল।কিন্তু জ্ঞান অর্জনের জন্য বস্তুর পরিবর্তন করা লাগবে।
বুঝতে পারার দুটি পথ আছে,ভাববাদী চিন্তাধারায় বুঝতে পারা,বস্তুবাদী চিন্তাধারায় বুঝতে পারা।উদাহরণ দেখে বুঝা যায় আপনি ভাববাদী চিন্তাধারায় বুঝতে পেরেছেন।
না বুঝার তো কিছু নেই।জলবত তরলং।এই সাধারন কথাটা যে কেউ বুঝতে পারবে।
বিরক্ত করছি নাতো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এই জীবনে আমি একজন ব্যর্থ মানুষ।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৯

অধীতি বলেছেন: জ্ঞানের স্পৃহা মানুষকে বিনয়ী,ধৈর্য্যবান ও সফল ব্যাক্তিত্বে পরিণত করে। যারা আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস করেনা তারা রুমিকে নিয়ে তাচ্ছিল্যও করে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: রুমি একজন আবেগি মানুষ তবে মহান মানুষ নয়।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইরান, আফগানিস্তান, তুরস্ক এলাকার বড় ব্যক্তিত্ব ছিলেন ওমর খৈয়াম, যিনি সেই এলাকার মানুষের জীবনকে অনুধাবন করে, তাদেরকে নতুন বিশ্বের পথের সন্ধান দিতে চেষ্টা করেছিলেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ওমর খৈয়াম কে নিয়ে আজ পড়াশোণা করবো।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: রুমি সব সময় আমার পছন্দের।
তার বেপারে কোনো কিন্ত নাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

খুবই চমৎকার পোস্ট স্যার।
স্যার, উনার সংসার জীবন সম্পর্কে কিছু বলুন।
খুবই জানতে ইচ্ছে করছে।
আরো জানতে ইচ্ছে করছে উনার কর্ম জীবন সম্পর্কে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: নি সাংসারিক মানুষ ছিলেন না।
উনি ধর্মিয় অস্তাদ ;প্ল ছিলেন। নানান রকম মাসায়েলা দিতেন। মাদ্রাসায় পড়াতেন।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অসাধারণ রাজীব দা আরও পড়তে চাই

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে, আরও পোষ্ট করবো।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

উন্নত মন মানসিকাতার মানুষ সম্পর্কেও লিখুন।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: যেমন?

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: পড়েছি

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.