নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পৃথিবীর সব দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের জন্য আমার মন কাঁদে।
আমার পৃথিবীর প্রতি, মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি মায়া আছে। এই মায়া সবার আছে- আপনার আছে, আমারও আছে। জীবনের খারাপ অভিজ্ঞতা গুলো আমাদের নিজেকে চিনতে সাহায্য করে এবং আমাদের পরবর্তীতে অনেক শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু কারণ ছাড়া প্রায়ই কেউ বিষণ্ণ থাকলে তার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এখানে লজ্জার কিছু নেই। মন খারাপ হওয়া আমাদের জীবনের একটি অংশ। 'মন খারাপ করো না' এটা বলা খুব সহজ কিন্তু মন ভালো রাখা খুবই কঠিন কাজ। আবছায়া চলে যায় হিজলের দিন
অভিমান জমে জমে আমি ব্যথাহীন।
আজ আপনি জীবিত ঘুম থেকে উঠেছেন।
কিন্তু গতকাল রাতে অনেক লোক ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। কিন্তু আপনি জীবিত ঘুম থেকে উঠেছেন। তাই, দিনটি মন খারাপ করে নষ্ট করবেন না। গতকাল সকালে কি হবে তা আল্লাহ জানে! অবশেষে ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা তিনি যেন সবাইকে সবসময় হাসিখুশি রাখে। আমি একটু অদ্ভুত টাইপের মানুষ। মন খারাপ হলে, মন খারাপ করেই বসে থাকি। ভাবি, এইটা করব? ওইটা করব? ঢাকা শহরের রাস্তায় হাঁটার থেকে বড় মোটিভেশন আমি আর কিছুতে পাই না। ভিড়ের মধ্যে, এত্তো মানুষের মধ্যে হাঁটতে থাকলে মাথার মধ্যে অনেক সুন্দর কিছু ভাবনা চলে আসে। লাইফে কি কি করতে চাই, নিজেকে কই দেখতে চাই, সব যেন সামনে ভাসতে থাকে। রাস্তায় হাঁটতে থাকলে মনটা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন মন কি নিয়ে খারাপ ছিল সেটা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবার সুযোগ থাকে না।
কুরআন মাজিদে সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, 'হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন।' ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উদাস হবেন না। নামাজ পড়ুন, জিকির করুন, দেখবেন অল্প দিনের মধ্যে আপনার সব চিন্তা বা মন খারাপ দূর হয়ে যাবে। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের বেশি মন খারাপ থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে উচ্চাকাঙ্খ। মানুষের মন খারাপ হবেই। ইয়াকূব নাবির কথা মনে আছে? ঐ যে উনার ছেলে ইউসুফকে তাঁর ভাইয়েরা মিলে কুয়োতে ফেলে দিল। ছেলের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে চোখের দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছিলেন আল্লাহর এই নবী। মাঝে মাঝে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাবাভিক তবে তার পিছনে একটা কারন থাকে।
মানুষের যেকোনো সমস্যা সমাধানের দুটো মৌলিক উপায় আছে।
একটা ইসলামিক। আরেকটা সেক্যুলার। সেক্যুলার সমাধান শুধু বাহ্যিক আর দুনিয়ারটা দেখে। পৃথিবীর কোন জিনিসটার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে? সবকিছুই তো আল্লাহর হাতে। আল্লাহই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাহলে আপনি কেন খামোকা নিজের অক্ষমতা নিয়ে আক্ষেপ করে-করে নিজের বারোটা বাজাচ্ছেন? আল্লাহ সবকিছু সামলাবেন, এটা মাথায় ভালো করে ঢুকিয়ে নিন। আল্লাহর পরিকল্পনায় আস্থা রাখুন। দেখবেন শরীর-মন সব মুহূর্তেই চনমনে হয়ে পড়ছে। নূহ নবীর কথাই চিন্তা করুন। নয় শ বছর দিনরাত মানুষকে আল্লাহর দিকে ডেকে ডেকে কী ফল পেলেন তিনি? নিজের স্ত্রী-সন্তানকেই মুসলিম বানাতে পারলেন না। লূত নবীর নিজের স্ত্রীর অবস্থাও একই। কাজেই সব আল্লাহর হাতে।
ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখার জন্য আপনার স্ত্রী আছে।
ভালো বন্ধুবান্ধব আছে। নিদেনপক্ষে থাকার একটা ঘর আছে। কিছু না কিছু আছেই আপনার। এত কিছু থাকার পরও মন খারাপ করে থাকার কোনো মানে হয় না ভাই। আপনার জীবন ও এর আশেপাশের সবকিছু যে আপনার হাতে না, সেরা পরিকল্পক আল্লাহর হাতে। এই কথাটাই মনটাকে ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। শহর বা গ্রামের মানুষ সবারই মন খারাপ হয়। গ্রামের ৮০% সমস্যা জমি-জমা অথবা সম্পত্তি নিয়ে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, ছেলেকে বিদেশে দিতে পারলেই ছেলে স্বাবলম্বী হবে। এই কারনে দেখা যায়, গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে পুরুষ মানুষ নেই। স্বাবলম্বী হবার পর বিয়ে।
(ছবিঃ আমার তোলা।)
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই আছে। মন দিয়ে চাষবাস করলেই তো হয়।
এক জীবনে একজন মানুষের খুব বেশি টাকা লাগে না।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২
ইসিয়াক বলেছেন: বলুন তো ফুলটার নাম কি?
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ইসিয়াক।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার কি অবস্থা দেখেন।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলে মানুষ কুত্তা হয়ে যায়।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " অবশ্যই আছে। মন দিয়ে চাষবাস করলেই তো হয়। এক জীবনে একজন মানুষের খুব বেশি টাকা লাগে না।
-আপনি গ্রাম দেখেছেন, কত পরিবারের কাছে চাষের জমি আছে?
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: জমি না থাক, অন্যের জমি বর্গা নেবে।
ঢাকার বাইরে গেলেই দেখায় যায় হাজার হাজার বিঘা জমি পড়ে আছে। চাষবাস হচ্ছে না।
যার জমি আছে, অথচ শহরে থাকে তাকে বললেই সে তার জমি চাষবাসের জন্য বিনা স্বত্তে দিয়ে দেবে।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই জামানায় জমি চাষ করে হালের গরু বেঁচে সার ঔষধ কিনতে হবে । লাভের মুখ দেখবে না
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল কথা।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "ঢাকার বাইরে গেলেই দেখায় যায় হাজার হাজার বিঘা জমি পড়ে আছে। চাষবাস হচ্ছে না।
যার জমি আছে, অথচ শহরে থাকে তাকে বললেই সে তার জমি চাষবাসের জন্য বিনা স্বত্তে দিয়ে দেবে। "
-ঢাকার কোন পাশে, আপনি নিজে দেখেছেন?
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: সাভারের পর থেকে একদম দৌলদিয়া/পাটুরিয়া ফেরীঘাট যেতে অনেক জমি খালি পড়ে আছে।
আসলে বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই অনেক জমি চাষাবাদ হচ্ছে না। এমনি পড়ে আছে। খোঁজ নিলে জানা যাবে, জমির মালিক, শহরে অথবা বিদেশে। গত ৫ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, খালি জমিতে গুলোতে সাইন বোর্ড লাগানো। অমুক কোম্পানীর জায়গা।
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছোট বেলায় যখন গ্রামে ছিলাম গ্রামের মাঝখানে বিরাট খেলার মাঠ ছিল।প্রতি বাড়িতে দুই চারটা গরুছিল।বতর্মানে খেলার মাঠটাও আবাদ হয়ে গেছে ,কারো বাড়িতে গরু বাছুর নাই,কারন গরু চড়ে বেড়াবার মতো কোন মাঠ নাই।
চাষাবাদ সম্পর্কে আপনার ধারনা সীমিত।আমার ধারনাও সীমিত কিন্তু আমি কৃষকের কাছা কাছি গেছি তাদেরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছি কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য।তাই কিছুটা ধারনা আছে।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার গ্রাম কোন অঞ্চলে?
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য, গ্রামের মানুষ ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে চায়; গ্রামের মানুষ গ্রামে স্বাবলম্বী হওয়ার কোন উপায় আছে?