নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
গ্রামের নাম আলীপুর।
এই গ্রামে অনেক ধনী লোকেরা থাকে। স্কুল আছে। স্কুলে খেলার মাঠ আছে। সরকারি ডাকবাংলো আছে। বাজারে তিনটা ডিসপেনসারি আছে। সেই ইংরেজ আমলে জেলায় কোন সম্পন্ন গ্রাম হলেই শুধু ডিসপেনসারি থাকত। গ্রামের এক বাড়িতে অতিথিশালাও আছে। গ্রামে কোনো আগন্তক এলো অতিথিশালায় উঠেন। ইংরেজ আমল থেকেই এই নিয়ম। যুগ যুগ ধরে এই নিয়ম রক্ষা করে চলেছে আলিপুর গ্রামবাসী। এই গ্রামে কেউ একা কোরবানী দেয় না। সকলে মিলে একসাথে কোরবানী দেয়। তারপর গোস্তের সমান ভাগ বাটোয়ারা হয়। ঝামেলা বিহীন সুন্দর গ্রাম।
এক হুজুর আলীপুর গ্রামে এলেন।
তিনি যাবেন পাশের গ্রামে। অনেক রাত হয়ে গেছে তাই তিনি রাতটুকু আলীপুর গ্রামে থেকে গেলেন। গরীব হুজুর এক রাতের জন্য অতিথিশালায় উঠেছেন। কোন রকমে রাতখানা কাটিয়ে ভোরবেলায় যাত্রা করবেন গন্তব্যের দিকে। তার গন্তব্য উষাপাড়া গ্রাম। বিল পার হয়ে যেতে হবে। রাতের বেলায় যাওয়া যাবে না। ডাকাতি হয়। ভোর হলেই মৌলনা হুজুর ফযরের নামাজ পড়ে রওনা দিবেন উষাপাড়া গ্রামে। নৌকা করে যাবেন।
রাত্রি বেলায় ঘুমিয়ে আছেন মৌলভী।
হঠাৎ টুং টাং শব্দে ঘুম ভাঙে তার। টিপটিপ করে তাকিয়ে দেখেন ঘরে চোর। তার তো কিছু নেই—একটা ঝোলা মাত্র। তাতে দু’ একখানা পুরনো পাজামা আর পাঞ্জাবি। পাঁচটি টাকা আছে তাও কোমরে গোঁজা। তাই মালপত্র টাকা কড়ি নিয়ে তার চিন্তা নেই। আর অতিথিশালায় চুরি করার মত জিনিসপত্র তার চোখে পড়েনি। তাহলে কেন চোর এলো?
হুজুর ব্যাপার কি দেখার জন্য ঘাপটি মেরে আছেন।
চোর পুরো ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজে দামী কিছু পেলো না। কিছু না পেয়ে আলমারিতে রাখা নতুন চাদর আর কাপ পিরিচ নিয়ে চম্পট দেয়ার উপক্রম করে। মৌলভী সাহেব অমনি লাফ দিয়ে ওঠে চোরকে ধরে ফেলে। এবং 'চোর চোর' বলে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। ততক্ষণে চোর ঘরের বাইরে এসে পড়েছে। মৌলভী তাকে তখন ধরে রেখেছেন। ফলে দু’জনে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ইতোমধ্যে বাড়ির লোকজন চাকর-বাকররাও চলে আসে।
লোকজন দেখে চোর বলে ওঠে-
এ হুজুর নয়। চোর। আমি তাকে ধরেছি। সে ছিচকে চোর। তা না হলে সামান্য বাসন-প্লেট কাপের লোভ সামলাতে পারে না? কিন্তু কর্তা, পালাতে দেইনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলে চোর। হে হে বাছাধনকে ধরে ফেলেছি।
হুজুর মাথা নেড়ে বলে-
'আল্লাহর কসম, আমি চোর নই। আমি অতিথি। বরং আমি এই চোরকে ধরেছি। আমি হুজুর মানুষ। মিথ্যা বলি না।
বাড়ির মালিক চাকরদের বলেন, দু’জনকেই বেঁধে রাখ। সকালে ফয়সালা হবে।
সকালে ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এলেন।
জেলাপ্রশাসক এলেন। জেলা পরিষদের সদস্য এলেন। চৌকিদার দফাদার এলেন। এরা সকলে মিলে চোর আর হুজুর দুজনকেই নিয়ে গিয়ে এক মরা লাশ কাধে তুলে দিয়ে বলে, কবরে নিয়ে যাও।
মৃত মানুষ কাধে দুই কথিত চোর।
যেতে যেতে এক জায়গায় এসে ক্লান্ত হুজুর বলে, হায় আল্লাহ শেষ কালে চোর বানালে!
আসল চোর বলে, আমাকে ধরলি কেন? এখন মজা বোঝ।
হঠাৎ শব্দ হয়, ওরে থাম, থাম।
আমাকে ঘাড় থেকে নামা। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে মরার ছদ্মবেশধারী নেমে আসে, আসল চোর চিহ্নিত হয়।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ্জ্বী।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কাজীর বিচার।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী হ্যা।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখন অন্য নিয়ম।হুজুর,চোর,গ্রামবাসী সকলকে পুলিশ থানায় নিয়ে,অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা করবে।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে----
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
সামিয়া বলেছেন: শিক্ষনীয় এবং মজার গল্প
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: তা কিছুটা।
৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভালো লেগেছে গল্প। লেখালেখির প্রতি আপনার মোহ আছে - এটি ভালো কাজ।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর সাবলীল লেখা
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
কাযীর আমলের পদ্ধতি