নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অলৌকিক নয় লৌকিক/ লৌকিক নয় অলৌকিক

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫



একটা ইরানি সিনেমা দেখলাম।
সিনেমায় ব্যাভিচারের শাস্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। এক মহিলাকে গর্ত করে অর্ধেক মাটিতে পুতে একদল ছেলে, বুড়া মহা উৎসাহে পাথর ছুড়ে ছুড়ে মহিলাকে মারছে। পাথর এসে লাগছে মহিলার চোখে, মুখে, বুকে, গালে, কপালে। মহিলার পুরো মূখ রক্তে মাখামাখি। তবু পাথর নিক্ষেপ চলছেই। এটা এত মর্মান্তিক যা আমার মনে গভীর দাগ কেটে যায়। সিনেমাটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। আমার জানা ছিল না ইসলামে নাকি এইটা আইন। আল্লাহর আইন। নবী নিজেই এই আইন প্রয়োগ করেছেন বহুবার। আমি অনেক আলেমদের সাথে কথা বললাম তারা সবাই বললেন হ্যা এটাই আল্লাহর আদেশ। এবং নির্দেশ হলো এই শাস্তি প্রয়োগ করার সময় কারো প্রতি করুনা করা যাবে না।

এখন বিজ্ঞানের যুগ।
মানুষ এখন জানতে শিখেছে, বুঝতেও শিখেছে। এখন যেকোনো ঘটনার ব্যাখ্যা বের করতে সক্ষম। ফলে সব কিছু অলৌকিক মনে হয় না। আমাদের দেশের সাধুসন্ত, যোগী ঋষিদের জীবন কাহিনীতে, নানারকম অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়। আমার দেখা এক সাধু বাবার কথা বলি- আমি আমার চাচার দোকানে বসে আছি। তখন এক পাগলা সাধু বাবা এলেন। আমি একটা একশো টাকার নোট কাউন্টারের উপর রেখে সাধু বাবাকে বললাম, টাকাটা ধরো আর যদি পারো আমাকে কিছু অলৌকিক ক্রিয়াকলাপ দেখাও। সাধু মুচকি হেসে বলছে আমি ওসব জানি না আর গায়ের কম্বল থেকে আঁশ ছিড়ছে। অল্প একটু আঁশ ছিঁড়ে মুঠোয় নিয়ে চাপ দিতেই মুঠো থেকে ঝরঝর করে পানি পড়তে থাকলো। অদ্ভুত ব্যাপার! এবার কম্বলের একটা খুট মুঠোয় নিয়ে চাপ দিতেই পানি ঝরতে শুরু করলো। এ এক তাজ্জব ব্যাপার, যারা দোকানে উপস্থিত ছিলেন তাদের কয়েকজন সাধুর কম্বল গা থেকে খুলে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালালো। কোথাও পানির কোন অস্তিত্ব খুঁজে পেল না। সাধু বাবা মুচকি হেসে বললো, এটা কোন অলৌকিক ক্ষমতা নয় এ হলো ম্যাজিক।

২০১২ সালের ঘটনা।
আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদী। সময় মোটামুটি বিকেল চারটা। এমন সময় পদ্মা নদীর পানি উরন্ত গতিতে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে আকাশের দিকে উঠতে থাকে। ভু পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত। চক্রটির ব্যাস ছিল প্রায় ১৫০ মিটার, এবং উপরের বাকি অংশটির ব্যাসার্ধ ছিল প্রায় ৭ থেকে ৬সিএম পাইপের মত। গ্রামবাসীদের মতে এটি দেখে মনে হচ্ছিল উপর থেকে হাতি যেন তার শূর নামিয়ে নদী থেকে পানি তুলছে। এই পানি বৃষ্টি আকারে অন্য কোথাও পতিত হবে। এই প্রক্রিয়াটি মোটামুটি ২০ মিনিট পরে বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে বললেন, এরূপ ঘটনা তারা এর আগেও দেখেছেন। কিন্তু আমি আমার জীবনে নিজে চোখে একবারই দেখেছি। হয়তো এর ব্যাখ্যা আছে অবশ্যই। কিন্তু সেটা আমার জানা নেই।

এক জীবনে বেশ কয়েকবার অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে।
আপনি যদি আপনার টেবিলের উপর রাখা আপনার পানির গ্লাসটিকে নড়তে দেখেন, আপনি ভয় পেয়ে যাবেন বা শিহরিত হয়ে চিতকার দিয়ে উঠবেন। কারন আপনি তা দেখে অভ্যস্ত নন বা আপনি জানেন না কোন শক্তি গ্লাসটিকে নাড়াচ্ছে। আপনার কাছে এটা অলৌকিক মনে হবে। আসলে বিষয়টি আমাদের এখনো অজানা। তা অলৌকিক।
পৃথিবীতে অলৌকিক শক্তিধর ব্যক্তি একজন নয়, অনেকেই ছিলেন, অনেকেই আছেন এবং অনেকেই থাকবেন। তবে হ্যাঁ যত না অলৌকিক শক্তি মানুষ সত্যি সত্যি আছেন তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি ভণ্ড আছেন যারা ব্যবসা করতে চান। আমি অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন মানুষ। তবে আমি মানুষ ঠকাই না। এমন কি আমার অলৌকিক ক্ষমতা কাউকে দেখাই না। তবে হ্যাঁ পানির উপর দিয়ে হাঁটতে পারি না বা আকাশে উড়তে পারি না।

মূর্খ ব্যক্তি কিভাবে প্রার্থনা করতে হয় তা বই থেকে পড়ে।
কিভাবে প্রার্থনা করলে নিরাকার খুশি হবে তা শেখে, কিভাবে নিরাকারের হাত থেকে বাঁচা যায় তা করে, কিভাবে নিরাকারের থেকে পুরস্কার পাওয়া যায় তাও করে। জ্ঞানী ব্যক্তি নিরাকারের প্রতি মন থেকে শ্রদ্ধা জানায়, ভালোবাসা জানায়। নিরাকারের সাথে মনে মনে একাত্ম হয়।

কেভিট-১৯ থেকে নিরাপদে থাকুন।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: দারুণ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পদ্মাতে আপনি টর্ণেডো দেখেছিলেন; ইহা বাংলাদেশে সমুদ্রের উপর হয়ে থাকে। ইরানের সরকার জাপানের মতো ভালো হয়ে যাবে, দরকার ১ট এটম বোমা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: টোর্নেড'ই হবে। তখন জ্ঞান কম ছিলো।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২

স্থিতধী বলেছেন: ব্যাভিছারের জন্য পাথর মেরে হত্যা বা রজম কোরানে উল্লেখ করা নেই। ওটা কিছু দুর্বল হাদিস দিয়ে অনেক আলেম জায়েজ করার চেষ্টা করে। কোরানে আছে চার সাক্ষী যোগাড় করে অভিযোগ প্রমাণ হবার পর বেত্রাঘাত করার কথা। ইহুদি দের কালচারে পাথর মেরে হত্যার বিষয়টা বেশ আগে থেকে ছিলো, পরে ওরা সংস্কার করে নেয়। এমন আরেকটা বাজে জিনিস হচ্ছে পরিবারের সম্মান রক্ষার নাম নিয়ে বিপথে যাওয়া মেয়েদের বাবা বা ভাই কর্তৃক অনার কিলিং করা। পাকিস্তানে এটা অনেক হয়েছে, ভাগ্য ভালো এই চর্চা বাংলাদেশে নাই ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও কোরআনের কোথাও পাই নি।
সমস্যা হয়েছে জাল হাদীস গুলো নিয়ে।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নিরাকারের সাথে একাত্ম হয়,না কি নিজের সাথেই নিজে একাত্ম হয়।নিরাকারকে বন্দি করাযায়,কিন্তু এই নিরাকারকে যদি বন্দি করা না যায় তবে এটা কিছুই না।এ আপনার ভালও করতে পারবে না খারাপ করতে পারবেনা।এর সাথে একাত্ম হয়ে লাভ নাই সম্ভব ও না।তার থেকে নিজের সাথে নিজে একাত্ম হন,কিছু লাভ আছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য হেলাফেলা করা ঠিক হবে না।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৭

জিকোব্লগ বলেছেন: স্থিতধী ভালো বলেছেন

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভালো ভালো বলেন।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইরান এখন ইরাকেও সেই প্রথা চালু করবে

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

একুশ শতকে এসে সেই আমলের বর্বর অসভ্য আরবদের কাজ কর্ম উদারণ হিসাবে নিয়ে জীবন ধারণ করা বোকামী বই্ অন্য কিছু নয়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হতে পারে।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

এমেরিকা বলেছেন: (সহিহ বুখারী৪২৮৩) আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নূমায়র (রহঃ) বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,গামেদী এক মহিলা আগমন করলো এবং বলল, হে আল্লার রাসুল! আমি ব্যভিচার করেছি।
সুতরাং আপনি আমাকে পবিত্র করুন। তখন
তিনি তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন।-পরবর্তী দিন আবার ঐ মহিলা আগমন করলো এবং বলল,
হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!আপনি কেন আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।আপনি কি আমাকে ঐভাবে ফিরিয়ে দিতে চান,যেমনভাবে আপনি ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন মায়েযকে। আল্লাহর শপথ করে বলছি, নিশ্চয়ই আমি গর্ভবতী। তখন তিনি বললেনঃতুমি যদি ফিরে যেতে নাচাও,তবে আপাততঃ এখনকার মত চলে যাও এবং প্রসবকাল সময় পর্যন্ত অপেক্ষা কর।রাবী বলেনঃ এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করল- তখন
তিনি সন্তানকে এক টূকরা কাপড়ের মধ্যে নিয়ে তাঁর কাছে আগমন করলেন এবং বললেনঃ এই
সন্তান আমি প্রসব করেছি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যাও
তাকে (সন্তানকে) দুধ পান করাও গিয়ে। দুধপান করানোর সময় উত্তীর্ণ হলে পরে এসো।এরপর যখন তার দুধপান করানোর সময় শেষ হল তখন ঐ মহিলা শিশু সন্তানটিকে নিয়ে তার কাছে আগমন করলো এমন অবস্থায় যে, শিশুটির
হাতে এক টূকরা রুটি ছিল।এরপর বললো, হে আল্লাহর নাবী! এইতো সেই শিশু-যাকে আমি দুধপান করানোর কাজ শেষ করেছি। সে এখন
খাদ্য খায়। তখন শিশু সন্তানটিকে তিনি কোন
একজন মুসলমানকে প্রদান করলেন। এরপর তার
প্রতি ( ব্যভিচারের শাস্তি) প্রদানের নির্দেশ দিলেন।মহিলার বক্ষ পর্যন্ত গর্ত খনন করানো হল এরপর জনগণকে (তার প্রতি পাথর নিক্ষেপের) নির্দেশ দিলেন। তারা তখন তাকে পাথর মারতে শুরু করল।খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) একটি- পাথর নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং মহিলার মাথায়
নিক্ষেপ করলেন, তাতে রক্ত ছিটকে পড়লো খালিদ (রাঃ) এর মুখমণ্ডলে। তখন তিনি মহিলাকে গালি দিলেন।নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম গালি শুনতে পেলেন।
তিনি বললেনঁ, সাবধান!হে খালিদ! সেই মহান
আল্লাহর শপথ, যার হস্তে আমার জীবন, জেনে রেখো!নিশ্চয়ই সে এমনতাওবা করেছে, যদি কোন ‘হক্কুল ইইবাদ” বিনষ্টকারী ব্যক্তিও এমন
তাওবা করতো- তবে তারও ক্ষমা হয়ে যেতো। এরপর তার জানাযার সালাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি তার জানাযায় সালাত আদায়
করলেন। এরপর তাকে দাফন করা হলো।

দেখুন মহিলা কিন্তু তওবা করেছিল তবুও তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল কারণ তার পাপ প্রকাশিত হয়েছিল।সে স্বীকার করেছিল।তাই যদি পাপ গোপণ রাখতে পারেন,তাহলে কোনো শাস্তি নেই।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

যারা পাথর মেরে মানুষ হত্যা করে তাদের মধ্যে কোন মানবতার লেশমাত্র নেই।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: চিন্তায় পড়ে গেলাম।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

স্থিতধী বলেছেন: @ এমেরিকা, আপনার হাদিস টিকে সত্য মানতে হলে এখন কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আনবে যেকোন বোধ শক্তি সম্পন্ন মানুষ । তা হল কোরআনে পাথর মেরে ব্যাভিচারের শাস্তি দানের কোন বিধান যখন ছিলোনা তখন কি করে আল্লাহর রাসুল এই মহিলাকে পাঁথর মেরে হত্যার হুকুম দিতে পারলেন? তাঁর মানে কি কখনো কখনো তিনি তাঁর নিজ খেয়াল খুশি মতো আল্লাহর আইন অমান্য করেই শাস্তির বিধান দিতেন ? আবার এটি যদি আল্লাহর মর্জি মোতাবেক শাস্তি হয় তাহলে প্রশ্ন জাগবে এটি তাহলে কোরআনে নেই কেন? ব্যাভিছার বিষয়ে কোরআনে যা আছে তাঁর সাথে তো রাসুলের এই বিচার সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক হয়ে গেলো ! যদি ব্যাভিছারের ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তির রকম ফের ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে একটি ভুল শূন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধানের দাবী করা কোরআনে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার কথা। কোরআনে এক জিনিশ লিখে আবার আলাহ র রাসুল মারফত অন্যরকম কাজ করানোর কথা না। কোরআনের আদেশের বিপরীতে গিয়ে রাসুলের এ জাতীয় আদেশ দেয়া জায়েয হয় কিনা? অথবা এটাই যদি ঠিক শাস্তি হয় কিছু ক্ষেত্র বিশেষে তাহলে বর্তমানে যে কোরআন আমারা পড়ছি তা আসলে অসম্পূর্ণ বা বিকৃত করে ফেলা কোরআন কিনা? এমন অসংখ্য স্ববিরোধী বিষয়ের মীমাংসা ইসলামের আলেমরা মিলে করতে পারছেন না, সবাই ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজ নিজ মযহাবের স্কুল অব থটস আর রাজনীতি অনুযায়ী।

আপনার মতো লোকেদের কারনে আমি বহু প্রচণ্ড বিশ্বাসী মুসলিম কে দিশা হারিয়ে অবশেষে ইসলাম ত্যাগ করতে দেখেছি। আবার আরেকটি অংশকে বিশ্বাসের তাড়নায় খুনী জঙ্গী দলে যোগ দিতে দেখেছি। এবং আপনাদের মতো লোকদের কারনেই ইসলাম ও ক্ষমতার রাজনীতি মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়ে জন্মের এক শতাব্দী পার হতে না হতেই ইসলামে দুটি বড় ফিতনা সংগঠিত হয়ে গিয়ে এর ভেতর অজস্র বিতর্কের প্রবেশ ঘটেছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: দিন শেষে সত্যটাই টিকে থাকবে।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

স্থিতধী বলেছেন: দিন শেষে সত্যটাই টিকে থাকবে।

রাজীব ভাই, ধর্মীয় রাজনীতির মাঠে সত্য এক আপেক্ষিক বিষয়। সেখানে টিকে থাকে ক্ষমতার লড়াই, সত্য না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই কথাও মেনে নিলাম।

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২

এমেরিকা বলেছেন: বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূল (স) বলেছেন, আমি তোমাদের নিকট দুটো জিনিস রেখে যাচ্ছি - একটি হল আল্লাহ্‌র কালাম, আরেকটি হল আমার সুন্নাহ। যতদিন তোমরা এই দুটোকে আঁকড়ে ধরবে, ততদিন কেউ তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা।

কাজেই বিভ্রান্ত না হবার জন্য রাসূলের (স) আমলগুলোকেও অনুসরণ করা জরুরি।

আপনাদের যদি মনে হয় রাসূল (স) কুরআন অস্বীকার করার মত কাজ করেছেন (নাউযুবিল্লাহ), তাহলে একটা তালিকা দিন, রজম কার্যকর করার পাশাপাশি তিনি আর কি কি এমন কাজ করেছেন, যার আদেশ কুরআনে দেয়া নেই?

কুরআনে কেবল রুকু ও সিজদা দেবার কথা বলা হয়েছে। রাসূল (স) যেভাবে নামাজ পড়তেন, এই নিয়ম তিনি কই পেলেন? এভাবে নামাজ পড়তে তাঁকে কে বলল?

যাকাত কয় পার্সেন্ট দিতে হবে, ফসলের যাকাত কত হবে - এই আদেশ কুরআনের কোথায় আছে?

যুদ্ধ শেষে গণীমতের মাল বন্টনে কুরআনের কি নির্দেশনা আছে?

যদি কুরআনেই সবকিছু স্পষ্ট ব্যখ্যা করা থাকত, তাহলে সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার কথা নবী (স) বলতেন না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৪

এমেরিকা বলেছেন: ১) “হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রাঃ হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত উমর রাঃ কে বলতে শুনেছেনঃ ” লোকেরা বলে যে,তারা রজম করার কথা কুরআনে পাই না।কুরআনে কেবল চাবুক মারার হুকুম রয়েছে।জেনে রেখো যে, স্বয়ং রাসূল সাঃ রজম করেছেন,তারপর আমরাও করেছি।
” কুরআন যা নেই, উমর রাঃ তা লিখিয়ে নিয়েছেন” এ কথার ভয় যদি আমি না করতাম তবে রজমের আয়াত আমি লিখিয়ে নিতাম যেভাবে ওটা অবতীর্ণ হয়েছিল।(মুসনাদে আহমদ)

২) হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়ার রাঃ হতে বর্ণিত যে, হযরত উমর রাঃ বলেছেন, ” তোমরা রজমের হুকুম অস্বীকার করার ধ্বংস থেকে বেঁচে থাকো।(ইমাম আহমদ বর্ণনা করেছেন,ইমাম তিরমিযী রাঃ এটা আনয়ন করেছেন এবং বিশুদ্ধ বলেছেন)

৩) কাসীর ইবনে সালত রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমরা মারওয়ানের নিকট উপবিস্ট ছিলাম।সেখানে হযরত যায়েদ ইবনে সাবিতও ছিলেন।তিনি বলেনঃ “আমরা কুরআনে পড়তাম- বিবাহিত পুরুষ বা নারী ব্যভিচার করলে তোমরা অবশ্যই রজম করবে।” মারওয়ান তখন জিজ্ঞেস করেন,” আপনি কুরআন কারীমে এটা লিখেন না যে? উত্তরে তিনি বলেনঃ আমাদের উমর রাঃ বলেন, আমি তোমাদের স্বান্তনা দিচ্ছি যে, একটি লোক একদা নবী সাঃ এর কাছে আগমন করে।সে তার সামনে এরুপ বর্ণনা দেয়।আর সে রজমের বর্ণনা দেয়।কে একজন বলে, হে রাসূল সাঃ আপনি রজমের আয়াত লিখিয়ে নিন।রাসূল সাঃ বলেন আমি তো এটা লিখিয়ে নিতে পারি না।(আহমদ ও নাসাঈ)

বিস্তারিতঃ Click This Link

এসব হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রজমের আয়াত পূর্বে লিখিত ছিল।তারপর তিলাওয়াত রহিত হয় তবে হুকুম বাকি আছে।

(৬ নং প্রশ্নঃ) রজমের আয়াত যদি রহিত হয় তাহলে তার স্বরুপ কিংবা ঐ রকম কোনো আয়াত কুরআনে থাকা উচিত।কারণ আল্লহ বলেন, “আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে,আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?” [ সূরা বাকারা-১০৬]

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস। ইউ রাইট।

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২

এমেরিকা বলেছেন: ইসলামে এরকম অনেক বিধানই আছে, অবিশ্বাসীদেরকে যা বিভ্রান্ত করানোর জন্য যথেষ্ট। আমাদের মত লোকের জন্য যারা হতাশ হয়ে ইসলাম ত্যাগ করে, তাদের জন্য মেকি ইসলামের ভাব ধরে টিকে থাকার চেয়ে ত্যাগ করাই শ্রেয়। ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য যারা অনুধাবন করতে পেরেছে, তাদের সামনে যুক্তি কেন, প্রলোভন বা ভয় ভীতি - কোন কিছুই ইসলাম ত্যাগের কারণ হবেনা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।

১৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: জনৈক এমেরিকান বলেচেন, মাথায় মগজ নিয়ে ইসলাম পালন করা অসম্ভব, তিনি তেনার মগজকে আরবের তপ্ত বালুর মধ্যে গুজে রেখেচেন তাই তেনার আর কোনো যুক্তি বোঝার অবকাশ নেই। তিনি খুব ভালো বলেচেন কোনো ভনিতা ছাড়াই, আল্লাহ তেনাকে বেহস্ত নসীব করুন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

১৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: আপনি যে পরিমাণ পোষ্ট করেন তাতে আমি নিশ্চিত আপনার অলৌকিক ক্ষমতা আছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----

১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

ইসিয়াক বলেছেন: এই পোস্টটা পড়তে ইচ্ছা করছে না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: স্বাভাবিক।
সেই সুযোগ আপনার আছে।

১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

স্থিতধী বলেছেন: @ এমেরিকা, তাঁর মানে রযম এর বৈধতা দেয়ার জন্য এখন মুসলিমদের কুরানের বাণী ফেলে দিয়ে এখন দ্বিতীয় খলিফা উমরের (র) মতামতের দিকে তাকায়ে থাকতে হবে তাইতো? তা জনাব প্রথম খলিফার সিলসিলা বা হুকুম ব্রেক হইলো কেন মাঝখান দিয়ে? আর হাদিস? ১৪০০ বছর পার করে দেবার পরেও আলেমরা সকল ‘শুদ্ধ’ হাদিস নিয়া আজ পর্যন্ত একমত হইতে পারছে? হযরত উমর অনেক বিষয় – ই রাসুলের থেকেও পাঁচ কাঠি বেশী বুঝতে চাইতেন , তিনি রাসুলের বহু কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্ত দেখে বহু সময় ভেতর থেকে রাজী হইতে পারতেন না ইহার প্রমাণ ইসলামের ইতিহাসই অনেক আছে । আপনার প্রিয় সালাফী সাইট থেকেই কাবা ঘড়ের কালো পাথর কে হজের সময় চুমু খাওয়ার পৌত্তলিক দের করা চর্চা মুসলিমদেরও চালিয়ে যাওয়া বিষয়ে ওনার মনোভাব এর উদাহারণ দেই;

Umar and the Black Stone
Al-Bukhārī reports that ʿUmar – Allāh be pleased with him – came to the Black Stone (performing ṭawāf, circumambulation), kissed it, and said, “I know that you are a stone, you do not cause benefit or harm; and if it were not that I had seen Allāh’s Messenger – peace and blessings of Allāh be upon him – kiss you, I would never have kissed you.”

তার মানে নিমরাজি মানসিকতায় তিনি ঐ পাঁথরে চুমু খাইতেছেন যেটা কিনা এক সময় মক্কার পৌত্তলিক রাও চুমু খাইতো ! স্বাভাবিক ভাবেই তিনি বুঝতে পারতেছেন না যে এমন একটা পৌত্তলিক সংস্কৃতি কেন মুসলিম দেরও বজায় রাখতে হবে যেখানে কিনা এক হাদিসে রাসুল (সঃ) ই বলতেছিলেন যে মক্কার পৌত্তলিকদের সাথে মিল খায় এমন যে কোন কিছু মুসলিমদের করা ঠিক নয় ! সেই হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে আপনার প্রিয় ওয়াজ মাহফিলের ভাইয়েরা বাংলাদেশের মুসলিমদের কে পূজা মণ্ডপের আশপাশে যাইতেও নিশেধ করিয়া হিন্দুদের মাটির তৈরি দেবীর অসহায়ত্ব নিয়ে জোক মারে। অথচ হজের সময়তে রাসুলের ই ঐতিহ্য রক্ষা করতে ক্ষমতাহীন কালো পাঁথরে এসে চুমু খাইতে হইতেছে।
রযমের আয়াত লিখিত হবার পরে আবার কোরআন থেকে তেলাওয়াত নিশিদ্ধ হইবে কেন? তবে কি ইহাও স্যাটানিক ভার্সেস এর মতো শয়তান থেকে আগত আয়াত ছিলো যে যা পরে কোরআন থেকে মুছে দেওয়া লাগলো ? যখন স্যাটানিক ভার্সেস এর আয়াত গূলো নবী কোরআন থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তখন সেই কফিঊশন দূর করার জন্য অন্য আয়াত নাযিল হয় এটা বোঝানোর জন্য যে যে আগের টা ভুল, আল্লাহর কোন মেয়ে বা শরীক নাই। একবার বেত্রাঘাতের কথা বলার পরে আরেকবার পাথর মারার মত পরস্পর বিরোধী কথা তাই খুব সঙ্গত কারনেই কোরআনে ঠায় পায়নাই । এতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। যদি বেত্রাঘাতের আয়াত কে বাতিল করে দিয়ে তাঁর বদলে রযমের আয়াত আনা হইতো তাহলে অন্য বিষয় হইতো।
বাকী নবী করীম (সঃ) অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন স্বাভাবিকভাবেই, তিনি জীবিত অবস্থায় ঊমর ( রঃ) খুব বড় রকমের দায়িত্বপূর্ণ পদ কখনো দেন নাই, কারণ তিনি জানতেন উমর (রঃ) অনেক কিছু আল্লাহর রাসুলের থেকেও একটু বেশী বুঝতে চান ;
Though Umar spent eighteen years in the company of Muhammad Mustafa, the Messenger of God, the latter never appointed him to any position of authority – civil or military.

ইসলামের প্রথম যুগের রাজনীতি, গেম অফ থ্রোন্সের কাহিনীকেও হার মানায়। যা হোক, ব্লগার অগ্নিবেশ যেমনটা বললেন আরকি, আপনি যেহেতু আরবের তপ্ত বালুর বুকে আপনার মগজ দিয়ে এসে কাজ করেন, আমিও তাই আপনার সাথে কথা বাড়িয়ে নিজের কল্লা হারাতে রাজি নই। রাজীব নূর ভাইয়ের মত আমিও বলতে থাকবো “ ঠিক ঠিক” ! আপনি চালিয়ে যান, এই বাংলায় এই ব্লগে আপনি দেখুন কিছু জঙ্গী রিক্রুট করতে পারেন কিনা। “ লারকে লেংগে পাকিস্তান, বাংলা হবে আফগানিস্তান!”
নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেবেন!

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: পৃথিবীর সব নির্মম শাস্তি মেয়েদের জন্য। কারন সব শাস্তির বিধান তৈরী হয়েছে পুরুষের হাতে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এই সব নির্মম সাস্তির পক্ষে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.