নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালিশ এবং টাকা

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

১।

বালিশ ছাড়া আমরা ঘুমাতেই পারি না।
অতি প্রাচীনকাল থেকেই বালিশের প্রচলন হয়ে আসছে। তবে আজকের মত এমন নরম তুলতুলে কোন বালিশ ছিল না তখন। তখনকার মানুষরা বালিশ হিসেবে ব্যবহার করত শক্ত কাঠ, গাছ, মাটি অথবা পাথর। বিশ্বের সব চাইতে প্রাচীনতম সভ্যতা মেসোপটেমিয়ায় গড়ে উঠেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস ( ফোরাত ও দাজল) নদীর তীরে এ সভ্যতার বিকাশ ঘটে। এ সভ্যতায় বালিশের প্রাচীনতম ব্যবহার হয়েছিল।

বালিশ ছাড়া দীর্ঘক্ষন ঘুমানো যায় না।
প্রাচীন মিশরেও কাঠ ও পাথর বালশ হিসেবে ব্যবহার হত। তারা মনে করত শরীরের পবিত্র ও আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে হচ্ছে মাথা। তাই মাথাকে সুরক্ষিত রাখা ও উচ্চতর জায়গায় রাখাই শ্রেয় বলে মনে করা হত। মিশরের বিভিন্ন মমি ও কবরে বালিশের ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রাচীন চীনেও শক্ত বালিশের ব্যবহার ছিল। সে সময় সিরামিকের বালিশ খুব জনপ্রিয় ছিল। ৫৮১-৬১৮ সালে সুই রাজবংশে সিরামিক তৈরি বালিশের প্রথম দেখা মিলে। পরে তারা আস্তে আস্তে নরম বালিশের দিকে ধাবিত হয়।

শিমুল তুলার বালিশ সবচেয়ে আরাম দায়ক।
বিচি ছাড়া শুধু শিমুল তুলার বালিশ। শিমুল তুলা ৮০০ টাকা কেজি। এক কেজি তুলা দিয়ে একটা বালিশ বানালে আরাম করে ঘুমানো যায়। গত কয়েক বছর ধরে সিনথেটিক তুলার বালিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব বালিস প্রথম কিছুদিন ফোলা থাকে তারপর মিইয়ে আয়। প্রাচীন গ্রীসে ও রোমে বালিশ ব্যবহারকে দুর্বলতার প্রতীক হিসেবে ভাবা হত। তাদের মতে নরম বালিশ শুধুমাত্র গর্ভবতী মহিলাদের জন্যে। তারপরও অনেক উচ্চশ্রেণির লোকরা কিছু উচ্চমানের নরম বালিশ ব্যবহার করতেন। মানুষের আগেও বিভিন্ন প্রাণি (Reptiles & mammals) বসে বা শুয়ে থাকার সময় তাদের মাথা সাপোর্ট হিসেবে সামান্য উঁচু জায়গা বেছে নিত অথবা একে অন্যের শরীরের উপর মাথা, ঘাড় সাপোর্ট দিয়ে রাখত অথবা নিজের বাহু ব্যবহার করত ।

২।

টাকা কবে থেকে প্রচলন শুরু হয়?
কয়েক শত বছর আগে বাজার মানে ছিলো নদীর তীরে কয়েকটা ছনের ঘর, আর একটা কাঠের টুলে বসে থাকা শেঠ মহাশয়। শেঠ শব্দটার মানে শ্রেষ্ঠ। শেঠ মশায়ের কাজ ছিলো পারিশ্রমিকের পরিবর্তে মুদ্রার সঠিক বিনিময় মূল্য বের করে দেয়া। তখন মুদ্রা তৈরি হতো সোনা, রূপা, তামা ইত্যাদি ধাতু দিয়ে, শেঠ মশায় কোনো এক ধাতব পাতে সেই টাকা বাড়ি মেরে বুঝতে পারতেন এর মধ্যে কতটা ধাতু আর কতটা খাদ। এর মাধ্যমে তিনি বলে দিতে পারতেন এই মুদ্রা দ্বারা কতটুকু খরিদ করা সম্ভব।

সেই সময় আমার জন্ম হলে ভালো হতো!
যাই হোক, শেঠ মশায় যখন বাড়ি মারতেন, তখন 'টং' করে একটা শব্দ হতো। সেই থেকে 'টংকা' শব্দটার প্রচলন। সেই টংকা থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের 'টাকা' শব্দের উৎপত্তি। সম্রাট বা রাজারা তাদের আমলে নিজের নামে টাকা মুদ্রন করতেন। যেখান থেকে মুদ্রন করা হতো তার নাম দেয়া হলো 'টাকশাল'। টাকা বস্তুটা মুদ্রিত হতো বলে ''মুদ্রা' শব্দটির উৎপত্তি। মোটামুটি ৭০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে লিডিয়ায় (বর্তমান তুরস্কে) রাজা গাইজেস 'ইলেস্ট্রাম' নামক মিশ্র ধাতুর মুদ্রা প্রচলন করার পর গ্রিকদের হাত হয়ে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া মুদ্রা ব্যাবস্থা বিনিময় প্রথার অসুবিধা দূর করলেও আরেক অসুবিধা নিয়ে আসে।

বাংলাদেশের টাকা ছাপানো হয় গাজীপুরের শিমুলতলীতে।
সেখানে বিরাট টাকশাল। অবশ্য ভিতরে বাহিরের মানুষ যাওয়া সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের টাকা বিদেশ থেকেও ছাপিয়ে আনা হয়। উপমহাদেশে প্রথম নোট ছাপা হয়েছিলো সম্রাট হুমায়ূনের মহানুভব শত্রু, গ্র‍্যান্ড ট্রাংক রোডের নির্মাতা শের শাহের রাজত্ব কালে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ কিছু জানলাম রাজীব দা

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লেই জানা যায়। এজন্য প্রচুর পড়তে হবে।

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

রকিব লিখন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।। এমন সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।। আরও এমন সুন্দর সুন্দর পোস্ট চাই।।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। হুম এরকম পোস্ট আরো দিবো।

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: রাজীব নুর ইদানীং সিরিয়াস বিষয় ও লেখা পোষ্ট করছেন।
পড়ে মজা পাইলাম।
ধন্যবাদ।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: জগৎ শেঠের বংশ পদবী কি তাহলে শেঠদের পেশাগত ঐতিহ্য থেকে এসেছে?

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা এখান থেকেই এসেছে।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফোম জাতীয় জিনিস দিয়ে তৈরি বালিশে আমি ঘুমাতে পারি না। মানুষ বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারে না কিন্তু বিভিন্ন প্রাণী কিভাবে
বালিশ ছাড়া ঘুমায়? আমার ধারণা প্রস্তর জুগেও বালিশ ছিল না হলে মানুষ ঘুমাতো কিভাবে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: প্রস্তর যুগে মানুষ মাথার নিচে হাত রেখে ঘুমাতো।

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বালিশ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম এখানে এসে।তুলার বালিশে ঘুমিয়ে অভ্যাস কিন্তু তুলার বালিশ আর পাই না।শেষ মেশ দেশ থেকে তুলার বালিশ আনালাম।
আমি ভাবলাম,বালিশ কান্ড নিয়ে লিখবেন ।পড়ে দেখি অন্য কিছু।জানা হল বালিশের ইতিহাস সাথে আরো কিছু।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বালিশ যেমন তেমন, বদনা দেশ থেকে নিয়ে যাওয়াই ভালো।

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কিছু দিন আগে বালিশ নিয়ে লংকা কান্ড হলো । অনুেক দামি জিনিস বালিশ

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.