নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুলিয়া প্যাস্তরানা

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১



ছবিটিতে যাকে দেখছেন- নাম জুলিয়া প্যাস্তরানা।
জুলিয়া প্যাস্তরানা একজন দয়ালু হৃদয়ের তরুণ মেক্সিকান মহিলা। তবে তিনি 'the most hideous face' হিসেবে আখ্যায়িত। তিনি ১৮৩৪ সালে মেক্সিকোতে একটি পার্বত্য অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার জন্মের পর থেকেই তার চুলের এক অদ্ভুত বৃদ্ধি ছিল যা পরবর্তীতে তার সমস্ত শরীর জুড়ে ছেয়ে যায়।

সমাজের কেউ তাকে মেনে নিতে পারেনি।
সবাই তাকে ডাইনী ভাবতো, সমাজ ও পরিবারে স্থান না পেয়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। না খেয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে ভিক্ষুক জীবনযাপন বেছে নেন। তারপর একদিন এক ব্যাক্তির সঙ্গে পরিচিত হন যিনি সার্কাসে কাজ করতেন। লোকটি সার্কাসে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দিলো। জুলিয়া প্যাস্তরানা হয়ে উঠলো সার্কাসের এক অদ্ভুদ চরিত্রের প্রাণী যা দেখার জন্য লোক ভিড় করতো ও টাকা দিতো।

বদলে গেলো জুলিয়ার জীবন।
যদিও সে কখনও সার্কাসে কাজ করতে চাই ত না। কিন্তু সে খাবে কি, সে থাকবে কোথায়, অন্য কোনো বিকল্প তার হাতে ছিল না তাই নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্কাসেই থেকে গেলো। জুলিয়া প্যাস্তরানা তিনি তার শো দেখিয়ে প্রচুর পরিমান অর্থ ও খ্যাতি অর্জন করতে লাগলেন। শেষ পর্যন্ত সার্কাসের পরিচালক থিয়ডোর লেন্ট তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।

এই বিবাহটি মেক্সিকোন ইতিহাসে অন্যতম একটি বিখ্যাত বিবাহ ছিল। সমস্ত সংবাদপত্র গুলিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলো এই বিয়েটি। সাধারণ মানুষ জিজ্ঞাসা করতে শুরু করলো সার্কাসের পরিচালক থিয়ডোর লেন্ট কিভাবে একটি ১৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা দৈত্যটিকে বিবাহ করলো? নানান লোকজন নানান রকম কটু কথা বলতে শুরু করলো। যথেষ্ট আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, জুলিয়া একটি সাধারণ শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে, সন্তান জম্ম দেওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্য জুলিয়া ও তার সন্তান মৃত্যুবরণ করেন।

জুলিয়ার দুর্ভাগ্য তার মৃত্যুর সাথে শেষ হয়নি।
তার লোভী স্বামী, তার দেহকে মমি বাবানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে লোকেরা এখনও অর্ধ বানর ও অর্ধেক মানব রুপি মৃত 'দানব' দেখার জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে।

জুলিয়ার মমি।

জুলিয়া প্যাস্তরানার মমি দেহটি বহুবার চুরি হয়েছিল।
দেহটিকে সর্বশেষ পাওয়া যায় ২০০৫ সালে নরওয়ের একটি ডাস্টবিনে। অবশেষে, দেড়শো বছর পরে জুলিয়ার মৃতদেহটিকে স্বাভাবিক মানুষের মতন করে সমাধি দেওয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয়, জুলিয়া কি আসলেই 'দানব' নাকি তার স্বামী? নাকি সমাজ, যা তাকে দেখার জন্য অর্থ দিত? নাকি তার পরিবার? নাকি বিশ্ব?!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

অজানা তীর্থ বলেছেন: আমি কিছু কইতে চাই, কিন্তু কি কইতাম? মানুষ কতটা নিকৃষ্ট হলে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের দূর্বলতাকে পুঁজি বানায়

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: যুগের পর যুগ ধরে অসহায় মানুষ গুলো এরকম অবিচারের স্বীকার হয়।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯

অজানা তীর্থ বলেছেন: আসলে আমাদের এথিক্স এর খুব অভাব ভাই, আমরা নিজের স্বার্থের জন্য জোর করে নিজের মন গড়া এথিক্স বানাই। আপনি আমি নিজেও এটার ভিক্টিম। হয়তো আমরা তা এড়িয়ে চলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে তাদের সব মেনে নিতে হয়।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার সমস্ত অবিচারের বিরুদ্ধে লিখতে হবে। লিখে লিখে সব ঠিক করতে হবে।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৫

অজানা তীর্থ বলেছেন: ভালোবাসা তার জীবনেও এসেছিলো, অন্যসব মেয়ের মত তার ভিতরের সব অনুভূতির ভিন্নতা ছিলনা। কিন্তু ভালোবাসা এতোটাই নিখুঁত অভিনেতা তৈরী করে যে, জুলিয়ার অভিনয় জীবনের সব অভিনয় হার মেনে যায় স্বামির অভিনয় এর কাছে। মরার পরেও তার দেহকে নিয়ে স্বামি ব্যবসা করে

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ার সবাই মহৎ মানুষ হবেন এমনটা আশা করবেন না।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭

অজানা তীর্থ বলেছেন: ঠিক বলেছেন লিখতে হবে। ভালোবাসা তার জীবনেও এসেছিলো, অন্যসব মেয়ের মত তার ভিতরের সব অনুভূতির ভিন্নতা ছিলনা। কিন্তু ভালোবাসা এতোটাই নিখুঁত অভিনেতা তৈরী করে যে, জুলিয়ার অভিনয় জীবনের সব অভিনয় হার মেনে যায় স্বামির অভিনয় এর কাছে। মরার পরেও তার দেহকে নিয়ে স্বামি ব্যবসা করে

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ খারাপ।
তবে আমাদের লিখে যেতে হবে।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কায়রো শহরের জাদুঘরে মানুষ মমি দেখার জন্য অকাতরে অর্থ খরচ করে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি মমি দেখেছেন?

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আফ্রীকান এক নারী তার অদ্ভূত দর্শন নিতম্বের কারণে একই রকম দূর্ভাগ্য বরন করেছিলো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আধুনিক পৃথিবীতে এরকম ঘটনা দুঃখজনক।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুবি হৃদয়বিধুর কথা জানলাম রাজীব দা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লেই জানা যায়। কাজেই প্রচুর পড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.