নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
অনুগল্প পড়তে বা লিখতে আমার ভালো লাগে।
কিন্তু আজ একজন বলল- অন্যের গল্প শুনে শুনে অনুপ্রাণিত হওয়ার বদলে নিজের জীবনের গল্প দিয়ে সবাইকে অনুপ্রাণিত করুন। কিন্তু আমি তো মনে করি, বেসিক্যালি মানুষ হচ্ছে অস্থির প্রকৃতির এবং স্বভাবগত ভাবেই ক্ষমতালোভী ও অলস প্রকৃতির। সুতরাং মানুষের কাছ থেকে absolute good বের করে আনা কখনই সম্ভব নয়। তাই গল্প কবিতা লেখার চেয়ে অনুগল্পই ভালো।
নীলক্ষেতের পুরনো বইয়ের দোকানে এলে আমার একটা আশ্চর্য অনুভূতি হয়। পুরোনো বই নাড়াচাড়া করে দেখার কী আনন্দ, সেটা প্রকাশ করার ভাষা নেই। একেকটা বই কত হাত ঘুরে এসব দোকানে আসে। প্রতিটি পুরোনো বই এর ভেতরে প্রাক্তন গ্রন্থ মালিকের একটা ব্যক্তিগত সান্নিধ্য অনুভব করি। এ বই কিভাবে মালিকের ব্যক্তিগত সংগ্রহের ভান্ডার থেকে বেরিয়ে এসে পুরনো বইয়ের দোকানে ঠাই করে নিলো! একসময় দুই হাত ভরতি করে পুরনো বই কিনে আনতাম। এখন পুরোনো বই পড়তে ভাল লাগে না। ঝকঝকে তকতকে নতুন বই ছাড়া পড়ে আরাম পাই না।
আমার মনে হয়- আমার কিছু অলৌকিক ক্ষমতা আছে।
মাঝে মাঝে আমি টের পাই। কখনো কোনো নির্জন মুহূর্তে নিজেকে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন মানূষ বলে মনে হয়! সুন্দরের বাতাবরনের মধ্যে দিয়ে মিথ্যাকে সত্যে রুপান্তরিত করা যায়। কখনো কখনো মনে হয়- মেঘেতে গিয়ে ঠেকেছে আমার মাথা। অথচ আমি ঝরে যাওয়া শুকনো পাতা। বাতাসের সাথে উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াই।
একসময় আমি অনেক চিঠি লিখতাম।
বহু ছেলেকে চিঠি লিখে দিয়েছি। তারা সেসব চিঠি তাদের প্রেমিকাকে দিত। চিঠি থাকতো আবেগে ভরা। 'যখন তোমারা মন খারাপ হবে, আমাকে জানাবে। সন্ধ্যার আকাশ থেকে একটি ধ্রুবতারা এনে দেব। বৃষ্টির দিন হলে জানালার পাশে এসে বসো, রংধনুর একপ্রান্ত পাঠিয়ে দেব তোমার কাছে অপর প্রান্তে আমি, কোনো কথা হবে না- সেদিন শুধু চোখে চোখে তাকিয়ে থাকা। চৈত্রের ভর দুপুরে তুমি একলা হলে দক্ষিনের জানালা খুলে দিও, আমি বাতাসকে বলে দিব সে যেন তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। রাতের গাঢ় নীল আকাশের মাঝে চাঁদ সাদা বলেই জোছনার কোমল শুভ্র আলো এত সুন্দর। আবার অন্যরকম উদাহরন দেওয়া যায়- কেউ তার অতীত ভুলে, অতীতের সমস্ত গ্লানি, দুঃখ, বেদনা কে মুছে ফেলে নতুন একটি জীবন শুরু করতে চায়, তখন প্রথমেই তার মনটাকে পরিস্কার করে, সাদা মন নিয়ে আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে হবে। স্বচ্ছতা ও শুভ্রতা তার বিশ্বাসের তার ভালোবাসার, তার নতুন জীবনের সূচনার ভিত হবে।
গত কয়েকদিন ধরে বেশ জোছনা হচ্ছে।
আমি ব্যলকনিতে বসে অনেকক্ষন জোছনা দেখি। কেমন ঘোর লেগে যায়। কেমন নেশা ধরে যায়। নিজেই চা বানিয়ে খাই। চা একটূও ভালো হয় না। সাথে সিগারেট ধরাই। তবু সেই চা'ই খাই। চা খাই, ধোয়া ছাড়ি, চাঁদ দেখি, জোছনা দেখি। ভালো লাগে। সুরভি ঘুমে। সাড়ে তিনটা বাজতেই চাঁদ মেঘে ঢেকে যায়। প্রতিদিন একই ঘটনা। তখন বিছানায় যাই। ঘুম আসে না। কিন্তু মনে হয় দরজার ওপাশে কেউ দাড়িয়ে আছে। একটু একটু ভয় করে আমার। আমি সাহস সঞ্চয় করে দরজার কাছে যেতে চাই। প্রস্তুতি নিই। তখন সুরভি বলে কই যাও? আমি বলি, না কোথাও না। এখানেই। সুরভি ধমক দেয়। তুমি অনেক যন্ত্রনা করো। এখন দয়া করে ঘুমাও।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: না, শুধু লিখে দিতাম।
কেউ কেউ বার্গার কোক খাওয়াতো।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৪
আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ হয়েছে
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে তবে আপনাকে ভাল লাগছে না মোটে!
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ।
যেহেতু আমাকে ভালো লাগছে, তাই আমাকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সাহিত্যে মিথ্যাকে সত্যের মতো করে প্রকাশ করা যায়।সকল সাহিত্যিক এটাই করেন।কিন্তু সেটা হতে হবে বাস্তব সম্মত যৌক্তিক ,সেখানে অলৌকিক কিছু থাকবেন,অলৌকিক ক্ষমতারও কোন দরকার নাই।
চিঠি কি শুধু লিখেই দিতেন নাকি পৌঁছেও দিতেন।