নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১৯৭১। মমতাময়ী মায়ের ছবি। সহজ সরল বাংলা মায়ের ছবি।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধ তাই আমাদের জাতীয় জীবনে এক অহংকার, গৌরবের এক মহান বিজয়গাথা। পুল, কালভার্ট ভেঙ্গে দেয়। যোগাযোগের সময় রাস্তা কেটে দিয়ে রাস্তার উপর বড় বড় গাছ ফেলে ব্যারিকেড রচনা করেন। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালানো হয়। স্বাধীনতার এত বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক হয়। আর কিছুদিন পর, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ। যাই হোক, এবার ছবি দেখুন। ছবি গুলো সংগ্রহ করা। যুদ্ধের সময় আমার জন্ম হয়নি। যুদ্ধের সময় আমি থাকলে, অবশ্যই আমি যুদ্ধ করতাম। এবং ফাঁকে ফাঁকে ছবিও তুলতাম।
১।
যুদ্ধের একটা স্বাভাবিক নিয়ম হলো উভয় পক্ষের যুদ্ধাদের দায়িত্ব হচ্ছে, নারী শিশু এবং বৃদ্ধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বেসামরিক মানুষদের উপর হামলা না করা। ফসল এবং গাছপালা নষ্ট না করা। কিন্তু ৭১ যুদ্ধে পাক হানাদারেরা এ সব নিয়মের কোন একটা কি রক্ষা করতে পেরেছিলো?
২। ঐ সময়ে কত না কষ্ট করতে হয়েছে বাঙালির।
৩। এই ছবিটা দেখার পরে আমার চোখে পানি এসেছে। তাদের এই কষ্ট কোনোদিন ভুলবো না আমরা।
৪। সেই সব দিন ছিলো- অনেক কষ্টের।
৫।
সাধীনতার প্রথম শহর প্রানের যশোর। এটা সম্ভবতঃ হাট বড়বাজার বা আশেপাশে।
৬। ছবিতে সম্ভবত ভারতীয় সেনারা- বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর পাক বাহিনী আত্মসমর্পনের পরে ধরা পরা রাজাকারদের রোদের মধ্যে এইরকম শাস্তি দেয়ার সময় এই ছবি তোলা হয়। কোনটা সত্য আমি জানি না।
৭। যুদ্ধের সময় কি জীবন মানুষের গেছে!
৮।
কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করছেন।
৯।
তোমাদের নরম হাতে শক্ত করে অস্ত্র ধরে ছিলে বলেই আজ বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমি বাঙালি। তোমাদের এই ঋণ শোধ হবে না। তোমাদের এই অবদান কোটি বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে- হে সূর্য সন্তানরা তোমাদের জানাই লাল সালাম।
১০। এই ছবিটা কোঠাকার তা আমি জানতে পারি নি।
১১। কেউ কেউ বলেন, এই ছবি ১৮ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালের ঢাকা স্টেডিয়ামের, বসে থাকা এদেরকে কাদের সিদ্দিকী হত্যা করেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন, ১৮ অথবা ১৯ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ আউটার স্টেডিয়ামের একটা বাঙ্কারে এদের মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল।
১২। এ বয়সের মুক্তিযোদ্ধাই ছিলো বেশি। সাধীনতা যুদ্ধে বীর বাঙ্গালীর বিজয় উৎসব। জয় বাংলা।
১৩। বাংলার দামাল ছেলেরা তোমারাই বীর শ্রেষ্ঠ । তোমারা অমর হয়ে আছ। তোমাদের সালাম।
১৪। দেখুন পাক হানাদার বাহিনী কিভাবে আমাদের ওপর নির্যাতন করেছিল।
১৫। চিড়াগুড়/খিচুড়ি নিতে অভুক্ত শরনার্থী লোকেরা।
১৬। ঘর বাড়ি ছেড়ে- বেঁচে থাকার জন্য, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
১৭। দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে।
১৮। মা আর ছেলের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে- তারা কতটা ভয় পেয়েছেন।
১৯। জন্মভূমি ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
২০। মুহূর্তটা ভাবতে গা শিহরে উঠে!
২১। হোসাইন মোহাম্মদ বেলাল। সম্ভবত উনি একজন ফোটোগ্রাফার।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ৭ই মার্চের ময়দানে সম্ভবত।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঐতিহাসিক ছবির সংগগ্রহ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: তা অবশ্যই বলা যায়।
তবে আপনি আর একটু বেশি কিছু বলুন।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
আমি সাজিদ বলেছেন: ২১ নম্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধার হাসি স্বাধীনতার ইংগিত দেয়। হাজার সালাম।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: উনি একজন ফোটোগ্রাফার। প্রচুর ছবি তুলেছেন যুদ্ধের। তার একটা সাইট আছে। সেখানে অনেক ছবি আছে।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: আমিও তাই জানতাম। এজন্যই জিজ্ঞেস করলাম। এরপর তো উনাকে নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে থাকতে হয়েছিল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: উনি জানতেন, ভাষন দেওয়ার তাজকে গ্রেফতার করা হবে।
তাই ভাষনে অনেক কিছু বলে দিয়েছেন। এবং তার দলের লোকদেরও কি কি করতে হবে বলে দিয়েছেন। তাজউদ্দিন শেখ মুজিবের দেখানো পথেই গিয়েছেন।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছে। আমার বাবার মুখে শুনেছি, তিনি বলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের বেশীরভাগ অংশ-ই ৩০৩ (খুব সম্ভবত নাম এনফিল্ড) রাইফেল (১৩ নং ছবি) ব্যবহার করতেন, কিছু মানুষদের দেয়া হতো স্টেন গান (স্টারলিং) যা মূলত ৯ মিমি এর সাব মেশিনগান (১২ নং ছবি হাত উচিয়ে ধরা)। শেষ ছবিতে যে অস্ত্র দেখা যাচ্ছে সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান নাজি বাহিনীর ব্যবহৃত ভয়ানক এমজি ৪২ মেশিনগান। এই অস্ত্রটার বিশাল ইতিহাস আছে বিশেষ করে বিশ্ব যুদ্ধের সময় ডি-ডে তে যৌথ বাহিনীর উপর ভয়ানকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিলো। সে সময়ে এর সমকক্ষ আর কোন মেশিনগান ছিলোনা কারো কাছেই।
যাইহোক, ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভালো লাগলো ছবি গুলো
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে ছবি গুলো দেখার চেয়ে কষ্ট হয় বেশি।
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সত্যি বিরল ছবি।
আমি অভিভূত।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: শুকরিয়া জনাব। ভালো থাকবেন।
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঐতিহাসিক এই ছবি গুলি দেখলেই মন কেমন হয়ে উঠে
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আমৃত্যু আমাদের ৭১ এর যন্ত্রনা ভোগ করে যেতে হবে।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসাধারন সব ছবি
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা ছবি যন্ত্রনাময়।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই কঠিন সময় যেন আর না আসে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: না আসবে না। এরকম হবার সম্ভবনা নাই।
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অদেখা অজানা দেখতে ও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ১০ নং বাস দুট ভারতের।ছবিটা বনগাঁর হতে পারে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমারও সেরকম ধারনা।
বনগাঁ রেলস্টেশনে আমি গিয়েছি।
১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৭ ই মার্চ মাঠে ছিলাম।ঐ দিনের ছবি না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
আমি সাজিদ বলেছেন: বাহ। চমৎকার । আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধুর ছবিটি কোন সময়ে তোলা? মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে?