নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই তো !

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭



দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে গেছে।
আমরা যতই বুক দিয়ে ঠেলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, পলিটিশিয়ান এবং হেফাজতরা ততই পিঠ দিয়ে ঠেলে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যান। আমার খুবই রাগ হয় এই জন্য। অবশ্য কোনো হেফাজতের সেকেন্ড হোম নেই। বেগমপাড়ায় বাড়ী নেই। সরকার কেন খোঁজ নিচ্ছে না কার কার বেগম পাড়ায় বাড়ি আছে। এই বাড়ি কেনার টাকার উৎস কি? একজন টিভি চ্যানেল দিলো, দৈনিক পত্রিকা বের করলো, নিজ গ্রামে হেলিকাপ্টার দিয়ে যাতায়াত করে সপ্তাহে দুই দিন। এত টাকা কোথা থেকে এলো! সরকারের কি জানতে ইচ্ছা করে না? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে।

সবচেয়ে বড় অপরাধী এদেশের জনগণ।
তারা যাকে ক্ষমতায় পাঠায় তাকে এত বেশি আসন দিয়ে পাঠায় যে তারা সংবিধানে যা ইচ্ছা তা করতে পারে! বাংলাদেশে কোনো রাজনীতিবিদকে 'নেতা' বলা ঠিক হবে না। এরা প্রচুর মিথ্যা বলে। সবচেয়ে বড় কথা এরা নিন্দা করে। ড. হাছান মাহমুদ, কাদের সাহেব থেকে শুরু করে- প্রধানমন্ত্রীও বিএনপির নিন্দা করেন। নিন্দা করা ছাড়া উনার একটা দিনও যায় না। আরে নিন্দা করার দরকার কি? দেশের মানুষ তো সব জানে, বুঝে। তাই নিন্দা বাদ দিয়ে দেশের জন্য শুধু কাজ করে যান।

ইদানিং আমি বিছানায় যাওয়া মাত্র ঘুমিয়ে পড়ি।
এবং অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। কয়েকদিন আগে আমি একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। তারপর থেকে সেই স্বপ্নটা আমাকে তাড়া করে ফিরছে। স্বপ্নটা দেখার পর প্রথমেই যখন আমি বাইবেল খুলেছিলাম, অবাক কান্ড! জেনেসিসের আটাশ নম্বর চ্যাপ্টারটা খুলেছিলাম। ওখানে বর্ননা রয়েছে জ্যাকব যে স্বপ্ন দেখতেন সেগুলোর বিষয়ে। আমি পাগলের মত একটার পর একটা পৃষ্টা উলটে গেলাম। যে অংশের উপর'ই চোখ পড়ে, মনে হয় সেখানেই যেন আমার মনের কথাই বলা হয়েছে। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছিল।

সময় এবং শূন্য যেন একই ররকম।
খুব দ্রত চলে যায়। সময় মনে হলেই যেন লক্ষ লক্ষ যুগ আগে কোনো অবস্থা মনে এসে জানিয়ে দেয় কত কিছু ঘটে গেছে কত আগে।অন্য দিকে শূন্য, মহাশূন্য চিন্তা করলেই যেন চিন্তার ও বাইরে শূন্য রয়েছে মনে হয়। তাই, শূন্যতার ব্যাপ্তি চিন্তার ও অসীম। কোনো পদার্থকে ভাংচুর, বিশ্লেষণ করলে যেমন ধর্ম, গুন, দোষ সব বেরিয়ে আসে তেমনি মানুষ নিজেকে নিয়ে, তার মনকে খোড়াখুড়ি করলে তার নিজেরও দোষ গুন, বিশ্বাস অন্ধত্ব, চৌদ্দ পুরুষ হুড়মুড় করে এসে পড়ে। আমার এখন এই অবস্থা চলছে। আমার ডান হাতের তালুতে একটা তিল আছে।

জীবন একটা আয়না স্বরূপ।
আপনি যেভাবে জীবনকে দেখবেন, সেও ঠিক সে ভাবেই আপনার কাছে ধরা দিবে। যারা সাহসিকতা, ভালোবাসা, উৎসাহ, জয় করার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, জীবন তাদের কাছে অনেক সহজ ও আনন্দ ময় হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু যারা, হতাশা, ভয়, মানসিক অবসাদ নিয়ে সামনে এগুতে চায়, তাদের চোখে সাফল্য যেন মরীচিকা। জীবন হয়ে উঠে ক্লান্তিকর, বিষণ্ণময়। বাস্তবতাকে আপনি যেভাবে দেখবেন, আপনার সামনে তা সেভাবেই ধরা দিবে।

একটা বয়েসের পর আর আমরা-
কোনো প্রেমিক/প্রেমিকা খুঁজি না। খুঁজি একটা কাঁধ যাতে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পড়া যায়। একটা বুক যেখানে মুখ গুঁজে নির্বাসন নিই। আর একটা হাত যাকে ধরে জাহাজ, সমুদ্র আর পাহাড় দেখতে ছুটি। শারীরিক আর মানসিক আকর্ষন খুঁজতে খুঁজতে প্রেমিক/প্রেমিকা শব্দটা ছোট হয়ে আসে মুঠোর মতো। কিন্তু আমাদের একটা দীর্ঘিকার চাই। আমাদের একটা ক্লান্তিহীন অবকাশ দরকার।
নির্ভর আর নির্ভার করার মতো একটা মানুষ।
প্রিয় মানুষ। কাছের মানুষ। মনের ওজন যখন নুইয়ে দিচ্ছে মাটিতে, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের যৌথ নিপীড়নে নিশ্বাস নিভে আসছে তখন যে হাতটা ধরে, যার কাছে সমস্ত সত্যকে সমর্পন করা যায়। যা কিছুই বলা হোক তাকে, সেই সম্পর্কটার সহজে বলার মতো করে নাম হয় না কিছু।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আমরা এই তো ভাবে জীবন চলাই--------------

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: একদা আমরা ভার্সিটির ক্লাসরুমে এরশাদের গোঁফ এবং হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করেছিলাম।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, নোভা কেন আত্নহত্যা করেছিল? ময়না তদন্তের রিপোর্ট এ কি ছিল?

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: নোভা আত্মহত্যা করেছিলো। সে নিজের হাতে চিঠি লিখে গিয়েছলো।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

এমেরিকা বলেছেন: হেফাজতেরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। ২০১৩ সালে তার যে ঝুঁকি নিয়ে এদেশে ব্লগ-ফেসবুকে মূত্ত্রমনা ছাগলদের পোন্দানি দিয়েছে - সেটা না করলে তাদের ল্যাদানি আর ম্যাতকারে দেশের বাতাস এতদিনে চরম দূষিত আকার ধারণ করত। মূত্রমনা, ধর্মকারি, নাগরিক ব্লগ আর ইশটিশান দেশটাকে তাদের বাপের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল। হেফাজতের হুঙ্কারে তারা গর্তে ঢোকায় এখন শান্তিতে ব্লগিং করা যাচ্ছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি। আমি আপনার সাথে আমি একমত না।

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ভুলের মধ্যে আছেন।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা, উনার সরকার ও প্রশাসন পুরোপুরি বাংগালী কলোনিয়েল সিস্টেম চালু করেছে; মোল্লারা দেশে আদি আরব রাজ্যের নিয়ম-কানুন চালুর চেষ্টা করে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিচ্ছে!

৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশের মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে। মসজিদের চেয়ে নাচ গানের আসরে লোক বেশি হয়। হজ্বের চেয়ে তারা ইউরোপ যেতে বেশী পছন্দ করে। কাজেই হুজুরেরা বেশি সুবিধা করতে পারবে না ।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি নিজেই একদিন বেগম পাড়ার খোজে গিয়েছিলাম।আসলে বেগম পাড়া বলে এখানে কোন পাড়া নেই।দুট বড় বড় হাই রাইজ
বিল্ডিং আছে যেখানে বেশির ভাগ বাংলাদেশি বিশেষ কাজে দক্ষ লোকজন থাকে।কিন্তু তারা বেশির ভাগই থাকে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।নিরাপত্তার কারনে ছেনমেয়ে সহ পরিবার থাকে এখানে।কেউ কেউ এটাকেই বেগম পাড়া বললো।

টাকা পয়সা চুরি চামারি করে যারা এখানে এসেছে তারা বাঙ্গালী লোকালয়ের থেকে দুরে নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করে।লোকে যখন তাদের কথা ভুলে যায়,তখন তারা সমাজে মিশে যায়।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
যদি পারেন আরো কিছু তথ্য দিবেন। প্লীজ।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

মাইমম সজীব বলেছেন:
একটা বয়েসের পর আর আমরা-
কোনো প্রেমিক/প্রেমিকা খুঁজি না। খুঁজি একটা কাঁধ যাতে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পড়া যায়। একটা বুক যেখানে মুখ গুঁজে নির্বাসন নিই। আর একটা হাত যাকে ধরে জাহাজ, সমুদ্র আর পাহাড় দেখতে ছুটি। শারীরিক আর মানসিক আকর্ষন খুঁজতে খুঁজতে প্রেমিক/প্রেমিকা শব্দটা ছোট হয়ে আসে মুঠোর মতো। কিন্তু আমাদের একটা দীর্ঘিকার চাই। আমাদের একটা ক্লান্তিহীন অবকাশ দরকার।
নির্ভর আর নির্ভার করার মতো একটা মানুষ।
প্রিয় মানুষ। কাছের মানুষ। মনের ওজন যখন নুইয়ে দিচ্ছে মাটিতে, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের যৌথ নিপীড়নে নিশ্বাস নিভে আসছে তখন যে হাতটা ধরে, যার কাছে সমস্ত সত্যকে সমর্পন করা যায়। যা কিছুই বলা হোক তাকে, সেই সম্পর্কটার সহজে বলার মতো করে নাম হয় না কিছু।
ভীষণ ভাল লেগেছে, কপি না করে থাকতে পারলাম না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.