নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শাহেদ জামাল (তেইশ)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫



পৃথিবীতে যত ইতিহাস যত ক্ষয়- মানবের সাথে মানবের প্রান বিনিময়ে অবিনয়
যত গ্লানি ব্যথা ধূসরতা ভুল হয় -সকল সরায়ে ঘুমোনো নগরী
ঘুম নগরীর রাজকুমারী কি জাগে, নিখিলের শাদা চাতকের মতো প্রান
তোমার আমার হৃদয়ে করে কি গান...করে আহবান, করে-করে আহবান।


আমাদের শাহেদ জামাল বিরক্ত।
প্রচন্ড বিরক্ত। সে সব কিছুর উপর বিরক্ত। মানুষ, ব্লগ, পরিবার, ফেসবুক, নীলা, সমাজ, টিকটক, দেশ- সব কিছুর উপর বিরক্ত। ছোটবেলা শাহেদ জামালের প্রিয় খেলা ছিলো- ছাদে উঠে বা বেলকনি থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে রাস্তার মানুষজনের উপর থুথু ফেলা। এখন শাহেদের ইচ্ছা করে ছাদে উঠে এই সমাজের উপর মুতে দিতে। সে যেহেতু ভদ্র তাই সে মুতে দিতে পারছে না। তাই ছাদে দাঁড়িয়ে এই সমাজ, এবং সমাজের মানুষকে অকথ্য ভাষায় মনে মনে গালাগালি করে। এতে সে কিছুটা আনন্দ পায়। অতি সস্তা আনন্দ। সবচেয়ে বড় কথা তার এই সস্তা আনন্দে কারো কোনো ক্ষতি হয় না।

এই করোনা কালে নীলার সাথে খুব কম দেখা হয়।
তবে ফোনে নিয়মিত কথা হয়। গতকাল রাতে নীলা বলেছিলো- এই যে তুমি এত এত বই পড়ো- তাতে তোমার লাভটা কি হলো? শাহেদ উত্তরে বলেছিলো- বই পড়ে পড়ে আমি লেখকদের অভিজ্ঞতা নিয়ে নিই। নীলা বলল, আর এই অভিজ্ঞতা তোমার কি কাজে লাগলো? শাহেদ বলল, এই অভিজ্ঞতা দিয়ে কেউ মিথ্যা বললে- আমি সাথে সাথে ধরতে পারি। একজন মানুষ দেখলেই তার সম্পর্কে প্রায় শতভাগ সঠিক ধারনা করতে পারি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বললেও আমি বুঝতে পারি। কে ভালো লোক, কে দুষ্টলোক বুঝতে পারি। বই না পড়তে মানুষকে বুঝতে পারতাম না।

এই করোনায় রমনা পার্কেও নিয়ম বদলেছে।
নতুন সিকিউরিটি গার্ড গুলো বদ। বেঞ্চে ঘুমাতে গেলে উঠিয়ে দেয়। আরেহ পার্কে মানুষ ঘুমাতে পারবে না? পার্কে ভিক্ষুকদের কিছু বলে না। যারা প্রচন্ড বিরক্ত করে। আর একজন মানুষ আরাম করে ঘুমাবে তাকে ঘুমাতে দেবে না? পার্ক কি তোদের বাপ দাদার নাকি? সরকারি পার্ক। তোদের সমস্যাটা কোথায়? একটা ছেলে মেয়ে পার্কে আরাম করে প্রেম করতে পারে না। কোথা থেকে হকার আসে এবং তাদের কাছ থেকে তিন গুন বেশি দাম দিয়ে কোক চিপস কিনতে হয়। না কিনলে তারা সম্মানহানি করে। বেকাররা যদি পার্কে এসেও শান্তি না পায় তাহলে তারা কোথায় যাবে? তাদেরকে চাকরি দিবেন না, তাদের ঘুমাতেও দিবেন না!

সামনে বইমেলা।
লেখক প্রকাশক ভীষন ব্যস্ত। প্রচুর নতুন বই প্রকাশিত হবে। প্রতি বছরই হয়। বাংলাদেশে ১৮ কোটি লোক হলেও ১৮ লাখ পাঠক আছে কিনা সন্দেহ। সবাই মোবাইল-কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত। ব্যস্ত ফেসবুক, ইন্সট্রাগাম আর টিকটক নিয়ে। পাঠক তৈরি করতে হবে। পাঠক তৈরির দায়িত্ব নিশ্চয় সরকার নেবে না। সরকারের অনেক কাজ, দায়-দায়িত্ব আছে। এখন, এই দায়িত্ব নিতে হবে লেখক এবং প্রকাশককে। তাদের টিকে থাকতে হলে অবশ্যই এই দায়িত্ব দ্রুত নিতে হবে। একজন লেখকের দায়িত্বে মধ্যেও পড়ে পাঠক তৈরি করা।

হাতে গোনা ২/৩ জন লেখক ছাড়া একটা বই ত্রিশ কপিও বিক্রি হয় না। বই বিক্রি না হলেও লেখকদের সমস্যা নাই। কারন লেখকরা সবাই চাকরি বাকরি করেন। বাংলাদেশে যতটা পাঠক হয়েছে হুমায়ূন আহমেদে কারনেই হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ যদি পাঠক তৈরি করেন অন্যান্য লেখক কেন পাঠক তৈরির জন্য এগিয়ে আসবেন না? পাঠক তৈরি না করতে পারলে শেষমেষ আপনাদের বই উইপোকা কাটবে। শাহেদ জামাল একটা উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলো। তার উপন্যাস শুরু হয়েছিল দেশভাগ থেকে। তারপর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত। একুশ হাজার শব্দ পর্যন্ত লিখেছিল। তারপর একদিন সে লেখা বন্ধ করে দিলো।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত পোস্ট কিভাবে আবিষ্কার করেন

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের ভালোবাসা।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনা, হেফাজতের মাঝে বইমেলা হবে?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: এখনও সিধান্ত ফাইনাল হয় নি।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

কথক আরমান বলেছেন: দুনিয়া এখন বইয়ের চেয়ে বেশী আকর্ষণীয়,হুমায়ূন আহমেদ এখনো জীবিত থাকলে উনি নিজেও পাঠক সংকটে ভুগতেন। আশাকরি আগামী ১০ বছরের মধ্য আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সাথে বইয়ের চেয়ে বেশী মোহনীয় সময় কাটাতে পারবো।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: না বই এর চাহিদা কোনো দিন কমবে না।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিছু ভাল পাঠক সৃষ্টি করেছিলেন আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ,আর হুমায়ূন করেছিলেন কিছু হিমু।হলুদ পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে পার্কে গুরাফেরা করতো।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ গ্রেট মানুষ।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বইয়ের দাম বেশী তাই পাঠক বই কিনেনা ।আবার বই বেশী চলেনা তাই প্রকাশক বইয়ের দাম কমাতে পারেনা । এ এক অদৃশ্য
চক্র ।এখন প্রশ্ন হলো, এ চক্র থেকে কিভাবে বের হওয়া যাবে?

প্রত্যেক বাবা-মাকে তাদের ছেলে-মেয়েদের কে বই পাঠে উৎসাহ প্রদান করতে হবে, সকল পাঠককে বেশী বেশী বই কিনতে হবে ,তবেই পাঠকখরা কেটে যাবে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: কোনদিন শাহেদ জামালের উপন্যাস পড়ার অপেক্ষায়।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: এয়ো কি সম্ভব?

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

মরহুম শাহেদ জামালই এক মাত্র ব্যক্তি যিনি কিনা মরণের পরও ফিরে এসেছেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: উফ আল্লাহ।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বাংলাদেশে ফেসবুকের প্রচুর পাঠক আছেন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ফেসবুকের লোকজন বই কম কিনেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.