নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
সমাজে দুই শ্রেনীর মানুষ আছে।
এক, কাজ করে। দুই, কাজ করে না। মানে বেকার। বেকার'রা মনে করে- যারা চাকরি করে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। আসল সত্য হলো- বাংলাদেশে চাকরি পাওয়ার চেয়ে চাকরি টিকিয়ে রাখা বেশি কষ্টকর। কত রকমের যে চাটুকারিতা করতে হয়। দালালি করতে হয়। বেকার'রা চাকরি চাকরি করে মরছে! কোন রকম বেঁচে থাকবে বলে- একটা চাকরি তার ভীষন দরকার! কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর ছেলেটি বদলে যায়! তখন শুরু হয় নানান অশান্তি।
চাকরিতে অনেক অশান্তি আছে।
চাকরি পাওয়ার পর মানুষ বদলে যায়। হাতের কাছে থাকলে বা পেয়ে গেলে আমরা মূল্য দেই না। অফিসে যাওয়ার জন্য শার্ট প্যান্টের ভেতর গুঁজে পরতে হয়। সময় মতো অফিস না যেতে পারলে- কুৎসিত মুখভঙ্গি সহ্য করতে হয়। ঘরে নষ্ট ফ্যানের বাতাস খায়। আর চাকরি পাওয়ার পর অফিসের এসি নষ্ট হলে- ঘাই-ঘুই শুরু করে। নোংরা বাথরুম ব্যবহারে অভ্যস্ত কিন্তু অফিসে এসে চিৎকার করে পিয়নকে বলে- এয়ার ফ্রেশনার মারো। নিজের ঘরে টেবিলে তিন স্তরের ময়লা জমে যায়- কিন্তু অফিসে এসে পিয়নের সাথে চিৎকার, এত ময়লা জমেছে দেখো না?
কেউ কেউ অফিসে জমিদারী করে।
সারা জীবন নিজের পানি নিজে নিয়ে খাওয়া ছেলে, অফিসে গিয়ে বলে- ঠান্ডা পানি দাও। আমার টেবিলে সব সময় বোতল ভরে পানি রাখবে। উফফ তোমাকে কতবার বলব- আমার আসার আগে আমার টেবিলে বোতলে পানি ভরে রাখবে। ফকিন্নির পোলারাও মাঝে মাঝে জমিদার টাইপ আচরন করে। কথায় আছে, 'ছোট লোকের পোলায় যদি জমিদারি পায়, কানের আগায় কলম গুজে বাইজী নাচায়'। বড় বড় কোম্পানী ছাড়া ছোট ছোট চাকরিজীবিরা ভালো নেই। তাদের শুধু 'ভালো আছি' অভিনয় করতে হয়।
চাকরি জীবনে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি।
রাস্তার পাশে দোকান থেকে চা খাওয়া ছেলেটি, চাকরি পাওয়ার পর- কফি ছাড়া তার চলেই না। এইসব করে নিজেকে খুব স্মার্ট ভাবে। তারপরও তারা নিজেকে অসুখী ভাবে। বলে, কয় টাকা আর বেতন ভাই। খুব খাটনি। গাড়ি, ফ্ল্যাট কোনো দিনও করতে পারব না। চাকরীতে কেউ সন্তুষ্ট না! এই জন্যই জীবনানন্দ দাশ বলেছেন- 'পৃথিবীতে নেই কোন বিশুদ্ধ চাকুরি'। বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষই দুষ্টলোক। এদের মাঝে চাকরি করা চারটেখানি কথা নয়।
বেকার থাকাতে কিছু শান্তি আছে।
সেই শান্তি আমি খুব উপভোগ করি। সকালে তাড়াহুড়া করে ঘুম থেকে উঠার চিন্তা নাই। অফিসে কারো 'কড়া চোখ' দেখতে হয় না। কেউ হুকুম করতে পারে না। অফিস পলিট্রিক্সের স্বীকার হতে হয়। মিথ্যা হাসিমুখ করে কথা বলতে হয় না। যে চেহারা দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। সেই চেহারা দেখতে হয় না। বেকার থাকার কারনে যখন যা খুশী করা যায়। যেখানে খুশি চলে যাওয়া যায়। অফিসের নানান কারনে মেজাজ খারাপ হয় না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে হে----
আপনার সাথে আমার কিছু মিল আছে।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: বেকার থাকলে যখন যা খুশি করা যায়, এটা একদম ভুল বলেছেন। যেখানে খুশি সেখানে যাওয়া যায় এটা ও ঠিক না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভুল হতে পারে।
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: সবাই বেকার থাকার সুযোগও পায় না। আবার, আঙ্গুর ফল টকও হতে পারে!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা। সেটাও ঠিক।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
ঢাবিয়ান বলেছেন: একমাত্র বাংলাদেশেই আপনার মত কিছু ভাগ্যবান বেকার আছে যারা পৈ্ত্রিক সুত্রে ফ্ল্যট , টাকা পয়সার মালিক। তবে সবার সেই ভাগ্য নাই। তাদের কাছে বেকারত্ব মানে অভিশাপ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: বেকারত্বটাকে উপভোগ করা শিখতে হবে।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেকার সমস্যা যারা সমাধান করতে জানে, তারা শিক্ষিত জাতি, বাকীগুলো ভেঁড়া
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভেড়া হলেও তারা সুযোগ পেলে ভালো কিছু দেশের জন্য করতে পারবে।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার মত আমিও বেকার।ভাবছি কিছু করবো,কিন্তু কিজে করবো সেটাই ভেবে পাইনা।সারা দিন সুধু পশু পাখিদের খাওয়াই।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ব্যবসা শুরু করবো। আপনি হবেন আমার উপদেষ্টা।
পশু পাখিদের খাওয়ানো ভালো।
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১
অক্পটে বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে। বেশ কয়েকটি নীরেট সত্য এই লেখায় রয়েছে। তবে আসল বেকার আর আপনার মতো বেকারের মধ্যে যোজন পার্থক্য আছে। আসল বেকারকে ঘরভাড়া দিতে হয়। ঘড়ভাড়া জমে যায়। বাড়িওলার চোখরাঙ্গানী সহ্য করতে হয়। পালিয়েও বেড়াতে হয়। বেকারকে অনেক অপমান সহ্যকরতে হয়।
বেকারের অনেক জ্বালা। যেই বেকারের ঘড়সংসার বাচ্চা-কাচ্চা আছে তার ত শুধুই দুশ্চিন্তা আর দুশ্চিন্তা।
এমন একটা সরকার পাওয়া যেত যারা বেকারত্তকে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে সমাজে কাজের জন্য ক্ষেত্র তৈরী করবে। বেকারত্ব দূর হলে অনেক অপরাধেরও সমাপ্তি হতো।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার শুধু বাড়ি ভাড়া টা দিতে হয় না। তাছাড়া সব খরচই তো দিতে হয়।
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪
অক্পটে বলেছেন: আমার পরিচিত একজন বেকার আছে, সে পাখি পালন করেন আর মদ/গাজা খান। তার স্ত্রী তার সাথে যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করেন। খুব রাফ ব্যবহার যাকে বলে। তার পৈতৃকবাড়ী ভাড়া তুলে তিনি সংসার চালান। সাংসারে কোন অভাব নেই কিন্তু বিস্তর অভিযোগ আছে। তিনি খুব সাদা মনের মানুষ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: স্ত্রী খারাপ ব্যবফার করা ঠিক না।
ভদ্রলোকদে বললেন, এরপর যদি তার স্ত্রী খারাপ ব্যবহার করে- তাহলে যেন স্ত্রীর কান ধরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভাল প্রস্তাব
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার দুইজন উপদেষ্টা লাগবে। আরেকজন চাঁদগাজী।
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০০
শ।মসীর বলেছেন: চাকরি জীবনের গল্প লেখা শুরু করলে চাকরি চলে যাবে- হাহাহাহাহা
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ঠিক বলেছেন।
১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩
ইসিয়াক বলেছেন:
বুদ্ধিমানরা এই বেকার সময়টুকুও কাজে লাগায়
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: যেমন?
১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯
মোবারক বলেছেন: প্রবাসে থাকার কারণে এমন প্রায় দেখি, ধন্যবাদ আপনাকে
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা সেটাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বেকার থাকাতে কিছু শান্তি আছে।
সেই শান্তি আমি খুব উপভোগ করি। সকালে তাড়াহুড়া করে ঘুম থেকে উঠার চিন্তা নাই। অফিসে কারো 'কড়া চোখ' দেখতে হয় না। কেউ হুকুম করতে পারে না। অফিস পলিট্রিক্সের স্বীকার হতে হয়। মিথ্যা হাসিমুখ করে কথা বলতে হয় না। যে চেহারা দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। সেই চেহারা দেখতে হয় না। বেকার থাকার কারনে যখন যা খুশী করা যায়। যেখানে খুশি চলে যাওয়া যায়। অফিসের নানান কারনে মেজাজ খারাপ হয় না।
তাইও তাই কই।