নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
১। মনে হচ্ছে আমি এক নিষ্কর্মা মানুষ।
সারাদিন অকাজ করে যাচ্ছি। দুনিয়াতে যারা বড় মানুষ তারা মনে হয় বিশ্বকর্মা। তারা কত কী ভাবছে আর করে ফেলছে। সেই জন্যই তো দুনিয়াতে কত অশৈলী কান্ড ঘটছে। আকাশে এরোপ্লেন উড়ছে, চাঁদে মানুষ যাচ্ছে, লোকে টিভি দেখছে ঘরে বসে। ওসব তো আমার মতো বোকা মানুষের কর্ম নয়। ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে বেঁচে আছি। নাড়ী চলছে, বুক ধুক ধুক করছে, খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি। আমি থাকলেই কি, গেলেই কি। দুনিয়ার লাভও নেই, লোকসানও নেই।
২। তুমি কখনো ভূত দেখেছো?
খুব দেখেছি, তাহলে শুনুন-
সে কথা মনে হলে আজও গায়ে কাটা দেয়। পাশের গ্রামে সেবার পূজোর সময় যাত্রাপালা হয়েছিল। খুব নামকরা দল এসেছে। পালা শেষ হতে-হতে রাত দুটো বেজে গেল। তিনজন মিলে ফিরছিলাম। পথ একেবারে সুনসান। সাথের দুজন বটতলার কাছে এসে অন্য দিকে চলে গেল। আমি একা। তালুকদার বাড়ির পুকুরের ধার বরাবর রাস্তা দিয়ে হাটছি। চারপাশে নানান রকম গাছপালা। সুন্দর জোছনা রাত। তবে এ জায়গাতে দিনের বেলাও খুব বেশি লোক চলাচল করে না। শুনেছি, জায়গাটার দোষ আছে।
আপন মনে গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে আমি হাটছিলাম। হঠাৎ সামনে দেখি একটা লোক নিচু হয়ে কি যেন খুঁজছে। আমি সামনে গিয়ে বললাম- কে? কে ওখানে? কেউ জবাব দিল না। তখন আমি বললাম, কিছু হারিয়ে থাকলে তো আর এই অন্ধকারে খুঁজে পাবেন না। এখন বাড়ি চলে যান, সকালে এসে খুঁজবেন। তখন লোকটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকালো। বিড়বিড় করে যেন কি বলছে। খুব ভয় পেলাম। হাত পা শক্ত হয়ে গেল। নড়াচড়া করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছে আমি অজ্ঞান হয়ে যাবো। ঠিক তখন ভূতটা বাতাসে মিলিয়ে গেল। আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে আর ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি ফিরে আসি। বাড়ি টানা তিন দিন কঠিন জ্বরে পড়লাম।
৩। মহাভারতের খল চরিত্র নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। এক একজন এক এক চরিত্রের নাম বলবেন। কেউ বলবেন দুর্যোধন, দুঃশাসন, কুনি অথবা অশ্বত্থামা। সাধারণত অশ্বত্থামাকেই মহাভারতের সবচেয়ে জঘন্য চরিত্রের বলা হয়। অথবা পুরো কৌরব পার্টিকে।
৪। “মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তাই ধর্ম। যে ধর্ম পালন করতে গিয়ে মানুষের অকল্যাণ করতে হয়, তা ধর্ম নয়; ধর্মের কুসংস্কার মাত্র। মানুষের জন্য ধর্ম। ধর্মের জন্য মানুষ নয়।”--প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইব্রাহিম খাঁ প্রথম জীবনে কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করেন পরে মুসলিম লীগে।আইউব খানের ভক্ত ছিলেন,বিনিময়ে তিনি তঘমা- এ- কায়দে আযম খেতাব পান। তার পত্রিকায় আজাদে সামরিক শাসনের পক্ষে তার অনেক লেখা আছে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ। অথচ আপনি কিছুই লিখেন না।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪
কথক আরমান বলেছেন: আপনার আমার মতো দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ কোন কাজের না,বিজ্ঞানীদের উচিৎ জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করে উন্নত মানুষ তৈরী করা,যাতে আমরা সৃষ্টিরহস্য খুব দ্রুত উন্মোচন করতে পারি,চায়না, জাপান, কোরিয়ার মানুষেরা প্রচলিত ধারায় সন্তান উৎপাদনে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে,তাদের উপর জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করা যায় যাতে করে দুনিয়াতে উন্নত বুদ্ধির মানুষ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি পৃথীবির জনসংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে মানুষের দৈনন্দিন কাজে রোবট আর অটোমেশনের ব্যাবহার বাড়াতে হবে,মানুষের কাজ হবে খাওয়া আর উন্নত চিন্তা করা,এক গ্যালাক্সি থেকে আরেক গ্যালাক্সিতে ভ্রমণের উপায় বের করা,জন্ম মৃত্য নামক এই একঘেয়ে কারাগার থেকে মানুষের মুক্তির উপায় খুঁজা উচিৎ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: অতি চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁর সংজ্ঞা পছন্দ হয় নাই। উনি মনে হয় মনে করতেন যে ধর্ম মানুষের তৈরি তাই এরকম বলেছিলেন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: উনি ধার্মিক মানুষ ছিলেন। নামাজ রোজা করতেন। অনেক মাদ্রাসা করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
৪ নং:
প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ জ্ঞানী মানউষ ছিলেন।
আগের দিনেও ৩য় বিশ্ব ছিলো, যেসব এলাকায় সামন্ত রাজারা দুর্বল ছিলো, সেখানকার মানুষের কিছুটা স্বাধীনতা ছিলো; সেখানকার মানুষ ধর্ম আবিস্কার করেছিলো।