নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১



ইবরাহীম খাঁ ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহন করেন।
তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বিরামদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শাবাজ খাঁ ও মায়ের নাম রতন খানম। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। ইব্রাহীম খাঁ ১৯০৬ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ির পিংনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সাহিত্যিক প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ প্রথম মুসলমান ছাত্র যিনি পিংনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস (বর্তমান এস.এস.সি) পাশ করেন। ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ.পাস করেন। ১৯২৪ সালে আইন পাস করে ময়মনসিংহে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় তিনি লেখাপড়া করেছেন। তিনি বিয়ে করেন নি।

ইবরাহীম খাঁ ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি স্মৃতিকথা, শিক্ষা-সাহিত্য-ধর্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণ কাহিনী, রম্য রচনা, গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস ও জীবনচরিত, শিশু সাহিত্য, পাঠ্য বই ও অনুবাদ মিলিয়ে শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেছেন। অনেক দায়িত্বপূর্ণ পদে কর্মব্যস্ত থেকেও অনলসভাবে তিনি বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রচনা করেছেন। সাহিত্যের সকল শাখায়ই তিনি স্বচ্ছন্দে সফলতার সঙ্গে পদচারণা করেছেন। ব্রিটিশ ভারতে নিগৃহীত পণ্ডিতদেরকে তিনি তার কলেজে সুযোগ দিতেন। বহু ছাত্রকে তিনি বিনা বেতনে পড়িয়েছেন।
তিনি তার নিজের বিশ্বাসে দৃঢ় ছিলেন, কিন্তু অন্যের মতবাদকে বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা করতেন না। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইব্রাহীম খাঁ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ব্রিটিশ আমলে ‘খান সাহেব’ ও ‘খান বাহাদুর’ এবং পাকিস্তান আমলে ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ উপাধি লাভ করেন। নাটকে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৩) এবং সাহিত্যের জন্য একুশে পদক (১৯৭৬) লাভ করেন।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তাঁর নামে একটি কলেজ আছে।
ইব্রাহীম খাঁ ১৯১৯ সালে করটিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ প্রায় ১২০টি গ্রন্থ রচনা করেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র, নছর প্যায়দা, ইসলামের মর্মকথা, আনোয়ার পাশা, বাবুরনামা ও সোনার হরফে লেখা নাম। এ ছাড়া 'বাতায়ন' তার আত্মজৈবনিকমূলক গ্রন্থ। ইংরাজিতে লেখা তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘এনেকডোটস ফ্রম ইসলাম' একটি মূল্যবান গ্রন্থ। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ওকালতি পেশায় সততা বজায় রেখে কাজ করা অসম্ভব বিবেচনা করে ইব্রাহীম খাঁ দু'বছর পর আইন ব্যবসা পরিত্যাগ করে ১৯২৬ সনে করটিয়ার জমিদার দানবীর ওয়াজেদ আলী খান পন্নীর অর্থ সাহায্যে করটিয়া সা'দত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত কলেজে তিনি প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হন। ৮৪ বছরের জীবনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল, কলেজ, মাদরাসাসহ, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

১৯৫৩ সনে তিনি পাকিস্তান গণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
বিভিন্ন সময় তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা-সম্মেলনে যোগদান করেন। এ উপলক্ষে তিনি তুরস্ক, মিশর, লেবানন, সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরান, চীন ইত্যাদি দেশ পরিভ্রমণ করেন। তাঁর রচিত ‘কামাল পাশা' ও ‘আনোয়ার পাশা' নাটকে তুরস্কের নবজন্মের কথা বলা হয়েছে। ১৯৬৩ সনে পাকিস্তান সরকার তাঁকে ‘তঘমা-এ-কায়দে আযম' খেতাব প্রদান করেন। ১৯৭১ সনে পাক বাহিনীর নৃশংসতার প্রতিবাদে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ‘জাদু সম্রাট' পি.সি. রায় গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে তাঁর শিক্ষক ইব্রাহীম খাঁকে ‘হৃদয় সম্রাট' হিসাবে আখ্যায়িত করেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



জ্ঞানী মানুষ ছিলেন

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: উনাকে উনার পিতা মাতা জ্ঞান বুদ্ধি দেন নি।
উনি চারপাশ দেখে শুনে ঐ বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন, লেখাপড়া ছাড়া অন্য উপায় নাই। তাই সম্পূর্ন নিজ যোগ্যতায় লেখাপড়া করেছেন।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: দেশের অহংকার ছিলেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা তা বলা যায়।
শিশুদের জন্যও অনেক লিখেছেন।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

স্থিতধী বলেছেন: আপনি তো হুমায়ুন আহমেদের চরম ভক্ত মানুষ । প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ এর নাতনি হুমায়ুন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান । সম্পর্কে তিনি গুলতেকিন খানের নানা । উইকিপিডিয়া বলছে ইব্রাহিম খাঁ এর মেয়ের নাম খালেদা হাবিব । যেহেতু এখানে লিখেছেন ইব্রাহিম খাঁ বিয়ে করেন নি, তাহলে কি ওনার ঐ মেয়ে পালিত ছিলেন? আমার ঠিক জানা নেই । জানাবেন ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা প্রশ্ন করেছেন।
সম্ভবত আমি ভুল বলেছি। উনি বিয়ে করেছিলেন।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

কালো যাদুকর বলেছেন: নুর সাহেব কোথায়। আপনি কি তাঁর দ্বায়িত্ব পালন করছেন। হা হা।

ভাল লিখেছেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মুরুব্বী গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন।
সেখানে ইন্টারনেট নেই।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শুভ কামনা ও দোয়া রইলো I

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার লেখা একটা গল্প আমরা স্কুলে পড়েছিলাম। উনি আপনার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের নানা শ্বশুর। ব্রিটিশ ভক্তরাই বেশীরভাগ রায় বাহাদুর আর খান বাহাদুর উপাধি পেতেন। আইয়ুব খানের মত স্বৈরাচারের কাছ থেকে 'তঘমা এ কায়দে আজম' খেতাব ওনার নেয়া উচিত হয়নি।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সেই খেতাম উনি ১৯৭১ সালে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একজন স্কলার।‌বাঙালী জাতির গর্ব। তবে একটা প্রশ্ন, উনি কোন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে উল্লেখ করেছি।
একজন ধনী লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্কুক-কলেজ করেছেন। সেই কলেজের প্রতিষ্ঠারা সভাপতি তিনি। এবং প্রিন্সিপাল।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের জেলার সেরা মানুষতো বটেই দেশের অন্যতম সেরা সন্তান প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ কে নিয়ে লেখার জন্য একটা বিরাট ধন্যবাদ দিলাম আপনাকে । আমি আমার আম্মার কাছে উনার গল্প শুনেছি । আমার নানার সাথে পরিচয় ছিল প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁর । টাঙ্গাইল শহরে আমার নানার বাড়িতে উনি অনেক এসেছেন । উনি দেশের প্রথম মুসলিম যিনি কোনো একটা কলেজের প্রিন্সিপাল হয়েছিলেন । উনি প্রিন্সিপাল ছিলেন করটিয়া সাদাত কলেজের। পরে আরো কয়েকটা কলেজের সম্ভবত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেছেন জীবনের শেষ দিকে ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: ওনার নামটাই শুনেছি অনেক। আপনার পোস্টে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

জুন বলেছেন: প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খা এর একটি অনুদিত বই পড়েছিলাম ছোটবেলায়। নাম সুর্যিমামার রথে। বইটিতে সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের একটি করে উপকথা অনুদিত ছিল। হারিয়ে যাওয়া বইটির আর সন্ধান পেলাম না কোথাও ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বই হারিয়ে ফেলেছেন। এটা দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.