নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
হাইতি দেশটির আয়তন ২৭৭৫০ বর্গকিলোমিটার।
স্পেন অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ৫ ডিসেম্বর ১৪৯১ সালে এই ভূখণ্ডটি আবিষ্কার করেন। তখন থেকেই প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসিরা দেশটিতে উপনিবেশ গড়ে তোলে। তখন থেকে এ দেশের সোনা-সহ মহা মূল্যবান খনিজ সম্পদ ইউরোপে পাচার হতে থাকে। পক্ষান্তরে ইউরোপীয়দের নিয়ে আসা অজানা রোগ ও মহামারিতে হাইতির অজস্র আদিবাসী মানুষের মৃত্যু ঘটে। ১৭ ও ১৮ শতকে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে প্রায় আট লাখ মানুষ হাইতিতে ধরে এনে দাস বানিয়ে খামারে ও খনিতে কলুর বলদের মতো খাটানো হয়। ১৭৯১ সালের ২২ আগস্ট হাইতির দাসেরা তাদের মালিকদের উপর বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং গোটা উপনিবেশকে একটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সব দেশেই প্রচুর সম্পদ দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ তা একদেশ থেকে আরেক দেশে নিয়ে গেছে। এজন্য এক দেশ ধনী এবং অন্য দেশ দরিদ্র। কলম্বাস হিরো নয়। তাকে দুষ্টলোক বলা যেতে পারে।
হাইতি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন দ্বীপ রাষ্ট্র।
১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। হাইতি'ই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। পোর্ত-ও-প্রাঁস দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। হাইতির জনগণ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে আছে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণী, যারা বেশির ভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে আছে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণী যাদের কোন ক্ষমতা নেই। সম্পদ নেই। তারা চিকিৎসাও পায় না। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। দেশটিতে অনেক গুলি স্বৈরশাসক শাসন করেছেন। তারা দেশের উন্নতির জন্য কোনো ব্যবস্থা নেন নি। নিজেরা আরাম আয়েশ করেছে। হাইতির শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সর্বদাই সক্রিয়। হাইতিতে কিছু বাংলাদেশ-ভিত্তিক এনজিও কাজ করে চলেছে। এর মধ্যে সবচেয় পরিচিত হল ব্র্যাক।
হাইতির সাথে বাংলাদেশের দারুণ সুসম্পর্ক।
হাইরিয়ান ফুটবল খেলোয়াড় সোনি নর্দে এবং প্যাস্কেল মিলিয়েন বাংলাদেশি ফুটবল ক্লাবের জন্য খেলেছে। এত অসুখী জীবন যাপনের দেশেও সারা বছর পর্যটকের বেশ ভিড় লেগে থাকে। এর কারণ, দেশটির অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। দেশটি পুরোটাই সুন্দর। সমুদ্র, পাহাড় সবই আছে। দেশটির কিছু জায়গা আছে, যা বিশ্বব্যাপী খ্যাত। হাইতির বাইরে যে দু'টি দেশে সবচেয়ে বেশি হাইতির লোক বাস করে, সেই দেশ দু'টি হল ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্র। যে সমস্ত হাইতিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে তারা বছরে প্রায় ১.৯ বিলিয়ন ডলার স্বদেশে পাঠায়। ১৯৩৫ - হাইতিতে ঘূর্ণিঝড়ে দুই হাজারেরও বেশি লোক মৃত্যুবরণ করে। দেশটির ভাষাঃ ফরাসি এবং ক্রেওল। ধর্মঃ বেশিরভাগ রোমান ক্যাথলিক, কিছু ভেদু। দেশটির রাজনীতিবিদরা অদক্ষ এবং অযোগ্য। তাই জনগনের এত কষ্ট। পৃথিবীর দশটি দরিদ্র দেশের মধ্যে হাইতির নাম অবশ্যই রাখতে হবে।
দেশটির মাথা পিছু আয়- ৭৬১ ইউএস ডলার।
হাইতিতে যাওয়ার জন্য ভিসা লাগে না। তবে হাইতিতে ভ্রমন নিরাপদ নয়। খুব চুরী, ডাকাতি আর ছিনতাই হয়। যদিও দিন রাত সব সময় পুলিশ থাকে। একবার জেল ভেঙ্গে চার শ' কয়েদি পালিয়ে যায়। এরাই চুরী, ডাকাতি, ছিনতাই করছে। হাইতির কারাগার গুলো খুবই জনাকীর্ণ। এসব কারাগারে আটক ব্যক্তিদের অনেককেই বিনা বিচারে বছরের পর বছর বন্দি থাকতে হয়। সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার হয় না। হাইতির রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর পোর্ট-অ-প্রিন্স প্রায় তিন মিলিয়ন বাসিন্দা। তাদের বেশির ভাগই খুব খারাপ অবস্থা। বেশির ভাগ লোকেরই নিজের বাড়ি গাড়ি নেই। বর্তমানে হাইটিতে প্রায় দশ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে সাত দশমিক এক মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাইতিতে প্রায় প্রায় দুই লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। উন্নত দেশ গুলো কেন দরিদ্র দেশ গুলো উন্নত করার চেষ্টা নেয় না। এটা আমি বুঝি না।
হাইতির চেয়ে আমাদের দেশ অনেক উন্নত।
২৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট দেশটির জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি। তাদের আয় এত কম যে জনপ্রতি বাজেট দুই ডলারেরও কম! তাই কোনো অঞ্চলে খিদে মেটাতে তাদের বাচ্চাদের খেতে হয় মাটির বিস্কুট। হাইতির জনগনের চেয়ে আমাদের দেশের আশ্রিত রোহিংগারা অনেক ভালো আছে। তারা সুন্দর থাকার জায়গা পেয়েছে। তিনবেলা ভালো খাবার পাচ্ছে। হাইতি বিপ্লব (১৭৯১-১৮০৪)- এ যুদ্ধে হাইতি ফ্রান্স হতে স্বাধীনতা লাভ করে। কলম্বাস চারবার আমেরিকা গেলেও উত্তর আমেরিকায় আদৌ পা রাখেনি। বরং লুটপাট চালিয়েছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের হিস্পানিওলা এলাকায় বর্তমান হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকে। কলম্বাস আন্ত আটলান্টিক অঞ্চলে লুটপাট এবং দাস ব্যবসার সূচনা করে। কলম্বাস এখন বেঁচে থাকলে আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিচার হতো। বহু মানুষের অভিশাপ আছে কলম্বাসের উপর।
হাইতির দেশটির জনগন অভাগা।
জন্মই যেন তাদের পাপ। দেশটিতে শিক্ষার হার খুব কম। চিকিৎসার মান ভালো না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না। চাষবাসে উন্নত নয়। সরকার দেশটির উন্নয়নে ভালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ধনী দেশ গুলো হাইতিকে সাহায্য করছে না। তবে হাইতিতে ভুমিকম্পের সময় বিভিন্ন দেশ সাহায্য সহযোহিতা করেছে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মেডিকেল টিম হাইটিতে যাচ্ছে। পৃথিবীর ধনী দেশ গুলোর উচিত দরিদ্র দেশ গুলোর এজন্য এগিয়ে আসা। তবেই না তারা দারিদ্রতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে দরিদ্র দেশ গুলো। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলোর মানসিকতা উন্নত নয়। আমেরিকায় ফসল বেশি হলে তারা জাহাজে করে ফসল নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে ফেলে দেয় তবুও দরিদ্র দেশ গুলোতে খাবার পাঠায় না।
দুর্নীতি ও দারিদ্র্য হাইতিবাসীকে রাস্তায় নামিয়েছে।
অবস্থাটা এমন, জনগণের যেন জনগণ ছাড়া আর কেউ নেই। রাজনীতি থেকে আর বিকল্প আসছে না। আন্দোলন হচ্ছে একক কোনো নেতা ছাড়াই। হাইতিয়ান সাধারণ খাবারে সাধারণত ভাত থাকে (সাধারণত বাদামী বা সাদা)। হাইতিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের আটটি সামাজিক ব্যবসা প্রকল্প কাজ করছে। আরও ১০টি প্রকল্প কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩
এম ডি মুসা বলেছেন: চমৎকার,
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সুশাসকের অভাবে একটা দেশ কেমন ভুগতে পারে এটা তার উদাহরণ মাত্র!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোকে কি একই কাতারে ফেলা যায় না?
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১
শোভন শামস বলেছেন: চমৎকার, তথ্য বহু্ ধন্যবাদ
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেই অল্প সংখ্যক মানুষ ক্ষমতা ও সম্পদ দখল করে রেখেছে, তারা বাকীদের পড়ালেখায় নিরুৎসাহিত করে।
১২ বছরের মেয়ে টুরিষ্টদের সাথে ঘুমায়
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: অতি দুঃখজনক।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: একটা ব্যাপার মিস করেছেন। হাইতি পর্যটন শিল্পে বেশ সমৃদ্ধ ছিল, বিশ্বব্যাপী এইডস ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র এর জন্য হাইতি কে দায়ী করে এবং সবধরনের ট্রাভেল ব্যান করে দেয়, ধীরে ধীরে দেশটির পুরো পর্যটন শিল্পে পতন ঘটে। পরবর্তীতে গবেষণায় দেখা যায় এইডস মূলত ছড়িয়েছে নিউইয়র্কের অভিবাসীদের মধ্যে থেকে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: তথ্য টি আমার জানা ছিলো না।
৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৎ ও দক্ষ শাসকের অভাবে এমন সৌন্দর্যময় দেশের মানুষও খেতে পায় না
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ তাদের শাস্তি দিবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপনিবেশিক শাসনের অধীনে যেসব দেশ ছিল এদের সিংহভাগ এখনও রাজনীতি ও অর্থনীতিতে পিছিয়ে আছে। উপনিবেশিক শাসকরা এই সব দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে এমন প্রভাব খাটিয়েছে যে এরা এখন স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে না, নিজেদের ভাল বোঝে না। ফলে এই সব দেশ জ্ঞান, বিজ্ঞানে পরমুখাপেক্ষী। ফলে পিছিয়ে আছে। আগে শোষণ করতো গায়ের জোরে এখন করে কৌশলে।