নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
মাঝে মাঝে আমার সব কিছু ভালো লাগে।
কোনো কিছুতেই বিরক্ত লাগে না। বরং আনন্দ লাগে। সহজ সরল আনন্দ। আমার ব্যলকনিতে একটা ছোট রেইনলিলি গাছ আছে। বৃষ্টির পানি পেলেই রেইন লিলিতে ছোট ছোট ফুল ধরে। দেখতে ভালো লাগে। আমি প্রতিদিন দশ মিনিট এই রেইন লিলির পাশে বসে থাকি। ভালো লাগে। ছয়তলা থেকে নামতেই তিন তলার নাসিমা বুয়াকে দেখি। সে সিড়ি ঝাড়ু দিচ্ছে। গুনগুন করে গানও গায়। অতি সাধারণ একটা দৃশ্য। এই দৃশ্যটি দেখতে ভালো লাগে। নীচ তলায় মা তার স্কুল লাইফের বান্ধবীর সাথে গল্প করছে। দুজন মিলে চা বিস্কুট খাচ্ছে। এই দৃশ্যটাও আমার ভালো লাগে। পরী বিছানায় শুয়ে রঙ তুলি নিয়ে ছবি আঁকে। পরীর আঁকা ছবি গুলোও ভালো লাগে। বাসা থেকে বাইরে বের সময় কলাপসিবল গেট খুলতেই ক্যাচ ক্যাচ শব্দ হয়। এই নিরীহ ক্যাচ ক্যাচ শব্দটা বেশ লাগে।
বাসা থেকে বের হয়ে কিছু দূর গেলেই-
একটা দোকান আছে। সেই দোকানে অন্যান্য জিনিসের সাথে ডাব বিক্রি করে। কচ কচ করে মুহুর্তের মধ্যে ডাব কেটে ফেলে। ডাব কাটা দেখতেও ভালো লাগে। ডাবের দোকানের পাশেই আছে পুরী, পিয়াজু আর আলুর চপের দোকান। আগে তিন টাকা পিস বিক্রি করত। এখন প্রতি পিছ পাঁচ টাকা করে। ভর সন্ধ্যায় এই দোকানে খুব ভিড় হয়। লোকজন পাগলের মতো গরম গরম পুরী, পিয়াজু, আলুর চপ, বেগুনী কিনে- দেখতে ভালো লাগে। বড় রাস্তায় আসতেই এক বুড়োকে প্রতিদিন দেখি। সেই বুড়ো কলা বিক্রি করে। আমি মাঝে মাঝে এই বুড়োর কাছ থেকে কলা কিনি। লোকজন কলা কিনে আমি দাড়িয়ে দেখি। দেখতে ভালো লাগে। কলা বিক্রেতার পাশেই একলোক সিদ্ধ ডিম আর দুধ বিক্রি করে। লোকজন রাস্তায় দাড়িয়েই সিদ্ধ ডিম খায়। কেউ হাঁসের ডিম, কেউ দেশী মূরগীর ডিম, কেউ ফার্মের মূরগীর ডিম। কেউ কেউ খায় দুধ খায়। গরম দুধ।
রেললাইনের জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগে।
ট্রেন আসার আগ মুহুর্তে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুহুর্তের মধ্যে পুরো রাস্তা রিকশা, গাড়ি, বাইক দিয়ে পুরো রাস্তা ভরে যায়। লম্বা ট্রেন হেলে দুলে যায়। এই দৃশ্য দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। রেল লাইনের পাশেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাজার বসে। লোকজন পাগলের মতো মাছ কিনে। লাইটের আলোতে মাছ গুলো ঝকমক করে। এই দৃশ্যটা আমার ভালো লাগে। আমি দূরে দাড়িয়ে মানুষের মাছ কেনা দেখি। মাছ কাটা দেখি। ভালো লাগে। রেললাইনের ওপারে লম্বা লাইন ধরে ভ্যান গাড়িতে করে ফল বিক্রি করে। পুলিশ আসলেই ফলের গাড়ি গুলো গলির ভেতরে পালিয়ে যায়। আবার পুলিশ চলে গেলে মেইন রাস্তায় চলে আসে। এই লুকোচুরি খেলা দেখতে ভালো লাগে। যদিও পুলিশ এই ফল বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা নেয় প্রতিদিন। এক মহিলা পিঠা বিক্রি করে। সে আমার পরিচিত। আমাকে দেখলেই বলেন, বাজান পিঠা খেয়ে যান।
খিলগাও চৌরাস্তায় দেখার জিনিসের অভাব নাই।
সারাদিনে পুলিশ অসংখ্য রিকসা আটকে রাখে। সন্ধ্যায় দেনদরবার হয়। যারা টাকা দেয়। তারা রিকশ ফেরত পায়। যারা টাকা দেয় না তারা রিকশা ফেরত পায় না। সেই সব রিকশা বড় গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। কোথায় নিয়ে যায় কে জানে! প্রতিদিন এই রকম হাজারও নানান রকম দৃশ্য দেখি। ভালোও লাগে। আমি যে দোকানে চা খাই। সেই ছেলেটা সারাক্ষণ কানে মোবাইল দিয়েই রাখে। কার সাথে কথা বলে কে জানে! ফোনে কথা বলতে বলতে চা বানায়। এই দৃশ্যটা দেখতে ভালো লাগে। চায়ের দোকানে নানান রকম মানুষ আসে, নানান রকম তাদের কথাবার্তা। ভালো লাগে। চায়ের দোকানের কাছে একলোক কাবিল নাম। কাবিল ভাই ভ্যানে করে পেঁয়াজ, আদা, রসুন বিক্রি করে। কখনও কখনও ফুলকপি, বাঁধা কপি আর আলুও বিক্রি করে। একসময় কাবিল ভাইয়ের চায়ের দোকান ছিলো। তার দোকানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতাম। তার দোকানে চা সিগারেট খেয়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি করেছিলাম। কাবিল ভাইয়ের হাসিটা ভালো লাগে।
চারপাশে যা দেখি তা-ই আমার ভালো লাগে।
এ আমার কেমন অসুখ হলো! আমি খুব মন দিয়ে দেখি। উপভোগ করি। সেদিন দেখলাম একমেয়ে রিকশা চালকের সাথে ঝগড়া করছে। আমার ইচ্ছা করলো এদের দুজনকে ডেকে চা খাওয়াই। তাদের সাথে গল্প করি। আমাদের বাসার সামনে গলিতে রাত আট টার দিকে সিটি করপোরেশনের লোকেরা এসে রাস্তা ঝাড়ু দেয়। একসময় ভোরের দিকে ঝাড়ু দিতো। এখন রাতে ঝাড়ু দেয়। রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার দৃশ্য টা দেখতেও ভালো লাগে। সেদিন সরকারী লোক এসে রাস্তার লাইট ঠিক করছে। তারা তিনজন ছিলো। একজন মই বেয়ে উপরে উঠে লাইট ঠিক করছে। নীচে একজন মই ধরে দাড়িয়ে আছে। আরেকজন কাগজে কলমে কি যেন লিখছে। যে কাগজে লিখছিলো- তাকে বললাম, ভাই সাহেব লাইট লাগিয়ে দিয়ে যান, দুই দিন পর তো লাইট আর জ্বলে না। যে লোক মইয়ে উঠে লাইট ঠিক করছিলো- সে খুব রেগে গেলো। মই থেকে খুব দ্রুত নেমে এলো আমার কাছে। তার ভাব এরকম আমি খুব অন্যায় করে ফেলেছি, এখন আমাকে মারবে। তারা তিনজন মিলে আমাকে ধরেছে। এখনই আমাকে মারবে। খুব মারবে। এই দৃশ্যটা ভালো লাগলো।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: না।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অভ্যাসগত ভাললাগা। এমন কিছু ভাল লাগা প্রতিটা মানুষেরই থাকতে হয় এবং আছে।এ এক বিচিত্র ভাল লাগা।রেল লাইনের পাশে যাদের বাড়ী তারা অপেক্ষায় থাকে কখন রেলগাড়ি যাবে।ছোট বেলায় অপেক্ষায় থাকতাম কখন স্টিমার যাবে ধুয়া ছাড়তে ছাড়তে থপ থপ শব্দ করে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমারও যা দেখি তাই ভাল লাগে! সুস্থ্য আছি এই মহামারীতে এখন পর্যন্ত, এটাও কম না।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা তা অবশ্যই।
সুস্থ থাকা অনেক বড় ব্যাপার।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: কিছু মনে করবেন না রাজীব ভাই।আপনি যদি নিয়মিত এন্টি ডিপ্রেসেন্ট কোন ঔষধ খেয়ে থাকেন, ডাক্তারের সাথে আলাপ করে ডোজ রিএডজাস্ট করবেন।অনেক সময় এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে মানুষ ইউফোরিয়াতে ভোগে। তখন সবই ভালো লাগে। অবশ্য সাধক লোকদেরও এরকমটা হতে পারে৷ আপনার লেখার এই ''লেইড ব্যাক" স্টাইলটা চমৎকার লাগে। লেখক দুনিয়াতে থেকেও যেন নাই।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া আর কিছুই খাই না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব ভালোলাগা ভালো না।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: দারুন তো সবই ভালো লাগে!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে---
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি কোন ধরণের কাজ করেন?