নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামের বাড়ির গল্প

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২২



১। একবার গ্রামের বাড়ি গিয়েছি।
রাত্রে ভাবলাম নদীর পাড়ে ঘুমিয়ে থাকবো। নদীর কল কল শব্দ। ঠান্ডা বাতাস। চমৎকার ঘুম হবে। আমাদের বাড়ি থেকে পদ্মা নদী খুব কাছে। হেটে গেলে ২০ মিনিট সময় লাগে। রাত্রে খেয়েদেয়ে দুই বন্ধু নদীর পাড়ে চলে গেলাম। চাঁদর বিছিয়ে শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষনের মধ্যে লাখ খানেক মশা আমাদের ঘিরে ফেলল। চারিদকে শুধু মশার ভন ভন শব্দ। এছাড়া ব্যাঙের ডাক তো আছেই। সারারাত মশার কামড় খেলাম। তবু বাড়ি ফিরে যাই নি। মশার কামড়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো।

২। আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা পুকুর আছে।
বেশ বড় পুকুর। আব্বাকে বললাম, পুকুরে মাছ আছে? আব্বা বললেন, অনেক মাছ আছে। তুমি দেখতে চাও। আমি বললাম, হ্যা। সারাদিন ধরে সেই পুকুরের পানি মটর দিয়ে ফেলে দেওয়া হলো। তখন গ্রামের সব ছেলেমেয়েরা, বউ ঝি'রা সব পুকুরে নেমে পড়লো। সবাই কাঁদা মাটি মাড়িয়ে মাছ ধরতে শুরু করলো। সে এক দেখার মতো দৃশ্য। আমি পুকুরে নামি নি। এত সাহস আমার নেই। যদি শিং মাছ ঘাই দেয়। তাছাড়া পুকুরে সাপ থাকতে পারে। আমি সাপ খুব ভয় পাই। সবচেয়ে বড় কথা নরম কাঁদা মাটিতে দাড়াতে পারি না। পা পিছলে কোমর ভাঙতে চাই না।

৩। একবার গ্রামে গিয়েছি।
আমাদের পুরান বাড়িটা ছিলো কাঠের দোতলা বাড়ি। দোতলায় একটা সুন্দর রুম ছিলো। সেই রুমের নাম ছিলো কেবিন ঘর। আমি গ্রামে গেলে কেবিন ঘরে থাকতাম। রাত দশটায় আমার বন্ধু বলল, চল বাইরে যাই। আমি বললাম, কেন? বন্ধু বলল- আম কুড়াতে। আমি বললাম, চল। বিশ মিনিট আশে পাশে হাঁটলাম। এবং সত্যি সত্যি আধা বস্তা আম কুড়িয়ে পেলাম। সকালে সেই আম ফেলে দেওয়া হলো। আমার দাদী বললেন, নিজেদের চারটা আম গাছ থাকতে কেউ আম কুড়ায়? তোমার দাদা জানলে গজব হয়ে যাবে। খান বাড়ীর ছেলে আম কুড়ায়!

৪। একবার পদ্মা নদীর পাড় দিয়ে হাঁটছিলাম।
অনেক গুলো ছেলে নদীতে টেনিস বল দিয়ে খেলছিলো। আমি ওদের খেলা দেখছিলাম। আমাকে দেখে ওরা বলল, নেমে আসো, যদি খেলতে চাও। আমি বললাম, আমি তো সাঁতার জানি না। গ্রামের ছেলে গুলো হাসলো। বলল, অসুবিধা নেই। তুমি বেশী দূর যাবে না। কোমর পর্যন্ত পানিতে থাকবে। তাছাড়া আমরা সাঁতার জানি তোমার ভয় নেই। ছেলে গুলো আমাকে একটা গামছা দিলো। আমি জামা কাপড় খুলে খামছা পড়ে নামলাম নদীতে। কিছুক্ষন পর আমার গামছা পানিতে ভেসে গেলো। লজ্জায় আমি নদী থেকে উঠে আসতে পারছিলাম না। কাউকে বলতেও পারছিলাম না কিছু।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাড়ীতে আপনাদের ভাগে কি ঘরটর আছে?

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পাবো এক কাঠা হয়তো।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছোট বেলায় গ্রামে মানুষ হবার সুখটাই আলাদা।আমি মুন্সিগঞ্জ,টংঙ্গিবাড়ি,লৌহজং অনেক ঘুরাঘুরি করেছি।অন্য থানা গুলিতে কম গেছি।দিঘিরপার বাজার থেকে পদ্মার পার দিয়ে হাটতে হাটতে ভাগ্যকূল পর্যন্ত কয়েক বার গেছি।হাঁটা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।এটা ৬৯/৭০ সালের দিকে।৭২ এর পর আর কোন দিন মুন্সিগঞ্জ যাইনি।দেশে আসলে একবার যাব ভাবছি।বহু স্মৃতি অনেক বন্ধু বান্ধব আছে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আসুন দেশে আপনাকে বিক্রমপুর নিয়ে যাবো।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

জাহাঙ্গীরআলম৮৩১ বলেছেন: অনেক পাট শুকানো কাজ করেছি

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গ্রামের স্মৃতিগুলির তুলনা হয় না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে একদিন আমাদের গ্রামে নিয়ে যাবো। আপনি ছবি তুলবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.