নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই তো....

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৭



ছোটবেলার কথা মনে পড়ে।
আমার নানী মিরপুর মাজারে প্রতি বৃস্পতিবার এক ডেক খিচুরী রান্না করে নিয়ে যেতেন। মাজারের পীর ফকিরদের খাওয়াতেন। বাবুর্চি দিয়ে খিচুরী রান্না হতো। আমার নানী শেষ বয়সে কেমন পাগল-পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়াতেন। মাঝে মাঝে নানী আমাকে সাথে করে নিয়ে যেতেন। তখন নানী চুল আচড়াতেন না। নানীর মাথায় হয়ে গিয়েছিলো বিকট জট। অসংখ্য পীর ফকির নানীর সাথে দেখা করতে আসতো বাসায়। নারী তাদের খুব সেবা যত্ন করতেন। আমার নানী ছিলেন ব্যবসায়ী। সে দুই হাতে টাকা বিলাতেন পীর ফকিরদেরকে।

অনেকদিন আগে আমি একটা পাগলীকে রোজ ভিক্ষা দিতাম।
মাথা ভরতি চুল পাগলীর। গানের গলা ভালো ছিলো। বয়স খুব বেশী হলে ত্রিশ হবে। দুই হাত ভরতি রাবারের চুরী পরে থাকতো সব সময়। গলায় নানান রকমের মালা। সে একদিন আমার মাথায় হাত রেখে বলল - বাবু, আমাকে মা বলে ডাকো। তারপর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করো- আমি তোমাকে দোয়া করে দেই। মানুষের মত মানুষ হও, আমি দোয়া করছি তুমি হবে। সেদিন অনেক বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। সেই পাগলিনী সেদিন আমাকে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা শুনিয়ে ছিল। 'সব ঠাঁই মোর ঘর আছে, আমি সেই ঘর মরি খুঁজিয়া'। এই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীটি খিলগাও রেল লাইনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছিলো।

এক ধার্মিক ব্যক্তি আর এক নাস্তিক পাশাপাশি হাটছিল।
ধার্মিক ব্যক্তি স্বভাবসুলভ পাশের ব্যক্তিটিকে নামাজ-রোজা এসবের ফজিলত বর্ননা শুরু করতেই নাস্তিক ব্যক্তির প্রশ্ন: আপনি আল্লাহরে বিশ্বাস করেন? ধার্মিক ব্যক্তি একটু থতমত খেয়ে জবাব দেয়: হ্যা। নাস্তিক: কেন? ধার্মিক: বাহ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের পালনকর্তাকে বিশ্বাস করবো না? নাস্তিক মহাশয় এবার একটা ব্যঙ্গ হাসি হেসে বললো: আপনি দেখেছেন কখনো আল্লাহকে? আর, আল্লাহকে মানতে গেলে তো ভাগ্যকেও মানতে হয়- ভালো আর মন্দ তাহলে তো সবই আল্লাহরই কাজ- তাতে আমাদের কি কোন হাত আছে? নাস্তিকের প্রশ্ন দুটি শুনে ধার্মিক ব্যক্তি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর, হঠাৎ করেই একটা ইট তুলে- নাস্তিকের মাথায় মেরে বসলো।

থানা-পুলিশ হয়ে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালো।
বিচারক ধার্মিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন: আপনাকে ঐ ব্যক্তি দুটো প্রশ্ন করলো- আর আপনি তাকে এভাবে আঘাত করলেন? বেচারি কত ব্যথা পেলো! ধার্মিক ব্যক্তি: আমি তার দুটি প্রশ্নের জবাব এক ইট দিয়ে দিয়েছি। বিচারক: সেটা কিভাবে? ধার্মিক ব্যক্তি: সে বলেছে যা দেখা যায় না, তা বিশ্বাস করা যায় না। তাহলে সে যে ব্যথা পাচ্ছে তা তো আপনি আমি কেউ দেখছি না। সে শুধু অনুভব করছে। বিচারক: আর, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর? ধার্মিক ব্যক্তি: ওটা তার কপালে লেখা ছিল।


ছবিঃ আমার তোলা।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: ধার্মিকরা দিনে দিনে জটিল হয়ে যাচ্ছে। অধার্মিকেরা দিনে দিনে বেকুব হয়ে যাচ্ছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: জটিল এবং বেকুবেরা মিলে গেলে কি হবে সেটাই ভাবছি।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কপালে ইট থাকে? লক্ষন ভালো নয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লক্ষন সব সময় একরকম থাকে না। বদলে যায়।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কপালের লেখা পড়ার কৌশল কোথায় শেখান হয়।শিখতে পারলে মন্ধ হতো না।হাতের লেখা পড়ার কৌশল অবশ্য কোন কোন টাউট বাটপার পড়ায়।জহুরা মার্কেটে আমার দোকানের উপরে টি,আহম্মেদের অফিস ছিল,বহু লোককে প্রারিত হতে দেখেছি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কিসের দোকান?
এখন এক বাটপার ব্যবসা করে বসুন্ধরা মার্কেটে। বিশাল অবস্থা তার।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ৭২ থেকে ৮৫ পর্যন্ত ঔষধের দোকান ছিল।নিজে কখনো বসতাম না।দুই জন কর্মচারী ছিল প্রতি বছর লোকশান দিত তাই বিক্রি করে দিয়েছি।দোকান নিজে না চালালে লাভ হয় না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: জকুব

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: !

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: মিরপুরের শাহ আলি মাজারটার কথা বলছেন?

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.