নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেক্সপিয়ার আর রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিলে পৃথিবী চলবে না

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৬



১। হে ঈশ্বর আর কতদিন বোবা আর অন্ধ হয়ে থাকবে। আমি ক্ষেপে গেলে কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিবো। তখন কিন্তু আমাকে কিছু বলতে পারবা না।

২। ঢাকা শহরে তরুন-তরুনীদের গোপনে দেখা করে মুখোমুখি বসে কিছুক্ষন হৃদয়-বিনিময় করার জন্য জায়গা খুব কম। মানুষের দাপাদাপিতে সব নিরব স্থান কলরবে ভরে উঠেছে। লেকের পাড়ে বা পার্কে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ব্যাকুল তরুন-তরুনীরা কোনও রকমে এখানে সেখানে জায়গা খুঁজে পেলেও, একটুও সুস্থির হয়ে বসবার উপায় নেই। একজন আর একজনের হাতটা ধরেছে কি ধরেনি অমনি কোথা থেকে যেনো চলে আসবে কোনও ভিক্ষুক। প্রেম করতে গেলেও সাথে রাখতে হয় অনেক ভাংতি টাকা। একজন ভিক্ষুক টাকা পেয়ে চলে গেলেই আর একজন আসবে সাথে সাথে। তারপর আসবে নানান ধরনের ফেরিওয়ালা। বাদাম, চকোলেট, আইসক্রীম এমনকি ফুলও কিনতে হবে, না কিনলে ওরা ঘনিষ্ঠ জড়াজড়ির সুযোগ দেবে না। আজিব !!

৩। একটি কাক আরেকটি কাকের মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার জন্য যতরকম ধূর্ততার আশ্রয় নিয়ে থাকে, একজন কবি আরেকজন কবির প্রাপ্য সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার জন্য তাঁর চাইতে কিছু কম করে না।
-আহমদ ছফা

৪। আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন, যারা সারাবছরে একটি বইও পড়েন না। নিজের যে বইটি পড়তে ভাল লেগেছে, অন্যকেও সেই বই পড়তে উৎসাহ দিন। পছন্দের বই নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করুন। বই পড়ার আনন্দ ভাগাভাগি করা বই পড়ার চেয়ে আরো বেশি আনন্দদায়ক।

৫। বারট্রান্ড রাসেল বলেছেন, ‘সংসারে জ্বালা-যন্ত্রণা এড়ানোর প্রধান উপায় হচ্ছে মনের ভেতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেয়া এবং বিপদকালে তার ভেতর ডুব দেয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, ভাবযন্ত্রণা এড়ানোর ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়।’

৬। রবীন্দ্রনাথও পূর্ববঙ্গে কাটিয়েছেন বহুদিন। তার পরেও মুসলমান অধ্যুষিত পূর্ববঙ্গে তিনি তার শান্তি নিকেতন প্রতিষ্ঠা করতে উত্সাহ পাননি। তিনি এটা গিয়ে তৈরি করেন বীরভূমে। প্রথমদিকে শান্তি নিকেতনে মুসলমান ছাত্রদের কোনো প্রবেশাধিকারই ছিল না। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেকের কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন। হায়দরাবাদের নিজাম তাকে সে আমলে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই চাঁদার সূত্রেই কিছু মুসলমান ছাত্র সুযোগ পায় শান্তি নিকেতনে লেখাপড়া করার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ঢাকা শহর তরুন তরুনির জন্য নয় এই শহর বৃধ্য অথর্ব্য ক্ষয়ে যাওয়া পচে যাওয়াদের জন্য।

আহমেদ ছফা জ্ঞ্যানী লোক ছিলেন

ধার নিয়ে সেই বই ফেরত না দেয়ার মধ্যে আরো বেশি আনন্দ ;)

সাতার টা শিখে নিবেন , ডুব দিতে গিয়ে আবার ডুবে না যান।

রবীন্দ্রনাথ মুসলিম বিদেষী ছিলেন ভাবতে খারাপ লাগে। একজন কবি মানুষ হবেন তিনি কোন ধর্ম প্রচারক হবেন না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সাঁতার শিখি শিখি করে শেখা হচ্ছে না।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ৪)ব্লগে বুক রিভিউ তেমন একটা ভালো চলে না।তবে আপনার ও অপু তানভীরের বুক রিভিউ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালোবাসা জানবেন।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকা শহরের মানুষের জন্য সুস্হভাবে চলাফেরার যায়গাও নেই; এর ফলে, শতকরা ২০ ভাগের বেশী মানুষের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে; ঢাকা শহরের সামর্থবান লোকেরা (বড় চাকুরে, পুলিশ, মিলিটারী অফিসার, ব্যবসায়ী পরিবারগুলো, রাজনোতিক ব্যক্তিত্ব ) অন্যদের জীবনটা বিষাক্ত করে তুলেছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সত্য বলেছেন। অবশ্য আপনি সব সময় সত্য এবং উচিত কথাই বলেন।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: আমরা যেন কেমন একটা জাতি!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা ভালৈ ছিলাম। কিছু দুষ্টলোক সব এলোমেলো করে দিয়েছে।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদকে বাদ দিলে চলবে?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ অলটাইম বস।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: 6 নম্বর বিষয়ে সহমত পোষণ করতে পারছিনা।একটু খটকা লাগলো। কবিগুরুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন আশ্রমের এমন কোন ঘটনা ইতিপূর্বে কখনও শুনিনি। বরং ব্রাহ্মধর্মের প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রথমদিকে কলকাতা শহরের বর্ণহিন্দুদের একটু সন্দেহ ছিল। যদিও পরে সে আশঙ্কা নির্মূল হয়।
আর শান্তিনিকেতনকে কবিগুরুর পছন্দের অন্যতম কারণ ছিল জোড়াসাঁকো থেকে যত সহজে আদিবাসী অধ্যুষিত সুবিস্তীর্ণ ফাঁকা জমি শান্তিনিকেতনে আসা যাওয়া সম্ভব ছিল জোড়াসাঁকো থেকে শিলাইদহতে মাওয়া তত সহজ ছিল না। উল্লেখ্য শান্তিনিকেতনের খরচ যোগানোর জন্য কবিগুরু শেষ বয়সে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান করেও অর্থ সংগ্রহ পর্যন্ত করেছিলেন।

আর ঢাকা শহরে কপোত-কপোতীরা একান্ত নিভৃতে আলাপচারিতার সুযোগ না পাওয়াটা খুবই দুর্ভাগ্যের। আহারে! দুক্কু দুক্কু আর দুক্কু। মানতেই হবে কত সৃজনশীল প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেল না।

শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আপনি আসল পয়েন্ট টাই ধরেছেন। গ্রেট।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই প্রথম শুনলাম রবিঠাকুর সাম্প্রদায়িক ছিলেন।রবিঠাকুর যখন বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন তখন ভারত ভাগের চিন্তা প্রবল ছিল না।মুসলমানরা তখন পড়তো আসিয়া মাদ্রাসায়।স্কুল কলেজে খুব একটা কেউ পড়তো না।স্যার সৈয়দ আহমদ মুসলমানদের ইংরেজি পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন।
৩,ছফার সম্মান আবার কে কেড়ে নিয়ে গেল।তার সাক্ষি আবার আপনি।
৪, এমন ব্যক্তি আমি আছি।সারা বছর না বহু বছর একটি বই পুরা পড়া হয় নাই।
৫, পলায়নবাদী মনোভাব।সমস্যার সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।সাহসের সাথে সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.