নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্য- ১

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫২



অনেক লেখকই মনে করেন যে, ঈশ্বর যেহেতু আমাদের সৃষ্টি করেছেন, সুতরাং ঈশ্বরের প্রতি আমাদের কিছু বিশেষ দায়িত্ব পালন করা উচিত। 'জীবন'কে আমাদের জন্য ঈশ্বরের সর্বোত্তম উপহার হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। জীবন যে একটি অসামান্য উপহার, এর প্রমাণ (দাবিকৃত) হিসেবে অগণিত মানুষকে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে যারা জন্ম নিতে পেরে খুশি এবং বেঁচে থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেও রাজি। ঈশ্বর শুধু আমাদেরকে জীবন নামক এই অসামান্য উপহারই প্রদান করেননি, উপরন্তু ঈশ্বরের সুনিপুণ নিয়ন্ত্রনের দ্ধারা সবকিছুর অস্তিত্ব বজায় থাকছে, যার দরুণ আমরা দিনের পর দিন বেঁচে থাকছি। এই ঐশ্বরিক শক্তি ব্যতীত আমরা সহ সমগ্র মহাবিশ্ব অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তাই নূন্যতম পরিমাণে হলেও এই অসাধারণ উপহারের জন্য ঈশ্বরের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

পবিত্র কোরানের কথা মতো আমরা বিশ্বাস করি আদম হচ্ছে সরাসরি প্রথম সৃষ্টি। এখন কোরানে আদমের গায়ের রঙ, উচ্চতা, স্বাস্থ্য এগুলো তো বলে দেয়া নাই। তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন আফ্রিকার মানুষ কালো, ইউরোপের সাদা, আমরা ইন্ডিয়ান উপমহাদেশের মানুষ সংকর, বা বিভিন্ন দ্বীপের লোকজন খুব শক্ত/বৃহৎ দেহের অধিকারী? কোরান এই প্রশ্নের উত্তর দেয় না। এরকম আরো সহস্র প্রশ্ন আছে যার উত্তর নেই। এখন কোরান বিশ্বাস করি বলে কি এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাবে না? কোরান তো স্রষ্টার সৃষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করতেই বলে। ডারউইনের মতবাদ বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। ১৯৫৯ সালে ডারউইন তাঁর “On the origin of species” নামক বইয়ে প্রাকৃতিক নির্বাচন বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেন। বলতে গেলে এর পর থেকেই বিবর্তনবাদ তত্ত্বটি কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্যতা পায় অল্প কিছু মানুষের কাছে।

একটা শিশুর কোন ধর্ম থাকতে পারে না, কারণ একটা শিশুর পক্ষে ধর্ম কি তা উপলব্দ্ধি করা সম্ভব নয়। কিন্তু শিশুরাও ধর্ম পালন করে, কারণ তাদেরকে ধর্ম পালন করতে বাধ্য করা হয়। আমি কোন মুসলিম শিশুকে দেখিনি খুশি মনে, স্বইচ্ছায় নামাজ পড়তে; বরং ধর্মীয় আচারাদি পালনে শিশুদের মধ্যে তীব্র বিরক্তিবোধই বেশি দেখা যায়। তবে শৈশবে শিশুদের মধ্যে যে শিক্ষার সঞ্চার করা হয়, তা থেকে পরিণত বয়সেও তারা মুক্ত হতে পারে না। তাই শৈশবে যে শিশু বাধ্য হয়ে ধর্মীয় কর্ম পালন করে, বড়কালে সে স্বইচ্ছায় সেই কর্ম পালন করে যেতে থাকে। নাস্তিক হওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে শৈশবের শেখানো শিক্ষাগুলো থেকে মুক্ত হতে পারা, বলা বাহুল্য এটাই সবচেয়ে কঠিন ধাপ। কোরানের কথা আল্লাহ প্রত্যেক জীবকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু জীব বিজ্ঞানে আমরা পড়েছি কিছু প্রাণী উভলিংঙ্গ হতে পারে, আবার অনেক প্রানী শ্রেফ শরীরের অংশ থেকে সন্তানের জন্ম দেয়।

প্রতিটা ধর্মের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ গুলোই অলৌকিকত্বের কাহিনীতে ভরপুর। দুর্গা দেবী কতৃক মহিষাসুর বধ, নূহের নৌকা দ্বারা সমগ্র জীব কূলকে বাঁচানো, মাছের পেট থেকে উদ্দার, লাঠি হয়ে যায় সাপ, কুমারী মেরীর গর্ভে যীশুর জন্ম- এগুলো ধর্মপ্রাণ মানুষ বিনা প্রশ্নই মেনে নেয়, কিন্তু সন্দেহ প্রবণ মানুষকে এসব কাহিনী বিশ্বাস করাতে গেলে প্রমাণ দিতে হয়।

রাহুল আর প্রবীরের বই পড়ে আমি হয়ে পড়েছিলাম পুরোদস্তুর সন্দেহবাদী, তাই এহেন অলৌকিকত্বকে আমার কাছে ঘটনার বদলে রটনা বলেই মনে হল। ডারউইনের অরিজিন অব স্পিসিস বইটার জগতময় আলোড়ন আজো থামেনি। একজন গবেষক হিসাবে না। একজন মানুষ হিসাবে ডারউইনরে যে পরিমাণ মানসিক সংকট আর শারীরিক দূরাবস্থা কাটাতে হয়েছে তার ইতিহাস কেউ মনে রাখে না। নিজের বড়ে মেয়েক হারিয়ে, অনেক সংগ্রাম আর প্রতীক্ষার পরো মেয়েটাকে বাঁচাতে না পেরে, ঈশ্বর মানতো না যে ডারউইন সে-ই কি না মেয়ের সুস্থ্য হবার কামনায় চার্চে গিয়া মেয়ের জন্য প্রার্থণা করে। এসকল ঘটনা আসলে মানবিক জীবনের আড়ালের গোপনের হৃদয়ের কুঠুরিতে লুকানো বিষয়। অনেক বড়ে বড়ে আবিষ্কারের নিচে চাপা পড়ে যায় সেই আবিষ্কারের পিছনের ব্যক্তি মানুষটি। তার ক্রোধ, কান্না, হতাশা। ডারউইনের বউয়ের অবদানও হয়তো কেউ মনে রাখবে না অরিজিন অব স্পিসিস পড়তে গিয়ে। কিন্তু এত সকল কাহিনী নিয়েই জন এমিয়েল তৈরি করেছেন 'ক্রিয়েশন' সিনেমাটা। ডারউইন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পল বিটানি। ডারউইনের সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি আজকের মতো ছিল না। সে সময় জীব কোষকে অত্যন্ত সরল মনে করা হতো- ডিএনএ আবিষ্কার তো দূরের কথা।

স্বয়ং ঈশ্বরের কাছেও যে বিষয়টি বিব্রতকর, তা হল ‘ঈশ্বর বিশ্বাস'। মানুষ একদিকে যেমন বিশ্বাস করে ঈশ্বর কল্পনাতীত নির্দয় অনেক শাস্তির পরিকল্পনা করে রেখেছেন, তেমনি অপরদিকে মনে করে তিনি তাদেরকে শাস্তিস্বরূপ যে বিষয়টি অর্পণ করেছেন তা হল 'জ্ঞান'। মানুষের ধারণা মতে, তারা যদি ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিত প্রাণ না হয়, তাঁর প্রতি সৎ না থাকে তবে এই 'জ্ঞান' অবধারিতভাবে তাদেরকে নিরীশ্বরবাদী হতে বাধ্য করবে। এই বিষয়টি আমাকে এই উপসংহারে পৌঁছাতে প্রণোদিত করে যে, নাস্তিক এবং অজ্ঞেয়বাদীদেরকেই ঈশ্বর সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন। কারণ তাদের মধ্যে জ্ঞানস্পৃহা রয়েছে, এরাই সেই দল ব্যক্তি যারা ঈশ্বরকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে।



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেসব মানুষের ভাবনায় লজিক ও এনালাইটিক্যাল জ্ঞান না থাকে, তারা চারিপাশের বিশ্বকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে না, কোন বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না; সমাজে তাদের অবদান থাকে না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: এমন ধার্মিক লোকজন।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৮

শিবলী আখঞ্জী বলেছেন: ধার্মিকদের সাথে ইশ্বরের চাকর মনিবের সম্পর্ক , নাস্তিক ও অজ্ঞেয়বাদীদের সাথে প্রেমাস্পদ সম্পর্ক ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ভালো বলেছেন।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরানে বলা আছে,আল্লাহর হাত আছে,৪৮:১০
আল্লাহ প্রতিশোধ পরায়ন,৩:৪
আল্লাহ পথভ্রষ্ট করান এবং সৎপথ দেখান,৭:১৭৮ , ১৮:১৭
আল্লাহ কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছেন,৬৬:৯ ,৯:৭৩, ৬১:১১, ২:২১৬, ৯:১৪, ৮:৫৭, ২:১৯১, ২:১৯৩, ৫:৩৩, ৮:১২
৮:৩৯, ৯:৫
আদম ছিল ৬০ হাত লম্বা
সহীহ মুসলিম
হাদিস নং ৬৯০০
অধ্যায়৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন

সুন্দর বিশ্লেষন করেছেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আদম কল্পিত চরিত্র।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্‌ প্রত্যেক জীবকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন এটা কোন সুরায় বলা হয়েছে? সম্ভবত মানুষের ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য সকল জিনিসের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে একটার বিপরীত আরেকটা সৃষ্টি করেছি। যেমন পুরুষের বিপরীত নারী, দিনের বিপরীত রাত, গরমের বিপরীত ঠাণ্ডা, সুখের বিপরীত দুঃখ, ভুমির বিপরীত সাগর, আলোর বিপরীত অন্ধকার, বেহেশতের বিপরীত জাহান্নাম ইত্যাদি।
অনেক মুসলিম শিশু খুশি মনে নামাজ পড়ে। অনেক ৫ বা ৬ বছরের বাচ্চা দেখবেন রোজা রাখার জন্য বাবা মার সাথে ঝগড়া করে। স্কুলে যেতেও অনেক শিশু গড়িমসি করে। তাই বলে কি স্কুলে যাওয়া খারাপ। শিশুরা অনেক কিছুই করতে চায় কিন্তু সব কাজ তাদের জন্য ভালো না। বড়দের এই ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিতে হয়।
মানুষের জ্ঞান আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় কিছুই না। নাস্তিকরা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না তাই তারা ঈশ্বরকে ( আল্লাহ্‌কে) সব চেয়ে বেশী গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এই কথাটা ঠিক না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি ধর্ম নিয়ে আলাপ করে পারবো না। আপনি ধর্ম সম্পর্কে আমার চেয়ে অনেক বেশী জানেন।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনার জানার ইচছা সাধুবাদ পাবার যোগ্য কিন্তু ব্যাখ্যাগুলি পুরোটা হয়ত ঠিক না।

কোন ছাত্রই মন থেকে বিদ্যালয়ে যায়না ।তাকে মা-বাবা পিটিয়ে-পটিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠায় তার ভাল ভবিষ্যতের জন্য। ঠিক তেমনি বাচচাদের ধর্ম থাকেনা এটা ঠিক ।বাবা-মায়ের ধর্মই তার ধর্ম হিসাবে বিবেচিত হয়।আর বাবা-মায়ের দায়িত্ব-কর্তব্য হল তার জীবনে যা কিছুর প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে তাকে জানানো বা অবহিত করা ,যাতে সে এ দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারে।তা সে ধর্ম বিষয়ক জ্ঞানই হোক বা দুনিয়া বিষয়ক শিক্ষাই হোক। তাকে সঠিকভাবে গড়ে না তুললে সে জীবনে টিকে থাকতে পারবেনা এ প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে।

আর স্রষ্টা সবাইকে ভাল বাসেন এবং ভালবেসেই তার জীবন ধারনের জন্য সকল কিছুর ব্যবস্থা করেন। আর উভয়লিংগ প্রাণীর কথা যেটা বললেন সেগুলির দিকে তাকালে বা পুঙ্খানুপুঙ্খ জানলে আপনি আপনার জবাব পেয়ে যাবেন । স্রষ্টা এ দুনিয়ায় সব জোড়ায় জোড়ায় তৈরী করেছেন না আলাদা আলাদা।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন বাইসাহেব।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

সোহানী বলেছেন: আপনি এ গাছের ছবি কোথা থেকে নিয়েছেন। আমার জানালার পাশে ঠিক এমনই একটি গাছ। আমার ঘুম ভাঙ্গে এ গাছের দিকে তাকিয়ে। রাতে লাইট বন্ধ করে চাঁদের আলো দেখি গাছের ফাকেঁ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: গাজীপুর থেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.