নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা। মেঘনা নদী।
গ্রামটা সুন্দরবনের কাছে।
নাম রসুলপুর। রসুলপুর গ্রামে খাবার পানির খুব সমস্যা। এর মধ্যে প্রায়ই সুন্দরবন থেকে বাঘ এসে গরু ছাগল নিয়ে যায়। একসময় গ্রামবাসী বিরক্ত হয়ে একটা বাঘ মেরে ফেলে। এরপর গ্রামবাসী বিরাট বিপদে পড়ে। ফরেস্ট অফিসাররা এসে খুব ঝামেলা করেছিলো। দুইজনকে গ্রেফতার করেছিলো।
রসুলপুর গ্রামে বিশাল এক বাড়ি আছে।
কিন্তু বাড়িতে লোকজন মাত্র তিনজন। স্বামী স্ত্রী আর একজন বুড়ো কাজের লোক। স্বামী স্ত্রীর বয়স বেশী নয়। অনেক বিষয় সম্পত্তি আছে বলে বাড়ির কর্তা কোনো চাকরি বাকরি করেন না। স্বামী স্ত্রী সারাদিন বই পড়েন, গান শুনেন, পুকুরে মাছ ধরেন। এভাবেই তাদের জীবন চলছে। এই দম্পতি সন্ধ্যা রাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। বুড়ো কাজের লোকটার একই দশা।
আমি রসুলপুর গ্রামে যাই।
এবং এই বুড়ো বুড়ির বাসায় উঠি। আমাকে থাকার জন্য বিশাল এক ঘর দেয়া হলো। বিদ্যুৎ নেই, হারিকেন জ্বলছে একটা। সন্ধ্যা রাত ঘুমানোর প্রশ্নই আসে না। হারিকেনের আলোতেই একটা বই পড়া শুরু করলাম। টেবিলে আমার খানা ঢাকা আছে। ক্ষুধা পেলেই খাবো। চারিদিকে ঝি ঝি পোকা সমানে ডেকেই চলেছে।
হঠাৎ আমি খুব ভয় পেলাম।
মনে হলো আমি ছাড়া এ ঘরে অন্য কেউ একজন আছে। আমার সারা শরীর শির শির করে উঠলো। অজানা এক ভয়ে বুক কাঁপছে। গলা শুকিয়ে আসছে। চিৎকার করে কাউকে ডাকবো কিনা বুঝতে পারছি না। আর ডাকলেও কেউ শুনবে না। এক ঘর থেকে আরেক ঘরের দূরত্ব অনেক।
হঠাৎ মনে হলো আমার মতো গরীবকে মেরে ভূতের লাভ কি?
এই ভেবে অনেক সাহস সঞ্চয় করে হারিকেনটা উঁচু করে সামনের দিকে তাকালাম। দেখি জানালার কাছে অন্ধকারে কে যেন বসে আছে। সাদা কাপড় জড়ানো গায়ে। চোখ কচলে আবারও ভালো করে দেখে নিলাম, ভুল দেখছি কিনা। ঠিকই দেখলাম, অন্ধকারে একজন স্থির বসে আছে।
আমার কিছুই করার নেই এটা ভাবতেই আমার সাহস বেড়ে গেল।
তখন মনে মনে বললাম- আয় শালা কে কী করবি। আসলে কেউ যখন খুব ভয় পেয়ে যায়, যখন দেখে আর রক্ষা নেই, এবার গেছি। তখন হঠাৎ অনেকখানি সাহস বেড়ে যায়। আমার হয়েছে এই অবস্থা। আমি জানালার কাছে গেলাম। এবং মনে মনে বললাম, আজকে তোরে খাইছি। আমারে ভয় দেখাছ।
জানালার কাছে গেলাম।
ছায়ামূর্তি দিকে তাকিয়ে চোখ মূখ খিচিয়ে বললাম, আয় শালা কে কী করবি। এটা সাহস বা বীরত্ব নয়। সাময়িক পাগলামি। কিছু একটা দেখেছিলাম। কারন আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মাথায় অনেক পানি ঢালতে হয়েছিলো। বুড়ো বুড়ি বললেন, কি দেখেছো- আমরা জানি। তাই আর কিছু জিজ্ঞেস করলাম না।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
কি বলছেন???? !!!
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
রসুলপুর সুন্দরবন থেকে কত দুরে?
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক কতটা দূর বলতে পারবো না।
তবে বাগেরহাটের সব চেয়ে শেষের গ্রামটার নাম রসুলপুর।
ছোট একটা নদী আছে। এবার থেকে ওপার যেতে নৌকায় করে ৫ মিনিট লাগবে। নদীর ঐ পাড়েই সুন্দর বন।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫৪
ডাব্বা বলেছেন: আমার কিছু সত্যি ঘটনা আছে এসব নিয়ে। বেশ অনেকদিন আগে লিখেওছিলাম। এখানে শেয়ার করব কোনও একসময়।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: লিখে ফেলুন। ভালো হবে।
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৮
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনের সাহস তো মাশাল্লাহ।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রচন্ড ভীতু মানুষ।
তবে মাঝে মাঝে আমার সাহস খুব বেশী বেড়ে যায়।
৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব ঘটনার কথা শুনেছি অনেক, নিজে দেখি নাই কখনো।
মেঘনার বুকে তোলা ছবিটা সুন্দর হয়েছে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ছবির মান বিচারে ছবিটা সুন্দর হয়নি।
ছবিটা কিন্তু ঘোলা হয়েছে।
৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০১
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: হারিকেনের আলোয় নিঝুম গ্রামে ভূত দেখার ছমছমে অভিজ্ঞতা পেতে চাই!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। নিয়ে যাবো একদিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভূতেরাও লাভ লোকশানের হিসাব করে।কেমন একটা সাদামাঠা হয়ে গেছে।ভূতের গল্প আরো বেশি পড়তে হবে।অথবা ফেরেশতাদের গল্প পড়লেও হবে একই গোত্রিয় কি না।