নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসমানী, শহীদ মিনার এবং আমরা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮



তখন আমি ছোট ছিলাম।
স্কুলে পড়তাম। সেই সময় ২১ শে ফ্রেরুয়ারী আমরা খুব ঘটা করে পালন করতাম। আমার স্পষ্ট মনে আছে, বন্ধুরা সবাই মিলে ইট আর মাটি যোগাড় করতাম। ইট মাটি দিয়ে শহীদ মিনার বানাতাম। অনেক সময় লাগতো। আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হতো। আমরা চেষ্টা করতাম আমাদের শহীদ মিনারটা যেন বড় হয়। তা না হলে অন্য এলাকার ছেলেপুলেদের সাথে হেরে যাবো।

শহীদ মিনারের জন্য ফুল সংগ্রহ করতে হতো।
বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুল চুরী করতাম। আমি তখন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাই স্কুলে পড়ি। পুলিশ লাইনে বেশ কয়েকটা ফুলের বাগান ছিলো। সেই বাগান থেকে আমি ফুল চুরী করে আনতাম। চুরী করা ফুল শহীদ মিনারে দিতাম। আমার মতো এত বড় এবং সুন্দর ফুল আর কেউ চুরী করতে পারতো না। ফুল না কিনে কেন চুরী করতাম আমি জানি না।

চান্দা তুলে খিচুরী রান্না করা হতো।
এলাকার প্রতিটা বাড়ি থেকে চাঁদা তুলতাম। দোকান থেকে চাঁদা তুলতাম। যারা টাকা দিতো না, তারা চাল, ডাল, পেঁয়াজ দিতো। পরিমানে অনেক চাল দাল হয়ে যেত। নগদ টাকাও অনেক হয়ে যেত। গরুর মাংস দিয়ে খিচুরী রান্না করা হতো। এলাকার সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে সেই খিচুরী খেতো। বলা বাহুল্য খিচুরী অনেক মজা হতো। তখনকার খিচুরীর স্বাদ এখনও আমার মুখে লেগে আছে।

ছেলেবেলার দিন গুলো হারিয়ে গেছে।
এখন জীবন বড়ই জটিল, কুটিল আর আবর্তময়। ছোটবেলার বন্ধুরা সব হারিয়ে গেছে। কারো সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। কে কোথায় আছে জানি না। হঠাত রাস্তায় কারো সাথে দেখাও হয়ে যায় না। এখন একুশে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনার বানাই না। ফুল চুরী করতে হয় না। খিচুরীও রান্না করা হয় না। তবে আজ সুরভি খিচুরি আর গরুর মাংস রান্না করেছে।

মেয়েটার নাম ছিলো আসমানী।
সে আমাদের সাথে শহীদ মিনার বানানো, চাঁদা তুলতো, খিচুরী রান্না করতে সহযোগিতা করতো। আসমানীকে আমার খুব ভালো লাগতো। মাথা ভরতি লম্বা চুল ছিলো তার। মূখটা ভীষন মায়াময় ছিলো। আসমানী এখন কোথায় জানি না। বেঁচে আছে কিনা তাও জানি না। আজ একটা গোপন কথা বলি, জীবনের প্রথম চুমুটা আসমানীকে দিয়েছিলাম।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাস্টারদা বলেছেন: ভালোই চলছিল, শেষ বাক্যে কেমন যেন লেখাটা চা-য়ের দোকানের আড্ডা হয়ে গেল। :(

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা অনেকটা এই রকমই।

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শহীদ মিনার আর মসজিদে ভরে গেছে বাংলাদেশ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: অথচ লাইব্রেরী কম।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


যাকে প্রথম চুমা দিয়েছেন তার খোঁজ রাখেন না, আপনি বুদ্ধিমান তবে ভাল মানুষ কিনা প্রশ্ন থেকে গেল।
প্রথম চুমা দেওয়ার অর্থ তাকে আপনার ভাল লেগেছিল আর প্রথম ভাললাগা মানুষটিকে কেউ সহজে ভুলতে পারে বলে মনে হয় না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: খোঁজ রাখতে চেষ্টা করেছি। পারি নি। তখন তো ফেসবুক, হোয়াটস আপ ছিল না।
তাছাড়া ওরা ছিলো ভাড়াটিয়া।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেষের লাইনে এসে ল্যান্জা আর লুকানো গেল না!!! =p~

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: দেখেছেন, আমি সত্য কথা বলি।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আন্তরিকতা থেকে আনুষ্ঠনিকতা বড় হয়ে গেছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মানে?

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি হয়তো জানেন না , এমন কি অনেকেই জানেন না ।

মালয়েশিয়ার মানুষজন বাংলাদেশকে সাধারণত বাংলা নামে ডাকে ।
তারা বাংলাদেশের শ্রমিকদের কে ডাকে বাংলা ওরাং।

তাই আমার মাঝে মাঝে মনে হয় পাকিস্তানের অংশ হিসেবে স্বাধীন না হয়ে বৃহত্তর বাংলাকে পৃথক দেশ হিসেবে স্বাধীন করলে সেটাই হতে পারত সব চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মালোশিয়া যদি বাংলাদেসকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দেশ বলে, তাতে কি আমাদের দেশটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে?
সৌদি যে বাঙ্গালীদের মিসকিন বলে ডাকে।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

জগতারন বলেছেন:
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি হয়তো জানেন না , এমন কি অনেকেই জানেন না ।
মালয়েশিয়ার মানুষজন বাংলাদেশকে সাধারণত বাংলা নামে ডাকে ।
তারা বাংলাদেশের শ্রমিকদের কে ডাকে বাংলা ওরাং।
তাই আমার মাঝে মাঝে মনে হয় পাকিস্তানের অংশ হিসেবে স্বাধীন না হয়ে
বৃহত্তর বাংলাকে পৃথক দেশ হিসেবে স্বাধীন করলে সেটাই হতে পারত সব চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।


সহমত!

* পাকিস্থান স্বাধীনতার সময়ে আমার জন্ম হয় নি। তাই দেখিনি সে সময়ের কথা। যতটুক ইতিহাস পড়ে জেনেছিঃ
এ,কে, ফজলুল হক সাহেবের ঐকান্তি ইচ্ছা ছিল আপনার অভিমতের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন। কিন্তু তিনি তা পারেন নি। তার অন্যতম কারনঃ
(ক) পশ্চিম বাংলার হিন্দুরা যেভাবে হক সাহেবকে জোঁকের মত কামড়িয়ে ধরেছিল এর বিপক্ষে
(খ) সেই সাথে জিন্নার ভন্ডামী সবই ছিল হক সাহেবের বিপক্ষে।
(গ) সেই সময়ে আরাকানের মুসলমান নেতারা শুধু জিন্নার পায়ে ধরেনি আর সবই করে অনুরোধ করেছছিল আরাকানকে পাকিস্থানের অংশ করার। কিন্তু
(ঘ) গুজরাতি বংশের ভন্ড মুসলমান জিন্না গুরুত্ব বেশী দিয়েছিল পাঞ্জাব, বেলুচিস্থান,পেশোয়ার (যা আফগানিস্থানের অংশ)
আফগানিস্থনের ও ভারতে-এর পশ্চিমের থেকে যত সম্ভব জায়গা রাখা যায় পাকিস্থানের অংশে।
ভণ্ড জিন্না বাঙ্গালীদের গুরুত্ব ও মর্জাদা দিতে চাহিতেন না। অথচ পাকিস্থানের দাবীর সুত্রপাতই হয়েছিল ঢকার শাহাবাগ থেক।
এই নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখার ইচ্ছা আছে আমার।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রবন্ধ লিখে ফেলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.