নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তাগফিরুল্লাহ এর ফজিলত!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫১



আস্তাগফিরুল্লাহ- হাল্লাযি লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইউম অ আতুবু ইলাইহি।
অর্থ- আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর।
এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।
এই দুয়া ৩ বার পড়লে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করার মত পাপ হলেও মাফ হয়ে যাবে।

নবী করিম (সা.) সালাম ফেরানোর পরে তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেন। এর মধ্যে দোয়ার অর্থ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নবী করিম (সা.) ৭০ বারেরও বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ জিকিরের মধ্যে বলতেন। এর মধ্যে আল্লাহর মুখাপেক্ষীর বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার তওবা ও ইস্তিগফার করতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দুয়া পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতি হবে’।

ইস্তিগফারের ১৭টি উপকারিতা:

১. অধিক ইস্তিগফারের কারণে প্রচুর বর্ষণ হয়। বাগান ও শস্যে ভালো ফসল হয়। নদী-নালা থাকে জীবন্ত।
২. ইস্তিগফারকারীকে আল্লাহ উত্তম সন্তান, সম্পদ ও জীবিকার দ্বারা সম্মানিত করেন।
৩. দীন পালন সহজ হয়। এবং কর্মজীবন হয় সুখের।
৪. আল্লাহ ও বান্দার মাঝে যে দূরত্ব আছে, তা ঘুচে যায়।
৫. ইস্তিগফারকারীর কাছে দুনইয়াকে খুব তুচ্ছ করে দেয়া হয়।
৬. মানব ও জীন শয়তান থেকে তাকে হিফাযত করা হয়।
৭. দীন ও ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করা যায়।
৮. আল্লাহর ভালোবাসা অর্জিত হয়।
৯. বিচক্ষণতা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
১০. দুশ্চিন্তা, পেরেশানি দূর হয়।
১১. বেকারত্ব দূর হয়।
১২. আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য অর্জিত হয়। তার তাওবার কারণে আল্লাহ আনন্দিত হন।
১৩. মৃত্যুর সময় ফেরেস্তারা তার জন্য সুসংবাদ নিয়ে আসে।
১৪. হাশরের মাঠে মানুষ যখন প্রচন্ড গরম ও ঘামের মধ্যে থাকবে, তখন ইস্তিগফারকারী থাকবে আরশের ছায়াতলে।
১৫. কিয়ামাতের দিন মানুষ যখন অস্থির থাকবে, ইস্তিগফারকারী তখন ডানপন্থী মুত্তাকিনদের দলে থাকবে।
১৬. মন্দ কজ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
১৭. আরশ বহনকারী ফেরেশতাগণও তার জন্য দু'আ করেন।

কোরআনে এরশাদ হয়েছে,
‘হে আমার কওম, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো অতঃপর তার কাছে তওবা করো, তাহলে তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি পাঠাবেন এবং তোমাদের শক্তির সঙ্গে আরও শক্তি বৃদ্ধি করবেন। আর তোমরা অপরাধী হয়ে বিমুখ হয়ো না।’ (সূরা হুদ, আয়াত ৫২)।

‘আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো। তারপর তার কাছে ফিরে যাও, (তাহলে) তিনি তোমাদের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত উত্তম ভোগ-উপকরণ দেবেন।’ (সূরা হুদ : আয়াত ৩)

‘আল্লাহ তাদের আজাব দানকারী নন এমতাবস্থায় যে, তারা ইস্তেগফার করছে।’ (সূরা আনফাল : আয়াত ৩৩)।

‘(আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তেগফার করো। এরপর তার কাছে ফিরে যাও, তাহলে) অধিক আনুগত্যশীলকে তাঁর আনুগত্য মোতাবেক দান করবেন।’ (সূরা হুদ : আয়াত ৩)।

-বান্দা ইস্তেগফারের প্রতি বেশি মুখাপেক্ষি। কারণ, দিনরাত আমরা শুধু গোনাহ আর গোনাহ করি। সুতরাং ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করে নিতে হবে।

‘কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ইস্তেগফার করছো না, যেন তোমাদের রহমত করা হয়?’
(সূরা নামল : আয়াত ৪৬)।

- মজলিস তথা বৈঠকের সব সগিরা গোনাহের জন্য কাফফারা।
- সর্বোপরি এটা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এর সুন্নতের অনুসরণ। কারণ, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দৈনিক কমপক্ষে সত্তরবার ইস্তেগফার পাঠ করতেন।

আল্লাহ্‌ আমাদের বেশী বেশী আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ার তৌফিক দান করুক, আমিন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পাপিরাই বেশি বেশি তওবা করে।যেমন,চোরের মন পুলিশ পুলিশ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমীন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো থাকুন।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মহান আল্লাহ কবুল করুণ আমিন

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছুম্মা আমীন।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

রক্ত দান বলেছেন: লেখকের নামের স্থানে নতুন নকিবের বদলে রাজীব নুর কেন লেখা হলো সেটাই বুঝতে পারলাম না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে ধর্ম কর্ম করতে তো মন চায়।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

এমেরিকা বলেছেন: লাল ছাগলের বক্তব্য সঠিক। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে পাপী ছিলেন দোজাহানের সেরা ব্যক্তিত্ব আমাদের প্রিয় নবীজী (স)। তিনি উঠতে বসতে সর্বদা তওবা করতেন। আর লাল ছাগল ও তার অনুসারীরা হলেন দুগ্ধধৌত বিশুদ্ধ পূত পবিত্র মহামানব। তাই তাদের কোন তওবা করার প্রয়োজন নেই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকদের এই এক স্বভাব হুট করে রেগে যায়। আজিব!!!

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: সুবহানাল্লাহ ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: রক্ত দান বলেছেন: লেখকের নামের স্থানে নতুন নকিবের বদলে রাজীব নুর কেন লেখা হলো সেটাই বুঝতে পারলাম না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা ধর্মীয় পোষ্ট সাধারনত নতুন নকিব'ই বেশী দেন।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৮

এমেরিকা বলেছেন: আমি মোটেও ধার্মিক নই। তবে নাস্তিকও নই। আমি সহজে রেগে যাই না। তবে ছাগলের মত কথাবার্তা শুনলে সবাই মজা পায়, আমি রেগে যাই - এটাই ব্যাপার।

০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: রেগে যাওয়া সহজ তাই তো রেগে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.