নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
পৃথিবীতে এমন কিছু মহাপুরুষ জন্ম নিয়েছিলেন, যারা মানুষকে আলোর পথে নিয়ে গেছেন। যেমন ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহি.), ইমাম আবু হানিফা (রাহি.), ইমাম মালিক (রাহি.), ইমাম শাফি (রাহি.)সহ অগণিত জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ।
ইমাম আহমদ এর পিতা তাকে নিয়ে মুরউ থেকে যখন বাগদাদ চলে যান, তখন তিনি তার মায়ের গর্ভে ছিলেন। তারপর ১৬৪ হিজরী (৭৮০ খ্রীষ্টাব্দ) সালের রবিউল আউয়াল মাসে তার মা তাকে বাগদাদে প্রসব করেণ। আহমদ বিন হাম্বল বাগদাদে আবু হানিফার ছাত্র আবু ইউসুফ ও মালিক বিন আনাসের ছাত্র ইমাম শাফির কাছে পড়াশুনা করেন। তার বয়স যখন মাত্র তিন বছর তখন তার পিতা মারা যান। তিনি প্রখর মেধাশক্তি সম্পন্ন ছিলেন। অতি সহজেই অনেক কিছু মুখস্ত করে ফেলতেন।
মহান আল্লাহ তাকে দান করেছিলেন অসাধারণ ধীশক্তি। একবার যা শুনতেন তা আর কখনো ভুলতেন না। তার গোটা জীবন আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি তিনটি কাজে অতিবাহিত হয়েছে। ১। হাদিস শিক্ষা গ্রহন ও হাদিস শিক্ষাদানের জন্য। ২। হাদিস সংগ্রহ ও সংকলনেন কাজের জন্য। এবং ৩। বাতিলের মুকাবিলা করার জন্য। ১৮৬ হিঃ সনে তিনি হাদীস শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণ শুরু করেন। প্রথমে বসরা গমন করেন,তারপর হিজায উপস্থিত হন। এই উদ্দেশ্যে তিনি ইয়েমেন ও কূফা শহরেও গমন করেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, পবিত্র মক্কায় গিয়ে তিনি হজ্জ করবেন এবং কয়েকদিন হেজাজে অবস্থান করবেন।
তিনি পাঁচবার হাজ্জব্রত পালন করেন তন্মধ্যে তিনবার পায়ে হেঁটে হাজ্জ পালন করেন। ২৪১ হিজরীতে রবীউল আউয়াল মাসের জুম‘আর দিনে এই মহান মুজতাহিদ, সুন্নাতের ধারক ও হাদীছের রক্ষক আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে জগতবাসীকে কাঁদিয়ে পরপারের যাত্রী হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তাঁর মৃত্যুতে মানুষের এত ভিড় হয়েছিল যে, রাজপথ সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আট লক্ষ পুরুষ ও ৬০,০০০ মহিলা ইমাম সাহেব (রহ-এর জানাযায় শরীক হন। যেদিন তিনি বেসালপ্রাপ্ত হন, সেই দিন ২০,০০০ ইহুদী, খৃষ্টান ও প্রাচীন পারসিক পুরোহিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ইমাম আহমাদ রহ.এর বাবা মোহাম্মদ ইবনে হাম্বল রহ. মৃত্যুর পূর্বে শুধুমাত্র একটি বাড়িই সম্পদ হিসেবে রেখে যান। এ ঘরটিরই একাংশে তিনি ও তাঁর মাতা বাস করতেন। এবং ঘরটির অন্যাংশ ভাড়া দেওয়া হতো। আর ভাড়া থেকে যৎসামান্ন সতের দিরহাম আসতো তা দিয়ে পরিবারের খরচ পূর্ণ হতো না। ফলে, ইমাম সাহেবকে জীবিকার তাগিদে, কখনো কাঁধে রশি নিয়ে কাঠ সংগ্রহে আবার কখনো পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাউকে কিছু লিখে দিতে বাইরে বেড় হতে হতো। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, তিনি কোনদিন কারো জমিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতেন না।
ইমাম আহমাদ ছিলেন একজন সুবক্তা। হাদীস শাস্ত্রের সাথে সাথে তিনি আইনের জটিল বিষয়ের ওপর নিয়মিত নানা প্রশ্নের জবাব দিতেন। তিনি ছিলেন চলমান জ্ঞানসাগর। তিনি সবসময় রাসূলের মাহন সাহাবী আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত একটি বাক্য— ‘দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা, আর কাফিরের জন্য জান্নাতস্বরূপ’— আওড়াতেন। উমাইয়া আমলে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর দাদা হাম্বল ইবনে হিলাল ছিলেন গভর্নর এবং তাঁর দপ্তর ছিল মার্ভে। বাবা মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল খোরাসানের সরকারি বাহিনীতে চাকরি করতেন।
তথ্যসুত্রঃ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী। বইটি লিখেছেন শাইখ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: বহু পুরানো কথা। ১৬৪ হিজরী সনের কথা। এই ইমাম হাদিসের ওস্তাদ লোক।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২২
রক্ত দান বলেছেন: অদ্ভুত এক লেখক আপনি।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৪
রক্ত দান বলেছেন: জনাব চাঁদ গাজীর সব কিছুকেই কেন রূপ কথা মনে হয়? তাঁর দৃষ্টিতে কেমন কথা হলে কোন কথা সত্য কথা হয়?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সব চিন্তা ভাবনা এক নয়। কেউ কেউ একটু এগিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন।
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
@রক্তদান,
রাজতন্ত্রের সময় সরকার ছিলো না, ছিলো রাজার লোকজন, ওরা ট্যাক্স নিতো ও সৈন্য সংগ্ঝ করতো যুদ্ধের জন্য, কিসের সরকার মরকার?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
রক্ত দান বলেছেন: @ চাঁদগাজী,
সেটা রাজতান্ত্রীক সরকার ছিল। বিশ্বের সব কিছুর পরিচয় ঠিক করার দায়িত্ব আপনার নয়। আপনি নিজেকে অতি জ্ঞানী মনে করেন। কিন্তু আপনার পাঠক আপনাকে সাধারণ কিছুই মনে করে। কাজেই লিমিট ক্রস না করাই ভাল।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: কারো কারো লিমিট আকাশ্চুম্বি।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
এগুলো কখনকার কথা? কে সরকারী চাকুরী করতো, কোন সরকার? আপনি দুনিয়ার এসব রূপকথার সন্ধান কোথায় পেলেন?
-সত্য ঘটনা কোনটা, আর রূপকথা কোনটা, এতটুকু সাধারণ জ্ঞান না থাকা সত্যিই দুঃখজনক!
ইসলামের ইতিহাসের প্রাথমিক যুগের পূণ্যবান প্রাজ্ঞ, পন্ডিত সাধক মহাপুরুষদের অবাক করা সাধনায় পূর্ণ জীবনালেখ্য শুনলে অনেকের যে মাথা গুলিয়ে যায়- তার বাস্তব উদাহরণ এই পোস্টের কোনো কোনো মন্তব্য থেকে দেখে নেয়া যেতে পারে।
রাজতন্ত্রের সময় সরকার ছিলো না, ছিলো রাজার লোকজন, ওরা ট্যাক্স নিতো ও সৈন্য সংগ্ঝ করতো যুদ্ধের জন্য, কিসের সরকার মরকার?
-পৃথিবীতে সরকারের নতুন সংজ্ঞা আবিষ্কার হয়েছে না কি? 'মরকার' আবার কি জিনিষ?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: !
৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
@নতুন নকিব,
বলেছেন, "ইসলামের ইতিহাসের প্রাথমিক যুগের পূণ্যবান প্রাজ্ঞ, পন্ডিত সাধক মহাপুরুষদের অবাক করা সাধনায় পূর্ণ জীবনালেখ্য শুনলে অনেকের যে মাথা গুলিয়ে যায়- তার বাস্তব উদাহরণ এই পোস্টের কোনো কোনো মন্তব্য থেকে দেখে নেয়া যেতে পারে। "
বেদুইনদের তাঁবুগুলো কি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ছিলো?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যেটাকে আমরা বলি খিলাফত,আব্বাসিয়দের আগে সেটা স্পষ্ট না।ওমাইয়ারা নিজেদের শাসক বলতো।তাদের সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছিল।তারা নিজেদের খলিফা বলতনা।চার খলিফার কোন ঐতিহাসিক প্রমান নাই।ঐতিহাসিক প্রমান হয় কোন কয়েন বা স্থাপনা যা পাওয়া যায় না।সব ইতিহাস হাদিস নির্ভর।
ওমাইয়াদের কয়েন পাওয়া গেছে,স্থাপনা আছে জেরুজালেমে ডোম অফ দ্যা রক।কিন্ত তার আগের কোন স্থাপনা বা কয়েন পাওয়া যায় না।
যখন তাদের সাম্রাজ্য দ্রুত বিস্তার লাভ করে তখন তাদের এতো বড় সাম্রাজ্য ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে একটা ধর্মের।শাসকরা নিযুক্ত করেন রাজ্যের জ্ঞানী লোকদের,তারা বিভিন্ন কিতাব লেখা শুরু করেন।শাসকদের যেটা যেটা পছন্দ হয়েছে তারা সেটা সংরক্ষন করেছেন,বাকিগুলো পুড়িয়ে ফেলেছেন।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: মন্ত্যের অন্য আন্তরিক ধন্যাদ।
৯| ০১ লা মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
এখন আর আরবে বেদুইন তেমন একটা চোখে পড়ে না। তবে, উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের কিছু লোক এই পেশাকে ধরে রেখেছেন। তারা বেদুইন জীবনে নেমে পড়েছেন পুরোদস্তুর। এরা বেদুইন বেশে পশ্চিমের নানান দেশে ঘুরে বেড়ান।
এটাকে কি পেশা ছিনতাই বলা যায়? যা্ই হোক, বিষয়টা কিন্তু মজার।
০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আরবের মরু ভূমিতে নাকি এখনও অনেক নারীরা থাকে। প্রবাসীরা নাকি তাদের কাছে গোপনে যায়?
১০| ০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
এই তল্লাটে একজন ভদ্র লোক আছেন (আপনি হয়তো তাকে চিনেও থাকবেন!), যার লেখায় 'বেদুইন' কথাটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। প্রশ্নটা তাকে করলে কেমন হয়?
০১ লা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজী সব প্রশ্নের উত্তর জানেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো কখনকার কথা? কে সরকারী চাকুরী করতো, কোন সরকার? আপনি দুনিয়ার এসব রূপকথার সন্ধান কোথায় পেলেন?