নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কু-যুক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে

০২ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬



শুদ্ধি অভিযান বন্ধ।
দুর্নীতিই বাংলাদেশের মত দেশে এই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিক বিষয়। সবাই করে। তবে আমি করতাম না। কারন নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞা করেছি আমি অসৎ হবো না। যাই হোক, পুলিশ, আমলা, কর্মচারী, কর্মকর্তা সকলেই দূর্নীতিবাজ। বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারি ঘুষ খেলেই, দুর্নীতি করলেই দুর্নীতি করা বৈধ বা নৈতিক বা ভাল কাজ বলে গণ্য হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী হঠাত তার শুদ্ধি অভিযান বন্ধ করে দিলেন কেন, কে জানে! করোনার জন্য?

পৃথিবীর সকল মানুষও যদি অযৌক্তিক কিছু বলে-
শুধু একজন যদি যৌক্তিক কথা বলে, তাহলে ঐ একজন ব্যক্তিই সঠিক। রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লাকে যদি রবীন্দ্রনাথও সুন্দর বলেন, সেটা সুন্দর হয়ে যাবে না। কোন বিখ্যাত মানুষ কী বলেছেন বা করেছেন বা শুনেছেন, তার ওপর যুক্তি নির্ভরশীল নয়। যেমন, বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর নাস্তিক হওয়া নাস্তিক্যবাদের যথার্থতার কোন প্রমাণ নয়। আবার একইভাবে, নিউটনের আস্তিক থাকাটিও ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষের প্রমাণ নয়। ঈশ্বর আছে কী নেই, তা স্টিফেন হকিং বা আইজ্যাক নিউটনের ব্যক্তিগত বিশ্বাস অবিশ্বাসের ওপর নয়, ঈশ্বরের স্বপক্ষে কতটুকু যুক্তি রয়েছে তার ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর বেশিরভাগ ধার্মিক মানুষই মনে করেন, তিনি যেই পরিবারে ঘটনাচক্রে জন্মেছেন, সেই পরিবারের ধর্মটিই একমাত্র সত্য। তিনি তার ধর্মের সপক্ষে যেসকল যুক্তি আছে, সেগুলো খুঁজে বের করেন, এবং সেই গুলোই প্রচার করেন।

হিটলার দাবী করতে পারে, ঈশ্বরের নির্দেশেই সে ৬০ লক্ষাধিক ইহুদি নিধন করেছে।
আসলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজকে ন্যায্যতা প্রদান করতে পারে ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে। নিজের সন্তানকে জবাই করতে যাওয়ার গল্প ততক্ষণ পর্যন্তই 'অসাধারণ' যতক্ষণ পর্যন্ত এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা হয়ে থাকে। ঈশ্বরের ভক্তির জন্য সন্তান হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করলেই সন্তান হত্যা করার চেষ্টা ভাল কাজ হয়ে যায় না, তাতে যতই ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি প্রকাশ পাক। সভ্য মানুষ হতে হলে অবশ্যই জানতে হবে, কুযুক্তি বা লজিক্যাল ফ্যালাসি কাকে বলে, ইহা কত প্রকার এবং কী কী। কোরানের এক আয়াতে মোহাম্মদকে শেষ নবী বলা হলেও আবার অন্য আয়াতে নবী আসা অব্যাহত থাকবে সেকথাও উল্লেখ করা আছে। চিল্লাইয়া বলেন, কথা ঠিক কিনা?

আগুন সম্পর্কে না জানার কারণে মানুষ প্রাচীনকালে আগুনের পূজা করত।
পরবর্তীতে আগুন সম্পর্কে জানার কারণে আগুনকে ভয় করে পূজা করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর মানুষের এখনও কিছু কিছু বিষয় অজানা আছে। মানুষ অজানাকে জানার চেষ্টা করতে পারে। ধীরে ধীরে জানাও সম্ভব হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের কোন অজানা বিষয় থাকার অর্থ এই নয় যে, অমুকের দাবীটি সঠিক। যেকোন অজানা বিষয়কে জানার পদ্ধতি হচ্ছে, তা নিয়ে পড়ালেখা করা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্য প্রমাণ যুক্তি দিয়ে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। অমুকে সৃষ্টি করেছে বা তমুকে এমনটি ঘটিয়েছে তা ধরে নেয়া নয়। কোনো অজানা বিষয় অপ্রমাণিত কোনো কিছুর সপক্ষের যুক্তি বা প্রমাণ হতে পারে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: 'ব্লগের এরশাদ' সাহেব, আপনি কি অফ যাবেন না? দেইখেন আবার এমন সময় না আসে যে, মাফ চাওয়ারও সুযোগ আর পেলেন না। আর মনে রাখবেন, শেষ মুহূর্তে কোন মাফ চাইলে তা গ্রহণ করা হয় না...

তওবা কবুলের শেষ সময় হলো- প্রাণ কণ্ঠাগত হওয়া। যখন একজন মানুষের প্রাণ বের হওয়ার জন্য কণ্ঠনালীতে পৌঁছে যায়- তখন আর তার তওবা কবুল হয় না। এর পূর্ব পর্যন্ত তওবা করার সময় ও সুযোগ থাকে।
এ বিষয়ে সূরা নিসার ১৭ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয়ে যায় আর সে বলে, এখন আমি তওবা করছি তার তওবা গ্রহণের দায়িত্ব আল্লাহর নেই। ’

০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: !

২| ০২ রা মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যুক্তিপূর্ন লেখা।অন্ধ বিশ্বাস থেকে বের হয়ে আসার অনেক যুক্তিপূর্ন কথা আছে এখানে।সমাজ যেভাবে অন্ধকারে গ্রাসকরছে সেখানে এমন লেখার দরকার আছে।অনেকটা “ আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রির” মতো।মনে রাখতে হবে,চারিদিকে নাগিনীরা ফেলিছে নিশ্বাস।

০২ রা মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি অন্য সবার মতোন সংকীর্ন নন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.