নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা। পরীর আঁকা।
পাশের বাসায় একজন সরকারী চাকরীজীবি থাকেন।
বেশ বড় পদেই আছেন। তার টাকার অভাব নাই। খুবই ভদ্র এবং হাসি খুশি মানুষ। তার দুই ছেলে। দুই ছেলেই আমাকে খুব পছন্দ করে। রাস্তায় দেখা হলেই মামা মামা বলে ডাকে। সালাম দেয়। ভদ্রলোক তার সরকারী গাড়িতে শুক্রবার, শনিবার পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। কারন এই দুই দিন তার ব্যাক্তিগত ড্রাইভার ছুটিতে থাকে। একদিন বেলিরোড অফিসার্স কোয়াটারে দেখা ভদ্রলকের সাথে। আমাকে জোর করে তাদের গাড়িতে তুলে নিলেন। তাদের সাথে এক দাওয়াতে নিয়ে গেলেন ঢাকা ক্লাবে। দিন দিন ভদ্রলোকের সব দিক থেকে উন্নতি হচ্ছে। জানলাম তারা একটা বাগান বাড়ি কিনেছেন গাজীপুরের দিকে। আগামী শুক্রবার সেখানে তারা পিকনিক করবে। আমাকে অবশ্যই যেতে হবে।
ভদ্রলোকের বড় ছেলের নাম আজহার।
আজহার একটা বাইক কিনেছে। দাম পড়েছে দুই লাখ টাকা। আজহার বলল, মামা দুই লাখ টাকা দিয়ে বাইক কেনার পর আরো তেরো হাজার টাকা বাড়তি খরচ করলাম। কি কি যন্ত্র যেন সে বাইকে লাগিয়েছে। আমি মনে মনে চিন্তা করি ভদ্রলোকের সেলারি কত? এত এত টাকা পায় কই? ভদ্রলোক তার স্ত্রীকে নিয়ে হজ্বে গেলেন। এই ফাকে তার বড় ছেলে আজহার বিয়ে করে ফেললো। মেয়েটার বয়স আজহারের চেয়ে আড়াই বছর বেশী। এবং জানা গেলো মেয়েটা প্রেগনেন্ট। দ্রুত তাদের ধূমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হলো। আজহার তার স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে গেলো নেপাল। এসব করোনার আগের ঘটনা। সব আমার চোখের সামনেই ঘটছে। অবশ্য আমি কিছু বলি না, শুধু চুপ করে দেখে যাই। দেখতেই আমার বেশী ভালো লাগে।
আজহারের ছোট ভাই রনি।
সে নাকি রাজনীতি করে। বাসার ছাদে সে ক্লাব বানিয়েছে। সারাদিন তার ক্লাবে চ্যাংড়া সমস্ত পোলাপানের আনাগোনা চলছেই। পোলাপান সেখানে বিকট শব্দে গান শুনে, আড্ডা দেয়, গাজা খায়। প্রতিদিন একই চিত্র। কিছু দিন পরপরই এই সব পলাপান পাশের এলাকার পোলাপানদের সাথে মারামারি করে, এই ছাদে এসে লুকায়। আমি ভেবে পাই না- রনির এই পরিস্থির কি কিছুই জানে না তার বাপ মা? তারা ছেলেকে থামাচ্ছে না কেন? আমি একদিন বাধ্য হয়ে রনির মাকে বললাম, আপনার ছেলে দিন রাত ছাদে বাজে ছেলে পেলে নিয়ে আড্ডা দেয়, হাবিজাবি খায়। খেয়ে গান গায়। ওদের থামান। রনির মা বলল, আমার ছেলে যা করে আমার বাসায় করে তাতে কার কি! আমার ছেলেকে নিয়ে কারো ভাবতে হবে না। নিজের চরকায় তেল দাও।
আজহার আর রনির বাপ একদিন খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হলো। তার জ্ঞান নেই। হাসপাতালে পানির মতো টাকা খরচ করা হলো। অথচ তাকে বাচানো গেলো না। ভদ্রলোক মরে গেলেন। ভদ্রলোক মরে গেলেও সমস্যা নাই তিনি তার দুই পুত্র আর স্ত্রীর জন্য সীমাহীন সম্পদ রেখে গেছেন। তাদের কোনো বেগ পেতে হবে না। বাকি জীবনে তার দুই পুত্র কাজকর্ম না করলে রাজার হালে চলতে পারবে। আজহার সাহেব তার ছেলেদের অনেক ভালোবাসতেন। এক কোরবানীর ঈদে তার বড় ছেলে বলেছিলো- বাবা আমাদের গরুটা যেন সবচেয়ে বড় হয় এবং সবচেয়ে দামী। ভদ্রলোক অনেক টাকা দিয়ে বিশাল এক গরু কিনলেন। আসলেই সেই বছর এত বড় এবং দামী গরু আমাদের এলাকায় আর কেউ কিনতে পারে নি।
আজহারের বাবা আমাকে বলেছিলেন-
পরকালের লোভে জীবনে সৎ থেকেও না। সৎ থাকাটা তোমার বোকামি হবে। আর বোকাদের বাস নরকে। সময় আর সুযোগ থাকলে যতটা পারো অসৎ হয়ে নাও। তাতে ইহকালটা অন্তত ভালো কাটবে। পরিবারকে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারবে। তোমার পরিবারকে তোমার সুখে রাখাটা তোমার দায়িত্ব। সুতরাং দায়িত্ব যখন নিয়েছো- অবহেলা কেন করবে? তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা- তোমার একজনের পাপে যদি দশজন ভালো থাকে সেটা পাপ নয়। অনেক সময় পাপ করলেও পূর্ন হয়। কাজেই গভীর গোপনে পাপ করে যাও। এই সমাজে সবাই পাপী। কিন্তু কেউ তা প্রকাশ করে না। মুখোশ পরে থাকে। শেষ বয়সে একদিন সমস্ত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে নিলেই হবে। আল্লাহ দয়ালু ক্ষমা করে দিবেন নিশ্চয়ই।
০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পরির ছবি আকাটা ভাল হয়েছে তবে রঙ সমন্বয়ে আরো মনোযোগী হতে হবে।
আর আল্লাহ আমাদের সমস্ত পাপ হয়ত ক্ষমা করবেন তবে উদ্দেশ্যমুলক পাপ ক্ষমা নাও করতে পারেন। অবশ্য এ ব্যাপারে আল্লাহই ভাল বলতে পারবেন।
০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আরেহ দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন। তিনি দয়ালু। ক্ষমার সাগর। তিনি ক্ষমা করার জন্যই বসে আছেন। বান্দা ক্ষমা চাইলে অবশ্যই ক্ষমা পাবেন।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
উনার বেতনের পরিমাণ কত ?
আর ঘূষ এর পরিমাণ কত?
০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: বড় ভাই, সব তো জানেন, বুঝেন। তাহলে প্রশ্ন কেন? সবচেয়ে বড় কথা ভদ্রলোক মারা গেছেন।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: তিনি বলেছেন তোমার পরিবারকে তোমার সুখে রাখাটা তোমার দায়িত্ব। সুতরাং দায়িত্ব যখন নিয়েছো- অবহেলা কেন করবে?
উনি যেহেতু চাকরি করতেন তারমানে সরকার তাকে অবশ্যই একটা পরিবার পালনের বেতন দিতো আর চাইলে তা দিয়েই সুখী থাকা যায়। সন্তানদের জন্যে অনেক টাকা পয়সা,সম্পত্তি রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদের সু-শিক্ষিত করা বেশি জরুরী।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: যার স্বভাবই নষ্ট হওয়ার সে কি করে ভালো হবে?
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছবিতে আমার পছন্দের পাখী, পরী ভালোই আঁকছে।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই ছবিটা আপনার জন্যই।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অসৎ চাকুরিজীবী আর অসৎ রাজনীতি বিদদের ঘরের গল্প।
যারা আত্মকেন্দ্রিক তাদের জন্য হয়তো এই দর্শন ঠিক আছে,কিন্তু সমাজের জন্য ঠিক না।সেও ধরা খেয়ে যেতে পারে যে কোন সময়।তখন আমও যাবে ছালাও যাবে।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: না আম সালা কিছুই যায় না।
কিছুদিন জেলে থাকে। কিছু সম্পদ সরকার নিয়ে ক্রোক করে। ব্যস। তারপর আবার আগের মতোই।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার গল্পের ম্য্যসেজ অনৈতিক!
আপনার গল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউু
যদি অসৎকাজে মনোনিবেশ করে তার
জন্য আপনি দায়ি থাকবেন এবং এর জন্য
শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে। সকল কু পরামর্শ
থেকে দূরে থাকুন।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: এখনও গল্পও লিখতে পারবো না?
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আল্লাহ মালিক-যদি তিনি ক্ষমা করেন!
ছবি আঁকা সুন্দর হয়েছে।