নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
ছবিঃ আমার তোলা।
সুন্দর একটা দিন।
চারিদিকে রোদ ঝলমল করছে। মিষ্টি বাতাস আছে। কোনো কারন ছাড়াই কোনো কোনো দিনটা খুব ভালো লেগে যায়। যা দেখি সবই ভালো লাগে। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানের চা-টাকেও অসাধারণ মনে হয়। আমার পকেটে আছে মাত্র সাতচল্লিশ টাকা। এই টাকা দিয়ে সারাদিন কি করে চলবে! থাক, আপাতত টাকা পয়সা নিয়ে ভেবে দিনটা মাটি করার কোনো কারন নেই। রিজিকের মালিক আল্লাহ। উনি ভাগ্যে যা রেখেছেন তাই হবে। উনি যদি চান আমি আজ দুপুরে না খেয়ে থাকবো। তাহলে কারো সাধ্য নাই আমাকে খাওয়ায়। আবার উনি যদি চান- আজ দুপুরে আমি এসি রুমে ব্সে বার্গার আর কোক খাবো। সেটাও কেউ আটকাতে পারবে না। মানব জীবনের সবই পূর্ব নির্ধারিত।
বাসে করে যাচ্ছি।
কোথায় যাচ্ছি বলব না। ভাগ্য বেশ ভালো সিট পেলাম। তাও আবার জানালার পাশে। হঠাৎ একজন তরুনী মেয়ে উঠলো কিন্তু আর সিট নেই। মেয়েটি খুব সুন্দর। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। মাথা ভরতি চুল। কপালে ছোট্ট একটা টিপ। মুখটা ভীষন মায়াময়। এই মুখের দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে থাকলেও বিরক্ত লাগবে না। আমি লাফ দিয়ে উঠে বললাম, আসসালামুয়ালাইকুম, নিন এইখানে বসুন। মেয়েটি হাসি মুখে আমার সিটে বসল। বলল, আপনি কি সব সময় মেয়েদের এই রকম সিট ছেড়ে দেন? আমি বললাম জ্বী দেই। ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু আমাকে দেখে কেউ কোনোদিন সিট ছেড়ে দেয়নি। মেয়েটি চোখ দিয়ে আমায় বলল, আপনি এত ভালো কেন? না, না এতটা ভালো হবেন না। এই সমাজে ভালো মানুষদের অনেক কষ্ট হয়।
ঘটনা চক্রে আমরা একই জাগায় দু'জন নামলাম।
মেয়েটি বলল, আমার খুব ইচ্ছা করছে আপনাকে একটা বার্গার আর কোক খাওয়াই। আমি বললাম, চলুন। ঠিক তখন আমাদের মাথার উপরে সূর্য। চারিদিকে কড়া রোদ। একেবারে স্বচ্ছ কাচের মতোন রোদ। সকালের মিষ্টি রোদটা কেটে গেছে। আমরা একটা ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকলাম। দোকানে ঢুকার সাথে সাথে সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। এসির মজাই অন্য রকম। দোকানটা কি সুন্দর করে সাজানো গোছানো। এত দামী দোকানে কারা আসে? যারাই আসুক, তারা বড্ড ভাগ্যবান। আমার ভাগ্যটা কেন ভাগ্যবানদের মতো হলো না! কত না আফসোস নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে।
আমি আরাম করে বার্গার আর কোক খেলাম।
বেশ ক্ষিধে পেয়েছিল। মেয়েটি কিভাবে বুঝলো কে জানে! এই জন্যই মেয়েদের মায়াবতী বলা হয়। আমার এত খুশি লাগছে যে ইচ্ছা করছে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু দিয়ে দেই। মেয়েটি বলল, আপনার হাতে কাজ না থাকলে আমার সাথে চলুন। আমি বিনা দ্বিধায় চললাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা একসাথে ছিলাম। মেয়েটির সাথে আমার খুব ভাব হয়ে গেল। গতমাসে মেয়েটি আমস্টারডাম গিয়েছিল। অনেকদিন পর আজ বিকেলে মেয়েটির সাথে দেখা হবে। মেয়েটা বুঝেছে আমি ভালো মানুষ। এই জন্য আজও সে আমার সাথে সম্পর্ক রেখেছে।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: চুমু তো জীবনেরই একটি অংশ।
শুধু বার্গার নয় সাথে কোকও খেতে হবে। তা না হলে জমবে না।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই লেখার মাধ্যমে কুসংস্কার ছড়ানো হচ্ছে,মানুষকে নিয়তিবাদী করবে।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:২৯
সোহানী বলেছেন: হায় হায় এ জীবনে কত জনইতো সিট ছেড়ে দিলো বাসে কিন্তু কাউরেতো আমি বার্গার কোক খাওয়াই নাই..........।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: এখন থেকে খাওয়াবেন।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ছবিটা অসাধারণ তুলেছেন।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৪৪
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,
পূর্নিমার চাঁদ যেনো জলসানো বার্গার।
০৯ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা হা----
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫১
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: অনেক মেয়েদের সিট ছেড়ে দিয়েছি কেউ বার্গার খাওয়ায় নাই।
১০ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: দিতে থাকুন। এক দিন না একদিন ঠিকই খাওয়াবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৫৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: মেয়েটাকে ভাল মনে হল। এরকম দরদি মেয়ে সত্যিই বিরল! আপনার গল্পে প্রায় দেখা যায় নায়ক নায়িকার উপর খুশি হলে চুমা মুমা দিতে চায়!
বার্গারের লেখাটা দেখে আমারো বার্গার খেতে ইচ্ছে করছে!