নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুসংস্কার মুক্ত মন্ত্রনালয়

১৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০৮



লালসালু হচ্ছে লাল রঙের কাপড়।
এমনিতে লাল কাপড়ের তেমন কোনো মহিমা নেই। তবে এটি খুব উজ্জ্বল রং হওয়ায় একে বিশেষ উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো যায়। বাংলাদেশের এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ী যুগ-যুগ ধরে লাল রংটিকে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে আসছে। কবরের উপর লাল কাপড় বিছিয়ে দিলে কবরের গুরুত্ব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তখন তা আর সাধারণ কবরে সীমাবদ্ধ থাকে না, মাজারে পরিণত হয়। কবরটি তখন মানুষের ভক্তিপ্রীতির আকর্ষণ হয়ে দাড়ায়। এ ধরনের কবরে মানুষ প্রতিনিয়ত ভিড় জমায়, জেয়ারত করে, দোয়া দরুদ পড়ে এবং শিরনি দেয়। টাকা পয়সা দেয়। এভাবে মাজারটি হয়ে দাড়ায় পরলোক চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। এই মাজার বাংলাদেশের লোকজীবনে অসামান্য প্রভাব ফেলে।

বাংলাদেশের মানুষ ধর্মের প্রতি দুর্বল।
আমার মনে হয়, যারা পাপ বেশী করে তারা ধর্মের প্রতি খুব দুর্বল হয়। খানকা শরিফ, দরগা, আশেক রাসূল, দরবার শরীফ, চিশতী- মাজার এদেশের বিশাল লোকজীবনে অশিক্ষা, অজ্ঞানতা আর কুসংস্কার জমাট বেধে আছে। পীর-ফকিরদের প্রতি ভক্তি-বিশ্বাসের মূল আছে অশিক্ষা আর কুসংস্কার। মানুষের ধারণা, পীর-ফকিরেরা আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলীয়ান, সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যে তারা আছে, কাজেই তাদের মুরিদ হয়ে তাদের সেবাযত্ন করতে পারলে পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হবে।

মানুষের দুর্বলতাকে পুজি করে ভণ্ড ধার্মিকেরা ধর্মব্যবসায়ে নেমে পড়ে। তাদের কর্মতপরতার মধ্যে রয়েছে কবরকে কারুকার্যমণ্ডিত ঝালরওলা লাল রঙের কাপড়ে আব্রত করে মাজারে পরিণত করা এবং তার মধ্যে দিয়ে দুনিয়াদারি হাসিল করা। গ্রামগঞ্জসহ বাংলাদেশের সর্বত্র এ ধরনের ব্যবসার জমজমাট পরিবেশ দেখা যায়। সরকার কোনো এক বিশেষ কারনে এদের বাঁধা দেয় না। তাই এদের প্রতারনা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। শিক্ষিত সমাজ এদের বিরুদ্ধে বললেও সরকার নিরব। সরকারের উচিত এদের মাজার, দরবার, দরগা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া। এবং মানুষকে সচেতন করে গড়ে তোলা।

বহু শিক্ষিত সমাজ এদের মুরিদ হয়।
বাবাকে খুশি করতে এরা সব করতে রাজী। এরা বছরে এক দুইবার বিশাল অনুষ্ঠান করে। সেখানে দুই শ' গরু জবাই হয়। এবং অসংখ্য উট জবাই হয়। হাজার হাজার ভক্ত জমায়েত হয়। তারা বাবার মাধ্যমে পরকালে বেহেশতে যেতে চায়। সারা জীবন মন্দ কাজ করবে, অথচ বেহেশতের লোভ তাদের প্রবল। তাদের নজর বেহেশতের হুরের দিকে। রক্ত মাংসের নারী তাদের পোষায় না। অলৌকিক হুর তাদের লাগবে। কক্সবাজারে বছরে যত লোক যায়, তার চেয়ে বেশী যায় সিলেট সহ অন্যান্য মাজারে। মাজার মানেই ভন্ডামির আখড়া। সেখানে নানান কিসিমের দুষ্ট লোক দিয়ে ভরা। একজন দরিদ্র লোক না খেয়ে আসে, অথচ মাজারে টাকা দিতে কি তাদের তোরজোর। এই দেশের মানুষ আর কবে সচেতন হবে?

সত্যিকার ভাবে মানুষের কবে মুক্তি হবে?
সরকার এদের মুক্তির ব্যস্থা করছে না কেন? সরকারের একটা মন্ত্রনালয় থাকা উচিত। কুসংস্কার মুক্ত মন্ত্রনালয়। এরা সমাজের কুসংস্কার গুলো দূর করবে। এরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে মানুষকে সচেতন করবে। যারা মাজার ব্যবসা, উরশ আর দরবার করবে তাদের কানে ধরে জেলখানায় নিবে। এবং যারা তাদের কাছে যাবে তাদেরও জরিমানা করবে। যতদিন দেশ সম্পূর্ন কুসংস্কার মুক্ত না হবে ততদিন সরকারের কুসংস্কার মুক্ত মন্ত্রনালয় কাজ করবে। স্কুল থেকেই পাঠ্যবইয়ে কুসস্কার নিয়ে একটা চ্যাপ্টার থাকবে। যা পড়ে ছেলেমেয়েরা সচেতন হবে। কুসংস্কার হতে পারলেই দেশে শক্তিশালী প্রজন্ম গড়ে উঠবে। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমার দেশ হবে কুসংস্কার মুক্ত। মৃত্যুর আগে আমিএটা দেখে যেতে চাই।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মানুষকে যেইভাবে প্ল্যান করে শিক্ষা থেকে দুরে রাখা হয়েছে, এদেরকে স্বয়ং আল্লাহও মাজার থেকে দুরে রাখতে পারবেন না

১৯ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: সেই দিন খুব দূরে নয়, যেদিন মাজারে লোক যাবে না। মানুষ দিন দিন সচেতন হচ্ছে।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ঢাকার অনেক রেস্টুরেন্টে আমি দেখেছি বড় বড় খাবারের পাতিল লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়
এর ব্যাখ্যা কি আপনি জানেন?

১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মুঘল আমলের রীতি অনুযায়ী খাবার পরিবেশনে লাল কাপড় ব্যবহারের কারণে এখনো বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সরকার শাপলা চত্তরের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছে,বিপদের সময় জনগন এগিয়ে আসে না। তাই বিএনপি জামাত ও হেফাজতি এই তিন শক্তির ঐক্য ঠেকাতে হবে।এঘটনার পর থেকে সরকার সম্পুর্ন প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।এবং হেফাজতকে ছাড় দিতে শুরু করে।
এটা একটা ভুল কৌশল।করোনার পরে বোঝা যাবে সরকার কোন কৌশল গ্রহন করে।
সরকারের কি দায় পড়েছে জনগনের মুক্তি সরকার আনবে।জনগনের মুক্তি জনগনকেই আনতে হবে।সরকার ততটুকুই করে যাতে সরকার টিকে থাকতে পারে।

১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: জনগনের মুক্তি জনগনকেই আনতে হবে।সরকার ততটুকুই করে যাতে সরকার টিকে থাকতে পারে।


একুদ্ম খাটি কথা বলেছেন।

৪| ২০ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৪৫

এমেরিকা বলেছেন: লালসালু গায়ের এসব পীর ফকির বা দরবারিরা কখনও ইসলাম বিদ্বেষী কোন কাজের সমালোচনা করেনা, উপরন্তু তাঁরা বিশ্বাস বিক্রি করে যা কামায়, তার বাটোয়ারা উপরের মহলের লোকজনও পায়। তাই সরকার এদের ব্যবসা বন্ধ করতে খুব একটা আগ্রহী নয়।

২০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে সব নষ্টের মুল কি সরকার?

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫০

এমেরিকা বলেছেন: চাঁদগাজী নামের বেয়াদপটার ব্যাপারে মডুরা কি কিছু করবে? এই নরকের কুত্তাটা আল্লাহ্‌র নেম নেয় কেন?

২০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভদ্রতা বজায় রাখুন।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:০৩

এমেরিকা বলেছেন: আপনার ওস্তাদকে বলুন সে যেন নোংরা মুখে পবিত্র নাম না নেয়। তাহলেই আমাদের পক্ষে ভদ্র থাকা সম্ভব হবে।

২১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: এই সব সস্তা কথা বাদ দেন।
তাকে তার মতো থাকতে দিন। আপনি আপনার মতোন থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.