নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাসানী একজন গ্রেট নেতা

২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৪



মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী’র সততা, দেশপ্রেম ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন ক্ষমতা কারো অজানা নয়। দূরদর্শিতাসম্পন্ন ক্ষমতার বলেই হয়তো তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক দশক পর এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ১৪ বছর পূর্বেই ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনে ১৯৫৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী সর্বপ্রথম পাকিস্তানকে “আসসালামু আলাইকুম” জানিয়ে দিয়েছিলেন যার অর্থই ছিলো, পূর্ব বাংলা থেকে বিদায় হও। এ বাক্যের মাধ্যমেই সেদিন তিনি স্বাধীনতার বীজ বপন করে দিয়েছিলেন স্বাধীনতাকামী প্রতিটি বাঙালীর মনে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেই বীজ বৃক্ষে পরিণত হলো, ডালপালা ছড়ালো, ফল দিতে শুরু করলো ’৭০-’৭১ এ।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জ্বলোচ্ছ্বাসে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাওয়ার পরও দুর্গত এলাকায় ত্রাণ না পৌঁছায় মওলানা ভাসানী বিক্ষুদ্ধ হয়ে ফেটে পড়েন এবং ২৩ নভেম্বর পল্টনে জনসভায় তিনি ভাষন দেন। ভাষনের এক পর্যায়ে হৃদয়বিদারক কন্ঠে তিনি পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'ওরা কেউ আসে নাই'। এরপর তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা, 'আজ থেকে ১৩ বছর পূর্বেই ষড়যন্ত্র, অত্যাচার, শোষণ আর বিশ্বাসঘাতকতার নাগপাশ হইতে মুক্তি লাভের জন্য দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে 'আসসালামু আলাইকুম' বলিয়াছিলাম।

সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভোটে নির্বাচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালবাহানা চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন তাদের সাথে আলোচনা করছিলেন তখন ৯ ই জানুয়ারী ১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে বিরাট জনসভায় মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আলোচনায় কিচ্ছু হবে না, ওদের আসসালামু আলাইকুম জানিয়ে দাও'।

যুদ্ধ শুরু হবার পর ৪ এপ্রিল পাকসেনারা মওলানা ভাসানীকে হত্যা অথবা গ্রেফতাদের উদ্দেশ্যে সন্তোষে এসে তাকে খুঁজতে থাকে এবং জিজ্ঞেস করে, 'কাফের ভাসানী কোথায়'? তাকে না পেয়ে তার বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। পাকবাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে নানা কৌশলে মওলানা ভাসানী পাড়ি জমান ভারতে। ভারতে প্রবেশের পরদিন আনন্দবাজার পত্রিকার কলাম জুড়ে ছাপা হয়, 'সীমান্তের এপার ভাসানী– সজল চোখে সাহায্য প্রার্থনা'। সেখানে লেখা হয়- 'বাংলাদেশের জনগণের উপর পাকিস্তানি জঙ্গি ফৌজের নির্যাতন বন্ধের জন্য তিনি করজোড়ে ও সজল চোখে ভারত সরকারের কাছে নৈতিক সমর্থন ও সাহায্য প্রার্থনা করেন'।

মওলানা ভাসানী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কাছে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশে গণহত্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানান। পত্রপত্রিকাতে ফলাও করে প্রচারিত হয় 'আর অস্ত্র দেবেন না' – মওলানা ভাসানী।

স্বাধীন বাংলার বিরোধী এবং স্বৈরাচারী ইয়াহিয়ার মদদদাতা পরাক্রমশালী আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা বাংলাদেশে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ, গুন্ডামী, গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য বিদেশী সাংবাদিকদেরকে বাংলাদেশে পরিভ্রমণের ব্যবস্থা গ্রহণও করতে বলেন ।

চীনের চেয়ারম্যান মাও সে তুঙ এবং প্রধানমন্ত্রী চৌএন লই কে তিনি তাদের সরবরাহ করা আধুনিক যুদ্ধাস্রের সাহায্যে বাংলাদেশে যে নিষ্ঠুর ও নৃশংসভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার বর্ননা দিয়ে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে আপনি সমর্থন করুন, স্বীকৃতি দিন ও সর্বপ্রকারের সাহায্য করুন'।

একের পর এক বিবৃতি দিয়ে ভাসানী মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত করেন যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের গতিবেগ আরো ত্বরান্বিত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মওলানা ভাসানীর সঙ্গে দেখা করতে এলে মওলানা ভাসানী তাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সাহায্য সহযোগিতা ও শরনার্থীদেরকে আশ্রয় দেয়ায় জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাকে মেহমানদারির জন্য ধন্যবাদ জানান সেই সাথে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের অনুরোধ জানান।

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশ সরকার পরিচালনা ও মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে নেয়ার জন্য সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্ট্রা মওলানা ভাসানী। ভাসানীর নেতৃত্বে চারটি প্রগতিশীল দলের প্রতিনিধি (তাজউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মোশতাক আহমদ, কমরেড মনি সিং, শ্রী মনোরঞ্জন ধর, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ) নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন করা হলেও তাদের মধ্যে ঐক্যের যথেষ্ট অভাব ছিলো।

স্বাধীনতাকামী পরিচয় দিয়ে গোপনে আঁতাত করে যারা সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে ভাসানী বিবৃতি দিলেন। মওলানা ভাসানী সাহসীকতা ও বিচক্ষণতার সাথে এ ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করে বিজয়ের পথে নিয়ে যায়। সেজন্যই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়া স্বত্বেও মওলানা ভাসানী স্বাধীন দেশে পা রাখেন পাকিস্তানে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফেরার ১২ দিন পর। ভাসানী বলতেন, আমি হিন্দুস্থানের সাহায্য-সহযোগিতা চাই কিন্তু তাদের উপর নির্ভরশীল হতে চাই না'।

তথ্যসুত্রঃ
১। আমেল মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে, লেখক- শাকের হোসাইন শিবলি
২। স্বাধীনতা ভাসানী ভারত, লেখক- সাইফুল ইসলাম
৩। মওলানা ভাসানীঃ রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম, লেখক- শাহরিয়ার কবির

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার এই গ্রেট নেতা ৭৫ এর পনেরই আগস্ট আলহামদুলিল্লাহ বলেছেন !!!

২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: মিথ্যা কথা।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর ইতিহাস তুলে ধরেছেন রাজীব দা যেতটুকু জানি এর মাঝে কোন ভুল নাই

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাজনীতি মওলানা ভাসানীর ভূমিকা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ।

সেই অধ্যায়টা জানলে মাওলানার প্রতি শ্রদ্ধা অনেকটাই কমে আসে।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সেই অধ্যায়টা কেমন?

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ।+

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২৭

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: প্রকৃত জননেতা, ১৯৭৪ সালে সম্ভবত ফারক্কা মার্চ এ শেষ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তারপর সম্ভবত স্বাস্থ্যগত কারনে আর কোন সভা সমিতিতে অংশ গ্রহন করেন নি।
১৯৭৬সালে সম্ভবত তিনি পরলোকে চলে যান

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা সঠিক।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, মাওলানাকে আরও ভালো করে জানুন, পড়ুন, তাহলে বুঝতে পারবেন, মাওলানা তাঁর নীতি থেকে বিচ্যুত হননি স্বাধীন বাংলাদেশেও। ইতিহাস নির্মোহভাবে পড়ার জিনিস, উপলব্ধির জিনিস। বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখক ইতিহাস লেখে কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে, নিজের মনে যা আসে কিংবা কান-কথার উপর ভিত্তি করে, যুক্তিতর্কের নিরিখে পর্যালোচনা না করে। এসব ইতিহাস পড়লেই হবে না, পড়তে হবে নিরীক্ষা সহকারে।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মাওলানা ভাসানী একজন নি:লোভ,সৎ , সাহসী রাজনীতিবিদ ছিলেন । পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাতিয়ার উনিই সর্বপ্রথম তুলেছিলেন । বিনম্র শ্রদ্ধা ওনার জন্য । আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক ।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেতা কে?

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১। উনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাথে ভারতের কনফেডারেশনের জন্য চেষ্টা করবেন বলে ইন্দিরা গান্ধিকে চিঠি লিখেন।

প্রিয় শ্রীমতী ইন্দিরা দেবী,

প্রধানমন্ত্রী

আমার আন্তরিক আশীর্বাদ ও ভালবাসা জানিবেন। আমার পত্রের উত্তর মি. কাউলের মেসেজে বিস্তারিত অবগত হইয়া যারপরনাই খুশি হইলাম।

আমার বাল্যজীবনের আদর্শ ৮৯ বছর যাবত অটুট রাখিয়াছিলাম। স্বৈরাচার এহিয়া সরকারের অমানুষিক অত্যাচারে উহা লঙ্ঘন করিতে হইল। বর্তমানের রাজনীতিবিদ কংগ্রেসের কর্মীদেরকে যে যাহাই বলুক কিন্তু তাহাদের মত বিলাসিতাশূন্য জীবনযাপন ও নির্মল চরিত্র অনেকেরই নাই। আমি চিরদিন সাধারণ গৃহে সাধারণভাবে নির্জন পল্লীতে থাকিয়া দেশের সেবা করিয়াছি। কিন্তু এবারই তাহার ব্যতিক্রম হইল। গত ৭ মাস শহরে প্যালেসেস সার্কিট হাউস বাস-আহারাদি বিলাসপূর্ণ। তাই আমার মৃত্যুকাল পর্যন্ত যাহাতে বাল্যজীবনের আদর্শ বহাল থাকে তাহারই জন্য ৫ একর জমি ও সাধারণ ধরনের ৪ খানা ঘরের ব্যবস্থা করিয়া দিবেন। আমার প্রথম পুত্রের মৃত্যু হয় ধুবড়ীর গ্রামে। তাই আমার বৃদ্ধা স্ত্রীর আশা তাহার শেষ দাফন ধুবড়ীর কোন গ্রামে হয়। আমার শেষ সংগ্রাম বাংলাদেশকে স্বাধীন করা, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভারতের সহিত কনফেডারেশন। এই তিন কাজের সাধন ইনশাল্লাহ আমার জীবিতকালে দেখার প্রবল ইচ্ছা অন্তরে পোষন করি।

বাধা যতই আসুক, আমার আন্তরিক আশা ও বিশ্বাস আপনাদের আশীর্বাদে অবশ্যই পূর্ণ হইবে। আমার আন্তরিক আশীর্বাদ আপনার আদর্শানুযায়ী সমাজতন্ত্র শুধু ভারতে নহে এশিয়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হইবে। যখন দরকার মনে করেন দিল্লীতে ডাকাইলেই হাজির হইব।

আপনার বিশ্বস্ত

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

সূত্র - সৈয়দ আবুল মকসুদ : মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

২। উনি স্বাধীনতার পরে দালাল আইনের বিরোধিতা করেছেন তীব্র ভাষায়। কারণ অনেক দালাল ওনার দলে (হুকুমাতে রব্বানি) ঢুকেছিল।
৩। উনি চীনা নেতাদের পরামর্শে আয়ুব খানের প্রতি নমনীয় ছিলেন কিছু সময়ের জন্য। চীনারা ওনাকে বলেছিল 'Don't disturb Ayub'.

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আন্তরিক ধন্যবাদ।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মাওলানা ভাসানী ছিলেন একজন নির্মোহ,সহজ সরল,সৎ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ।তবে অন্য অনেকের মত নীতি পরিত্যাগ করেননি তথা মানিয়ে নেয়া, মানিয়ে চলার অক্ষমতা থেকে তার যথাযথ মর্যাদা পাননি ক্ষমতাশীনদের কাছ থেকে।আর ক্ষমতাশীনদের আনুকূল্য না থাকলে আমাদের এ উপমহাদেশে সব অর্জনই বৃথা হয়ে যায়। যা উনার ক্ষেত্রে হয়েছে।

২৮ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভাসানী এবং তাজউদ্দিন এই নায়ক অবহেলিত।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভাসানীর হাত ধরে অনেকে নেতা হয়েছেন কিন্তু নিজে কখনো নেতা হতে চাননি।এটাই তার গুন।বলতে পারেন আমাদের গান্ধী।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভাসানীকে আমার ভালো লাগে। কি রকম লুঙ্গি পরে জীবন পার করে দিলেন।

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০২

সিগনেচার নসিব বলেছেন: নিঃসন্দেহে একজন মহান নেতা। তবুও বাংলাদেশের ইতিহাসে ভাসানীকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আলোচনা হওয়া দরকার।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৩

স্থিতধী বলেছেন: “মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আবেদন” শিরোনামে একটি বিবৃতি ছাপিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শিবির ও শরনার্থী শিবিরে বিতরণ করা হয় । তিনি সমস্ত বাঙালী জাতিকে একাত্ন হয়ে পাক হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ে যাবার আহ্বান জানান ।

“আপনারা ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলুন । পূর্ব বাংলার মুখচেনা কতিপয় সুবিধাবাদী দালাল ধর্মের নামে, তথাকথিত সংহতির নামে মিথ্যা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আপনাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে । পূর্ব বাংলার এসব মীরজাফর স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনে ছুরিকাঘাত করতেছে । বিশ্বাসঘাতকদের কথায় আপনারা কান দিবেন না । বর্তমান মূহুর্তে একতা আর মনোবল ও জ্বলন্ত দেশপ্রেমই হচ্ছে আমাদের একমাত্র অস্ত্র । জয় আমাদের সুনিশ্চিত ।”

৭১ এ পাকিস্তানের রাও ফরমান আলি গং রা ৭০ এর নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লিগের আসনগুলা আল বদর রাজাকার জামায়াত ইসলাম, নেজামে ইসলাম এই সব দলগুলাকে ভাগ বাটোয়ারা করে দিতেছিলো। বামপন্থী ন্যাপের " লাল মাওলানা" ভাসানী সাহেব সেইসব দেশী রাজাকার দালালদের বিরূদ্ধেও এভাবে হুংকার দিয়ে ওঠেন।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৬

স্থিতধী বলেছেন: " বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার শোকের মাস আগস্ট এলেই দেশে কিছু চাটুকার মুজিব-বন্দনার আড়ালে ইতিহাস বিকৃতির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়, যা আজকের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে। এসব চাটুকার কিছুটা ঘুরিয়ে হলেও সুকৌশলে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মওলানা ভাসানীকে জড়িত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা কখনও কখনও বলে থাকে, মওলানা ভাসানী নাকি খন্দকার মোশতাকের সরকারকে সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ জানাননি। অথচ সত্য হলো, খন্দকার মোশতাকের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে দূত পাঠানো হয়েছিল তার সরকারকে সমর্থন করে একটি স্টেটমেন্ট দেওয়ার জন্য। কিন্তু মওলানা তার প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন। বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদ মওলানাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু মওলানা সবার চালাকি বুঝতে পারতেন। "

উপরের কথাটা ভাসানী সাহেবের ন্যাপ পার্টির এক মহাসচিবের । তাঁর দেওয়া আর একটা যুক্তি হল যে এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বহুবার বলেছেন "মওলানা ভাসানী মহান নেতা। তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধার। তাঁর অমর্যাদা করা কারও উচিত হবে না" । যদি ভাসানী সাহেব শেখ মুজিব হত্যাকান্ড কোনভাবে সমর্থন করতেন তবে সেই খবর ঠিক ই প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকতো এবং তখন তিনি জিয়াঊর রহমানের মতই মওলানা ভাসানীকেও সকাল বিকাল ধুইতেন।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.